থার্টি ফার্স্ট নাইট
থার্টি ফার্স্ট নাইটে সিএমপির যত নির্দেশনা
থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও পারকি সমুদ্র সৈকতে সব ধরনের অনুষ্ঠান ও লোকসমাগম নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ প্রশাসন। একইসঙ্গে ডিজে পার্টি, বার বন্ধ রাখা, ফানুস ওড়ানোসহ ১৩ বিষয়ে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সিএমপির জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, থার্টি ফার্স্ট নাইটে (৩১ ডিসেম্বর) আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে সিএমপি বদ্ধপরিকর। সকল অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সিএমপি কর্তৃক পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন, গীর্জা, হোটেল, ক্লাব, বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন, টহল জোরদার, ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে সিএমপি কমিশনার
জারি ১৩টি নির্দেশনায় বলা হয়, এইদিন রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ এবং প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ বা নাচ-গান অথবা অন্য কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো যাবে না। এইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত পতেঙ্গা বিচ ও পারকি বিচ এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন না পর্যটকরা। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে লাইসেন্সকৃত সকল বার ও মদের দোকান।
এছাড়াও নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ন না বাজানো কিংবা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক না চালানো, আনন্দ উদযাপনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা ও সংস্কৃতির প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য শালীনতা বজায় রাখা, মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকা।
আরও পড়ুন: সিএমপির ৪ থানার ওসি ও ৭ এসি পদে রদবদল
মাদকাসক্ত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সকল অনুষ্ঠানে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড হতে এবং অশোভন আচরণ, বে-আইনি কার্যকলাপ হতে বিরত থাকতে হবে।
হোটেল মালিকদের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়, এইদিন ডিজে পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না এবং জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়— এমন যে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড পরিহার করতে হবে।
উচ্চস্বরে হর্ন না বাজানোসহ বেপরোয়া গতিতে যানবাহন না চালানোর জন্য অনুরোধসহ যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ বা দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে সিএমপি’র পুলিশ কন্ট্রোল রুম অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ জানানোর জন্য অনুরোধও করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
সিএমপি কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বরগুলো হলো— ০৩১-৬৩৯০২২, ০৩১-৬৩০৩৫২, ০৩১-৬৩০৩৭৫, ০১৬৭৬-১২৩৪৫৬, ০১৩২০-০৫৭৯৯৮।
আরও পড়ুন: থার্টি-ফার্স্ট নাইটে পতেঙ্গা ও পারকি বিচে নিষেধাজ্ঞা, সিএমপির ১৬ নির্দেশনা
১০ মাস আগে
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড়
এবারও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত কক্সবাজার। ৩১ ডিসেম্বরকে ঘিরে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজার যেন পর্যটকের মেলায় পরিণত হবে।
বছরের এই দিনটিতে তরুণ-তরুণীরা হইচই আর আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে। বাদ যান না শিশু আর প্রবীণরাও।
আর তাই শহরের হোটেল-মোটেল ও পর্যটন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আলাদা করে প্রস্তুত রয়েছে। ইংরেজি নতুন বছরকে বরণে বিভিন্ন হোটেলে থাকছে ইনডোর আয়োজন। তবে কয়েক বছরের মতো এবারও সমুদ্রসৈকতসহ আউটডোরে কোনো আয়োজন নেই।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম আনু জানান, ইংরেজি বছরের শেষ দিন মানে থার্টি ফার্স্ট। দেশের সব পর্যটকদের দৃষ্টি থাকে কক্সবাজারে। কারণ সৈকতে ২০২২ সালের শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ এবং বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রোমাঞ্চকর অনুভূতি কক্সবাজার থেকে পাওয়া যায়। তাই ইতোমধ্যে কক্সবাজারে পর্যটকরা চলে এসেছে। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত কক্সবাজারও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাইরে বড় কোনো অনুষ্ঠান না থাকলেও বিভিন্নভাবে বড় পরিসরে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন হবে কক্সবাজারে। শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় ও রাতে বিভিন্ন হোটেলের ইনডোরে নতুন বছরকে বরণ করতে থাকছে নানা আয়োজন।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটতে পারে। সে বিষয়কে কেন্দ্র করে হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসগুলো আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, নববর্ষের সাজসজ্জাসহ নানা ধরনের কারুকার্য সম্পন্ন করেছে। থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে ২৯ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকরা আসছেন। ৩০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৭০ ভাগ হোটেলের রুম বুকিং হয়ে গেছে। তবে অন্যান্য বছর থার্টি ফাস্ট নাইটের, অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বরের আগে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বুকিং হয়ে যায়। আউটডোরে অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকলে শতভাগ পর্যটক ভরপুর থাকতো।
আবুল কাশেম সিকদার জানান, তারকামানের হোটেলগুলোতে বরাবরের মতোই ফুল বুকিংয়ের প্রত্যাশা রয়েছে। সবকটি তারকা হোটেল থার্টি ফার্স্ট নাইটের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এসব অনুষ্ঠানের জন্য অগ্রিম টিকিটও বিক্রি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ইনানীর তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপের এজিএম নাভেদ চৌধুরী বলেন, ১ জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের হোটেল শতভাগ অগ্রিম বুকিং রয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইট ও নতুন বছর বরণে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। দুইজন তারকা শিল্পী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন।
একইভাবে তারকামানের হোটেল ওশ্যান প্যারাডাইস, কক্স টুডে, সায়মন বিচ ও লং বিচেও নানা জমকালো আয়োজন থাকবে বলে জানা গেছে। এছাড়া আরও কিছু বড় মানের হোটেলেও নানা অনুষ্ঠান থাকবে।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ জানিয়েছে, নতুন বছর বরণকে কেন্দ্র করে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। একইভাবে জেলা প্রশাসন বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবারও উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্ট নাইটের কোনো আয়োজন করা যাবে না। তাই কক্সবাজারেও কাউকে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, কক্সবাজারে সাড়ে চারশ’ আবাসিক হোটেলে প্রায় দেড় লাখ লোক রাত্রিযাপন করতে পারেন। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি হোটেলে সিসিটিভি ক্যামেরা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, ১ জানুয়ারি থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল শুরু হলে সেখানে ও হিমছড়ি, ইনানী ও পাটুয়ারটেক জোনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজার শুধু দেশের নয় পৃথিবীর একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র। তাই যেকোনো বিশেষ দিন উপলক্ষে কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড় থাকে। এবারও পর্যটকরা থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজারমুখী হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের সেবার মান বাড়াতে এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মনিটরিং কমিটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করবে।
আরও পড়ুন: নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ে খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
১ বছর আগে
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাস্তা কিংবা ফ্লাইওভারে কোনো কনসার্ট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাস্তায় কিংবা ফ্লাইওভারে কোনো কনসার্ট ও নাচগানের আয়োজন করা যাবে না।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এর আগে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইনশৃঙ্খলা ও আনুষঙ্গিক বিষয় সংক্রান্ত সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রী বলেন, সবসময় এ ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা জাতীয় দিবসগুলো উদযাপনের সময় আমরা বসি। আমরা দুর্গোৎসবের সময় বসেছিলাম, আমাদের ধারণা ছিল, ৩১ হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ হবে। সেই অনুযায়ী প্রায় ৩২ হাজারের কাছাকাছি দুর্গোৎসবের পূজামণ্ডপ হয়েছে।
এছাড়া এবার তেজাগাঁও ও রমনাসহ পাঁচ হাজার ৬৮২টি (দু-একটি বেশি-কম হতে পারে) গির্জায় বড়দিন পালন হতে পারে।
আরও পড়ুন: কোনোভাবেই রাজপথে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সবগুলো গির্জার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
বড় গির্জাগুলোতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে স্বেচ্ছাসেবী থাকার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
কূটনৈতিক পাড়ায় বেশিরভাগ কূটনীতিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বিশেষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
গির্জাগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানো থাকবে।
গুরুত্বপূর্ণ গির্জাগুলোতে সুইপিং করা হবে, ভিআইপিদের চলাচলের সময় যেটা করা হয়। ডগ স্কোয়াডও থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত গির্জা পার্শ্ববর্তী এলাকায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকের গোয়েন্দারাও থাকবে। প্রতিটি শহরে র্যাবের টহল থাকবে। খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে র্যাবের টহল জোরদার করা হবে।
এছাড়া কোনো অঘটন ঘটলে ৯৯৯-এ ফোন দেয়া যাবে। সেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন, ২৫ ডিসেম্বরের পরে থার্টি ফার্স্ট নাইট হয়ে থাকে। এদিন আতশবাজি, ভুভুজেলা, পটকা না-ফোটাতে আমরা অনুরোধ রাখছি। এগুলো ফুটিয়ে জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি না করতে বলা হয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফ্লাইওভার ও রাস্তায় কোনো কনসার্ট কিংবা নাচগানের আায়োজন করা যাবে না।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনো বহিরাগত ব্যক্তি যাতে ঢুকতে না পারেন, সে জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেখানে প্রবেশ সীমিত করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে,’ জানান আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য অপব্যহাররোধে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চলবে। যে কোনো নাশকতারোধে সারা দেশে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হবে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উৎযাপনে গির্জা ও ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে, তার ব্যবস্থা থাকবে।
‘৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা সব বার বন্ধ থাকবে। দেশের পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এ সময় অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় উদ্ধার টিমসহ অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি ও অগ্নিনির্বাপণ কর্মী সতর্ক থাকবেন।’
মাঠে কনসার্ট করা যাবে কিনা; প্রশ্নে তিনি বলেন, মহানগর পুলিশের অনুমতি নিয়ে কনসার্ট করা যাবে। কোনো রাস্তায় যানজট করা যাবে না। কেউ যাতে অবৈধভাবে মাদক কারবারী করতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা রাখা হবে।
তবে এই উৎসব উপলক্ষ্যে কোনো থ্রেট (হুমকি) আছে কিনা; জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এমন কিছু নেই। আমরা মনে করছি, জঙ্গিবাদের উত্থানের একটি চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা আগেই তা চিহ্নিত করেছি।
তারপরেও আমরা সবাই সজাগ থাকবো, যাতে কোনো অঘটনা না ঘটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফারদিন নূর: র্যাব, ডিবি'র তদন্তে আস্থা প্রকাশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
১ বছর আগে
নেতিবাচক প্রভাবে কক্সবাজারে পর্যটনে ভাটা
সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটক নারী ও স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাসহ খাবারের দাম বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাবে কক্সবাজারে কাঙ্খিত পর্যটক আসেনি। আগে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনে কক্সবাজারে হোটেলে কোন রুম খালি থাকত না। এবার ৫০ শতাংশ হোটেলের রুম খালি রয়েছে। দেশে অনেকটা স্বাভাবিক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও এমন দিনে কাঙ্খিত পর্যটক না থাকা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের জন্য উদ্বেগজনক।
গাড়ি পার্কিং পর্যটন গলফ মাঠের ইজারাদার কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর সালাহউদ্দিন সেতু বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর ছুটির ৩ দিনে পর্যটকদের বড় বাস পার্কিং ছিল সাড়ে ৩শ টি। পার্কিং জায়গা না পেয়ে স্থানীয় ইলিয়াছ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে আরো আড়াইশ বড় বাস পার্কিং করা হয়। প্রতিদিন প্রায় ৭শ বাস কক্সবাজারে পার্কিং হয়। কিন্তু এবারে বছরের বিদায় ও বরণ উপলক্ষে কক্সবাজারে পর্যটকদের বড় বাস পার্কিং করা হয় মাত্র ৫০ টির মতো। এ থেকে বুঝা যায় অন্যান্য ছুটির সময়ের তুলনায় এবার পর্যটক আসেনি বললেই চলে।
তিনি বলেন, এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটক ব্যবসায়ীরা। মূলত থার্টি ফাস্ট নাইটকে উপলক্ষ্য করে পার্কিং ইজারা নেয়া হয়। এতে করে এবার কাঙ্খিত প্রাপ্তি হয়নি। মূলত পর্যটক নারী ধর্ষণ ও ডাল ভাতের দাম বেশি নেয়ার ঘটনা ভাইরাল হওয়ার কারণে এবার কক্সবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে পর্যটকরা।
কক্সবাজারে পর্যটকদের স্বাগত জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, কক্সবাজার শুধু দেশের নয় পৃথিবীর একটি আকর্ষণীয় পর্যটন জোন। তাই বিদেশি বেশ কিছু পর্যটক এসেছে এবার। বছরের প্রথম দিনে পর্যটকদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। এ জন্য স্ব স্ব হোটেল পর্যটকদের ফুল দিয়ে বরণ করেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারকে নিয়ে প্রচারণায় কিছুটা নেতিবাচ প্রভাব পড়লেও পর্যটকদের সেবার মান বাড়াতে এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একাধিক বৈঠকে প্রয়োজনী সিদ্ধান্ত ও প্রস্তুতি নেয়া হয়। শুধু থার্টি ফাস্ট নাইট বা বর্ষবরণ নয় ভরা পর্যটন মৌসুমে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
মনিটরিং কমিটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন জানিয়ে মামুনুর রশীদ বলেন, সরকারিভাবে জানিয়ে দেয়ার কারণে এবার উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফাস্ট নাইটের কোন আয়োজন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে নারী পর্যটককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: আরেক আসামি গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে রাজধানীর ৭ জায়গায় অগ্নিকাণ্ড
ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করে নিতে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে উড়ানো ফানুস থেকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গায় আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে, উড়ানো ফানুস থেকে এসব আগুনের সূত্রপাত। তবে এসব ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফিন্সের সদরদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) শাহজাহান শিকদার বলেন, রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, ডেমরা, সূত্রাপুর, লালবাগ ও কেরানীগঞ্জে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধা নিহত
তিনি বলেন, নগরীর মাতুওয়াইল এলাকায় একটি তিনতলা ভবনের ছাদে রাত ১২টা ১৫ মিনিটে ফানুস উড়াতে গেলে আতশবাজি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে রাত ১টা ৩৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়া ধোলাইখাল এলাকায় রাত ১২টা ৪০ মিনিটে একটি পাঁচতলা ভবনের ছাদে আতশবাজি বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে দমকলকর্মীরা রাত প্রায় দেড়টার দিকে আগুন নেভায়।
শনিবার রাতের প্রথম প্রহরে রাজধানী ঢাকার আকাশে হাজারো আতশবাজি ও ফানুস উড়তে দেখা যায়। নগরীজুড়ে নববর্ষ বরণের উৎসব শেষ রাত পর্যন্ত চলতে থাকে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ সিআইডির
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ সিএমপির
চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। থার্টি ফার্স্ট নাইটে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে ১৬টি নির্দেশনা দিয়েছে সিএমপি।
নির্দেশনায় বলা হয়, প্রকাশ্যে উন্মুক্ত স্থান, রাস্তাঘাট কিংবা নিজ বাড়ির ছাদেও কোনো ধরনের উৎসব করা যাবে না। এমনকি লাইসেন্স করা অস্ত্রও এ দিন বহন করা যাবে না।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সিএমপি। আর এ সব বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে এরই মধ্যে নগর পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (পিআর) শাহাদত হুসেন রাসেল বলেন, ইংরেজি বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ উদযাপন অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন, গির্জা, হোটেল, ক্লাব, বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন, টহল জোরদার, ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থা ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’এ উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান নয়: ডিএমপি
নিদের্শনার মধ্যে রয়েছে- রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ ও প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত বা সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনুমোদিত স্থানে আয়োজিত সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে করোনা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। উন্মুক্ত স্থানে নতুন বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন বা সমাবেশ বা নাচ, গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না। কোনো ভবনের ছাদে আতশবাজি বা পটকা ফোটানো হলে ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত পতেঙ্গা সৈকত ও পারকি সৈকত এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। এ দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লাইসেন্স করা সব বার ও মদের দোকান বন্ধ থাকবে।
আনন্দ উদযাপনের মধ্যে সমাজ ও সংস্কৃতিতে প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য শালীনতা বজায় রাখতেও বলা হয়েছে। এছাড়া হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না। ৩১ শে ডিসেম্বর রাত ১০টার পর সব ফার্স্ট ফুডের দোকানসহ মার্কেট বন্ধ রাখতে হবে। থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনে বিকাল ৪টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত সকল প্রকার লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার অনুরোধ জানিয়েছে সিএমপি।
আরও পড়ুন: সীমিত পরিসরে বড়দিন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
২ বছর আগে
‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’এ উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান নয়: ডিএমপি
আগের বছরের মতো এবারও ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উন্মুক্ত স্থানে উদযাপনের অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, প্রতিবছরের মতো এবারও কেউ উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করতে পারবে না। যেসব হোটেল আমাদের কাছে আবেদন করেছে তাদের অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয়া হবে। কিন্তু সেগুলোতে আমাদের সংস্কৃতি অনুযায়ী অনুষ্ঠান করতে হবে। কোনো ডিজে পার্টিকে অনুমতি দেয়া হবে না। এছাড়া ৩১ তারিখ সকাল থেকে ১ তারিখ পর্যন্ত সকল বার বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনার শফিকুলের চাকরির মেয়াদ বাড়ল আরও এক বছর
ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন, থার্টি ফাস্ট রাত ৮ টার পর ছাত্র, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ছাড়া কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
তিনি বলেন,ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল, বনানী ও গুলশানসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার চারপাশে আমাদের নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে। আর কেউ প্রবেশ করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: সীমিত পরিসরে বড়দিন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
নগরবাসীদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে কমিশনার আরও বলেন, একই নির্দেশনা হাতিরঝিল ও বনানী, গুলশান এলাকার জন্য। রাত ৮ টার পর হাতিরঝিলে কেউ থাকতে পারবে না। এমন কি কোনো বাইককেও প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। গুলশান এলাকার বাসিন্দা ছাড়া বহিরাগত কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
নববর্ষকে ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই জানিয়ে কমিশনার বলেন, নতুন বছরকে ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি নেই। তারপরও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঢাকার সর্বত্র কাজ করবে।
২ বছর আগে
সীমিত পরিসরে বড়দিন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
করোনা মহামারির কারণে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন (২৫ ডিসেম্বর) ও খ্রিস্টীয় বর্ষের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট নানা দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানকে এক চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বব্যাপী সকল ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে পালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে মুসলমান, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান অত্যন্ত সীমিত করে পালিত হয়েছে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন ও খ্রিস্টীয় বর্ষের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে “থার্টি ফার্স্ট নাইট” উপলক্ষে প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করা যৌক্তিক হবে।’
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা ও আলোচনা করার পরামর্শ দেয়া হয়।
১৪ ডিসেম্বর জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবকে এ চিঠি দেয়া হয়।
এছাড়া বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার ও নজরদারি অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বড়দিন: রাঙামাটির খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
চট্টগ্রামে বড়দিন ঘিরে নানা আয়োজন, নিরাপত্তা জোরদার
২ বছর আগে
রাজশাহীতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে মদ্যপানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
রাজশাহীতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে অতিরিক্ত মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
৩ বছর আগে
থার্টি ফার্স্ট নাইট: অতিরিক্ত মদ পানে রাজশাহীতে ৩ জনের মৃত্যু
রাজশাহীতে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উদযাপন করতে গিয়ে অতিরিক্ত মদ পানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
৩ বছর আগে