রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সংসদে বলেছেন, ট্রেনে পণ্য ও যাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর অংশ হিসেবে রেলওয়েতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তথ্য সংগ্রহের জন্য রেলওয়ে, ট্রেন ও রেলস্টেশনের বিভিন্ন স্পটে সাদা পোশাকের কর্মকর্তা ও বাহিনী মোতায়েন করে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, রেলওয়েতে সহিংসতা, চাঁদাবাজি ও নাশকতা প্রতিরোধের পাশাপাশি রেল যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেলওয়ে পুলিশকে সতর্ক রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ট্রেনে চুরি, ছিনতাই এবং বিভিন্ন অপরাধী চক্র যেমন (অজ্ঞান পার্টি এবং মলোম পার্টি) কার্যকলাপ রোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, চলমান ট্রেনে দুর্বৃত্তদের পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করার জন্য বীট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিং মিটিং এর মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
নুরুল ইসলাম সুজন রেলওয়ে এবং এর যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কয়েকটি পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন,‘রেলওয়েতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপগুলো নেয়া হচ্ছে, যাতে মানুষ আরামে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারে।’
এদিকে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সংসদে বলেন, দেশে বস্ত্রের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৭ হাজার মিলিয়ন মিটার।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদ এর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় চাহিদা পূরণে শতভাগ কাপড় এখন দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। কিন্তু তৈরি পোশাক রপ্তানি ও উচ্চমূল্যের পণ্য উৎপাদনের জন্য বস্ত্র আমদানির প্রয়োজন এখনো রয়েছে।