শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি)
বন্যার্তদের সহায়তায় শাবি শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম অব্যাহত
সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, সংগঠন ও ব্যক্তিরা। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষকদের সংগঠন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও এই কার্যক্রমে পিছিয়ে নেই।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট অঞ্চলের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১২০০টি পরিবারের মাঝে বিভিন্ন শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, দি য়াশলাই, মোমবাতি ইত্যাদি সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শাবিপ্রবির শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাসায় বিশুদ্ধ পানিসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটির পর শাবিপ্রবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত
শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন বলেন, সিলেট অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যায় আক্রান্ত সাধারণ মানুষের পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে শাবি শিক্ষক সমিতি। এছাড়া শিক্ষকদের একদিনের বেতন এই বন্যার্তের মাঝে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বেতন ছাড়াও যে কেউ যেকোনো পরিমাণ অর্থ সাহায্য দিতে পারবে। সামনের যেকোনো সংকটময় মুহূর্তে দেশবাসীর সহায়তায় এই ধরনের কার্যক্রম শাবি শিক্ষক সমিতি কর্তৃক অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: আকস্মিক বিপর্যয় সামলে উঠেছে শাবিপ্রবি
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের ব্যাংক একাউন্টসহ বিকাশ ও নগদ নম্বর সাহায্যের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। শাবি শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাইরে থেকেও আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে বন্যার্তদের পাশে থাকার সুযোগ থাকছে।
২ বছর আগে
ঈদের ছুটির পর শাবিপ্রবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত
বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক দিক বিবেচনা করে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সকল ক্লাস ও পরীক্ষা পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির পর সশরীরে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার সন্ধ্যায় এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: আকস্মিক বিপর্যয় সামলে উঠেছে শাবিপ্রবি
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সিলেট বিভাগে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক দিক বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ক্লাস-পরীক্ষা পবিত্র ঈদুল-আজহার ছুটির পর সশরীরে নেয়া হবে। তবে বিভাগগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আলোচনা সাপেক্ষে সুবিধামতো অনলাইন ক্লাস নেয়া যাবে।
আরও পড়ুন: কমতে শুরু করেছে শাবিপ্রবিতে বন্যার পানি
প্রসঙ্গত, বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ১৭ জুন এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় শাবিপ্রবির সকল ক্লাস-পরীক্ষা আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
২ বছর আগে
কমতে শুরু করেছে শাবিপ্রবিতে বন্যার পানি
মধ্য রাত থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিলোরোড, বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, মেয়েদের দুই হল, প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। আর যেসব জায়গায় কোমড় পানি ছিল তা এখন হাঁটু পানিতে চলে এসেছে।
শিক্ষাভবন ‘বি’, চেতনা-৭১’র সামনে, শিক্ষক কোয়ার্টারের সড়ক, সিরাজুন্নেসা চৌধুরি হলের সামনে হাঁটু পানি রয়েছে। তাছাড়া আবাসিক হলগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক। তবে পানি কমে গেলেও চারপাশের পরিবেশ স্যাঁতস্যাঁতে ও দুর্গন্ধ অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সাহায্যের আহ্বান তারকাদের
মেয়ে শিক্ষার্থী যারা হল ছাড়তে পারিনি তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়াকৃত হোস্টেল আমির ও ফজল কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে প্রক্টর ইসরাত ইবনে ইসমাইল বলেন, ইতোমধ্যে বন্যার পানি অনেকটা নেমে গেছে। আজকে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। এই পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকছে কিনা তার জন্য কমপক্ষে আরও দুই দিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আমরা চারদিকে খোঁজখবর রাখছি। সবাই চারদিক পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় কাজ করছে। হলের চারপাশের পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছনতার পরেই শিক্ষার্থীদের হলে উঠার আহ্বান জানাবো।
আরও পড়ুন: বন্যায় আটকে পড়া শাবিপ্রবি ছাত্রীদের উদ্ধারে বিজিবি
গত ১৬ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা বন্যার পানির কবলে পড়ে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাসহ সকলেই চরম দুর্ভোগে পড়েন।
২ বছর আগে
শাবিপ্রবিতে করোনার টিকাদান শুরু
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হল খোলার আগেই শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে।
শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে স্থাপিত অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিপর্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। প্রায় দুই বছর পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার উদ্দেশ্যে সব শিক্ষার্থীর টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষার্থীদের বরণ করার প্রথম ধাপ হিসেবে শনিবার থেকে টিকা কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হলো। চলতি মাসের ২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হবে এবং আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করা হবে। সবাইকে এই সময়ের মধ্যে টিকা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির আবাসিক হল খুলছে ২৫ অক্টোবর
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিলেট সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথম দিন স্নাতকোত্তর ও স্নাতক চতুর্থ বর্ষের নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীদের তিনশ’ জন টিকা পাবেন। পরে কারা টিকা পাবে তা নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে কর্তৃপক্ষ। টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের টিকা নিবন্ধনের মূল কপি বা ফটোকপি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড এর সাথে নিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
টিকা গ্রহণকারী প্রথম শিক্ষার্থী হাবিবুল হাসান রিজভী বলেন,করোনার শুরু থেকে উপাচার্য স্যারের নেতৃত্বে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম চালু, করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব স্থাপন, শিক্ষার্থীদের জন্য আইসোলেশন কেন্দ্রের ব্যবস্থাসহ সবশেষ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় করোনা টিকার ব্যবস্থা করায় আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। উপাচার্য স্যারের বিশেষ আন্তরিকতায় আমরা ফাইজারের টিকা নিতে পেরেছি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম , ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জহীর উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর, শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, মেডিকেল সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ও সোনালী ব্যাংকের ১০০ কোটি টাকার এমওইউ স্বাক্ষর
করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৫ অক্টোবর শাবিপ্রবির আবাসিক হল খুলছে। তার ১০ দিন আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
৩ বছর আগে
শাবিপ্রবিতেই সিলেট বিভাগের প্রথম বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মিত হয়
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েই নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিটি (ম্যুরাল) ই সিলেট বিভাগের বঙ্গবন্ধুর প্রথম ম্যুরাল।
২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট ম্যুরাল উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান ও শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবিতে এই ম্যুরাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে ‘কিলোরোড’ পেরিয়ে গোলচত্বর। গোলচত্বর ও প্রশাসনিক ভবন-২ এর মাঝে ম্যুরালটির অবস্থান। ফলে আনমনে ক্যাম্পাসে চলাচলরত যে কারও নজরে পড়ে ম্যুরালটি। মনে হয় শির উঁচু করে এখানে দাঁড়িয়ে আছেন ‘বঙ্গবন্ধু’।
আরও পড়ুন: করোনা : শাবির ল্যাবে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ
রড-সিমেন্ট ও সিরামিক টাইলস দিয়ে তৈরি ম্যুরালটির উচ্চতা ৬ ফুট বাই ১০ ফুট আর মূল বেদী ৪০ ফুট বাই ২৫ ফুট। প্রায় ১২ লাখ ৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রতিকৃতির ডিজাইনার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থাপত্য শিল্পী শেখ নাঈম উদ্দিন টিপু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ সমারোহে নান্দনিক স্থাপত্যে নির্মিত এ ম্যুরালটির চারদিক ঘিরে রেখেছে অসংখ্য কদম, কৃষ্ণচূড়া, কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। যা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
ম্যুরালের পাদদেশে এসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শোক দিবস ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মাধ্যমেই শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ বলেন, জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ক্যাম্পাসে প্রবেশ এবং বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের প্রতিদিনই চোখের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রতিভাত হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক সময়ে অগণিত দর্শনার্থী বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল দেখতে আসেন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুর: শাবিপ্রবিকে সিসিকের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শন স্বরুপ এ ম্যুরালটি
নির্মাণ করা হয়েছে। এ ম্যুরালটির মাধ্যমে শাবিপ্রবি পরিবারের সকল সদস্য প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে এ প্রত্যাশা করি।’
৩ বছর আগে
করোনা: এক বছরে শাবির ল্যাবে ৫৮ হাজার ৫৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে গত বছর এই দিনে নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়। এক বছরে ৫৮ হাজার ৫৪১ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব পরীক্ষার প্রতিবেদনে ৯ হাজার ৫২৭ জন রোগীকে করোনা পজিটিভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবের সবশেষ তথ্য থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ল্যাব সূত্র জানায়, বর্তমানে সিলেট বিভাগের চার জেলার সর্বত্র এবং সিলেট শহরের সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও সবকয়টি উপজেলা থেকে সংগৃহীত নমুনা শাবিপ্রবির ল্যাবে পরীক্ষা করানো হয়। এছাড়াও সিলেট অঞ্চলের বিদেশ ফেরত সকল যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষা এই ল্যাবে করানো হয়।
আরও পড়ুন: করোনা: শাবির ল্যাবে দশ মাসে ৪৫ হাজার ৮৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা
এছাড়া করোনা শনাক্তকরণ ছাড়াও ল্যাবের গবেষক দল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্রের অর্থায়নে কোভিড-১৯ এর ভাইরাস নিয়ে গবেষণা কাজ অব্যাহত রেখেছে। গবেষক দলটি ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের ৪ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে জিন বিন্যাস (জিনোম সিকোয়েন্স) উন্মোচন করেন।
উন্মোচিত জিন বিন্যাস থেকে ১০টি (সুনামগঞ্জ-৫ ও হবিগঞ্জ-৫) নমুনার জিন বিন্যাস গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটাবেইজে (জিআইএসএআইডি) জমা দেন। যা ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের সহযোগীতায় শাবিপ্রবির ল্যাবে করোনাভাইরাসের (জিনোম সিকোয়েন্স) গবেষণার কাজ চলমান রয়েছে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান বলেন, উন্নত দেশগুলোর মতো আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি এই সিলেট বিভাগের মানুষদের সেবা (কমিউনিটি সার্ভিস) দিতে পেরে আন্তরিকভাবে গর্বিত। এই এক বছরে আমাদের ল্যাবের কার্যক্রমে বড় অর্জন "আস্থা ও নির্ভরযোগ্যতা"।
তিনি বলেন, আমাদের জিইবি বিভাগের শিক্ষার্থীদের জিনোম ও জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল ডিএনএ-আরএনএ নিয়ে গবেষণার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় নমুনা পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও নির্ভরতার বিষয়টি থাকছে শতভাগ। এখন পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশে কোনো ধরনের ভুলত্রুটি ধরা পড়েনি। আমাদের ছেলেরা বড় বড় উৎসবের বিশেষ করে পরপর তিনটি ঈদের দিনও ল্যাবের কার্যক্রম চালু রেখেছে। ল্যাবের মেইনটেনেন্স ছাড়া একদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়নি। প্রথমদিকে আপদকালীন হলেও এখন স্থায়ীভাবে এই ল্যাবে সংশ্লিষ্ট সকলেই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের র্ধ্বতন মহলের প্রতি আহ্বান রাখবো আমাদের এই জিইবি বিভাগের যারা কাজ করছে তাদের স্থায়ী ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নজর রাখতে। আশা রাখছি যতোদিন প্রয়োজন হয় এই সেবা কার্যক্রম চালু থাকবে।
আরও পড়ুন: শাবিতে সিলেটের প্রথম ট্রান্সজেনিক গ্রিনহাউস উদ্বোধন
শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শাবিপ্রবির এই ল্যাব দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের জন্য একটি আস্থার জায়গা। এই অঞ্চলের মানুষের সেবার মনোবৃত্তি নিয়ে করোনাভাইরাস প্রাদুভার্বের শুরুতে এই ল্যাবটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ল্যাবে যারা কাজ করছেন তারা সবাই আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। সিলেট অঞ্চলের মানবিক সেবায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যতদিন এই সেবা প্রয়োজন হবে সিলেটসহ সারা দেশের জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র পাশে থাকবে।
গত বছর ১৮ মে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শাবিতে আরটি পিসিআর ল্যাবের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। এরপর থেকে এ ল্যাবে করোনা শনাক্তকরণ কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষাভবন ‘ই’-এর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২২৫ নম্বর কক্ষে এ ল্যাব চালু করা হয়। ল্যাবের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ।
এর আগে, মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সংক্রমণ নির্ণয়ের জন্য ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য পিসিআর ল্যাব চালুর অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: শাবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের দ্বিমুখী লড়াই
৩ বছর আগে