ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
সোমবার রাতে কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয় বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘নৌপরিবহন সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তিনি করোনা আক্রান্ত। আমাকে প্রতিবেদনটি দেখতে হবে। একবার দেখার পর আমি বিস্তারিত বলতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘যত দূর আমি জানি, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক, শ্রমিক ও চালকদের ত্রুটি উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। ডকইয়ার্ডেরও সমস্যা ছিল।’
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯
ইঞ্জিনে সমস্যা ছিল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটার জন্য ডকইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ দায়ী। এজন্য তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ৩০ ডিসেম্বর কমিটিকে তদন্ত সম্পন্ন করতে আরও তিনদিন দেয়া হয়।
২৪ ডিসেম্বর, নৌপরিবহন মন্ত্রণালেয়র যুগ্মসচিব তোফায়েল আহমেদকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়। তাদের তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়। তবে তারা সেদিন প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিদগ্ধদের হাসপাতালে দেখতে গেলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
এদিকে গত ২৪ ডিসেম্বর ভোররাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া,রেড ক্রিসেন্ট বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ের করা তালিকা অনুযায়ী,গত বুধবার পর্যন্ত অন্তত ৫৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।