রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষ থেকে করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কোন কোন আদালতে লোহার খাঁচা রয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট
আদালতের রুলে বহুতল ভবন, কারখানা ও স্থাপনায় অগ্নিনিরোধক কক্ষ ও সিঁড়ি স্থাপনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং অগ্নিনির্বাপক প্রতিরোধ আইন ও বিল্ডিং কোড আইনে কেন এবিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া হাইকোর্ট তার আদেশে ২০২৩-২৪ বর্ষে বহুতল ভবনে কতটি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে এবং কী পরিমাণ প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে জানাতে রাজউক ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
এর আগে গত রবিবার জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া তানজিনা নওরিন এসার বড় ভাই ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজমুস সাকিব তুষ্টি রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ‘গ্রিন কেজি কটেজ’ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে। গতকাল তাদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১৪ জনের মধ্যে বাসায় ফিরেছেন ১১ জন। এখনো ভর্তি আছেন তিনজন। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও দুজন।
আরও পড়ুন: বিনোদনে হাতি ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট