করোনার প্রথম আঘাতের মতো এবারও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কর্মসংস্থান হারানো ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনায় মৃত্যু মিছিলের মধ্যেই চলমান লকডাউনের কারণে খেটে খাওয়া সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে নিরলস চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী।
ইতোমধ্যেই করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ-এ প্রান্তিক জনগণের কষ্ট-দুর্দশা দূর করতে সরকার ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নিম্ন-আয়ের প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারের মাঝে নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা করে অর্থ সহায়তা দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ইউএনবিকে জানান, আগামী রবিবার (২ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী এই অর্থ সহায়তার কার্যক্রম শুরু করবেন।
তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হবার পরপরই প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে জনগণকে অর্থসহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গতবছরও করোনার প্রথম প্রকোপের সময় সরকার সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারের মাঝে অর্থ সহায়তা প্রদান করে।
পিএমও সচিব জানান, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ, বিকাশ, রকেট এবং শিউরক্যাশ এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মাঝে সরাসরি অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী কোভিড সঙ্কট: দ্রুত পুনরুদ্ধারে ইএসসিএপি-কে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ শেখ হাসিনার
দেশে গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করার পর কর্মহীন হয়ে পড়ে সমাজের খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রান্তিক শ্রেণীর অসহায় জনগণের জীবিকা নিশ্চিত করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবেই মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে ৫৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে।
পিএমও সচিব বলেন, অন্যান্য অর্থ সহায়তার পাশাপাশি হতদরিদ্র মানুষের জরুরি সাহায্যের জন্য প্রত্যেক জেলার ডিসিদের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
সচিব আরও বলেন, করোনার আঘাতে কর্মহীন হয়ে পড়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই নিজ উদ্যোগে ১০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুন: লিডার্স সামিট: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৪ পরামর্শ
এছাড়া সরকারি তথ্য সেবা ৩৩৩-হেল্প লাইন সেন্টারের কথা উল্লেখ করে তোফাজ্জল হোসেন জানান, সমাজরে মধ্যবিত্ত মানুষের কথা মাথায় রেখেই সরকার এই সেবা চালু করেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের কেউ সংকোচ না করে হেল্প সেন্টারে সাহায্য চাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, হেল্প সেন্টারে সাহায্য চাওয়া হলে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন সাহায্যপ্রার্থীর পরিচয় গোপন রেখে প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেবে।