অর্থ
জামায়াতের অর্থের ‘জোগানদাতা’ ডা. ফাতেমাকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার
রাজশাহীর স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ফাতেমা সিদ্দিকাকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ১৬৫ রাউন্ড গুলি-অস্ত্র-মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ২
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজশাহীর নগরীর বড়বনগ্রাম এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জামাত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার কথা এবং তাদের অর্থের যোগান দেওয়ার বিষয়ে তথ্য পায় পুলিশ।
ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের একটি দল ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জিজ্ঞাসাবাদের তার সম্পৃক্ত পাওয়া যায়।
ওসি আরও বলেন, চলতি বছরের মে মাসে শাহমখদুম থানায় করা বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া জামাত-শিবির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও তাদের অর্থের যোগান দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বিশেষ শাখা (ডিবি) ও শাহ মখদুম থানার একদল পুলিশ বাড়ির ভেতরে ঢোকে।
এরপর সন্ধ্যায় ফাতেমা সিদ্দিকাকে পুলিশের গাড়িতে করে থানায় নেওয়া হয়। এ সময় অভিযানের অংশ নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
রাজশাহী মহানগর জামায়াতের শূরা সদস্য মাজেদুর রহমান বলেন, এইমাত্র খবর পেলাম ডাক্তার ফাতেমা সিদ্দিকাকে পুলিশ নিয়ে গেছে। কেন নিয়ে গেছে সেটা বলতে পারব না। তিনি আমাদের একজন সুধী। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
ডাচ বাংলার বুথ থেকে ২৬ লাখ টাকা চুরি, গ্রেপ্তার ১
বাফুফেতে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে অনিয়ম অনুসন্ধানে আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা জারি
ফুটবলের বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষ ফিফা ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে)কে দেওয়া অর্থের দুর্নীতি, পাচার, আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
রবিবার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর করা আবেদনটি আগামী ৯ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ মে হাইকোর্ট রুল দিয়ে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বংশী নদী দখল : সাভারের ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
এই আদেশ স্থগিত চেয়ে গত ২২ জুন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন।
আজ আবেদনটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
শুনানিতে কাজী সালাউদ্দিনের নাম আবেদন থেকে প্রত্যাহারের করে নেওয়ার আরজি জানান তার আইনজীবী মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুন।
আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আবদুল্লাহ আল মামুন খান।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী মুরাদ রেজা ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে ছিলেন।
পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, বাফুফেতে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, এই অংশে আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থিতাবস্থা দিয়েছেন চেম্বার আদালত।
তবে সরকারের দেওয়া অর্থ নিয়ে অনিয়মের অনুসন্ধান চলবে। এতে আইনগত বাধা নেই।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে গত মে মাসে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক।
এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ মে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে কাজী সালাউদ্দিন, আবদুস সালাম মুর্শেদী, আবু নাঈমসহ বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা/ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
হাইকোর্ট বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে ফিফা ও সরকারের দেওয়া অর্থ নিয়ে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে যুব ও ক্রীড়া সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এবিআর) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। চার মাসের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৭ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পলাতক হিযবুত তাহরীর নেতা গ্রেপ্তার: র্যাব
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক এমডি কারাগারে
চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ও সিইও মামুন-উর-রশিদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার আসামীর আইনজীবী মামুন-উর-রশিদ এর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা করেন। মামলায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয়ে কথিত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী (এনজিও) প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এসওডি ঋণের নামে ৪ কোটি টাকা প্রদান ও পরে কোনো ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ না করে ঋণের অর্থ মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
অন্য আসামিরা হলেন-সচেতন সাহায্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মিসেস জেসমিন রশিদ, সভাপতি মিসেস হাসনা হেনা, সাধারণ সম্পাদক মিসেস নাছরিন আক্তার, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড প্রগতি সরণী শাখার সাবেক ম্যানেজার বর্তমানে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড নিকুঞ্জ শাখার ভিপি ও ম্যানেজার শোয়াইব মাহমুদ তুহিন, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড প্রগতি সরণী শাখা এক্সিকিউটিভ অফিসার, বর্তমানে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, গুলশান-১ শাখার শেখ মোহাম্মদ মুনসুরুল করিম, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের এডিশনাল এমডি মো. তারিকুল আজম, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড হেড অব এআরসিডি মো. আমিনুল ইসলাম।
উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থের তুলনায় কাজ উন্নত হয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার উন্নয়নের জন্য প্রচুর টাকা দেয়, কিন্তু যে পরিমাণ টাকা দেয়া হয়, সে তুলনায় কাজ ততটা উন্নত হয় না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় আমি খেয়াল করেছি, সরকার টাকা দিতে কম দেয় না। বরং প্রচুর টাকা দেয়। শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে প্রচুর টাকা দিচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় কাজের মান ততটা উন্নত হয় না।’
শনিবার (৮ অক্টোবর ) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকা-সিলেট ছয় লেন ও সিলেট-তামাবিল চার লেন সড়কের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মোমেন বলেন, ঢাকা-সিলেট সড়ক ৬ লেন প্রকল্প অনেক দূর এগিয়ে গেলেও সার্ভেয়ার না থাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজটি আটকে গিয়েছিল। ৩৬ জনের জায়গায় মাত্র দু’জন সার্ভেয়ার দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আমি ভূমিমন্ত্রীর সাথে কথা বলে আরও ৬ জন সার্ভেয়ারের ব্যবস্থা করেছি।
সিলেট-তামাবিল চার লেন সড়ক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটিও আমার অগ্রাধিকার প্রকল্প। এখানে ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা ছিল। আমি নিরসন করেছি। আশা করছি এই শীতেই এই দুটি মহাসড়কের কাজ অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহত্তর মদিনা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির নেতাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
পড়ুন: বাংলাদেশের বাইরের পরামর্শের প্রয়োজন নেই: মোমেন
বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকারি অর্থ সাশ্রয়ের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প এড়িয়ে চলুন: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
সরকারের অর্থ সাশ্রয়ের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
যে কোনো প্রকল্পের প্রভাব ও ফলাফল বিশ্লেষণ করে বাস্তবায়ন করার আহ্বানও জানান তিনি।
রবিবার মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে সরকার: তাজুল ইসলাম
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম দেশের ইকোনমিক হাব হিসেবে পরিচিত এবং আমরা এটাকে দেশের একটি আইডল সিটিতে পরিণত করতে পারি। সে জন্য চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেগুলো কতটা কার্যকর হয়েছে তা দেখার প্রয়োজন। যাচাই বাছাই না করে গ্রহণ করা হলে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
খাল ও ড্রেনগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা কেউ কেউ খাল দখল করে অবৈধভাবে বিল্ডিং বানিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে রেখেছেন। কিছু মানুষের জন্য কোটি কোটি মানুষের জীবন অতিষ্ট হতে পারে না,সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এসময় মন্ত্রী সকল খাল দখলমুক্ত করারও নির্দেশ দেন।
আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে আমাদের আগামী প্রজন্ম একটি সমৃদ্ধ ও সুন্দর দেশ পাবে বলে আশা করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ: তাজুল ইসলাম
মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামে একটি বড় সমস্যা। অবিলম্বে এই সমস্যা সমাধানের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার নির্দেশনা অনুযায়ী এই সমস্যার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
মেগা প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, দেশের মেগা প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তরল গ্যাসে গরল হিসাব (এলএনজিতে অসামঞ্জস্য) আজ (রবিবার) একটি সংবাদপত্রের শিরোনাম। প্রতিবেদনটি পড়লে অবাক হয়ে যাবেন, কীভাবে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। ইতোমধ্যে মহেশখালীর ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে ১১ হাজার ৬১০ কোটি টাকা চলে গেছে।’
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা ভাসানীর ‘মাও সেতুং এর দেশ’ শিরোনামের পুনঃমুদ্রিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন সবক্ষেত্রে লুণ্ঠন ও শোষণ ছাড়া কিছুই নেই।’
ফখরুল বলেন, ‘আপনি যদি এই সমস্ত (মেগা) প্রকল্প তদন্ত করেন, তবে আপনি দেখতে পাবেন হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। দেশে এখন এমনই ভয়ানক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশের বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে জাতিকে মুক্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে। প্রথমে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একটি উদার গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি। দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে।’
আরও পড়ুন: গুম, নিপীড়ন বন্ধে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘ড. আকবর আলী খান বিএনপির রাজনীতি করেন না। তিনি গতকাল (শনিবার) বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এটা শুধু তার মতামত নয়, অনেকেই এমনটি মনে করেন।’
ফখরুল বলেন, হারানো অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বর্তমান শাসনের পতন নিশ্চিত করতে গণঅভ্যুত্থান গড়ে তুলতে এখন ঐক্য গড়ে তোলা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনে বাংলাদেশের মানুষ এখন চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মানুষ এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চায়।’
আওয়ামী লীগ কেন দেশ ও দলে মওলানা ভাসানীর ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেয় না বলে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। কিন্তু তারা (আ.লীগ নেতারা) তাকে একবারের জন্যও চিনতে পারছে না।’
মওলানা ভাসানী তার সমগ্র জীবন বাংলাদেশের দরিদ্র, অসহায় ও মেহনতি মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে তিনি মহান জাতীয় নেতার অবদানকে স্মরণ করার জন্য একটি মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন।
ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, ‘স্কুলের শিশুদের পাঠ্যপুস্তকে একজন ছাড়া অন্য কারো নাম নেই। এর মানে এই যে দেশের স্বাধীনতা, সংগ্রাম এবং মানুষের জীবন পরিবর্তনে একজন ব্যক্তি ছাড়া কারও অবদান নেই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ‘বিদেশিদের’ পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে না: খন্দকার মোশাররফ
বিরোধী দলকে দমনে নতুন খেলা শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিল্পকলার ডিজিকে দুদকে তলব
অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে আগামী ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আরিফ সাদেক ইউএনবিকে জানান, লিয়াকত আলী লাকীকে আগামী ১৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বুধবার একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে টাকা আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লিয়াকত আলী লাকীকে তার ব্যয়ের রেকর্ড জমা দিতে বলেছে দুদক।
এর আগে ২ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের এই তদন্ত করছেন। তদন্তকারী দলের অপর সদস্যের নাম আফনান জান্নাত কেয়া।
আরও পড়ুন: তিতাসের বিক্রয় সহকারী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
নোটিশে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিল্পকলা একাডেমির বরাদ্দকৃত বাজেট এবং ব্যয়সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি। এ ছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্পকলা একাডেমির বরাদ্দকৃত বাজেট এবং ব্যয়সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি এবং অব্যয়িত ৩৫ কোটি টাকা, গত বছরের ৩০ জুন তারিখে ব্যয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।
এসব ছাড়াও ২০২০-২১ অর্থবছরে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজন সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি। ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে ৩১-১২-২০২১ তারিখ পর্যন্ত ব্যয়সংক্রান্ত বিভিন্ন ভাউচার, ক্যাশবই এবং শিল্পকলা একাডেমি নামীয় সোনালী ব্যাংক, সেগুনবাগিচা শাখা, ঢাকা থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপি চাওয়া হয়েছে লাকীর কাছে।
এর আগে, ১১ জানুয়ারির মধ্যে তাকে প্রয়োজনীয় নথি ও নথি জমা দিতে বলেছিল দুদক।
গত কয়েক মাস আগে লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ নেয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ২৬ কোটি টাকা ঘুষ নেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগও রয়েছে। দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, নিয়ম না মেনে লিয়াকত আলী লাকীএকজন ঠিকাদারি কর্মকর্তাকে সচিব পদে নিয়োগ দিয়ে ২৬ কোটি টাকা ঘুষ নেন।
আরও পড়ুন: করোনা ফি’র আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ, টেকনোলজিস্টের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের
দুদকের মামলায় হাইকোর্টে বগুড়ার তুফান সরকারের জামিন
নেত্রকোণায় চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারসহ আসামি গ্রেপ্তার
নেত্রকোণায় দোকানের সিন্দুক ভেঙে চুরি যাওয়া ৩ লাখ টাকা উদ্ধারসহ আসামি মো. শফিকুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত শফিকুল পূর্বধলা উপজেলার নাগাইন গ্রামের মৃত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে। সে নেত্রকোণা শহরের ছোট বাজারস্থ ‘নেত্রকোণা হার্ডওয়্যার’ নামে এক দোকানে কাজ করতো।
নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে নেত্রকোণা পৌরসভাধীন ছোট বাজারস্থ নেত্রকোণা হার্ডওয়্যার নামীয় দোকানে সিন্দুক ভেঙে নগদ তিন লাখ টাকা চুরি করে করে নিয়ে যায় শফিকুল।
আরও পড়ুন: কবরের কঙ্কাল চুরি করতে গিয়ে গাজীপুরে যুবক আটক
এ ঘটনায় শনিবার দোকানের মালিক হারুন্নাহার কাইয়ুম বাদী হয়ে মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে ওসি খন্দকার শাকের আহমেদের দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সোহেল রানার নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আশরাফুজ্জামান ঘটনায় জড়িত আসামিকে শনাক্ত পূর্বক গ্রেপ্তার অভিযানে নামে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে কম্পিউটার ল্যাব থেকে র্যাম ও প্রসেসর চুরি
এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিকে শফিকুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির ঘটনা স্বীকার করে। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য মতে, পূর্বধলা থানাধীন নাগাইল এলাকা হইতে চুরি হওয়া টাকার মধ্যে নগদ ২ লাখ ৩৪ হাজার নয় শ’ টাকা উদ্ধার করা হয়।
বাগেরহাটে দেড় লাখেরও বেশি পরিবারকে সরকারের সহায়তা
বাগেরহাটে করোনা মহামারিতে কর্মহীন,অসচ্ছল এবং নিম্ন আয়ের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য এবং নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। করোনাকালে গত ৬ মাসে জেলায় এক লাখ ৬৮ হাজার ৮০০ পরিবার সরকারের এই সহায়তা পেয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে ওই সব পরিবারের হাতে খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঈদের আগে এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে: কাদের
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধ করতে সরকার ঘোষিত লকডাউন এবং কঠোর বিধিনিষেধের কারণে জেলার সুইপার, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, নরসুন্দর, দিনমজুর, বিভন্ন ধরনের শ্রমিক এবং অসচ্ছলসহ নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো কর্মহীন হয়ে পড়ে। এসব পরিবারের খাদ্য সংকট মিটাতে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, করোনায় বাগেরহাটে ৬ মাসে এক লাখ ৬৮ হাজার ৮০০ পরিবারকে সরকারি সহায়তা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৮ হাজার পরিবারকে ৫৮০ মেট্রিক টন চাল এবং এক লাখ ১০ হাজার ৮০০ পরিবারকে পাঁচ কোটি ৫৪ লাখ টাকা নগদ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্রীড়াবিদদের অর্থ সহায়তা দিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, জেলায় কর্মহীন,অসচ্ছল এবং নিম্ন আয়ের পরিবার যাতে খাদ্য কষ্টে না ভোগেন এজন্য তাদেরকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ওই সব পরিবারের হাতে খাদ্য সহায়তা এবং নগদ অর্থ তুলে দেয়া হয়। জনপ্রতি ১০ থেকে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। আর যাদের নগদ টাকা দেয়া হচ্ছে তার পরিমাণ ৫০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা।
আরও পড়ুনঃ সময়মতো প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে: প্রধানমন্ত্রী
সরকারের খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা গ্রহণকারী বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে তাদের দিন কাটছিল। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে চাল এবং নগদ টাকা দেয়া হয়েছে। সহায়তা পেয়ে তাদের কষ্ট কিছুটা মিটেছে।
অর্থের বিনিময়ে অন্যের সাজা ভোগ করা মিনুকে মুক্তির নির্দেশ
চট্টগ্রামের একটি হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির পরিবর্তে অর্থের বিনিময়ে সাজাভোগ করা নিরাপরাধ নারী মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মিনু বর্তমানে চট্টগ্রাম কারাগারে আটক আছেন।
সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মিনুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. শিশির মনির। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
নিরাপরাধ জেল কাটা মিনুর পক্ষে আইনী লড়াই করা আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, 'হাইকোর্টে শুনানিকালে আজ আদালত মিনিুকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র চট্টগ্রামে পৌঁছলেই কারাগার থেকে মিনু মুক্তি পাবেন'।
এর আগে গতকাল শুনানিকালে অর্থের বিনিময়ে বা যেকোনও কৌশলে মূল আসামি নিজেকে বাঁচিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিকে জেলে রাখার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
আরও পডুন: কারাভোগের পর ভারতে থেকে ফিরলেন নারীসহ ৩ বাংলাদেশি
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম কারাগারের একটি বালাম বই দেখতে গিয়ে মিনুর সাজা খাটার বিষয়টি উঠে আসে। সেখানে দেখা যায়, একজনের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন আরেক নারী। পরবর্তীতে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন চট্টগ্রামের তরুণ আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. নোমান চৌধুরী বলেন, ‘আদালতে সংরক্ষিত ছবি সংবলিত নথিপত্র দেখে কুলসুম আক্তার কুলসুমী আর মিনু এক নয় বলে নিশ্চিত হন জেল সুপার। যেহেতু ইতোমধ্যে এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে, তাই মামলার উপ-নথি দ্রুত সময়ের হাইকোর্টে পাঠানো হয়।’
জানা যায়, মোবাইল ফোন নিয়ে বিবাদের জেরে ২০০৬ সালের ৯ জুলাই নগরীর রহমতগঞ্জ এলাকায় পোশাক কারখানার কর্মী কোহিনুর বেগম খুন হন। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার উপজেলার গৌরস্থান মাঝেরপাড়া গ্রামের আনু মিয়ার মেয়ে কুলসুমীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পান কুলসুমী। পরবর্তীতে এ মামলায় বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এক রায়ে কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একবছরের কারাদণ্ড দেয়। রায়ের দিন কুলসুমী আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাকে পলাতক দেখিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে ভাসমান বস্তিতে মিনুকে পায় কুলসুমী। মিনুর স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর তিন সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে ভাসমান বস্তিতে থাকতো সে। এ পরিস্থিতিতে মিনু ও তার সন্তানদের ভরণপোষণ দেয়ার প্রস্তাব দেয় কুলসুমী। বিনিময়ে একদিন আদালতে হাজির হতে হবে বলে জানানো হয় মিনুকে। আদালতে হাজির হলে তার জামিনও করিয়ে আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
মিনু কুলসুমীর কথায় রাজি হয়ে কুলসুমী সেজে ২০১৮ সালের ১২ জুন চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পন করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে মিনু কারাবন্দী। এরপর নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন কুলসুমী।
পরে গত ২৩ মার্চ মিনুর নথি হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞার আদালত। পরে মামলার নথি হাইকোর্টে এলে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।