পিএমও
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তক্ষেপ বদলে দিয়েছে একজন রিকশাচালকের জীবন
১৯৬৯ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে বাবাকে হারান হাবিবুর রহমান। তারপর পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে কাজের সন্ধানে আসেন ঢাকায়।
বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার সোনাহাটি ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামে।
বর্তমানে ৭৭ বছর বয়সী হাবিবুরের স্ত্রী ও চার মেয়েসহ ছয় সদস্যের পরিবার রয়েছে। সব মেয়েরই বিয়ে হয়ে গেছে। স্ত্রী থাকেন গ্রামের বাড়িতে।
পেশায় রিকশাচালক হাবিবুর রিকশা চালিয়েই জীবিকা নির্বাহ করেন। জীবনের এই পর্যায়ে এসেও এই ক্লান্তিকর কাজটি করা ছাড়া তার আর কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: রিকশাচালকদের স্যালাইন-পানি ও ছাতা বিতরণ করলেন ডিএনসিসি মেয়র
তার মেয়েদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব খারাপ তাই তারা তাদের বাবাকে কোনো ভরণপোষণও দিতে পারে না।
বেশ কয়েকবার স্ট্রোক করায় শরীরের অবস্থাও ভালো নেই। কিন্তু চরম দারিদ্র্য বাধ্য করছে জীবনের ঘানি টানতে। ঠিকমতো কথাও বলতে পারেন না হাবিবুর।
এই বয়সে এসেও সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির ভাতা পাচ্ছেন না হাবিব ও তার স্ত্রী।
এই ছিল হাবিবের মতো একজন সাধারণ মানুষের অতি সাদামাটা জীবন।
কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট তার জীবনকে অনেকটাই বদলে দিয়েছে।
এখন এক টুকরো জমি ও একটি নতুন বাড়ির মালিক হবেন তিনি।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ প্রকল্প: ‘এহন আমাগের দিন ঘুরতে শুরু করছে’
হাবিবুর রহমানের দুর্দশা নিয়ে ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) নজরে আসে।
গৃহহীন এই বৃদ্ধ রিকশাচালকের জন্য এক মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
হাবিবুর রহমানের জন্য তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরে একটি ঘর নির্মাণ করে দিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
এছাড়াও গ্রামের বাড়িতে চালানোর জন্য তাকে একটি অটোরিকশা (ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার) দেওয়া হবে।
হাবিবুর রহমান বলেন, ঢাকায় থাকার জায়গা না থাকায় রাস্তায় ঘুমাতে হতো।
তিনি আরও জানান, এখন তিনি গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন এবং তাকে একটি বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের অনুরোধ করেছিলাম আমার উপার্জনের জন্য আমাকে একটি অটো দেওয়ার জন্য। তারা (পিএমও) আমাকে অটো দেওয়ার ব্যাপারেও আশ্বস্ত করেছে। আমার জীবন বদলে যাবে।’
আরও পড়ুন: ৩৩৩-তে সাহায্য চেয়ে রিকশাভ্যান পেলেন হাটহাজারীর প্রদীপ
৭ মাস আগে
রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে পিএমওর নির্দেশ
রমজান মাসে মূল্যবৃদ্ধি রোধে পণ্য মজুদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাজার মনিটরিং জোরদার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।
এছাড়া ইফতার ও সেহরির সময় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি রোজার মাসে যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয় তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রমজানের আগে পিএমওতে অনুষ্ঠিত একটি সভা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্টক, সরবরাহ ও মূল্য, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং আসন্ন ঈদুল ফিতরে মানুষের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে এই নির্দেশনা এসেছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলো অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
মুখ্য সচিব বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবারের রমজানে খাদ্যশস্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ বেশি।
তিনি বলেন, ‘বাজারে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে। রোজার মাস সামনে রেখে আমরা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছি। জনগণ তাদের চাহিদামতো পণ্য কিনতে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা রমজান ও ঈদ খুব ভালোভাবে উদযাপন করতে পারব।’
তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ থাকলে আমরা সন্তুষ্ট। কিন্তু এ বছর এখন আমাদের কাছে প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে।
এছাড়াও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে চিনি, পেঁয়াজ এবং ভোজ্য তেলের স্টক আছে কি না পর্যালোচনা করা হয়েছে। ‘বাজারে পর্যাপ্ত চিনি পাওয়া যাচ্ছে এবং আরও চিনি আমদানি করা হচ্ছে, তাই আমরা সম্ভাব্য চিনি সংকট নিয়ে চিন্তিত নই। বাজারে ভোজ্য তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। সুতরাং, ভোজ্য তেল নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না,’ যোগ করেন তিনি।
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যাতে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে সেজন্য পণ্যের সাপ্লাই চেইন স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্য সচিব।
সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অংশ হিসেবে রমজানে কিস্তিতে ওএমএস ও টিসিবির মাধ্যমে দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা রোজার মাসে এক কোটি মানুষকে দ্বিগুণ ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর দেব।’
পর্যালোচনা সভায় পরিবহন টিকিট ব্যবস্থা সহজীকরণ, ঈদের সময় মহাসড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, ঈদের আগে সড়ক ও সেতু সংস্কার, ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত যাত্রী বহন রোধ, আকাশপথে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বৃদ্ধি এবং যথাযথ অর্থ বিতরণের বিষয়ে আলোচনা হয়। ঈদকে সামনে রেখে গার্মেন্টস ও জুটমিল শ্রমিকদের মধ্যে বেতন নিয়ে আলোচনা ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), সেতু বিভাগ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
৯ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দেওয়া জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই: পিএমও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচয় দেওয়া মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও কার্যালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিশেষ বিজ্ঞতিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞতিতে বলা হয়, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মৃত রহমত উল্যাহ’র ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে বেড়াচ্ছেন।
তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও কার্যালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং।
এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে এবং প্রয়োজনে নিকটস্থ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।
১ বছর আগে
আ.লীগের সভাপতি হিসেবে পুননির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে পিএমও’র শুভেচ্ছা
টানা দশমবারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করায় সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহসহ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর ক্ষমতাসীন দলের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন।
শেখ হাসিনা জোরপূর্বক নির্বাসনে থাকাকালীন তার অনুপস্থিতিতে ১৯৮১ সালে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর গত ৪১ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন। তিনি ১৭ মে, ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে গড়তে কমিশনপ্রাপ্তদের '২০৪১ সালের সৈনিক' হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সাধারণ সভা
১ বছর আগে
প্রফিট শেয়ার করার জন্য হাওয়া ভবন ও পিএমওতে উন্নয়ন উইং নেই: ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের মুনাফার আগে দেশ ও মানুষের কথা ভাবতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনার লাভের (প্রফিটের) অংশ শেয়ার করার জন্য এখানে কোনো হাওয়া ভবনও নেই, আর পিএমওতে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে) কোনো উন্নয়ন উইংও নেই।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোগ্যপণ্যের আমদানি-রপ্তানিকারকদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে বিনা বাধায় মুনাফা করেছেন।
আরও পড়ুন: ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উন্নয়ন শাখার ‘যন্ত্রণা’ ও হাওয়া ভবন থেকে মুক্ত।
‘এখন আপনাদের এই যন্ত্রণায় ভুগতে হচ্ছে না। আপনাদের এটি স্বীকার করতে হবে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, অতীতে লাভের সিংহভাগই হাওয়া ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন উইংয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘...মনে রাখুন এবং দেশ এবং এর জনগণের কথা চিন্তা করুন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় সরকার ব্যবসায়ীদের তাদের ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছেন, যদিও তারা এটা চায়নি।
তিনি বলেন, তার উদ্যোগের মাধ্যমে একটি দল গঠন করা হয়েছিল এবং এটি অর্থনীতির চাকা চালানোর জন্য ভালোভাবে কাজ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মহামারীর সময়ে উন্নত দেশের অনেক কলকারখানা ও শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম আমাদের কারখানা এবং শিল্পগুলো বন্ধ হতে দেব না, আমাদের চালিয়ে যেতে হবে... আমি শ্রমিকদের মজুরি নিশ্চিত করেছি, প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি।
আরও পড়ুন:যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
২ বছর আগে
৭টি সংস্থার সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর পিএমও’র
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পসহ আরও ছয়টি সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২২-২৩ স্বাক্ষর করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং সংস্থার প্রধানরা নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এপিএগুলোতে সাতটি সংস্থা ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য তাদের পারফরম্যান্সের বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সংস্থাগুলো হলো- বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা), জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ), পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষ, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প।
তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি হল সরকারি কর্মচারীর দক্ষতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য একটি ফলাফল-ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে আওয়ামী লীগ সরকার সমস্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে উন্নত পারফরম্যান্স পাওয়ার জন্য এপিএ পদ্ধতি চালু করে।
এ প্রক্রিয়ায় সমস্ত অধস্তন বিভাগ, সংস্থা বা দপ্তরগুলোও তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা উচ্চতর দপ্তরের সঙ্গে এপিএ স্বাক্ষর করে।
আরও পড়ুন: লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ও ‘নগদ’ এর মধ্যে চুক্তি সই
চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অঞ্চলের নৌপথ খনন ও টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি
২ বছর আগে
বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী: পিএমও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানানো হয়েছে।
পিএমও প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ১১টায় তার কার্যালয়ে (পিএমও) সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সংবাদ সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে দেশের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি এবং ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলের বন্যার ভয়াবহতা পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
করোনার দুর্দিনে জনগণের পাশেই আছেন প্রধানমন্ত্রী
করোনার প্রথম আঘাতের মতো এবারও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কর্মসংস্থান হারানো ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনায় মৃত্যু মিছিলের মধ্যেই চলমান লকডাউনের কারণে খেটে খাওয়া সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে নিরলস চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী।
ইতোমধ্যেই করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ-এ প্রান্তিক জনগণের কষ্ট-দুর্দশা দূর করতে সরকার ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নিম্ন-আয়ের প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারের মাঝে নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা করে অর্থ সহায়তা দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ইউএনবিকে জানান, আগামী রবিবার (২ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী এই অর্থ সহায়তার কার্যক্রম শুরু করবেন।
তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হবার পরপরই প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে জনগণকে অর্থসহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গতবছরও করোনার প্রথম প্রকোপের সময় সরকার সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারের মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান করে।
পিএমও সচিব জানান, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ, বিকাশ, রকেট এবং শিউরক্যাশ এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মাঝে সরাসরি অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী কোভিড সঙ্কট: দ্রুত পুনরুদ্ধারে ইএসসিএপি-কে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ শেখ হাসিনার
দেশে গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করার পর কর্মহীন হয়ে পড়ে সমাজের খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রান্তিক শ্রেণীর অসহায় জনগণের জীবিকা নিশ্চিত করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবেই মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে ৫৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে।
পিএমও সচিব বলেন, অন্যান্য অর্থ সহায়তার পাশাপাশি হতদরিদ্র মানুষের জরুরি সাহায্যের জন্য প্রত্যেক জেলার ডিসিদের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
সচিব আরও বলেন, করোনার আঘাতে কর্মহীন হয়ে পড়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই নিজ উদ্যোগে ১০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুন: লিডার্স সামিট: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৪ পরামর্শ
এছাড়া সরকারি তথ্য সেবা ৩৩৩-হেল্প লাইন সেন্টারের কথা উল্লেখ করে তোফাজ্জল হোসেন জানান, সমাজরে মধ্যবিত্ত মানুষের কথা মাথায় রেখেই সরকার এই সেবা চালু করেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের কেউ সংকোচ না করে হেল্প সেন্টারে সাহায্য চাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, হেল্প সেন্টারে সাহায্য চাওয়া হলে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন সাহায্যপ্রার্থীর পরিচয় গোপন রেখে প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেবে।
৩ বছর আগে