শান্তিপূর্ণ
শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্নের সব প্রস্তুতি নিয়েছে ডিএমপি
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসবের শেষ দিনে বিজয়া দশমীর মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে যেন হয় সে লক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
গত ৯ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএমপি
শনিবার সন্ধ্যায় ডিএমপির উপকমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) তালেবুর রহমান জানান, এরইমধ্যে রবিবারের অনুষ্ঠান উৎসবমুখর ও আনন্দময় করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিসর্জন শোভাযাত্রার সম্ভাব্য রুট হবে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে পলাশী মোড় - জগন্নাথ হল - কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার - দোয়েল চত্বর - হাইকোর্ট বটতলা - সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল - পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স - নগর ভবন - গোলাপশাহ মাজার - বঙ্গবন্ধু স্কয়ার - গুলিস্তান - নবাবপুর লেভেল ক্রসিং - নবাবপুর রোড - মানসী হল ক্রসিং - রথখোলা ক্রসিং - রায়সাহেব বাজার ক্রসিং - শাঁখারীবাজার - জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় - সদরঘাট বাটা ক্রসিং - পাটুয়াটুলি ক্রসিং/সদরঘাট টার্মিনাল ক্রসিং হয়ে ওয়াইজঘাটে গিয়ে শেষ হবে।
বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা পূজা উপলক্ষে স্বাভাবিক নিরাপত্তার পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, পলাশী মোড় ও বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় তিনটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও পলাশীর মোড়, রায় সাহেব বাজার ও ওয়াইজ ঘাটে তিনটি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে।
এছাড়া ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম ও সোয়াট টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।
আরও পড়ুন: ডিএমপির ১০ থানা পেল নতুন গাড়ি
১ মাস আগে
বাগেরহাটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাগেরহাটে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজামন্ডপগুলোতে মহাষ্টমী তিথিতে নানা উপকরণ দিয়ে দেবী দুর্গাকে পূজা আর আরধনা করছেন ভক্তরা।
শুক্রবার সকাল ৭টায় মহাষ্টমীতে পুস্পঞ্জলি দিতে বাগেরহাট শহরের শত বছরের প্রাচীনতম শ্রী শ্রী হরিসভা মন্দিরে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ভক্তের ঢল নামে।
ভক্তরা দেবী দুর্গার কাছে সব ধরণের অশুভ শক্তি বিনাশ করে দেশবাসীর জন্য শান্তিকামনা করেন। ঢাকের বাজনা, শঙ্ক আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পূজামন্ডপগুলো। চন্ডিপাঠ আর পূজারমন্ত্র ধ্বনিত হচ্ছে মন্ডপগুলোতে।আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: অনলাইনের কার্যক্রম মনিটরিং করছে র্যাবের সাইবার ইউনিট
পুস্পাঞ্জলি শেষে মা দুর্গার কাছে তারা সব ধরণের অশুভ শক্তি বিনাশ করে দেশবাসীর জন্য শান্তিকামনা করেছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ জানান, পূজামন্ডপগুলোতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় এবছর মোট ৫৯৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫৩টি পূজামন্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাগেরহাটে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলায় এবছর ৫৯৭টি পূজামন্ডবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজামন্ডবগুলোতে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব এবং জেলা প্রশাসনের মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক পুজামন্ডপগুলোতে টহল দিচ্ছে। একই সঙ্গে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে নিজস্ব সেচ্ছাসেবক বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়
১ মাস আগে
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মতো আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।এই নির্বাচনে ৩০০ টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ভোট গ্রহণ হয়েছে ২৯৯ টিতে। তবে সকল আসনে পড়েছে কম ভোট। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে এবং পূর্বাভাস অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চমকপ্রদ ফলাফল রয়েছে।
রবিবারের(৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ২২২টি আসনে জয়লাভ করেছেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা (যাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে পরিচিত) ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টি মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী হয়েছে এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এই তিনটি দলের একক প্রার্থী তাদের নিজ নিজ আসনে বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, কিন্তু বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনুমান করেন, চূড়ান্ত ভোটদানের হার প্রায় ৪০ শতাংশ হতে পারে। তবে মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে তা প্রয়োজন ছিল ১৩ শতাংশের মতো।
ভোটদানের চূড়ান্ত সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সকালে ঢাকা সিটি কলেজে ভোট দিয়েছেন। জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুল আলম জানান, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে তিনি ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির এম নিজাম উদ্দিন লস্কর পেয়েছেন ৪৬৯ ভোট।
তিনি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার মেয়াদ বাড়াতে যাচ্ছেন।
বেশ কিছু শীর্ষনেতা এবারের নির্বাচনে হেরে গেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় পার্টির শরিফা কাদের, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, জাসদের হাসানুল হক ইনু, বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। মমতাজ বেগম ও মৃণাল কান্তি দাস।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২৯৯টি আসনের প্রায় ৪২ হাজার কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ৭টিতে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। আর একজন প্রার্থীর মৃত্যুর পর একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, সমর্থন এবং পূর্ববর্তী শাসন অভিজ্ঞতার দিক থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তুলনীয় একমাত্র দল, অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় নির্বাচনের ফলাফল বেশিরভাগ পূর্বেই নির্ধারিত হয়েছিল।
বিজয়ীদের সম্পূর্ণ তালিকা:
বেসরকারিভাবে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা:
রংপুর বিভাগ:
পঞ্চগড়-১ আসনে নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া, পঞ্চগড়-২ আসনে নুরুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মাজহারুল ইসলাম সুজন, দিনাজপুর-২ আসনে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ আসনে ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৪ আসনে আবুল হাসান মাহমুদ আলী, দিনাজপুর-৫ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, দিনাজপুর-৬ আসনে শিবলী সাদিক, নীলফামারী-১ আসনে আফতাব উদ্দিন সরকার। নীলফামারী-২ আসনে আসাদুজ্জামান নূর, লালমনিরহাট-১ আসনে মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ আসনে নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-৩ আসনে মো. মতিয়ার রহমান, রংপুর-২ আসনে আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, রংপুর-৪ আসনে টিপু মুন্সী, রংপুর-৬ আসনে শিরীন শারমিন চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে সুমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মো. বিপ্লব হাসান, গাইবান্ধা-৩ আসনে উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা-৪ আসনে আবুল কালাম আজাদ, গাইবান্ধা-৫ আসনে মাহমুদ হাসান, জয়পুরহাট-১ আসনে শামসুল আলম দুদু ও জয়পুরহাট-২ আসনে আবু সাইদুল আল মাহমুদ স্বপন।
রাজশাহী বিভাগ:
রাজশাহী-১ আসনে ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৩ আসনে আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ আসনে আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৫ আসনে আব্দুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী-৬ আসনে শাহরিয়ার আলম, নাটোর-২ আসনে শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৩ আসনে জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর-৪ আসনে সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে মো. জিয়াউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আব্দুল ওয়াদুদ, বগুড়া-১ সাহাদারা মান্নান, বগুড়া-৫ মুজিবুর রহমান (মজনু), বগুড়া-৬ রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া-৭ আসনে মোস্তফা আলম, নওগাঁ-১ আসনে সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-৩ আসনে সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নওগাঁ-৫ আসনে নিজাম উদ্দিন জলিল, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে জান্নাত আরা হেনরি, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আব্দুল মমিন মন্ডল, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে চয়ন ইসলাম, পাবনা-১ আসনে শামসুল হক টুকু, পাবনা-২ আসনে আহমেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৩ আসনে মকবুল হোসেন, পাবনা-৪ আসনে গালিবুর রহমান শরীফ এবং পাবনা-৫ আসনে গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স।
খুলনা বিভাগ:
মেহের পুর-১ আসনে ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২ আসনে নাজমুল হক, কুষ্টিয়া-৩ আসনে মাহবুব উল আলম হানিফ, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে সুলাইমান হক জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আলী আজগর, ঝিনাইদহ-১ আসনে আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ-৩ আসনে সালাহ উদ্দিন মিয়াজী, ঝিনাইদহ-৪ আসনে আনোয়ারুল আজিম (আনার), যশোর-১ আসনে শেখ আলিফ উদ্দিন, যশোর-২ আসনে তৌহিদুজ্জামান, যশোর-৩ আসনে আনোয়ারুল আজিম (আনার), যশোর-৪ আসনে এনামুল হক বুলবুল, খুলনা-১ আসনে ননী গোপাল মন্ডল, খুলনা-২ আসনে শেখ সালাহউদ্দিন, খুলনা-৩ আসনে এস এম কামাল হোসেন, খুলনা-৪ আসনে আবদুস সালাম মুর্শেদী, খুলনা-৫ আসনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খুলনা-৬ আসনে রশিদুজ্জামান, বাগেরহাট-১ আসনে শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনে শেখ তন্ময়, বাগেরহাট-৩ আসনে হাবিবুন নাহার, বাগেরহাট-৪ আসনে এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাতক্ষীরা-৩ আসনে এ এফ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাতক্ষীরা-১ আসনে ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাতক্ষীরা-৩ আসনে এএফএম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-৪ আসনে এসএম আতাউল হক, মাগুরা-১ আসনে সাকিব আল হাসান, মাগুরা-২ আসনে বীরেন শিকদার, নড়াইল-১ আসনে বিএম কবিরুল হক ও নড়াইল-২ আসনে মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বরিশাল বিভাগ:
পিরোজপুর-১ আসনে শ ম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি-১ আসনে শাহজাহান ওমর, ঝালকাঠি-২ আসনে আমির হোসেন আমু, পটুয়াখালী-২ আসনে আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালী-৩ আসনে এস এম শাহজাদা, পটুয়াখালী-৪ আসনে মহিবুর রহমান, বরগুনা-২ আসনে সুলতানা নাদিরা, ভোলা-১ আসনে তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আসনে আলী আজম, ভোলা-৩ আসনে নুরান্নবী চৌধুরী, ভোলা-৪ আসনে আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব,বরিশাল-১ আসনে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, বরিশাল-৫ আসনে জাহিদ ফারুক এবং বরিশাল-৬ আসনে আব্দুল হাফিজ মল্লিক।
ময়মনসিংহ বিভাগ:
ময়মনসিংহ-২ আসনে শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ-৪ আসনে মোহাম্মদ মহিতুর রহমান, ময়মনসিংহ-৬ আসনে মুসলিম উদ্দিন, ময়মনসিংহ-৯ আসনে আবদুস সালাম, ময়মনসিংহ-১০ আসনে ফাহমি গোলন্দাজ (বাবেল), নেত্রকোণা-১ আসনে মোশতাক আহমেদ রুহি, নেত্রকোণা-২ আসনে আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোণা-৪ আসনে সাজ্জাদুল হাসান,নেত্রকোণা-৫ আসনে আহমদ হোসাইন, জামালপুর-১ আসনে নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-২ আসনে ফরিদুল হক খান, জামালপুর-৩ আসনে মির্জা আজম, জামালপুর-৫ আসনে আবুল কালাম আজাদ, শেরপুর-২ আসনে মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-৩ আসনে এডিএম শহিদুল ইসলাম ।
ঢাকা বিভাগ:
টাঙ্গাইল-১ আসনে আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ আসনে তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৬ আসনে আহসানুল ইসলাম (টিটু), টাঙ্গাইল-৭ আসনে খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল-৮ আসনে অনুপম শাহজাহান জয়, মানিকগঞ্জ-৩ আসনে জাহিদ মালেক, গাজীপুর-১ আসনে আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ আসনে জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ আসনে রুমানা আলী, ঢাকা-৪ আসনে সিমিন হোসেন (রিমি)। ঢাকা-১ আসনে সালমান ফজলুর রহমান, ঢাকা-২ আসনে কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৩ আসনে নসরুল হামিদ, ঢাকা-৬ আসনে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা-৭ মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, ঢাকা-৮ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১০ আসনে ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-১১ আসনে মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান, ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-১৪ মইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা-১৪ কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ আসনে ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা-১৭ আসনে মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-২০ আসনে বেনজীর আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আব্দুল্লাহ আল কায়সার, নারায়ণগঞ্জ-৪ শামীম ওসমান, মুন্সিগঞ্জ-১ মহিউদ্দিন আহমেদ, মুন্সিগঞ্জ-২ সাগুফতা ইয়াসমিন, রাজবাড়ী-১ আসনে কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী-২ আসনে জিল্লুল হাকিম, ফরিদপুর-১ আসনে আব্দুর রহমান, ফরিদপুর-২ আসনে শাহদাব আকবর, গোপালগঞ্জ-১ আসনে মোহাম্মদ ফারুক খান, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ ফজলুল করিম সেলিম, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনা,মাদারীপুর-১ আসনে নূর-ই- আলম চৌধুরী, মাদারীপুর-২ আসনে শাজাহান খান, শরীয়তপুর-১ আসনে ইকবাল হোসেন, শরীয়তপুর-২ আসনে একেএম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর-৩ আসনে নাহিম রাজ্জাক, নরসিংদী-১ আসনে মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নরসিংদী-২ আসনে আনোয়ারুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৪ আসনে নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, নরসিংদী-৫ আসনে রাজি উদ্দিন আহমেদ, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সৈয়দা জাকিয়া নূর, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এবং কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে নাজমুল হোসেন।
সিলেট বিভাগ:
সুনামগঞ্জ-১ আসনে রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মুহিবুর রহমান মানিক, মৌলভীবাজার-১ আসনে শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-২ আসনে শফিউল আলম চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৩ আসনে মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, মৌলভীবাজার-৪ আবদুস শহীদ, সিলেট-১ আসনে এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট-২ আসনে শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনে হাবিবুর রহমান সিলেট-৪ আসনে ইমরান আহমেদ,সিলেট-৬ আসনে নুরুল ইসলাম নাহিদ, হবিগঞ্জ-২ আসনে ময়েজ উদ্দিন শরীফ ও হবিগঞ্জ-৩ আসনে আবু জাহির।
চট্টগ্রাম বিভাগ:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আরএএম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে ফয়জুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-১ আসনে আবদুস সবুর, কুমিল্লা-৬ আসনে একেএম বাহাউদ্দিন, কুমিল্লা-৭ আসনে প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা-৮ আসনে আবু জাফর মোহাম্মদ শামীম, কুমিল্লা-৯ আসনে তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-১১ আসনে আ হ ম মুস্তফা কামাল,চাঁদপুর-১ আসনে সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুর-২ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া), চাঁদপুর-৩ আসনে দীপু মনি, চাঁদপুর-৪ আসনে মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, চাঁদপুর-৫ আসনে রফিকুল ইসলাম, নোয়াখালী-১ আসনে এইচ এম ইব্রাহিম, নোয়াখালী-২ আসনে মোরশেদ আলম, নোয়াখালী-৩ আসনে মামুনুর রশীদ কিরণ, নোয়াখালী-৪ আসনে মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৫ আসনে ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী-৬ মোহাম্মদ আলী, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে আনোয়ার হোসেন খান, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে মো.গোলাম ফারুক, ফেনী-১ আসনে আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ফেনী-২ আসনে নিজাম উদ্দিন হাজারী, চট্টগ্রাম-১ আসনে মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম-২ আসনে খাদিজাতুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম-৩ আসনে মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম-৪ আসনে এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-৬ আসনে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ আসনে হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৯ আসনে মহিবুল হাসান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১১ আসনে এম আব্দুল লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ আসনে মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে নজরুল ইসলাম, কক্সবাজার-২ আসনে আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ আসনে সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-৪ আসনে শাহীন আক্তার, খাগড়াছড়িতে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রাঙামাটিতে দীপংকর তালুকদার ও বান্দরবানে বীর বাহাদুর উশৈসিং।
জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা হলেন-
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, রংপুর-৩ আসনে গোলাম মোহাম্মদ কাদের, কুড়িগ্রাম-১ আসনে একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, সাতক্ষীরা-২ আসনে আশরাফুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ আসনে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমান, ফেনী-৩ আসনে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
বিজয়ী স্বতন্ত্র ৬২ প্রার্থী হলেন-
দিনাজপুর-১ আসনে জাকারিয়া, নীলফামারী-৩ আসনে সাদ্দাম হোসেন পাভেল, নীলফামারী-৪ আসনে সিদ্দিকুল আলম, রংপুর-১ আসনে আসাদুজ্জামান বাবলু, রংপুর-৫ আসনে জাকির হোসেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনে হামিদুল খন্দকার, গাইবান্ধা-১ আসনে আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, গাইবান্ধা-২ আসনে শাহ সারওয়ার কবির, রাজশাহী-২ আসনে শফিকুর রহমান বাদশা,নাটের-১ আসনে আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ-৪ আসনে বুরহানি সুলতান মাহমুদ, নওগাঁ-৬ আসনে ওমর ফারুক সুমন, বগুড়া-৩ আসনে খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী, কুষ্টিয়া-১ আসনে রেজাউল হক চৌধুরী,কুষ্টিয়া-২ আসনে কামরুল আরেফিন, কুষ্টিয়া-৪ আসনে আব্দুর রউফ, ঝিনাইদহ-২ আসনে নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, যশোর-৫ আসনে ইয়াকুব আলী, যশোর-৬ আসনে আজিজুল ইসলাম, পিরোজপুর-২ আসনে মহিউদ্দিন মহারাজ, পিরোজপুর-৩ আসনে শামীম শাহনেওয়াজ, বরগুনা-১ আসনে গোলাম সারওয়ার টুকু, বরিশাল-৪ আসনে পঙ্কজ নাথ, ময়মনসিংহ-১ আসনে মাহমুদুল হক সায়েম, ময়মনসিংহ-৫ আসনে নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-৬ আসনে আব্দুল মালেক সরকার, ময়মনসিংহ-৭ এবিএম আনিসুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৮ আসনে মাহমুদ হাসান সুমন, ময়মনসিংহ-১১ আসনে আব্দুল ওয়াহেদ, জামালপুর-৪ আসনে আব্দুর রশিদ, নেত্রকোণা-৩ আসনে ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ও শেরপুর-১ আসনে সানোয়ার হোসেন শানু।
টাঙ্গাইল-৩ আসনে আমানুর রহমান খান রানা, টাঙ্গাইল-৪ আসনে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৫ আসনে সানোয়ার হোসেন, মানিকগঞ্জ-১ আসনে সালাহউদ্দিন মাহমুদ, মানিকগঞ্জ-২ আসনে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু, গাজীপুর-৫ আসনে আখতারুজ্জামান, ঢাকা-৪ আসনে আওলাদ হোসেন, ঢাকা-৫ আসনে মশিউর রহমান মোল্লা, ঢাকা-১৮ আসনে খসরু চৌধুরী, ঢাকা-১৯ আসনে সাইফুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে মো. ফয়সাল, ফরিদপুর-৩ আসনে একে আজাদ, ফরিদপুর-৪ আসনে মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মাদারীপুর-৩ আসনে তাহমিনা বেগম, নরসিংদী-৩ আসনে সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে সোহরাব উদ্দিন, সুনামগঞ্জ-২ আসনে জয়া সেনগুপ্ত, সিলেট-৫ আসনে মোহাম্মদ হুসামুজ্জামান চৌধুরী,হবিগঞ্জ-১ এ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ-৪ আসনে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে সৈয়দ একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মঈন উদ্দিন, কুমিল্লা-২ আসনে আবদুল মজিদ, কুমিল্লা-৩ আসনে জাহাঙ্গীর আলম সরকার, কুমিল্লা-৪ আসনে আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-৫ আসনে আবু জাহের, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মো. আবদুল্লাহ, আব্দুস সালাম চট্টগ্রাম-৮, আবদুল মোতালেব চট্টগ্রাম-১৫ ও মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম-১৬ আসনে বিজয়ী হয়েছেন।
এছাড়া বরিশাল-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেনন, কক্সবাজার-১ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম এবং বগুড়া-৪ আসনে জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
নওগাঁ-২ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন স্থগিত করায় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে রবিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
১০ মাস আগে
শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করুন: টুঙ্গিপাড়ার জনসভায় শেখ হাসিনা
আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমি চাই এই নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হোক।৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সুষ্ঠু জবাব দেব, যাতে কেউ বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে।’
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র চলছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেকেই এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে যাতে দেশে নির্বাচন না হয় কারণ তারা তৃতীয় দলকে ক্ষমতায় আনতে চায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি মানুষ পোড়ায়, বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই তাদের: বরিশালে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তৃতীয় পক্ষ কী করতে পারে? তারা দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারে না। আপনারা দেখেছেন ২০০৭ সালে তারা কী করেছিল।’
ফিলিস্তিনের হাসপাতালগুলোতেও ইসরায়েল বোমা হামলা চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারেক জিয়া লন্ডন থেকে বাংলাদেশে অ্যাম্বুলেন্স, সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়ে ঠিক একই কাজ করছেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না।
তিনি বলেন, 'যদি আল্লাহ চান এবং আমরা আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারি, তাহলে লন্ডনে অবস্থান করে আমাদের দেশের জনগণের ক্ষতি ও মানুষ হত্যার আদেশ দেন তা মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে তাকে সেখান থেকে (দেশে) এনে শাস্তি দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে বরিশালে প্রধানমন্ত্রী, নগরীতে উৎসবমুখর পরিবেশ
১০ মাস আগে
সমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে, সরকারকে বাড়াবাড়ি না করতে হুঁশিয়ারি ফখরুলের
বিএনপির মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করে সর্বস্তরের জনগণকে এতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যাতে করে আওয়ামী লীগকে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বার্তা দেওয়া যায়।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সরকার বা ক্ষমতাসীন দল যদি কোনো বাড়াবাড়ি করে বা সমাবেশে কোনো বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে সরকার।’
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন।
নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতির জন্য প্রয়োজনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে বলেও জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে ডিএমপিকে চিঠি দেওয়ায় আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশ করব।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নয়াপল্টনে কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো চিঠি পায়নি বিএনপি। আমরা এখনও আশা করি, তারা (ডিএমপি) কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না এবং মহাসমাবেশে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, তাদের সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য চাপ সৃষ্টি করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের এক দফা দাবি মেনে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, দেশে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি কোনো সহিংসতার ভয় পায় না, কারণ তাদের দল অতীতে শান্তিপূর্ণভাবে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা লাঠি হাতে রাস্তায় নামার মতো বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকার তার দমনমূলক নীতি ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে সমগ্র জনগণকে জিম্মি করার চেষ্টা করছে।
এমতাবস্থায় ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার এবং একটি মুক্ত ও বাসযোগ্য সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন শনিবারের মহাসমাবেশে যোগ দেয় এবং সরকারকে পদত্যাগ আর ক্ষমতায় না থাকার বার্তা দেয়।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার টিআইপিএস প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে: ফখরুল
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করে লুটপাট ও বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
ফখরুল দাবি করেন, গত সোমবার থেকে শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৩৫০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৩৩০ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, এ সময়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৮টি ‘মিথ্যা মামলা’ দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ ছাড়া চলতি বছরের ২৭ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির ৪ হাজার ২০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার, ৪১৮টি মামলায় ২৮ হাজার ৫৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং বিএনপির নয় নেতাকে মৃত্যুদণ্ড ও ৯০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) ব্রাসেলসে বলেছেন, খুব সুন্দর একটি নির্বাচন হবে, কারণ সরকার সেই নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে। কিন্তু আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং প্রতি রাতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ বিষয় হচ্ছে, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে আমাদের নেতাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকার গুরুতর দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার যে, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া এ দেশের জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সত্যিকারের অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো ইচ্ছা নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য তারা বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই একতরফাভাবে নির্বাচন করতে সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে। তাদের দাবি আদায় এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এবার রাস্তায় নেমেছে।’
বিএনপির পক্ষ থেকে ফখরুল ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে মালিকদের তা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কোনো কিছুই ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না: ফখরুল
১ বছর আগে
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ থেকে বার্তা না পেলে কঠোর কর্মসূচি: রিজভী
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে সরকার বার্তা না পেলে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দেশকে অচল করে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি... আমাদের রোডমার্চ, মিছিলে জনগণের অংশগ্রহণের কোনো বার্তা যদি সরকার পেতে বা বুঝতে ব্যর্থ হয়, তাহলে হরতাল-অবরোধে দেশ অচল হয়ে পড়বে। সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।’
বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এ মন্তব্য করেন।আরও পড়ুন: সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে একদফা আন্দোলন শেষ হবে: আমীর খসরু
বিএনপি নেতা বলেন, সরকারকে সরিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হবে।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভয় ও আতঙ্কের সমাজ তৈরি করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার এবং আরেকটি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আমরা আদালতের কার্যক্রম দেখে তা বুঝতে পারি।’
আরও পড়ুন: সরকারকে আর কোনো পাতানো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: মির্জা আব্বাস
নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি জাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও সিনিয়র সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত ও ওমর ফারুক কাওছার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগ না করলে দেশে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ফখরুল
১ বছর আগে
রসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ, গণনা শুরু
কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই মঙ্গলবার রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় ভোট গণনা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কারণে ধীরগতির ভোটদানের কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি তবে প্রয়োজনে কেন্দ্রের সব ভোটারকে রাত পর্যন্ত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুমতি দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: রাত পোহালেই ভোটগ্রহণ
নির্বাচন কমিশন (ইসি) কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে।
মেয়র পদে নয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত ১১টি আসনে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের শফির রহমান, আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান ও লতিফুর রহমান।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রবিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে রসিক নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ২২৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৩৪৯ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং দুই হাজার ৬৯৮ জন পোলিং অফিসার তাদের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রথম রসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। বর্তমান মেয়রের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান, স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
ইসির আইডিইএ প্রকল্পের ডিপিডি কমিউনিকেশন স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, ২২৯টি কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
চলতি বছরের গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণে ব্যাপক অনিয়ম পেলে পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছিল ইসি। সেই নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে ৪ জানুয়ারি।
নির্বাচন কমিশন বলছেন, রসিকে ২০১৭ সালের নির্বাচনে ভোটার ছিল তিন লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এবার নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৪৭৬ জন। বর্তমানে সিটির ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন।
জানা যায়, রসিক নির্বাচনে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জনের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভোটগ্রহণ শুরু
১ বছর আগে
বিপত্তি ঠেলে সিলেটে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হয়েছে : ড. মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মঈন খান বলেছেন, বাধা বিপত্তি ঠেলে সিলেটে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য নয়, মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার জন্য বিএনপি আন্দোলন করছে।
রবিবার দুপুরে নগরীর দরগাগেইট এলাকার একটি রেস্তোরাঁর মিলনায়তনে সাংবাদিকদের নিয়ে গণসমাবেশপরবর্তী এ মতবিনিময়ের আয়োজন করে জেলা ও মহানগর বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মঈন খান
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শুধু মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়নি, মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশ করতেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তাই বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের পাশাপাশি মুক্তভাবে মতপ্রকাশ করার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনও করছে।
মতবিনিময়কালে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলে সিলেটবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।
এ সময় তিনি বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকরা দেশের প্রথম শক্তি বলে অভিমত দেন।
এর আগে শনিবার নগরের চৌহাট্টা এলাকার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসায় বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ড. আব্দুল মঈন খান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন-দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি।
আরও পড়ুন: ড. আব্দুল মঈন খান এভারকেয়ারে ভর্তি
২ বছর আগে
জেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল হয়েছে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকালে নির্বাচন শেষ হওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোথাও অনিয়ম, সহিংসতা ও দাঙ্গার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচন নিয়ে কমিশন সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে ডিসি, এসপিদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকার নির্দেশ সিইসি’র
কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ৫৭টি জেলা পরিষদের নির্বাচন আয়োজন করেছে এবং সারা দেশে সমস্ত ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
কমিশন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকায় তার সদর দপ্তর থেকে কেন্দ্রে ভোট পর্যবেক্ষণ করে।
সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি নতুন অভিজ্ঞতা ছিল উল্লেখ করে সিইসি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি যে আমরা স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। আমাদের দায়িত্ব (নিশ্চিত করা) ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আপনারা দেখেছেন, আজ দ্বিতীয় কেউ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। ভোটাররা খুব সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিয়েছেন। আমরা মনিটরিং জোরদার করেছি। ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।’
বড় পরিসরের নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ছোট পরিসরের নির্বাচনে এ ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে, তবে বৃহত্তর নির্বাচনে এগুলো ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়াতে কমিশন চেষ্টা করবে।
সোমবার সারাদেশে ৪৬২টি কেন্দ্রের ৯২৫টি বুথে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ৬০ হাজার ৮৬৬ জন ভোট দেয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন কোনো চাপে নেই: সিইসি
গাইবান্ধা-৫ আসনে নির্বাচন স্থগিত করা কমিশনের বেপরোয়া সিদ্ধান্ত নয়: সিইসি
২ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্র চায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও মানবাধিকার সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যান বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ’ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
শুক্রবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সময় শেরম্যান এসব কথা বলেন।
শনিবার শেরম্যান এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে দেখা করেছি এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের বিস্তৃত অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব এবং ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার জমি দখলের অবৈধ প্রচেষ্টা নিয়েও কথা বলেছি।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানান, ডেপুটি সেক্রেটারি ৪ অক্টোবর মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে নিহত তিন বাংলাদেশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীর জন্য শোক প্রকাশ করেন।
শেরম্যান ও শাহরিয়ার আলম যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। কারণ দুটি দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী মার্কিন সরকারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত এক বিবৃতি অনুসারে, ডেপুটি সেক্রেটারি শেরম্যান সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অব্যাহত সহযোগিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের শ্রম খাতে অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে ডেপুটি সেক্রেটারি শেরম্যান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার ওপর জোর দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে ইউক্রেনের যুদ্ধ, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করার জন্য মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিষয়টি বাংলাদেশের জনগণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিমন্ত্রী আলম বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রত্যর্পণ চুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রতিমন্ত্রী মহামারি মোকাবিলায় প্রায় ৮৮ মিলিয়ন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব সহায়তা প্রদানের জন্য মার্কিন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার জন্য আন্তরিক প্রশংসাও ব্যক্ত করেন।
তিনি এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) সম্পর্কিত বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় মার্কিন সমর্থনও চেয়েছেন যাতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো একটি মসৃণ ও টেকসই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন অর্জন করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিবাসন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে তার সরকারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিনি আসন্ন কপ-২৭ এ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে একটি কর্মমুখী আলোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এদিকে, শেরম্যান বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের প্রশংসা করেন।
তিনি বাংলাদেশের কোভিড-১৯ টিকার উচ্চ হার এবং মহামারি মোকাবিলায় ও নিয়ন্ত্রণে সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের জন্যও প্রশংসা করেছিলেন।
ডেপুটি সেক্রেটারি জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং কপ-২৭ এর আগে ‘গ্লোবাল মিথেন প্লেজ’ এ যোগ দিতে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেন।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যৈষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আইলিন লাউবাচার ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: হিজাব ইস্যু: মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
র্যাবের সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র কি অসন্তুষ্ট?: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে