নরসিংদী সদর উপজেলায় অটোরিকশা ভাড়া করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে সুমন মিয়া নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তার বাবা আলম মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার (১০ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমন জয়নগর গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, জয়নগর বাজারে সুমনের চাচা মুকুলের সঙ্গে প্রতিবেশি আয়ুব, মোমেন, তারেক, দেলোয়ারসহ ৪-৫ জনের অটোরিকশা ভাড়া করা নিয়ে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যায় তারা সংঘবদ্ধ হয়ে মুকুলের বাড়িতে হামলা করতে যায়। এ সময় বাড়ির পাশে হৈচৈ হলে ঘর থেকে বেরিয়ে সুমন ও তার বাবা আলম মিয়া দেখতে যান। তাদের সামনে পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে এলাকাবাসী তাদের নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া হামলায় আহত আলম মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের চাচা মুকুল মিয়া বলেন, ‘আমার মা অটোরিকশায় করে ভাতিজার জন্য ঔষধ আনতে গিয়েছিল। এ সময় আয়ুব মিয়া, মোমেন, তারেক এই রিকশায় যেতে চেয়েছিল। রিকশাচালক কেন মাকে নিল—এজন্য তারা খারাপ ব্যবহার করে। আমি তার প্রতিবাদ করি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বাড়িতে হামলা করতে এসে সুমনকে হত্যা ও তার বাবাকে গুরুতর আহত করে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে সংঘর্ষে সাবেক বিএনপি নেতা নিহত, আহত ২
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শওকত হাসান বলেন, ‘রাতে দুজনকে হাসপাতালে আনার পর সুমন নামের যুবককে মৃত পাওয়া যায়। আর আলমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
সুমনের হাত, বুক ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে চিকিৎসক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, ‘অটোরিকশায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়, এরপর তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সুমন নিহত হয়েছে এবং তার বাবা গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’