একুশে বইমেলাকে সামনে রেখে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বইমেলা হলো পহেলা বৈশাখের মতো একটা উৎসব এবং এই মেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ডিএমপির একটি বড় দায়িত্ব।’
রবিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলাকে কেন্দ্র করে নেয়া সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, এ বছর বইমেলা প্রাঙ্গণ, শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ ও নীলক্ষেত পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হবে এবং এসব এলাকায় প্রাথমিক তল্লাশি দল মোতায়েন করা হবে।
আরও পড়ুন: আপাতত বইমেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
বইমেলা প্রাঙ্গণে কোনো যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে না এবং ছয়টি প্রবেশপথ থাকবে।
তিনি বলেন, মেটাল ডিটেক্টর চেকিংয়ের পর সবাইকে গেট দিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে হবে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, বইমেলার প্রতিটি জায়গা সিসিটিভি নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে এবং নিয়মিত পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
তিনি বলেন, পুলিশ গাড়ি ও মোটরসাইকেলে করে টহল দেবে এবং সিটিটিসি, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান ও ডগ স্কোয়াড যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক থাকবে।
মেলা প্রাঙ্গণে একটি মেডিকেল টিম ও দমকলকর্মী প্রস্তুত রাখা হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বইমেলা পরিদর্শন করবেন এবং সার্বিক নিরাপত্তা খতিয়ে দেখবেন।
তিনি বইমেলায় আসার সময় মানুষকে মাস্ক পরার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে বইমেলা শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ভ্রাম্যমাণ দল মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনা করবে এবং যারা স্টলে থাকবে তাদের টিকা সনদও তারা পরীক্ষা করবে।
সম্ভাব্য কোনো নিরাপত্তা হুমকি আছে কি না- এমন প্রশ্নে ডিএমপি প্রধান বলেন, ‘ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় আদালতের দেয়া রায়ে জঙ্গিদের ক্ষুব্ধ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই আমরা এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছি।’
মঙ্গলবার একুশে বইমেলা শুরু হবে।