শিমুলিয়া ঘাট
চলন্ত ফেরিতে আগুন, হতাহত নেই
মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাট থেকে শরীয়তপুরের মাঝি ঘাটে যাওয়ার সময় ‘বেগম রোকেয়া’ নামের একটি ফেরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শিমুলিয়া ঘাটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শফিকুল ইসলাম বলেন, অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম ও পানির পাম্প সময় মতো ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষয়-ক্ষতি রোধ করা হয়েছে। এ সময় ফেরিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ও ৩৬টি গাড়ি ছিল।
তিনি আরও বলেন,ক্যান্টিনের ছাদে সামান্য পুড়ে যাওয়া ছাড়া গুরুতর কিছু ঘটেনি। বিআইডব্লিউটিসির মেরিন বিভাগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ক্যান্টিনের সিলিং পরে মেরামত করা হবে। বর্তমানে শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুটে ফেরি চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফেরির ক্যান্টিনের তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পারাবত ট্রেনে আগুন, ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগ বন্ধ
কোন ধরনের আগুন কীভাবে নেভাবেন?
২ বছর আগে
ঢাকামুখী মানুষদের দৌলদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করার অনুরোধ নৌপ্রতিমন্ত্রীর
শিমুলিয়া ঘাটে সীমিত ফেরি ব্যবস্থা থাকায় ঢাকামুখী মানুষদের দৌলদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এবারের ঈদ যাত্রা খুব ভালভাবেই করতে পেরেছি। আল্লাহর রহমতে সারাদেশের মানুষ আনন্দের সঙ্গে ঈদ করতে পেরেছে। স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে ঈদের সময়ে মানুষ বাড়ি যেতে পেরেছে। তাই ঢাকামুখো মানুষদের স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরতে দৌলদিয়া ঘাট ব্যবহারের অনুরোধ জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে ঈদ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কর্মকর্তদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিমুলিয়া ফেরি বাড়ানোর কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বার বার অনুরোধ করেছিলাম পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহার করার জন্য। কারণ পদ্মা সেতুর সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সীমিত ফেরির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু এতো সুন্দর রাস্তা ও পদ্মা সেতু দেখার লোভ থামানো যায় নি। এখানে অতিরিক্ত ব্যক্তিগত গাড়ি গেছে এ রুটে। আমি আবারও অনুরোধ জানাবো শিমুলিয়া ঘাটে সীমিত ফেরি ব্যবস্থা রয়েছে তাই দৌলদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করলে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে আসতে পারবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’
মানুষ ঘরে ফিরতে পেরেছে ভালোভাবে তবে কর্মক্ষেত্রে আসাটা কেমন হবে জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ বলেন, যাওয়ার মতো ফেরার পথেও একই ধরনের ব্যবস্থাপনা করেছি। আমাদের নজরদারিও আছে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারীবাহিনীসহ দায়িত্বরত অন্যরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে। ঈদের আগেই ঘরে ফেরা এবং ঢাকায় আসা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি ফেরারটাও স্বাচ্ছন্দ্যে মানুষ আসতে পারবে।
প্রতি ঈদে নৌ দুর্ঘটনা ঘটে। এবার এধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মানুষ যতো সচেতন এধরনের ঘটনা কমে আসবে। মানুষ আরও সচেতন হচ্ছে। যারা এ কাজগুলোর দায়িত্ব পালন করেন তারাও আর দায়িত্ববান হচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আগে মানুষ পেট ভরে খেতে পারত না। এখন মানুষ খাওয়ার মান নিয়ে চিন্তা করে। আমরা সে দিকে এগিয়ে যাচ্ছি৷ আশা করছি সামনে এধরনের দুর্ঘটনা আরো কমে যাবে। আসরা সেভাবেই দেশ পরিচালনা করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে জাফলংয়ে পর্যটকের স্রোত
ঘূর্ণিঝড় অশানি নিয়ে নৌখাতের নিরাপত্তায় কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে-জানতে চাইলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রস্তুতি আছে, নির্দেশনাও দেয়া আছে। ১নং ২নং,৩নং সিগনালে কি ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে এগুলো আমাদের বলা আছে। লঞ্চসহ সকল নৌযান এবিষয়ে জানে এবং আমরাও প্রচার করছি। বাংলাদেশে বৈশাখ জৈষ্ঠ্যমাসে কালবৈশাখী ঝড় হবেই৷ এগুলো আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গি। এগুলো মেনেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে, এটা আমাদের অনেক বড় প্রাপ্তি। রোজাকে সামনে রেখে অনেকেই ভীতিকর পরিস্থিতির কথা বলেছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এবং সরকারের পদক্ষেপের কারণে কোনো কিছু হয়নি। মানুষ ভালমত ঈদ ও নামাজ আদায় করতে পেরেছে৷ সার্বিকভাবেই মানুষ ভালোভাবেই ঈদ উদযাপন করেছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে সরকারি অফিস খুলেছে
২ বছর আগে
শিমুলিয়া ঘাটে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে বিজিবি মোতায়েন
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ায় ৭ম দিনের মত ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে তবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে ফেরিতে যাত্রী উঠানামার শৃঙ্খলা ফেরাতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাজার হাজার যাত্রী রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দক্ষিণ বঙ্গে যাওয়ার জন্য শিমুলিয়া আসছে। তবে পর্যাপ্ত ফেরি না থাকার কারণে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছে। ফেরি আসতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে যাত্রী সাধারণ। যানবাহনও ফেরি থেকে নামার সুযোগ পাচ্ছে না। তাই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ফেরিতে যাত্রী উঠানামার শৃঙ্খলা ফেরাতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও বিজিবি যৌথভাবে এই ঘাটের সংযোগ সড়ক ফাঁকা রাখার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ফেরিঘাটে আজও ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড়
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট বহরে ১৬ ফেরির মধ্যে এখস সচল রয়েছে ১৪ ফেরি। যা যাত্রী পার করেই কুলিয়ে উঠতে পারছে না। তাই যানবহান খুব একটা পার করতে পারছে না।
ফেরিগুলো সাধারণত যানবাহন পারাপার করে কিন্তু এখন তা দেখে বোঝার উপায় নেই কারণ ফেরি যাত্রীতে ভরপুর।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা
এদিকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বিভিন্ন যানবাহনে এবং পায়ে হেটেই যাত্রীরা ঘাটে আসছে। বিড়ম্বনা এবং কয়েক গুণ বেশী ভাড়া দিয়েও নাড়ীর টানে ছুটছেন তারা।কোন বাঁধাই মানছেন না তারা।
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, করোনার স্বাস্থ্য বিধির কোন বালাই নেই ঘাটে। গায়ের সাথে গা লাগিয়ে ঘরমুখো সবাই। অনেকে মাস্ক পর্যন্ত ব্যবহার করছেন না।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়ায় রাজধানী ছেড়ে আসা যাত্রী ও ছোট যানের ভিড়
বিআইডব্লিউটিসির এজিএস মো. সফিকুর রহমান বলছেন, তাদের ফেরি বাড়ানোর মত অবস্থা নেই। দুটি ফেরি বিকল, মেরামতের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ বলছে তারা ঘাটের শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা করছেন। তবে মানুষের অস্বাভাবিক ঢলের কারণে কঠিন হয়ে পড়ছে কাজটি।
৩ বছর আগে