দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েই নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিটি (ম্যুরাল) ই সিলেট বিভাগের বঙ্গবন্ধুর প্রথম ম্যুরাল।
২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট ম্যুরাল উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান ও শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবিতে এই ম্যুরাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে ‘কিলোরোড’ পেরিয়ে গোলচত্বর। গোলচত্বর ও প্রশাসনিক ভবন-২ এর মাঝে ম্যুরালটির অবস্থান। ফলে আনমনে ক্যাম্পাসে চলাচলরত যে কারও নজরে পড়ে ম্যুরালটি। মনে হয় শির উঁচু করে এখানে দাঁড়িয়ে আছেন ‘বঙ্গবন্ধু’।
আরও পড়ুন: করোনা : শাবির ল্যাবে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ
রড-সিমেন্ট ও সিরামিক টাইলস দিয়ে তৈরি ম্যুরালটির উচ্চতা ৬ ফুট বাই ১০ ফুট আর মূল বেদী ৪০ ফুট বাই ২৫ ফুট। প্রায় ১২ লাখ ৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রতিকৃতির ডিজাইনার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থাপত্য শিল্পী শেখ নাঈম উদ্দিন টিপু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ সমারোহে নান্দনিক স্থাপত্যে নির্মিত এ ম্যুরালটির চারদিক ঘিরে রেখেছে অসংখ্য কদম, কৃষ্ণচূড়া, কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। যা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
ম্যুরালের পাদদেশে এসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শোক দিবস ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মাধ্যমেই শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ বলেন, জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ক্যাম্পাসে প্রবেশ এবং বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের প্রতিদিনই চোখের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রতিভাত হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক সময়ে অগণিত দর্শনার্থী বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল দেখতে আসেন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুর: শাবিপ্রবিকে সিসিকের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শন স্বরুপ এ ম্যুরালটি
নির্মাণ করা হয়েছে। এ ম্যুরালটির মাধ্যমে শাবিপ্রবি পরিবারের সকল সদস্য প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে এ প্রত্যাশা করি।’