নুরুল ইসলাম সুজন
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ৩ দিনের রিমান্ডে
ইমরান নামে এক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাত দিনের রিমান্ডে মোজাম্মেল বাবু-শাহরিয়ার কবির
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম মিয়া আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ৫ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি করে। এতে শিক্ষার্থী ইমরান হাসান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর নিহত ইমরানের মা কোহিনুর আক্তার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত ৭ দিনের রিমান্ডে
১ মাস আগে
বিএনপির ভোট চাওয়ার মুখ নেই: রেলমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বিএনপি ভোটে আসতে চায় না। কারণ তারা জানে জনগণ তাদের ভোট দেবে না।
তিনি বলেন, তারা যেসব কাজ করেছে তাতে ভোট চাওয়ার মতো মুখ নেই। এখন আন্দোলন করছে করুক, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে আক্রমণ, ভাঙচুর, পুলিশ হত্যা কেন? পুলিশ তো দায়িত্ব পালন করছে নিরাপত্তার জন্য।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি সীমান্তে আইকনিক স্টেশন ভবন, প্লাটফরম, ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে বহুতল ভবনে আগুন
তিনি বলেন, ‘আন্দোলন আমরাও করেছি, আমরা মার খেয়েছি, আমরা কোনোদিন পুলিশকে মারিনি। আমাদের লোকজন জীবন দিয়েছে, জেলখানায় গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কতবার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কই খালেদা জিয়াকে তো একবারও হত্যা চেষ্টা করা হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতাদের জেলখানার মধ্যেও হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির কোনো নেতা তো এইভাবে মারা যায়নি।’
উন্নয়নের কথায় তিনি বলেন, আজকে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। চিলাহাটি থেকে ট্রেন সকাল-বিকাল ঢাকা যাচ্ছে, এ পথে খুলনা, রাজশাহী ট্রেন চলছে। আন্তদেশীয় ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেস এনজিপি (ভারত) থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলছে। এ এলাকার মানুষের চাহিদা ছিল মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে ভারত যাতায়াতের। যেটা কাঠামোর কারণে এতদিন সম্ভব হয়ে উঠেনি। এখন স্টেশন ভবন নির্মাণের ফলে সেটি পূরণ হবে।
মন্ত্রী বলেন, আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এখানে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চালু হবে। এরপর চিলাহাটিতে ট্রেনে উঠে ভারতের এনজেপি, জলপাইগুড়ি যাতায়াত করা যাবে। আগামী ১১ তারিখ চট্টগ্রামের কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল উদ্বোধন হবে।
ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে উত্তরাঞ্চলের নীলফামারীর চিলাহাটি সীমান্ত থেকে ক্সবাজার পর্যন্ত টেন চলবে। চিলাহাটিতে স্থলবন্দর হবে এবং খুলনার মোংলা বন্দর থেকে সরাসরি শুধু ভারত নয়, নেপাল-ভুটান পর্যন্ত মালামাল আনা নেওয়া করা যাবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন রাজনীতি করেছিলেন গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ছিল যে, ভিক্ষুকের জাতির কোনো সন্মান নেই। আমরা আত্মনীর্ভরশীল, মর্যাদাকর একটি দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন, ৪০টি ঘর পুড়ে ছাই
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর
১১ মাস আগে
ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নির্বাচন এলে ধর্মকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও একই কাজ করা হয়েছে। এসব কাজে বিএনপি ও জামায়াত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকে। তারা নানা ইস্যু তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকায় সালানা জলসা মাঠে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ঘে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সহায়তা দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চালুর দিনই পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে: রেলপথমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, হামলাকারীরা ট্রাফিক পুলিশের অফিসে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে ক্ষতিসাধন করে। ডিসি এবং এসপি অফিসে হামলার চেষ্টা করে। প্রশাসন তৎপর ছিল বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।
এ সময় হামলার ঘটনায় নিরীহ মানুষদের যেন হয়রানি করা না হয় সেবিয়ে পুলিশকে খেয়াল রাখতে বলেন মন্ত্রী।
এছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে প্রশাসনকে সহায়তা করতে গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বান জানান রেলপথমন্ত্রী।
মানবিক সহায়তা অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য দেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জামিয়া আহমদিয়ার অধ্যক্ষ মোবাশ্বের উর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, কৃষক লীগ নেতা আব্দুল লতিফ তারিন প্রমুখ।
এসময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী পঞ্চগড় সদর ও বোদা উপজেলার ২০৬ জনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার এক কোটি টাকার চেক বিতরণ করেন।
এরমধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ১০৮ জন এবং বোদা উপজেলায় ৯৮ জন।
বিতরণকৃত টাকার মধ্যে সবোর্চ্চ পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৩৬৬ এবং সর্বনিম্ন চার হাজার ৮০০ টাকা ক্ষয়ক্ষতির আনুপাতিক হারে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: আধুনিক রেলওয়ে ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী: কুড়িগ্রামে রেলপথমন্ত্রী
চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
১ বছর আগে
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, মহামারি করোনার রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক মহা সংকট সৃষ্টি করেছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে।
তিনি বলেন, কোনো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৈশ্বিক সংকট না ঘটলে নির্ধারিত সময়ের আগেও নির্মাণ শেষ হতে পারে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে পশ্চিম পাড়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চিলাহাটি-মঙ্গলা রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে জুনে: রেলমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের বৃহত্তম এই রেলওয়ে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলে উত্তরবঙ্গসহ দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে রেল যোগাযোগের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে।
সেইসঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বিস্তারে সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেললাইনসহ আরও যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেসব প্রকল্পের কাজও সঠিক সময়ে শেষ করা হবে বলে দাবি করেন তিনি।
মন্ত্রীর এ পরিদর্শনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সামাদ তালুকদার, সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্যসহ বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন এ বছরই চালু হবে: রেলমন্ত্রী
সব যানবাহনে ভাড়া বাড়লেও ট্রেনের ভাড়া বাড়েনি: রেলমন্ত্রী
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন এ বছরই চালু হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের কাজ পুরোদমে চলছে। চলতি বছরে ডিসেম্বরের মধ্যেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে রেল যোগাযোগ চালু হবে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার জন্য তারা কাজ করছেন। ‘আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব। আর কোনো কারণে জুনে কাজ শেষ না হলে আরও এক থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে। তারপরও আমরা এ বছরের মধ্যেই ট্রেনে করে কক্সবাজার যেতে পারব।'
মন্ত্রী বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার প্রকল্পের ৮০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকি ২০ শতাংশ এই সময়ের মধ্যে শেষ হবে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নতুন রেললাইনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে যাত্রা 'আনন্দদায়ক ও আরামদায়ক' হবে।
এছাড়া এতে কক্সবাজারের পর্যটনসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে সহজে কক্সবাজারে আসবেন পর্যটকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। তেমনি সহজভাবে দেশের সব প্রান্তে যাবেন কক্সবাজারবাসীও। সহজ হবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আনা-নেয়া। এতে বাড়বে কক্সবাজারে পর্যটক স্রোত। 'ভ্রমণকারীরা খুব সহজেই প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ পাবেন,' বলেও জানান বলেন।
প্রকল্প অনুযায়ী সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাঁও, রামু ও কক্সবাজার সদরসহ ১০০ কিলোমিটার রেলপথে মোট আটটি স্টেশন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সব যানবাহনে ভাড়া বাড়লেও ট্রেনের ভাড়া বাড়েনি: রেলমন্ত্রী
পর্যবেক্ষকদের মতে, রেলপথ সচল হলে সবদিক দিয়ে ঘুরে যাবে কক্সবাজার অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির চাকা।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার ১০০ কিলোমিটার রেলপথের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প থেকে জানা যায়, ১০০ কিলোমিটার রেলপথে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদরসহ স্টেশন থাকছে আটটি। এজন্য সাঙ্গু, মাতামুহুরি ও বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে তিনটি বড় সেতু।
এছাড়া রেলপথে তৈরি হয়েছে ৪৩টি ছোট সেতু, ২০১টি কালভার্ট ও ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং। সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া এলাকায় তৈরি হচ্ছে একটি ফ্লাইওভার, রামু ও কক্সবাজার এলাকায় দুটি হাইওয়ে ক্রসিং। হাতি ও অন্য বন্যপ্রাণীর চলাচলে ৫০ মিটারের একটি ওভারপাস ও তিনটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ১০০ কিলোমিটার রেললাইনে এরইমধ্যে ৫০ কিলোমিটারের বেশি এখন দৃশ্যমান। বেশির ভাগ ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ শেষ হয়েছে। যেগুলো বাকি আছে সেগুলো আগামী কয়েক মাসেই শেষ হবে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ আছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। তবে, আমরা চেষ্টা করছি ২০২৩ সালের জুন-অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ করতে। সেইসঙ্গে রেলস্টেশনগুলোর নির্মাণকাজও চলমান আছে।
আরও পড়ুন: চিলাহাটি-মঙ্গলা রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে জুনে: রেলমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, কক্সবাজার সদর থেকে সাত কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। স্টেশনটিকে সৈকতের ঝিনুকের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। স্টেশন ভবনটির আয়তন এক লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলা ভবনটির বিভিন্ন অংশে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলমান আছে। নির্মাণাধীন আইকনিক ভবন ঘেঁষে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ মিটার প্রস্থের তিনটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হচ্ছে। এর পাশেই রেলওয়ের আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে আটটি ভবনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ক্যান্টিন, লকার, গাড়ি পার্কিং ইত্যাদির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। পর্যটকরা স্টেশনের লকারে লাগেজ রেখে সারাদিন সমুদ্রসৈকতে বা দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে পারবেন। এই স্টেশন দিয়ে দিনে ৪৬ হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
১ বছর আগে
সব যানবাহনে ভাড়া বাড়লেও ট্রেনের ভাড়া বাড়েনি: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সাধারণ মানুষের আরামদায়ক চলাচলের কথা চিন্তা করে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হয়নি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটা সেবামূলক। তাই সব যানবাহনে ভাড়া বাড়লেও একমাত্র ট্রেনের ভাড়া বাড়েনি।
আরও পড়ুন: দুর্দিনে সহায়তার জন্য আপনাদের পাশে সরকার রয়েছে: রেলমন্ত্রী
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী লেভেলক্রসিং গেট টি২ এবং টি১ পর্যন্ত ডাবল লাইন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেন চলাচল বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে পদ্মা লিংক প্রজেক্টের জন্য ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমার মনে হয় এক দুই মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন আমরা ট্রেন খুলে দিতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, আজকের পরিদর্শনের মূল বিষয় হচ্ছে সমন্বয়ের কিছু বিষয়। বিশেষ করে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কিছু জায়গা ফার্স্টগেট থেকে স্টেশন পর্যন্ত। ডাবল লাইন প্রকল্পে কিছু জায়গা শর্ট পড়ছিল। এছাড়া সড়কের কিছু অংশ যদি রেললাইনের দাগে আসে তাহলে এ অসুবিধাটা আর হয় না। এগুলো দেখে বাস্তবে এমন ধারণা ছিল যে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেটা দেখতেই এখানে আসা।
মন্ত্রী বলেন, থিওরিটিকালি এ কাজটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। আমার মনে হয় সেটা হবে না। এ রেললাইন নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্যেই হচ্ছে। এ ডাবল লাইন হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০টি ট্রেন চলতে পারবে। আমি মেয়রকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি এসেছেন এখানে। আমরাও মাঠের কর্মী। জনগণের সমস্যা সমাধানে আমরা এখানে এসেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও জেলা-মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
জুনের মধ্যে কক্সবাজারে রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
১ বছর আগে
জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে নির্মাণাধীন আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত নতুন রেললাইন আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে চালু হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের জন্য আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন সংযোগটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ লাইনটি চালু হলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
পাশাপাশি মানুষ সহজে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবে।
আরও পড়ুন: আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় রেলমন্ত্রীর অসন্তোষ
রবিবার সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিদর্শনের সময় আগরতলা সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ কাজই সম্পন্ন হয়েছে। এখন যতটুকু কাজ আছে, আশা করা যায় বাকি কাজ জুনের আগেই শেষ হবে।
আখাউড়া-লাকসাম প্রকল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী জানান, এ প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক।
এছাড়া ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ১৭ কিলোমিটার রেল লাইন যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পটি ভারতীয় অনুদানের নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৭ শতাংশ।
আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশের দৈর্ঘ্য ৬.৮ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: রেলমন্ত্রীর আশ্বাসে রানিং স্টাফদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
স্কুল ছাত্রীদের মধ্যে ৭০০ বাইসাইকেল বিতরণ করলেন রেলমন্ত্রী
১ বছর আগে
যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সংসদে বলেছেন, ট্রেনে পণ্য ও যাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর অংশ হিসেবে রেলওয়েতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তথ্য সংগ্রহের জন্য রেলওয়ে, ট্রেন ও রেলস্টেশনের বিভিন্ন স্পটে সাদা পোশাকের কর্মকর্তা ও বাহিনী মোতায়েন করে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, রেলওয়েতে সহিংসতা, চাঁদাবাজি ও নাশকতা প্রতিরোধের পাশাপাশি রেল যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেলওয়ে পুলিশকে সতর্ক রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ট্রেনে চুরি, ছিনতাই এবং বিভিন্ন অপরাধী চক্র যেমন (অজ্ঞান পার্টি এবং মলোম পার্টি) কার্যকলাপ রোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, চলমান ট্রেনে দুর্বৃত্তদের পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করার জন্য বীট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিং মিটিং এর মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
নুরুল ইসলাম সুজন রেলওয়ে এবং এর যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কয়েকটি পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন,‘রেলওয়েতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপগুলো নেয়া হচ্ছে, যাতে মানুষ আরামে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারে।’
এদিকে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সংসদে বলেন, দেশে বস্ত্রের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৭ হাজার মিলিয়ন মিটার।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদ এর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় চাহিদা পূরণে শতভাগ কাপড় এখন দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। কিন্তু তৈরি পোশাক রপ্তানি ও উচ্চমূল্যের পণ্য উৎপাদনের জন্য বস্ত্র আমদানির প্রয়োজন এখনো রয়েছে।
২ বছর আগে
রেলের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই: মন্ত্রী
রেলওয়ের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, ‘জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পরও আমরা রেলের ভাড়া বাড়ানোর কথা এখনই ভাবছি না। ইতোমধ্যে অনেক সংস্থা জ্বালানির মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করেছে। তারপরও আমরা এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না।’
মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেল জংশন পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল রেল লাইন চালু হচ্ছে।
এর আগে তিনি টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল রেলের নির্মাণ কাজের অগ্রগতির কাজ পরিদর্শন করেন।
সরকারের রেললাইন সম্প্রসারণে কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার ফোর রেললাইন ও টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার ডাবল লাইনের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রেল বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসান, প্রকল্পের পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক নাসরিন পারভিনসহ রেল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: রেলের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে ৭ দিন সময় পেল রেলওয়ে
রেলের অব্যবস্থাপনা: চলামান আন্দোলন স্থগিত করলেন রনি
২ বছর আগে
টিটিই বরখাস্তের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, যাত্রীরা আমার আত্মীয় নয়: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন দাবি করেছেন, যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করায় টিটিই শফিককে বরখাস্ত করার সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। তার নাম ভাঙিয়ে কেউ সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করেছে।
শনিবার ইউএনবিকে মন্ত্রী বলেন, ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। রেল কর্মকর্তাদের ওই টিটিই’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। বিনা টিকিটের যাত্রীরা আমার আত্মীয় নয়।
তিনি বলেন, ঘটনাটি গতকাল রাতে শুনেছি। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, ওই টিটিই বিনা টিকিটের যাত্রীদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করেছেন। যাত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে যদি শোকজের যথাযথ জাবাব দিতে পারে এবং অপরাধ প্রমানিত না হয় তাহলে তাকে (ঐ টিটিই কে) পুরুস্কৃত করা হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, মাঝেমধ্যেই টিটিই’রা বিভিন্নভাবে যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন। এমন অভিযোগ আমরা প্রায়ই পাচ্ছি। তবে লোকবল সংকটের কারণে আমরা এসবের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবে একেবারেই ছাড় দিলে রেলের দুর্নাম হয়ে যায়। টিটিইদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়।
তিনি বলেন, বিনা টিকিটের যাত্রী যদি মন্ত্রীর আত্মীয়ও হয়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। একইভাবে কোনও রেল কর্মকর্তা যদি যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, তাকেও শাস্তি পেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রেলের দাপ্তরিক কার্যক্রমের সঙ্গে মন্ত্রীর কোনও সংযোগ নেই। ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও আত্মীয় জড়িত নন। ওদের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: ঈদকে সামনে রেখে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় বিশেষ কর্মযজ্ঞ
রেলওয়ে এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে