খনি
মিয়ানমারে জেড পাথরের খনি ধসে নিহত ২, নিখোঁজ ৩০
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের কাচিন রাজ্যে একটি জেড পাথরের খনির ভূমিধসে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় পুলিশ সোমবার (১৪ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সময় রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
এইচপাকান্ট টাউনশিপ পুলিশ কর্মকর্তা সিনহুয়াকে জানিয়েছেন, কাচিন রাজ্যের হাপাকান্ত উপশহরের মা না গ্রামের কাছে একটি জেড খনিতে এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যরা নিখোঁজ রয়েছে। প্রায় আটজন আহত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বন্যার কারণে ২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া
হপাকান্ত উপশহরের একজন উদ্ধারকর্মী কো থেইন থান টাইকে সিনহুয়াকে বলেছেন, নিখোঁজদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন, কারণ তারা অভিবাসী শ্রমিক।
কাচিন রাজ্যে, বিশেষ করে হপাকান্ত খনির অঞ্চলে প্রায়ই মারাত্মক ভূমিধস হয়।
অনেক স্থানীয় এই অঞ্চলে জেড পাথর আহরণ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।
২০২০ সালের জুলাই মাসে হপাকান্ত উপশহরের একটি জেড খনির সাইটে একটি মারাত্মক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে ১৭৪ জন মারা যায় এবং ৫৪ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: মাউই দাবানল: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৯
কঙ্গোতে ভূমি অধিকার ও কর নিয়ে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত ১০
১ বছর আগে
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে খনির ছাদ ধসে ৫জন নিহত
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি খনির ছাদ ধসে অন্তত পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, উত্তর চীনে গত সপ্তাহে ধসে পড়া খনির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া ৪৭ শ্রমিকের বেঁচে থাকার আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে।
প্রাদেশিক জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, রবিবার সকালে সিচুয়ান প্রদেশের একটি খনির ছাদের কিছু অংশ ধসে পড়ার সময় ২৫ জন খনি শ্রমিক মাটির নিচে ছিলেন। এদের মধ্যে পাঁচজন নিহত, তিনজন গুরুতর আহত এবং অন্যরা উপরে উঠে আসতে সক্ষম হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে খনিটিতে কয়লা উৎপাদন করা হতো না।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
অন্যদিকে, ছয় দিন আগে ইনার মঙ্গোলিয়ান অঞ্চলের আলক্সা লিগের ওই খনির প্রাচীর ধসে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে এবং উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ছয়জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একটি ‘সর্বাত্মক’ অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।
জিনপিং দেশটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে মঙ্গোলিয়ার অন্যান্য খনিগুলো পরিদর্শন এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার উদ্ধার অভিযানের শেষ অফিসিয়াল রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরও যন্ত্রপাতি আনার জন্য দুটি করিডোর পরিষ্কার করা হয়েছে এবং স্থল-অনুপ্রবেশকারী রাডারও মোতায়েন করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, জীবিতদের শনাক্ত করার জন্য ভারি যন্ত্রপাতি, উদ্ধার সরঞ্জাম, উদ্ধারকারী কুকুর এবং এক হাজারেরও বেশি উদ্ধারকারীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইতালীয় উপকূলে অভিবাসী নৌকা বিধ্বস্তে নিহত ৬০
১ বছর আগে
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে সমঝোতা, কাজে যোগ দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে শ্রমিকেরা
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতিতে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছে শ্রমিকেরা। পর্যায়ক্রমে কাজে যোগদানের সুযোগ পাবে তারা। শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার অংশ হিসেবে শনিবার ২১২ জন শ্রমিকের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
জানা গেছে, খনিতে কয়লা উত্তোলনে নিয়োজিত তিনটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি এবং জেএসএমসি কনসোর্টিয়াম। এই তিন প্রতিষ্ঠানের অধীনে খনিতে কয়লা তোলার কাজ করছে স্হানীয় প্রায় ১১শ’ দেশি শ্রমিক। অতিমারি করোনার কারণে টানা দু’বছর ধরে চারশ’ শ্রমিককে খনিতে আটক রেখে কয়লা তোলা হলেও কাজ বঞ্চিত রাখা হয়েছিল সাতশ’ শ্রমিককে। এসময় ছুটিতে থাকা শ্রমিকদের সাড়ে চার হাজার করে কয়েক দফায় ভাতা পরিশোধ করা হলেও আট মাস ধরে ভাতা না পেয়ে মার্চ মাস থেকে আন্দোলনে নামে সুবিধা বঞ্চিতরা।
বড় পুকুরিয়া শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, গেল শুক্রবার রাতে খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনা সাপেক্ষে ধাপে ধাপে শ্রমিকদের কাজে যোগদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শর্ত অনুযায়ী শনিবার সকালে প্রথম দফায় ২১২ জন শ্রমিকের করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে যেসব শ্রমিকের নেগেটিভ আসবে তারাই শুধু খনিতে প্রবেশ করে এক সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন শেষে কাজে যোগদানের সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত
ধাপে ধাপে সপ্তাহে ২০০ জন করে মোট ৮৫০ জন শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে খনিতে প্রবেশের অনুমতি দেবেন কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে করোনাকালিনে আট মাসের বকেয়া বেতন ভাতার দাবির বিষয়টি ঢাকায় পেট্রোবাংলায় শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান জানান, শুক্রবার রাতের বৈঠকে আংশিক দাবি মেনে নিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘শুক্রবার রাতে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে শনিবার ২১২ জন শ্রমিকের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। নেগেটিভ ফলাফলের ভিত্তিতে খনির অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সাত থেকে ১০ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর কাজে যোগদান করানো হবে।
অন্যদিকে পুরাতন ফেজের কয়লা ফুরিয়ে যাওয়ায় ‘বর্তমানে খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে নতুন ফেজের উন্নয়ন কাজ চলছে।’
উল্লেখ্য, খনির প্রবেশ পথ উন্মুক্ত করে সকল শ্রমিককে কাজে যোগদান এবং আট মাসের বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে গত দুমাস ধরে খনি এলকায় বিক্ষোভ সমাবেশ এবং খনির প্রবেশপথে অবস্থান গ্রহণসহ ধারাবাহিকভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে আসছিল তারা।
আরও পড়ুন: বড়পুকুরিয়ায় কয়লা চুরি: ৬ সাবেক এমডিসহ ২২ জন জামিনে মুক্ত
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে বিদ্যুতের সাবস্টেশনের ছাদ ধসে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
২ বছর আগে
বুরকিনা ফাসোতে সোনার খনিতে বিস্ফোরণ, নিহত ৫৯
বুরকিনা ফাসোর দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চলে একটি সোনার খনির কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০০ জন। দেশটির জাতীয় সংবাদমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এসব তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার গবোম্বলোরা গ্রামে বিস্ফোরণের পর আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি ওই স্থানে মজুত করা স্বর্ণ প্রক্রিয়াকরণের রাসায়নিক পদার্থের কারণে ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সানসান কামবু নামের স্থানীয় বন রেঞ্জার যিনি বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন তিনি বলেন, ‘আমি সব জায়গায় লাশ দেখেছি। এটা ভয়াবহ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, প্রথম বিস্ফোরণটি দুপুর ২টার দিকে ঘটে, এরপর আরও বিস্ফোরণ ঘটে যখন মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে থাকে।
বুরকিনা ফাসো আফ্রিকার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল স্বর্ণ উৎপাদকারী দেশ। বর্তমানে মহাদেশের পঞ্চম বৃহত্তম উৎপাদক এবং স্বর্ণ তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্য।
আরও পড়ুন: গভীর কুয়ায় আটকা পড়া মরক্কোর শিশুটি মারাই গেল
গবোম্বলোরার ওই স্বর্ণখনি ছোট। এ ধরনের ছোট খনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে। সারা দেশে এ ধরনের প্রায় আটশটি খনি রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটি স্টাডিজ জানায়, বেশিরভাগ সোনা প্রতিবেশী টোগো, বেনিন, নাইজার এবং ঘানায় পাচার হয়।
ছোট আকারের খনিগুলো আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত জিহাদিরা ব্যবহার করে বলে জানা গেছে। ২০১৬ সাল থেকে এসব স্থাপনায় হামলা হয়ে আসছে।
সুইজারল্যান্ডের থিঙ্কট্যাঙ্ক গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ-এর সিনিয়র বিশ্লেষক মার্সেনা হান্টার বলেছেন, ছোট-মাপের খনির খাতের ওপর শিথিল নিয়ন্ত্রণ বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। খনিতে এমন বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয় যা প্রায়শই দেশে পাচার করা হয় এবং অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: কঙ্গোয় জাতিসংঘের ২ বিশেষজ্ঞ হত্যা মামলায় ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড
বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গী হামলায় নিহত ২০
২ বছর আগে
১১ বছর পর লাভের মুখ দেখল মধ্যপাড়া পাথর খনি
এক দশকেরও বেশি সময় পর অবশেষে লাভের মুখ দেখতে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাথর খনি মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি।
২০০৭ সালে কার্যক্রম শুরুর দিকে এটি প্রথম দু বছরে রেকর্ড পরিমাণ লভ্যাংশ অর্জন করেছিল।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে এটি ১১ বছরের ক্ষতি কাটিয়ে ২০১৮-১৯ বছরে ৭ কোটি এবং ২০১৯-২০ বছরে ২২ কোটি টাকা লাভ করেছে।
আরও পড়ুনঃ বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্থানীয় কয়লা উত্তোলন সাশ্রয়ী নয়: নসরুল হামিদ
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং লিমিটেড আশা করছে চলমান রাজস্ব বছরের শেষ দিকে এটি ৫০ কোটি টাকার ব্যাঞ্চমার্ক অতিক্রম করবে।
লিমিটেডের এক সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, 'আমাদের লক্ষ্য ছিল এই রাজস্ব বছরে ১০ কোটি টাকা আয় করা কিন্তু মহামারির কারণে ২৬ মার্চ থেকে ১২ আগস্ট, ২০২০ পর্যন্ত আমাদের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। যার কারণে আমাদের আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি।'
যদিও প্রতিবেদন অনুসারে পরপর ১১ বছর বিভিন্ন বাধার কারণে ক্ষতির মুখে থাকা কোম্পানিটির এখনও ৫৯৩ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাসা বাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নয়: নসরুল হামিদ
সূত্র মতে স্বার্থান্বেষী মহলের অব্যবস্থাপনার কারণে কোম্পানীটি ১১ বছর ধরে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) ১৯৭৪ সালে দিনাজপুর জেলার প্রভাতীপুরে ১ দশমিক ২ বর্গ কিলোমিটারের এই এলাকার সন্ধান পান।
বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার পর ১৯৯৪ সালে উত্তর কোরিয়ার একটি সংস্থাকে এর উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বর্তমানে এখানে ১০০ বিদেশি বিশেষজ্ঞ, দেশের ৫০ জন ইঞ্জিনিয়ার এবং ৭৫০ জন শ্রমিক কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুনঃ মুজিব বর্ষেই শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে: নসরুল হামিদ
যদিও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে চুক্তি নবায়ণ করার ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দে রয়েছেন।
তবে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ ইউএনবিকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেই এ ব্যাপারে নতুন ট্রেন্ডার ডাকা হবে।
৩ বছর আগে