আইনি
‘মিথ্যা প্রতিবেদন’: একাত্তর টিভির বিরুদ্ধে মুশফিকের আইনি ব্যবস্থা
বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ড টেস্ট সিরিজ চলাকালে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি চ্যানেল একাত্তর টিভির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
গত ৬ ডিসেম্বর প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে মুশফিকের বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠার পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান একাত্তর টিভিকে আইনি নোটিশ পাঠান।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত
নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো-
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতিবেদনটি অবিলম্বে অপসারণ, ক্ষমা প্রার্থনা সম্বলিত একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবেদককে সতর্ক করা।
লিগ্যাল নোটিশে জোর দিয়ে বলা হয়- একাত্তর টিভির মতো একটি স্বনামধন্য চ্যানেলে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ অপ্রত্যাশিত এবং সাংবাদিকতার নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে আউট হন মুশফিক। বোলারের বল ডেলিভারির পর ব্যাট দিয়ে রক্ষা করার পরে আবার তা দূরে ঠেলে দিয়ে তিনি ক্রিকেটীয় আইন লঙ্ঘন করেছিলেন, কারণ ব্যাটসম্যানদের ডেলিভারি খেলার সময় বা পরে বল পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হয় না। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে এই ধরনের প্রথম আউট।
একাত্তর টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মুশফিকের আউটের সঙ্গে স্পট ফিক্সিংয়ের সম্পর্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: নিউ জিল্যান্ডকে ১৩৭ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ
ঢাকা টেস্ট: ফিলিপস আক্রমণে নিউ জিল্যান্ডের লিড
১১ মাস আগে
সিইসির পদত্যাগ ও ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ ফয়জুল করিমের
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগ ও সাংবিধানিক পদে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের জন্য ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল বাসেত এই আইনি নোটিশ পাঠান।
এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ফয়জুল করিম ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ নেতাকর্মী তার ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
তবে প্রিজাইডিং অফিসার ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা সত্ত্বেও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরে সাংবাদিকরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এতে বলা হয়েছে, এই বক্তব্যের কারণে তিনি রাষ্ট্রের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের নৈতিক ও আইনগত অধিকার হারিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ সম্পর্কে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আপনার উপরোক্ত বক্তব্যটি দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অবৈধ, যার ফলে আমার মক্কেলের অপূরণীয় শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে (এর জন্য আপনি দায়ী)। তাছাড়া, তার খ্যাতি এবং ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে... তার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
এতে বলা হয়েছে, ‘এমন পরিস্থিতিতে, আপনি, নোটিশ প্রাপক, উপরোক্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন, অনৈতিক বিবৃতি প্রত্যাহার করবেন এবং নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জাতীয় দৈনিক--প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে প্রকাশ করবেন।’
‘এছাড়াও, আপনি 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার' পদ থেকে পদত্যাগ করবেন এবং আমার মক্কেলকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে৫০০ কোটি টাকা দেবেন।’
এতে বলা হয়, ‘অন্যথায়, নোটিশের মেয়াদ শেষে আমার মক্কেল দেশের প্রচলিত আইনের অধীনে যথাযথ আদালতে নোটিশ প্রাপকের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।’
আরও পড়ুন: সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের
১ বছর আগে
নারীদের জমির মালিকানায় আইনি বাধা দূর করুন: জাতিসংঘ প্রধান
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস নারীদের জমির মালিকানায় আইনি বাধা দূর করতে এবং নীতিনির্ধারণে তাদের সম্পৃক্ত করার জন্য সব সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
১৭ জুন বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ রক্ষায় তাদের ভূমিকা পালন করতে নারী ও মেয়েদের সমর্থন করুন। এবং আসুন একসঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে ভূমির অবক্ষয় বন্ধ করি।’
আরও পড়ুন: আসুন গর্ব করে ঘোষণা করি, আমরা নারীবাদী: গুতেরেস
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার তুলনায় ক্ষণস্থায়ী চাষাবাদ মাটিকে দ্রুত শতভাগ ক্ষয় করছে। ‘বেঁচে থাকার জন্য জমির উপর আমরা নির্ভরশীল। তবুও আমরা এটিকে ময়লা হিসাবে বিবেচনা করি।’
আরও পড়ুন: বন্যা: পাকিস্তানকে সাহায্য করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি গুতেরেসের আহ্বান
তিনি আরও বলেছেন, আমাদের গ্রহের ভূমি এখন ৪০ শতাংশ পর্যন্ত অবক্ষয়িত, খাদ্য উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করছে; জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি; এবং জলবায়ু সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলেন আন্তোনিও গুতেরেস
১ বছর আগে
হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে হাওয়া সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন ও সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহ. সাইফুল্লাহ বরাবর এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে হাওয়া সিনেমাটির ছাড়পত্র বাতিল করে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পাশাপাশি সেন্সরবোর্ড পুনঃগঠন করে বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্য, আইনজীবী ও পরিবেশবিদদের সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে ভবিষ্যতে কোনো সিনেমার ছাড়পত্র দেয়ার আগে চলচ্চিত্রটিতে যেন ভায়োলেন্স পূর্ণ খুনের দৃশ্য, গালি এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর কোনো ধারার লঙ্ঘন না হয় সে ব্যাপারে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে গত ২৯ জুলাই দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পাওয়া মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমায় ট্রলারে থাকা একটি খাঁচায় শালিক পাখি বন্দি অবস্থায় দেখা যায়। এক পর্যায়ে সেটিকে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।
'হাওয়া’ সিনেমার কয়েকটি দৃশ্য রয়েছে যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত এ ধরনের অপরাধের ফলে সাধারণ মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় পোষা ও হত্যা করে খাওয়ায় উৎসাহিত হবে। এই দৃশ্য ধারণের জন্য বনবিভাগের কোনো অনুমতিও নেয়া হয়নি। বন্যপ্রাণী হত্যা এবং খাওয়ার দৃশ্য দেখে মানুষ মনে করতে পারেন যে, এটা করা যায়। তারা এগুলো দেখে উৎসাহিত হতে পারেন। সিনেমা নাটকে ধূমপানের দৃশ্যে যেমন লেখা থাকে যে, এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু ‘হাওয়া’ সিনেমার ওই অংশে এই ধরনের কোনো বার্তা ছিল না।
আরও পড়ুন:‘হাওয়া’ এপিঠ ওপিঠে এরফান মৃধা শিবলু
এছাড়া ‘হাওয়া’ সিনেমায় বেশ কয়েকটি খুনের দৃশ্য রয়েছে যা অতি ভয়ঙ্কর তথা ভায়লেন্স পূর্ণ। এছাড়া পুরো সিনেমায় নারী চরিত্রকে নেতিবাচক হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি অসংখ্য গালি ব্যবহার করা হয়েছে। যা পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা মোটেও উচিত নয়। এহেন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা, তরুণ-তরুণীরা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। যা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অথচ ‘হাওয়া’ সিনেমার কোথাও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা নিষেধ এই কথাটিও উল্লেখ নেই। এই ধরনের চলচ্চিত্র শুধু বাংলাদেশেই নয় বর্হিবিশ্বেও প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন হলে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেবে।
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘হাওয়া’ সিনেমাটিতে ভায়লেন্স পূর্ণ খুনের দৃশ্য, গালি এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮(১), ৩৮(২), ৪০ ও ৪৬ ধারা লঙ্ঘন হলেও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এর সদস্যরা পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনকে হাওয়া সিনেমার বিতর্কিত দৃশ্যগুলো কর্তন বা আইন লঙ্ঘনের চিত্র সংস্কার করতে না বলে, বরং হাওয়া সিনেমাটিকে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ছাড়পত্র দিয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘনে এবং সমাজে নেতিবাচক প্রভাব তৈরিতে উৎসাহ দিয়ে সমঅপরাধ সংঘটিত করেছেন।
উল্লেখ্য, এরইমধ্যে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা ‘হাওয়া’ সিনেমাটি দেখে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮(১), ৩৮(২), ৪০ ও ৪৬ ধারা লঙ্ঘনের সত্যতা পেয়ে ১৭ আগস্ট আদালতে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন:‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
২ বছর আগে
সেই জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় বিনা অপরাধে চার বছর কারাভোগ করায় মো. জালাল ওরফে জজ মিয়ার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে উল্লেখ করে তাঁকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
জজ মিয়ার পক্ষে বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও মোহাম্মদ কাউছার এই আইনি নোটিশ পাঠান। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১১ ব্যক্তি বরাবর এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আইনি নোটিশ যাঁদের কাছে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফজ্জামান বাবর, পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক খোদা বকশ চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রশীদ, মুন্সী আতিকুর রহমান ও সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাওলাদারকে দেয়া দুদকের নোটিশ কেন বেআইনি নয়: হাইকোর্ট
নোটিশে বেআইনিভাবে জজ মিয়াকে কারাবাসে রাখার জন্য লুৎফজ্জামান বাবর, খোদা বকশ চৌধুরী, আবদুর রশীদ, মুন্সী আতিকুর রহমান, রুহুল আমিন বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তির দায় আছে কি না, তা নিরূপণে তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।
জজ মিয়ার মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ায় লুৎফজ্জামান বাবর, খোদা বকশ চৌধুরী, আবদুর রশীদ, মুন্সী আতিকুর রহমান, রুহুল আমিন বা অন্য কোনো ব্যক্তি দায়ী হলে তাঁদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে নোটিশে।
নোটিশ গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ জানাতে বলা হয়েছে। তা না হলে উচ্চ আদালতে রিট দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেলিটকের তারেককে গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারির নির্দেশ হাইকোর্টের
জরিমানা চেয়ে বাংলালিংক-যমুনা ব্যাংককে সাকিবের লিগ্যাল নোটিশ
২ বছর আগে
আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পিকে হালদারকে বাংলাদেশে আনতে হবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, পলাতক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী পিকে হালদারকে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রত্যার্পণের আগে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
অর্থ পাচার এবং একাধিক আর্থিক অপরাধের জন্য বাংলাদেশে ওয়ান্টেড হালদারকে রবিবার ভারতের ফেডারেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দোরাইস্বামী বলেন, এটি একটি প্রক্রিয়া এবং এটি ক্রিসমাস কার্ড বিনিময় করার মতো নয়।
তিনি বলেন, ‘এগুলো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হয়। এটা ধীরে ধীরে হবে।’
তিনি বলেন, তারা (ভারত) বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কাজ করছে।
তিনি বলেন, তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক সময় তাদের (ভারতের) পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
এর আগে হাইকমিশনার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
তার বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব বিষয়টি উত্থাপন করে এবং পিকে হালদারকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতের সমর্থন চান।
তিনি বলেন, হাইকমিশনার এ বিষয়ে তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আরও ১০দিন ইডির হেফাজতে থাকবেন পিকে হালদার
২ বছর আগে
আইনি লড়াই হেরে অস্ট্রেলিয়া ছাড়লেন জকোভিচ
আইনি লড়াইয়ে হেরে অস্ট্রেলিয়া থেকে সোমবার দুবাই পৌঁছেছেন বিশ্বের শীর্ষ টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। এর ফলে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলা হচ্ছে না বিশ্বের এক নম্বর পুরুষ টেনিস খেলোয়াড়ের।
এর আগে করোনার টিকাগ্রহণ না করা জকোভিচের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দেয় অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল আদালত।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে গত ৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় যান জোকোভিচ। কিন্তু করোনার টিকা না নেয়ায় তাকে অভিবাসন দপ্তর আটকে দেয়। পরে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। জোকোভিচ টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার আবেদন করে জিতলেও অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী পরে তার ভিসা বাতিল করে দেন। তিনজন ফেডারেল কোর্টের বিচারক রবিবার সর্বসম্মতিক্রমে জকোভিচের ভিসা বাতিলের আদেশ বহাল রাখায় শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে যোগ দেয়ার ছাড়পত্র পেলেন না এই সার্বিয়ান তারকা।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছে টাইগাররা
জোকোভিচ পরবর্তী কোথায় ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। দুবাই ডিউটি ফ্রি টেনিস টুর্নামেন্ট আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুরু হচ্ছে না, যেটি জোকোভিচ ২০২০ সালে জিতেছিলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইতে ভ্রমণকারীদের টিকা দেয়া বাধ্যতামূলক নয়। যদিও ফ্লাইটে চড়ার জন্য তাদের অবশ্যই করোনার নেগেটিভ সনদ দেখাতে হয়।
জোকোভিচ নয়টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপা জিতেছেন, যার মধ্যে পরপর তিনটি। তিনি মোট ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম পর্যায়ের শিরোপা (সবচেয়ে মর্যাদাবাহী ৪টি টেনিস প্রতিযোগিতা) জয় করেছেন, যা টেনিসের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক।
আরও পড়ুন: ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বিরাট কোহলি
২ বছর আগে