পাস
বাজেট এখনও পাস হয়নি, অনেক কিছু সংশোধন হতে পারে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, জাতীয় সংসদে প্রস্তাব পাসের আগে সরকার বাজেট নিয়ে সব ধরনের বাস্তবসম্মত সমালোচনা ও পরামর্শ বিবেচনা করছে।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশের পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া আসছে।
তিনি উল্লেখ করেন, 'আমরা সব মতামত বিবেচনায় নিচ্ছি। বাজেটে যেগুলো বাস্তবসম্মত ও সমাধানযোগ্য সেগুলো পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ বাজেট এখনো পাস হয়নি।’
বৃহস্পতিবার(২০ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে 'বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি: প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাজেট পেশের পর বিভিন্ন মহল বিবৃতি দিয়েছে এবং মন্তব্য করেছে। তিনি বলেন, 'আমি তাদের বলব, আমাদের অর্থনীতি ও বাজেট নিয়ে বিশ্বব্যাংক কী বলছে তা দেখুন।’
তিনি বলেন, 'বাজেট নিয়ে আরও কিছু বলার আছে, বিশ্বব্যাংক বলেছে এটা ভালো। আমার টাকা দরকার, বিশ্বব্যাংকের কথা শুনতে হবে। তা না হলে আপনারা (সমালোচকরা) আমাকে টাকা দিন।’
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫টি প্রস্তাবের সবগুলোই উপেক্ষা করায় ক্ষুব্ধ বাজুস নেতারা
অর্থমন্ত্রী সমালোচকদের উদ্দেশে বলেন, কেউ কেউ বলেন সরকার দেউলিয়া, কিন্তু দেউলিয়া মানে কী? ‘আমরা দেউলিয়া নই। বিশ্বব্যাংক কিছু বোঝে না, আপনারা সব বোঝেন?'
তিনি আরও বলেন, ‘এটা দেখুন এবং এটি বোঝার চেষ্টা করুন। এই বাজেট জনবান্ধব বাজেট। কোনো বিষয়ে সমস্যা হলে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, কৃষি বিপণন বিশেষজ্ঞ ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সাজ্জাদুল হাসান এমপি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাজেটে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের দিক-নির্দেশনা নেই: নাগরিক প্ল্যাটফর্ম
৬ মাস আগে
সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই (সংসদে) উঠবে, অবশ্যই পাস হবে।’
আরও পড়ুন: দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, “আইএলও’র গভর্নিং বোর্ডের মিটিং আগামী মার্চে হবে। আমাদের যে অগ্রগতি ও এই শ্রম আইনের ব্যাপারে কী সব কাজ করছি তার একটা ব্রিফিংয়ের জন্য আজকের মিটিংটা ছিল।”
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নিয়েছেন। মন্ত্রণালয়কে তিনি কতটা গুরুত্ব সহকারে দেখেন তারই প্রতিফলন এটা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে ব্রিফ করব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করার পরই সবকিছুর আলোচনা আপনাদের সঙ্গে করতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আমি আপনাদের কোনো তথ্য দিতে পারব না।’
আরও পড়ুন: দেশে কোনো রকমের কূটনৈতিক সমস্যার আশঙ্কা নেই: আইনমন্ত্রী
শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়েও আজকে আমরা আলোচনা করেছি। এখানেও যে সিদ্ধান্ত সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী একটা পরিবর্তন এনেছি, আমি খুব শিগগির প্রধানমন্ত্রীকে এটা নিয়ে ব্রিফ করব।’
স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করা আপনারা যৌক্তিক মনে করছেন কি না- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘শ্রমিকরা যেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমার মনে হয় আমাদের দেশের পরিবেশের জন্য সেটাই গ্রহণ করা সমীচীন হবে।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
১০ মাস আগে
পাসের হারে সারা দেশে এগিয়ে বরিশাল
২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪। এ ছাড়া সাধারণ ৯ শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯০।
সাধারণ ৯ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডের শতকরা ৮০ দশমিক ৬৫ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রীরা এগিয়ে
রবিবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়। পরে দুপুর ২টার পর রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এদিকে বরিশালের পরেই পাসের হারে রয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪।
ক্রমান্বয়ে রাজশাহী বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এ ছাড়া সিলেট বোর্ডে ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং যশোর শিক্ষা বোর্ডে ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
এই ৯ সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ এবং মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৭৫।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমেছে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৩: জিপিএ-৫ এর সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে
১ বছর আগে
বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড বিল-২০২৩ পাস
মানসম্মত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড বিল-২০২৩ সংসদে পাস হয়েছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
খসড়া আইন অনুযায়ী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বোর্ড চেয়ারম্যান এবং ১৯ সদস্যের গভর্নিং বডি বোর্ড পরিচালনা করবে।
বোর্ডের প্রধান কাজ হবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গৃহপালিত পশু পালন, চিকিৎসা সেবা এবং মানসম্মত দুধ উৎপাদন ও বিপণনের বিষয়ে পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া।
বিলের উদ্দেশ্য অনুযায়ী শিশুসহ সব মানুষের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে দুধের বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: বর্তমান সংসদ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান চালু করতে আ. লীগের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
ছোট ও মাঝারি দুগ্ধ খামার ছাড়াও ইতোমধ্যে দেশে বেশ কয়েকটি বড় দুগ্ধ কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে গবাদি পশু পালনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং মানসম্মত দুধ উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড নামে একটি পৃথক ও বিশেষায়িত কর্তৃপক্ষ সৃষ্টি হলে খামার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য হিসেবে দুগ্ধজাত পণ্যের বহুমুখীকরণর সুযোগ নিশ্চিত হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে আনসার ব্যাটালিয়ন বিল, ২০২৩ উত্থাপন
১ বছর আগে
ভূমি উন্নয়ন কর বিল ২০২৩ সংসদে পাস
জাতীয় সংসদে ভূমি-সম্পর্কিত করগুলোকে সহজ করার লক্ষ্যে ভূমি উন্নয়ন কর বিল ২০২৩ পাস করা হয়েছে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী- মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তি বা পরিবারের ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন: সংসদে বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধন) বিল, ২০২৩ উত্থাপন
তবে জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার বেশি হলে সমগ্র কৃষি জমির ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে। এটি ১৯৭৬ সালের ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ বাতিল করে।
তবে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে এ আইন প্রযোজ্য হবে না।
এতে বলা হয়েছে, আখ ও লবণ চাষের জমি এবং কৃষকদের পুকুরও (বাণিজ্যিক মৎস্য চাষ বাদে) ছাড়ের আওতায় থাকবে।
এতে বলা হয়েছে, কৃষি জমির ক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকা বা পৌর এলাকা নির্বিশেষে সব ক্ষেত্রে অভিন্ন ভূমি উন্নয়ন করের হার ও শর্ত প্রযোজ্য হবে।
অকৃষি জমির উপর ভূমি উন্নয়ন করের হার নির্ধারণের জন্য দেশের সব জমিকে ভূমির গুণাগুণ ও ব্যবহার অনুযায়ী একাধিক শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।
সরকার যেকোনো ব্যক্তি বা কোনো শ্রেণির ব্যক্তি বা সংস্থার উন্নয়ন কর মওকুফ করতে পারে। বিল অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর ইলেকট্রনিকভাবে আদায় করা যাবে।
সারাদেশে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু না হওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা ছাড়াও যেকোনো ব্যাংকের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা যাবে।
কোনো ব্যক্তি শহরে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করলে প্রথম থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত বার্ষিক ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ জরিমানা হবে।
সার্টিফিকেট ইস্যু করে তৃতীয় বছর শেষে বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে।
বিলে বলা হয়েছে- ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রতি বছর জুলাই মাসের মধ্যে এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং ভূমি ব্যবহারের শর্ত বিবেচনা করে নির্ধারিত ফরমে সব মৌজার ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা পরীক্ষা করে অনুমোদন করবেন।
এতে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী অফিসার, উত্তরাধিকারী, কালেক্টর ইত্যাদির সংজ্ঞা আধুনিকীকরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে ওষুধ ও কসমেটিকস বিল-২০২৩ কণ্ঠভোটে পাস
বিএসএমএমইউ ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ ৪ বছর বাড়াতে সংসদে বিল উত্থাপন
১ বছর আগে
সংসদে ওষুধ ও কসমেটিকস বিল-২০২৩ কণ্ঠভোটে পাস
বিভিন্ন অপরাধের জন্য ২০ হাজার টাকা থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে সংসদে ‘ওষুধ ও কসমেটিকস বিল, ২০২৩’- পাস হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
প্রস্তাবিত আইনে প্রসাধনী সামগ্রীকে এর এখতিয়ারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি প্রাথমিকভাবে ওষুধের আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যেখানে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
বিলে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ওষুধ তৈরি বা নকল ওষুধ তৈরির জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে অ্যান্টিবায়োটিক অপব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করার এবং এই জাতীয় ওষুধের অপব্যবহার রোধে নিবন্ধিত ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির জন্য ২০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিদ্যমান আইনে এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের জেল এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা।
নকল ও ভেজাল প্রসাধনী দেশের বাজারে সয়লাব হয়ে পড়ে জনস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রসাধনী উৎপাদন, আমদানি, বিপণন ও বিক্রয়কে ওষুধ আইনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
কসমেটিক পণ্য উৎপাদন, আমদানি, সংরক্ষণ এবং বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোকে সরকারের কাছ থেকে নতুন লাইসেন্স নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ ৪ বছর বাড়াতে সংসদে বিল উত্থাপন
স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তর এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর যে কোনো ওষুধের ক্ষেত্রে প্রসাধনী উৎপাদন, বিপণন, আমদানি ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ করবে।
লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ আইনের অধীনে প্রণীত বিধিতে মনোনীত হবে।
বিলে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নকল ও ভেজাল ওষুধ ও প্রসাধনী উৎপাদন, বিক্রয় ও বিপণনসহ অন্তত ৩০টি অপরাধ সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
প্রসাধনী আমদানি, উৎপাদন এবং বিপণন — ব্যক্তিগত যত্ন এবং ত্বকের যত্নের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক যৌগের মিশ্রণ- এখন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, মাদক আইনে মামলা নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি জেলা শহরে আলাদা আদালত থাকবে।
বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম ও শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, প্রসাধনী এবং একই ধরনের আইটেম ভিন্ন ভিন্ন পণ্য। কিন্তু ওষুধ প্রশাসনের অধীনে কেন দেওয়া হচ্ছে।
জাপা সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না।
তিনি বলেন, ‘২৩৬টি ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব বিষয়ে কিছুই করছে না। এরপরও কেন তাদের এই দায়িত্ব দেওয়া হবে তা পরিষ্কার নয়।’
গণফোরাম সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, এই বিলের সঙ্গে স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত।
তিনি আরও বলেন, ‘এর মধ্যে কয়েকটি ধারা জনস্বার্থের পরিপন্থী হতে পারে। তাই কোনো পীর-দরবেশের স্বার্থে তাড়াহুড়ো করে বিল পাস করা ঠিক হবে না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রসাধনী ব্যবসায়ীদের ক্ষতি সরকারের উদ্দেশ্য নয়।
তিনি বলেন, ‘সরকারের উদ্দেশ্য হল জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং ভেজাল ওষুধ ও প্রসাধনী প্রতিরোধ করা।’
আরও পড়ুন: সংসদে বাণিজ্য সংগঠন (সংশোধন) বিল, ২০২৩ উত্থাপন
মামলাজট কমাতে সংসদে অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (সংশোধন) বিল পাস
১ বছর আগে
৪৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছে ৯৮৪১ জন
৪৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) লিখিত পরীক্ষায় মোট ৯ হাজার ৮৪১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
রবিবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ফলাফল প্রকাশ করেছে।
৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রায় ১৫ হাজার ২২৯ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। লিখিত পরীক্ষা ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
৪৩তম বিসিএস থেকে ১ হাজার ৮১৪ জন ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এর মধ্যে প্রশাসনে ৩০০, পুলিশে ১০০, ফরেন সার্ভিসে ২৫, শিক্ষায় ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সেশনে ১৯, কাস্টমস ১৪ ও সমবায় ক্যাডারে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
৪৪তম বিসিএসের আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজের লিখিত পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি
সুপারিশপ্রাপ্ত পাঁচজনকে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ
১ বছর আগে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৫০ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি
এবারের এইসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থী পাস করেনি।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফলে এ তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ আগামীকাল
তিনি বলেন, ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ৯ হাজার ১৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এরমধ্যে এক হাজার ৩৩০টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করলেও ৫০টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে সবচেয়ে বেশি ফেল করা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৩টি।
এছাড়া রাজশাহীতে ৯টি, ঢাকায় আটটি, যশোরে ছয়টি, কুমিল্লায় পাঁচটি এবং ময়মনসিংহে তিনটি প্রতিষ্ঠানে সবাই ফেল করেছে।
এদিকে চারটি মাদরাসা ও দুইটি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০২২: ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা
এইচএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৫.৯৫ শতাংশ
১ বছর আগে
জাতীয় সংসদে বিইআরসি আইনের সংশোধনী পাস
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২২ পাস করেছে জাতীয় সংসদ। এই আইনের দ্বারা বিশেষ ক্ষেত্রে গণশুনানি ছাড়াই সরকারকে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার বিরোধী দলের বিরোধীতার মধ্যেই আইনটির সংশোধনী পাস করে জাতীয় সংসদ।
জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাব ঠিক করার পরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে বিলটি উত্থাপন করে। এরপর কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
আরও পড়ুন: হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) বিল জাতীয় সংসদে
তবে বিলটি পাসের প্রতিবাদে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।
২০০৩ আইনের সংশোধনের ফলে, গ্যাস ও বিদ্যুতের নতুন মূল্য নির্ধারণে মন্ত্রণালয়কে আর বিইআরসি’র মাধ্যমে গণশুনানির প্রয়োজন হবে না।
এর আগে ২৮ নভেম্বর মন্ত্রিসভা কমিশনের গণশুনানি এবং সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে সরকারকে বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজস্বভাবে জ্বালানি শুল্ক নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়ার জন্য বিইআরসি আইন-২০০৩ -এর একটি সংশোধনী অনুমোদন করে।
বিলে বলা হয়েছে, 'এই আইনের অন্য কোনো বিধান থাকা সত্ত্বেও, জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে শুল্ক নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সামঞ্জস্য করতে পারে। কৃষি, শিল্প, সার, বাণিজ্য ও গার্হস্থ্য কাজে জনগণের চাহিদার আলোকে যাতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ এবং সঞ্চালন নিশ্চিত করা যায়।'
বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, পানির ট্যাংক ফুটো থাকলে কখনও তা ভরাট করা যায় না। যতদিন ভাড়া বিদ্যুৎ থাকবে এবং কুইক রেন্টাল থাকবে ততদিন লোকসান বাড়তে থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'ভর্তুকি কি? মন্ত্রী ব্যাখ্যা করবেন। ভর্তুকির নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এই টাকা দিয়ে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিল পরিশোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদ এখন ‘একদলীয় ক্লাব’: ফখরুল
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির বলেন, সরকার গত ১৪ বছরে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।
এ আইনকে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতের সংকটের কারণ লুটপাট ও দুর্নীতি।
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক মন্দার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সামনে রমজান মাস। এর আগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।
তিনি বলেন, এই বিল জনস্বার্থবিরোধী।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বলেন, ঢাকায় দিনের বেলা গ্যাস থাকে না।
তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে তিন-চার ঘণ্টা গ্যাস নেই। গ্রামের অবস্থা আরও খারাপ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়াই ভালো।’
আরও পড়ুন: দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ১৭ লাখ: জাতীয় সংসদে প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঢাবির ‘ক’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ১০.৩৯ শতাংশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ২০২১-২০২২ সেশনের 'ক' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ফলাফল প্রকাশ করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
বিজ্ঞান অনুষদ মোট এক হাজার ৭৮১ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় এক লাখ ১০ হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৪৬৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
পরীক্ষায় আসির আনজুম খান ১২০ এর মধ্যে ১১৫ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন। তিনি বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায়ও প্রথম স্থান অধিকার করেন।
এছাড়া খালিদ হাসান তুহিন দ্বিতীয় এবং জারিফা তাবাসসুম একই নম্বর নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।
তালিকার শীর্ষ তিনজন শিক্ষার্থী একই নম্বর পেলেও এইচএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনা করে তাদের ক্রমিক নম্বর নির্ধারণ করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাবির ওয়েবসাইটে (admission.eis.du.ac.bd) গিয়ে শিক্ষার্থীর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সাল ও মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর দিলে ফলাফল জানা যাবে।
এছাড়া DU KA টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে প্রেরণ করে ফিরতি SMS-এ শিক্ষার্থী তার ফলাফল জানতে পারবে।
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অনলাইনে 'সাবজেক্ট চয়েস ফর্ম' পূরণ করতে হবে এবং ৬ জুলাই বিকাল ৩টা থেকে ২১ জুলাই বিকাল ৫টার মধ্যে জমা দিতে হবে।
ফলাফল নিরীক্ষণের জন্য ১ হাজার টাকা ফি প্রদান সাপেক্ষে আগামী ৬ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসে আবেদন করা যাবে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টায় ঘ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হবে।
পড়ুন: ঢাবির ‘গ’ ইউনিটে পাসের হার ১৪.৩০ শতাংশ
২ বছর আগে