বেইলি রোড
মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে কর্তৃপক্ষকে দায়ী করতে হবে: দোকান মালিক সমিতি
মার্কেটগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের জন্য বাজার কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা উচিত বলে মনে করেন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে কোনো মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে সে মার্কেট বন্ধ রাখা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো বাজার বন্ধ করতে পারি না, তাই আমরা পুলিশকে অনুরোধ করি যেকোনো বাজারের বিল্ডিং উপযুক্ত কি না তা পরীক্ষা করার জন্য নিয়মিত তারা অভিযান পরিচালনা করুন। চলাচলের জন্য কোনো জায়গা নেই এবং অনেক মার্কেটের পানি সংরক্ষণের জায়গাগুলোও বন্ধ পাওয়া যায়।’
রমজান মাসে অগ্নিকাণ্ড এড়াতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার এবং প্রয়োজনে রাতে পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৮ মাস আগে
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষ থেকে করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কোন কোন আদালতে লোহার খাঁচা রয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট
আদালতের রুলে বহুতল ভবন, কারখানা ও স্থাপনায় অগ্নিনিরোধক কক্ষ ও সিঁড়ি স্থাপনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং অগ্নিনির্বাপক প্রতিরোধ আইন ও বিল্ডিং কোড আইনে কেন এবিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া হাইকোর্ট তার আদেশে ২০২৩-২৪ বর্ষে বহুতল ভবনে কতটি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে এবং কী পরিমাণ প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে জানাতে রাজউক ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
এর আগে গত রবিবার জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া তানজিনা নওরিন এসার বড় ভাই ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজমুস সাকিব তুষ্টি রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ‘গ্রিন কেজি কটেজ’ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। গতকাল তাদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৪ জনের মধ্যে বাসায় ফিরেছেন ১১ জন। এখনো ভর্তি আছেন তিনজন। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও দুজন।
আরও পড়ুন: বিনোদনে হাতি ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন নুর
৮ মাস আগে
আবাসিক ভবনের রেস্তোরাঁ বন্ধের দাবিতে রিট
বেইলি রোডসহ ঢাকার আবাসিক ভবনের সব রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।
রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মামলা জট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে: প্রধান বিচারপতি
এদিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ বিল্ডিংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আরেকটি রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইসরাত জাহান সান্ত্বনা।
বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি করা হয়।
রিটে গণপূর্ত সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪ জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইল রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। যাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, ভবনের প্রথম তলায় চায়ের চুমুক নামে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত। যা পরে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র এক মাস আগে ভবনটির নিচ তলায় এ রেস্টুরেন্টটি যাত্রা শুরু করে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ৩ জন আটক
৮ মাস আগে
অগ্নি দুর্ঘটনা নিরসনে জাতীয় বিল্ডিং কোড ও ফায়ার কোডের যথাযথ প্রয়োগ কেন জরুরি
আধুনিক নকশার আকাশচুম্বী অট্টালিকায় গতিশীল হচ্ছে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন। কিন্তু অন্যদিকে শিল্পের এই দ্রুত প্রসারই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে জন-জীবনের জন্য। নির্মাণের ন্যূনতম মাপকাঠি মেনে না চলায় রীতিমতো মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে ভবনগুলো।একের পর এক আগুন লাগার ঘটনায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে দেশের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধার শহর ঢাকা। ভবন নির্মাণের সুস্পষ্ট বিধিমালা ও আইন থাকলেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তার যথাযথ প্রয়োগ নিয়ে। এমতাবস্থায় জাতীয় বিল্ডিং কোড ও ফায়ার কোড-এর বাস্তবায়ন কেন অত্যাবশ্যক হয়ে দাড়িয়েছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
জাতীয় বিল্ডিং কোড
অবকাঠামো নির্মাণকল্পে পূর্ব নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট নীতি সম্বলিত নথির নাম বিল্ডিং কোড, যার উপর নির্ভর করে স্থাপনা তৈরির মানদণ্ড। সরকারি বা বেসরকারি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রণীত হওয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পায় এই নীতিমালা। সাধারণত স্থানীয় কাউন্সিলের কাছ থেকে পরিকল্পনার অনুমতি পাওয়ার জন্য ভবনগুলোকে এই কোড মেনে চলতে হয়। বিল্ডিং কোডের মূল উদ্দেশ্য হল জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিল্ডিং কোড বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে যেমন- আন্তর্জাতিক, জাতীয়, রাষ্ট্রীয় এবং স্থানীয় কোড। স্থানভেদে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও সামগ্রিকভাবে প্রতিটি কোডেরই উদ্দেশ্য এক।
বাংলাদেশের নির্মাণ প্রকল্পের জন্য সর্বতভাবে বিএনবিসি (বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড) অনুসরণ করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে হালনাগাদকৃত কোডটি এখনও বহাল রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প ঝুঁকি কমাতে বিল্ডিং কোড হালনাগাদ হচ্ছে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
জাতীয় বিল্ডিং কোডের অগ্নি সুরক্ষা সম্পর্কিত বিধান
অগ্নি দুর্ঘটনা ঝুঁকি নিরসনে পূর্ব সতর্কতা এবং জরুরী অবস্থায় করণীয় সমূহ নিয়ে অগ্নি সুরক্ষার জন্য বিএনবিসি’র সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। সেগুলো হলো:
- আগুনের বিস্তার প্রতিরোধের জন্য অগ্নি-প্রতিরোধী উপকরণ নিয়ে প্রতিটি ভবন নির্মাণ করতে হবে।
- ভবনগুলো আগুন সনাক্তকরণ এবং অ্যালার্ম সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত করতে হবে। আগুনের ধোঁয়া, তাপ ও আগুন শনাক্ত করতে এবং আগুনের ব্যাপারে বাসিন্দাদেরকে দ্রুত সতর্ক করতে এগুলো কার্যকর হতে হবে।
- অগ্নি-দুর্ঘটনার সময় দ্রুত বাইরে বের হওয়ার জন্য ভবনগুলোতে একাধিক উপায় থাকতে হবে। যেমন- সিঁড়ি, করিডোর এবং এক্সিট অগ্নিকাণ্ডের সময় বাসিন্দাদেরকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সহায়তা করে।
- আগুন নিয়ন্ত্রণ ও নেভানোর জন্য সহায়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করণে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি দিয়ে ভবনকে সজ্জিত করতে হবে।
- আগুন লাগার সময় ধোঁয়ার বিস্তার নিয়ন্ত্রণের জন্য ভবনে ধোঁয়া পরিচালন ব্যবস্থা যেমন স্মোক ভেন্ট, এক্সস্ট ফ্যান এবং প্রেসারাইজেশন সিস্টেম থাকতে হবে।
- অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে ভবনের মালিক এবং বাসিন্দাদের জন্য অবশ্যই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের ভবনে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
জাতীয় ফায়ার কোড
অগ্নি প্রতিরোধ এবং অগ্নি সুরক্ষায় জরুরি নির্দেশনামুলক এবং দক্ষতা-সম্পর্কিত বিধিমালার নাম ফায়ার কোড।
বাংলাদেশের বর্তমান অনুসৃত ফায়ার কোড হচ্ছে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ বিধিমালা-২০১৪, যেটি নির্ধারিত হয়েছে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন-২০০৩-এর আওতায়।
এই আইন অনুযায়ী একটি বহুতল বাণিজ্যিক কাঠামোগত নকশা বা বিন্যাসের জন্য ডিপার্টমেন্ট অফ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি)-এর মহাপরিচালকের অনুমোদন নিতে হয়। বিল্ডিং নিরাপত্তা যাচাই করে একটি অকুপেন্সি সার্টিফিকেট প্রদানের মাধ্যমে এই সম্মতি প্রদান করা হয়। এই ছাড়পত্র দেয়ার পূর্বে যে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হয় সেগুলো হচ্ছে-
- ভবনের সামনে সড়কের প্রশস্ততা
- নকশা অনুসারে ভবনের অগ্নি-নিরাপত্তা পরিকল্পনা
- ভবন থেকে বের হওয়ার বিকল্প পথ
- কাছাকাছি পানির সংস্থান
- গাড়ি ঢুকতে পারবে কি না
অতঃপর এই ছাড়পত্র দেখিয়ে রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) থেকে ভবনের নকশার অনুমোদন নিতে হয়। এরপর শুরু হয় ভবন নির্মাণের কাজ। নির্মাণকাজ আংশিক বা পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর ভবনটি ব্যবহারের জন্য পুনরায় রাজউকের সরণাপন্ন হতে হয়। এ সময় রাজউক অনুমিত পরিকল্পনা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করা হয়েছে কিনা তা তদারক করে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তবেই প্রদান করা হয় বসবাস বা ব্যবহারের সনদ।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের ভবনটিতে ‘ফায়ার এক্সিট’ নেই: প্রধানমন্ত্রী
৮ মাস আগে
বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ঢাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে পাঠানো শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘ঢাকার একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।’
ইয়োকো কামিকাওয়া বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তার বার্তায় নিহতদের জন্য প্রার্থনা এবং তাদের প্রিয়জনদের হারানোর জন্য শোকাহত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মোদির শোক
বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: ভোলার দুই যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া
৮ মাস আগে
বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মোদির শোক
ঢাকার বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে রাষ্ট্রপতির শোক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে রাজধানীর গ্রিন কোজি কটেজ শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। এ দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত সুস্থতাও কামনা করেছেন মোদি।
শুক্রবার (১ মার্চ) চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, এই দুঃসময়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম জনগণের জন্য তার শুভকামনা থাকবে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: ভোলার দুই যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া
৮ মাস আগে
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ৩ জন আটক
ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শুক্রবার ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- চা চুমুক রেস্টুরেন্টের মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং কচ্চি ভাই-এর ম্যানেজার মো. জিসান।
সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মাহিদ বলেন, ব্যবসায়ীদের শুধু মুনাফার কথা চিন্তা করলে হবে না, মানুষের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবতে হবে।
ভবন মালিকদের কোনো গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় যারাই দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪৬টির মধ্যে ৩৯টি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
তিনি সবাইকে 'সেফটি ফার্স্ট' নীতি মেনে কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ জানান।
তিনি জানান, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ২০ জন পুরুষ, ১৮ নারী ও ৮ শিশুসহ মোট ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। ৩৯ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুইজনের মরদেহ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে।
বাকিদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন ছিল বেইলি রোডের আগুনে নিহত বৃষ্টির
৮ মাস আগে
বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪৬টির মধ্যে ৩৯টি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
ঢাকার বেইলি রোডে বৃহস্পতিবার রাতে বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৩৯ জনের মরদেহ শনাক্ত করে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অজ্ঞাত মরদেহের মধ্যে ছয়টি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে এবং একটি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রাখা হয়েছে।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ এসব লাশ দাবি করেনি। শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হবে।
অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন ছিল বেইলি রোডের আগুনে নিহত বৃষ্টির
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বেইলি রোডের সাততলা গ্রিন কোজি কটেজ শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৬ নারী ও তিন শিশুসহ ৪৬ জন নিহত এবং ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জহিরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৫), ঢাকার বংশালের মোসলেম ছেলে নুরুল ইসলাম (৩২), ঢাকার প্রাণ নাথ রায়ের মেয়ে পপি রায় (৩৩), ঢাকার যাত্রাবাড়ীর শিপন পোদ্দারের সন্তান সম্পূর্ণা পোদ্দার (১১) ও সংকল্প সান (৮); ঢাকার পুরাতন পল্টনের মো. আলীর মেয়ে নাজিয়া আক্তার (৩১), একই এলাকার সায়েক আহমেদের ছেলে আরহান মোস্তাক আহমেদ (৬), মতিঝিলের কবির খানের মেয়ে মাইশা কবির মাহি (২১) ও মেহরা কবির দোলা (২৯)।
কুমিল্লার মুরাদনগরের জয়ন্ত কুমার পোদ্দারের মেয়ে সম্পা সাহা (৪৬), নারায়ণগঞ্জের আমজাদ হোসেনের ছেলে শান্ত হোসেন (২৪), ঢাকার কাকরাইলের কুরবান আলীর মেয়ে ফৌজিয়া আফরিন রিয়া (২২), একই এলাকার গোলাম মহিউদ্দিনের মেয়ে জান্নাতী তাজরিন নিকিতা (২৩)।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এ ছাড়া ঢাকার রমনার জউরা ইসলামের মেয়ে লুৎফুর নাহার করিম (৫০), মাদারীপুরের জাকির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জিহাদ (২২), যশোর সদরের কবির হাসানের ছেলে কামরুল ইসলাম (২০), ভোলার মাইনুল হকের ছেলে দিদারুল হক (২৩), মৌলভীবাজারের ফজলুল রহমানের ছেলে অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম (৬৫), টাঙ্গাইলের মোয়াজ্জেম মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (২৭), কুমিল্লা সদরের আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে নুসরাত জাহান শিমু (১৯), ঢাকার মগবাজারের সৈয়দ মোবারক কায়সার (৪৮) ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৪০), তাদের সন্তান সৈয়দা ফাতেমা-তুজ-জোহরা (১৬), সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর (১৩) ও সৈয়দ আবদুল্লাহ (৮), মুন্সিগঞ্জ সদরের আওলাদ হোসেনের মেয়ে জারিন তাসমিন প্রয়তি (২০), ঢাকার গুলশানের ইসমাইল গাজীর ছেলে জুয়েল (৩০), উত্তম কুমার রায়ের স্ত্রী রুবি রায় (৪৮) ও মেয়ে প্রিয়াঙ্কা রায় (১৮), ঢাকার মালিবাগের বেসরকারি চাকরিজীবী ঝালকাঠি জেলার বাসিন্দা তুষার হাওলাদার (২৩), পাবনার তালেব প্রামাণিকের ছেলে সাগর হোসেন (২৪), পিরোজপুরের নুরুল আলমের মেয়ে তানজিলা নওরিন (৩৫), শেরপুরের ফজর আলীর ছেলে শিপন (২১), ঢাকার কাকরাইলের ফোরকানের মেয়ে আলিশা (১৩)।
বরিশালের রিয়াজুল আমিনের ছেলে বুয়েট শিক্ষার্থী নাহিয়ান আমিন (১৯), নাসিরুল ইসলাম শামীমের মেয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী লামিশা ইসলাম মাহি (২০), বরগুনার নান্টুর ছেলে মো নাঈম (১৮), ভোলা সদরের সিরাজের ছেলে মো. নয়ন (১৭) এবং নোয়াখালীর সেনবাগের আবুল খায়েরের ছেলে আসিফ (২৫)।
আরও পড়ুন: ‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও’-মৃত্যুর আগে লামিসা
৮ মাস আগে
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মো. নুরুল ইসলাম নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নিহত শিক্ষার্থীর মো. নুরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থী। বাবুবাজারের বাসিন্দা মো. মুসলিম ও রেশমা বেগমের ছেলে তিনি। তিনি সিদ্ধেশ্বরী কলেজ থেকে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
এ খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবরা ঘটনাস্থলে এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এরপর ঢাকা মেডিকেলে দগ্ধ লাশের পকেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড পাওয়া যায়। তার বন্ধুরা হাসপাতালে এসে লাশটি শনাক্ত করে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
এছাড়া বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন তারা।
আরও পড়ুন: ‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও’-মৃত্যুর আগে লামিসা
নওগাঁয় আগুনে পুড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
৮ মাস আগে
বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন ছিল বেইলি রোডের আগুনে নিহত বৃষ্টির
সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিসিএস পরীক্ষার কোচিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি। স্বপ্ন পূরণ করতে দিল না ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। বৃষ্টির নিথর দেহ এখন পড়ে রয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিমঘরে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বেইলি রোডে ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবনে আগুনে প্রাণ হারানো ৪৬ জনের একজন সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মায়ের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়েছে বৃষ্টির। আর রাতেই বৃষ্টির মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। শোকে পাগলপারা মা বিউটি বেগম।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
শুক্রবার দুপুরে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম পশ্চিম পাড়ায় বৃষ্টির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির সঙ্গে কথা বলবেন বলে হন্তদন্ত হয়ে নিজের ফোন খুঁজছেন বিউটি বেগম। কখনো ফোনের জন্য চিৎকার করে সারা বাড়ি মাতম করে ফিরছেন। ফোন পেলেই মেয়ে বৃষ্টির কাছে ঢাকায় যাবেন। ছোট মেয়ে বর্ষা মাকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
৮ মাস আগে