গুরুত্বপূর্ণ
পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাংলাদেশ ও অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: বক্তারা
পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে স্থানীয় সম্প্রদায়, সরকার এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, এটি কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এই আহ্বান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সইয়ের ২৭ বছর পরও শান্তি অর্জিত হয়নি স্বীকার করে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান জানান তারা।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. নাসিমুল গণি রচিত 'আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি ১৯৯৭: বাংলাদেশের অসমাপ্ত শান্তি বিনির্মাণ মডেল' শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় ইন্টিগ্রেশন ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল হাফিজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন লেখক ও বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান।
উপদেষ্টা হোসেন ছোট ছোট বিষয়কে বড় ধরনের সংঘাতে পরিণত হওয়া থেকে রোধ করতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মৌলিক শ্রদ্ধাবোধ ও বোঝাপড়া গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, আমরা যদি সেখানে মৌলিক শ্রদ্ধাবোধ ও বোঝাপড়া প্রতিষ্ঠা করতে পারি, আমি মনে করি, ছোট ছোট ইস্যুতে বড় সংঘাত থাকবে না।
এই ভূমিতে শান্তি ফিরে পেতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে উপদেষ্টা বলেন, তাদের স্বতন্ত্র গোষ্ঠীকেও স্বতন্ত্র সংস্কৃতি, সমান অধিকার এবং সমানভাবে সম্মান করতে হবে।
হোসেন অবশ্য মনে করেন, বিশেষ করে সন্দেহের মধ্যে এত বছর পাশাপাশি থাকার পর এর সমাধান (অবিশ্বাস) সহজ নয়।
তিনি বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন সন্দেহের মধ্যে পরস্পর পাশাপাশি বসবাস করেছি। প্রথম দিকে তা না থাকলেও দ্রুতই তা বেড়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, এ ভূখণ্ডে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ‘তাদের সংস্কৃতিকে আমাদের সম্মান করতে হবে। এটা আমাদের একটা বৈচিত্র্য। আমাদের এটা (এই বৈচিত্র্য) মেনে নিতে হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের এমন একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে যেখানে আমরা একে অপরকে সম্মান করি; আমরা একে অপরের খেয়াল রাখি। শাসক কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এটি নিশ্চিত করতে হবে।’
আবদুল হাফিজ বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে যাই ঘটুক না কেন, সীমান্তের ওপারে (ভারত ও মিয়ানমারে) বসবাসকারী একই সম্প্রদায়ের ওপর প্রভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের এই নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।
শান্তি এখনো অর্জিত হয়নি উল্লেখ করে আব্দুল হাফিজ বলেন, জনগণের অংশগ্রহণ ও পরামর্শ একই সঙ্গে চলতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শান্তি প্রক্রিয়ার সমর্থনে সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত রাখতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, তারা বইটিতে চিহ্নিত পরিবর্তনগুলে মোকাবিলা করতে এবং এই অঞ্চলে একটি টেকসই শান্তি প্রচারের জন্য সরকারি সংস্থা, সুরক্ষা বাহিনী এবং বেসামরিক সমাজের মধ্যে আরও আলোচনাকে উৎসাহিত করে।
বইটির লেখক নাসিমুল গণি শান্তিচুক্তি সইয়ের আগে ও পরে পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করেন এবং চুক্তির শক্তিশালী ও দুর্বল উভয় দিক বিশ্লেষণ করেন।
হাফিজ বলেন, বইটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো যখন তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি রাজনৈতিক মাত্রা রয়েছে, কারণ মানুষ রাজনৈতিক পরিচয় চায়।
হাফিজ বলেন, এর একটি অর্থনৈতিক মাত্রা রয়েছে এবং একটি জাতিগত-ধর্মীয় মাত্রাও রয়েছে। যখন সেখানে বিদ্রোহ ও পাল্টা বিদ্রোহ রয়েছে এবং জমির মালিকানা নিয়ে এর গভীর সমস্যা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালে সই করা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রামে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বয়ে আনবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে চুক্তি সইয়ের ২৭ বছর পরও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা স্থিতিশীলতা দেখতে পাচ্ছি না। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা দেখছি না।’
১১৮ দিন আগে
আমরা কীভাবে জিনিসগুলো উৎপাদন করি তা গুরুত্বপূর্ণ: বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরামে লুৎফে সিদ্দিকী
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি সত্যিকারের ঝুঁকি যা সম্পর্কে আমাদের মনে রাখা দরকার।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত 'বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম ২০২৪'-এ তিনি এ কথা বলেন।
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন: ‘উদ্যোক্তা হিসেবে এবং ব্যবসা হিসাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা কিভাবে পণ্য উৎপাদন করি। সবচেয়ে কম খরচে উৎপাদন করাটাই কেবল বিবেচ্য বিষয় নয়। জলবায়ু পরিবর্তন একটি বাস্তব ঝুঁকি যা আমাদের অবশ্যই মনে রাখা দরকার। আমাদের এটিকে কেবল কমপ্লায়েন্স ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয় বরং সঠিক ব্যবসায়িক কৌশলের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে ১০ অক্টোবর
এ ফোরামে বাংলাদেশের সাসটেইনিবিলিটি বা টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংলাপ, সহযোগিতা এবং কার্যকরী কৌশলসমূহ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত এবং ত্বরান্বিত করতে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ জন সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ ফোরামের আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ। শিল্পের নেতা, সরকারি কর্মকর্তা, জলবায়ু বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী, উদ্ভাবক, ব্র্যান্ড, উন্নয়ন সংস্থা, নীতিনির্ধারক এবং শিক্ষাবিদদের একত্রিত করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
দিনব্যাপী এবারের ফোরামের কর্মসূচির মধ্যে ছিল মূল বক্তব্য উপস্থাপনা, প্যানেল আলোচনা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞগণের উপস্থাপনা এবং কর্মশালা। এখানে প্রায় ৪০ জন দেশি ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
তারা সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে একটি জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক এবং কার্বন-নিরপেক্ষ ভবিষ্যত গড়ে তোলার বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। তাছাড়া এ ফোরামে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম ২০২৪ আয়োজনে সহযোগী হিসেবে ছিল অ্যাপারেল ইমপ্যাক্ট ইনস্টিটিউট, ক্যাসকেল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জিআইজেড, এইচএন্ডএম, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস, পিডিএস লিমিটেড এবং টার্গেট।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম. ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমাদের নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের পরিমাণ কম, যা প্রায় ২ শতাংশ। আমরা এটিকে আরও বৃদ্ধি করতে চাই। আমরা সাসটেইনিবিলিটিতে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বৃহত্তর সিস্টেমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমি আশা করি আপনারা সাসটেইনিবিলিটির দিকে অগ্রযাত্রায় আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন এবং দেশকে এগিয়ে নেবেন।’
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান এবং রাষ্ট্রদূত এইচই মাইকেল মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রতিটি ভগ্নাংশ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সকলের একটি সামষ্টিক দায়িত্ব রয়েছে। অনুদান এবং ছাড়যোগ্য ঋণ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ একত্রিত করার গ্লোবাল গেটওয়ের লক্ষ্য রয়েছে।’
জার্মানির রাষ্ট্রদূত অচিম ট্রস্টার বলেন, ‘জ্বালানি নিরাপত্তা বাংলাদেশ এবং জার্মানি উভয়ের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশ একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই, নিরাপদ এবং স্থিতিস্থাপক উপায়ে তার জ্বালানি চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।’
আরও পড়ুন: চার দিনব্যাপী জাতিসংঘ ক্লাইমেট অ্যাডাপশন এক্সপোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
নেদারল্যান্ডস কিংডমের দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স থিজ ওয়াউডস্ট্রা বলেন, ‘আমি সত্যিই আনন্দিত যে, পোশাক শিল্প ডিকার্বনাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এবং জাতীয় ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট বিবেচনা করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে টেকসই এবং সার্কুলার টেক্সটাইলকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে জ্ঞান ভাগাভাগির কাজটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি বাংলাদেশের পোশাক খাত এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আশাবাদী।’
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আপনি পৃথিবীর প্রতি যত্নবান, আপনি দেশের প্রতি যত্নবান। এবং এই কারণেই আপনি আজ এখানে আছেন। আপনারা সবাই আমার অনুপ্রেরণা। ক্লাইমেট অ্যাকশন কোন বোঝা নয়, বরং উদ্যোক্তাদের জন্য এটি একটি ব্যবসায়িক সুযোগ।’
তিনি বলেন, আপনারা সবাই বাংলাদেশকে ভালোবাসেন এবং এ দেশ থেকে দারিদ্র্য ও দুর্যোগ দূর করতে চান। সস্তা শ্রম বাংলাদেশের জন্য এখন আর প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা নয়। উদ্যোক্তা হিসেবে আমরা যদি আমাদের ক্রেতাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জন না করি, তাহলে আমরা সফল হতে পারব না। লক্ষ্য অর্জনের জন্য, উৎপাদনকারীদের আরও সামষ্ঠিক দায়িত্ব নিতে হবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সমর্থন প্রয়োজন।’
গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাসমূহ যেমন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিপিএমআই), বাংলাদেশে ডেনমার্ক, ফ্রান্স, ও সুইডেন দূতাবাস, আইএলও, লডস ফাউন্ডেশন, অক্সফাম বাংলাদেশ, এবং ইউএসএআইডি বাংলাদেশ ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরামে’ একত্রিত হয়।
তাছাড়া বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আর্মস্ট্রং ফ্লুইড টেকনোলজি, ফোর্বস মার্শাল, গ্রান্ট থর্নটন ভারত এলএলপি, ইলুকুম্বুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন (প্রাইভেট) লিমিটেড এবং জিনকো সোলারের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় আয়োজন করা হয় ’ইন্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ’।
পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে তিন শতাধিক প্রকৌশলী এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাসটেইনেবিলিটি এবং ডিকার্বনাইজেশন বাস্তবায়নে ব্যবহারিক জ্ঞান ও কৌশলসমূহ আয়ত্ত করার সুযোগ লাভ করেন।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সংক্রান্ত উদ্যোগ ও কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন, নেতৃত্ব, সহযোগিতা এবং সকলের জন্য একটি টেকসই, কম কার্বন ভবিষ্যতের জন্য ভিত্তি স্থাপন করা বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরামের অন্যতম লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড পেলেন শেখ হাসিনা
২০৭ দিন আগে
সাইবার সিকিউরিটি এখন বর্ডার সিকিউরিটির মতোই গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি এখন বর্ডার সিকিউরিটির মতোই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলরকে ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট অফিসের দুর্নাম দূর করতে কর্মকর্তাদের প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
সভার শুরুতেই বিসিসির কার্যক্রম সম্পর্কে উপদেষ্টাকে জানানো হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের যে নীতি ও আদর্শ রয়েছে সেটা সামনে রেখেই নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে কর্মকর্তারা বলেন, এরইমধ্যে একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুজন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়েছে। ডিভিশন থেকে সব প্রকল্প পর্যালোচনার জন্য একটি টেকনিক্যাল কমিটি করা হয়েছে এবং কার্যক্রম চালানো আছে।
এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে জটিলতার কথাও উল্লেখ করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কর্মকর্তারা।
উপদেষ্টা বলেন, অভিযোগ তদন্তের বিভিন্ন কমিটির কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে চালিয়ে যেতে হবে। প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এ সভায় আরও ছিলেন তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীসহ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
২২৩ দিন আগে
এখন বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়: রানা ফ্লাওয়ার্স
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেছেন, ‘এখন বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশু, তরুণ ও তাদের পরিবারগুলোর কথা আমার মনে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও শিশুদের কথাও আমি মনে রেখেছি। শিশুদের অধিকার রক্ষার প্রতি অঙ্গীকার ও ভালোবাসা থেকেই ইউনিসেফ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে।’
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে তার পরিচয়পত্র উপস্থাপনকালে এসব বলেন।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে ৩২ শিশু নিহতের বিষয়ে ইউনিসেফের বিবৃতির জবাব দিল সরকার
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি প্রত্যেক শিশু ও তরুণেরই রয়েছে মর্যাদা ও অপার সম্ভাবনা। এ বিশ্বাস থেকেই আমাদের প্রতিদিনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সরকার, বেসরকারি খাত ও ইউনিসেফের দীর্ঘ দিনের অংশীজনদের সঙ্গে হাতে হাত রেখে এগিয়ে চলা এবং শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে এখনও অনেক কিছু করার রয়েছে। রয়েছে চমৎকার আরও অনেক কাজের সুযোগ।’
রানা ফ্লাওয়ার্স আরও বলেন, ‘নতুন প্রতিনিধির নেতৃত্বে ইউনিসেফ, তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের জন্য করণীয়গুলো নির্ধারণ ও সেগুলো বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করবে। ইউনিসেফ তার চলমান উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পাশাপাশি সমান তালে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। প্রত্যেক শিশুই গুরুত্বপূর্ণ, সেকারণে শরণার্থী শিবিরগুলোতে শিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষার প্রতি ইউনিসেফ তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। এছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সবার জন্য একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশের শিশু ও তরুণেরা যে আহ্বান রেখেছে, তাতে আমি অনুপ্রাণিত। আমরা তাদের কথা শুনছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ঝুঁকিতে ২০ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
তিনি বলেন, ‘ইউনিসেফের পক্ষ থেকে আমি অঙ্গীকার করছি যে, আমার টিম শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সহায়তায় সব কিছু করবে। যাতে প্রতিটি শিশু বেঁচে থাকতে পারে এবং এমন একটি পরিবেশে তারা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায় যেখানে সহিংসতা থাকবে না, থাকবে সমৃদ্ধি ও সবার জন্য সমান সুযোগ।’
এসময় বাংলাদেশে প্রতিটি শিশুর অধিকার রক্ষায় ইউনিসেফের জোরালো সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি। তিনি শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি, পানি ও শিশু অধিকার সুরক্ষাসহ সামাজিক সেবাসমূহের মানোন্নয়নে ইউনিসেফের কর্মতৎপরতায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তিনি জলবায়ু সংকট, কিশোর বিচার ব্যবস্থা ও তরুণদের ভালো কাজ পাওয়ার জন্য দক্ষ করে গড়ে তুলতে দিকনির্দেশনা দেবেন। এছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চারের মতো ক্ষেত্রগুলোতেও পরিবর্তন আনার জন্য দিকনির্দেশনা দেবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৭ লাখ ৭২ হাজারের বেশি শিশু ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনিসেফ
ফ্লাওয়ার্স অস্ট্রেলিয়ার একজন নাগরিক। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন, শিশু উন্নয়ন ও পলিসি অ্যাডভোকেসিতে ৩৫ বছরের বেশি কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তিনি চীন, কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া ও বেলিজে ইউনিসেফের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২৪৩ দিন আগে
‘কানেক্টিভিটির এই পৃথিবীতে ট্রাভেল এজেন্টদের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, কানেক্টিভিটির এই পৃথিবীতে ট্রাভেল এজেন্টদের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ট্রাভেল এজেন্টরা কানেক্টিভিটি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে তারা মানুষের যোগাযোগ করিয়ে দেয়। সুতরাং ট্রাভেল এজেন্টদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিমানের অগ্রগতিতে যারাই বাধা সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: পর্যটনমন্ত্রী
রবিবার (১৪ জুলাই) অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউশনের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো গ্রাহক যাতে প্রতারিত না হয়, বিদেশে যেতে কোনো সমস্যায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শুধু নিজেরা সৎ থাকলেই হবে না। অন্য কোনো ট্রাভেল এজেন্টও যাতে গ্রাহকদের কোনো প্রকার হয়রানি না করতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে সবার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো জনগণের সেবা নিশ্চিত করা। জনগণের সেবার কাজে ট্রাভেল এজেন্টরা আমাদের সহযোগিতা করছেন, সমর্থন করছেন। আপনারা আপনাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। সরকার আপনাদেরকে সর্বোতভাবে পলিসি সাপোর্ট দেবেন।’
ফারুক খান বলেন, ‘পর্যটন খাতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা তৈরির পাশাপাশি প্রশিক্ষণার্থীদের ভাষাগত দক্ষতা তৈরির দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে তারা পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় কাজ করার জন্য উপযুক্ত হিসেবে গড়ে ওঠে।’
তিনি বলেন, ‘পর্যটন শিল্পে দক্ষ জনবল তৈরি করার জন্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশে একটি ট্যুরিজম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার পরিকল্পনাও আমাদের আছে। আমরা আশা করি আমাদের এই উদ্যোগকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পর্যটনের সব অংশীজন আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে নিয়ে প্রায়ই নানা অনিয়ম ও অভিযোগের কথা শোনা যায়। সবাইকেই নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। অন্যথায় নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের মহাসচিব আসফিয়া জান্নাত সালেহর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, আটাবের প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম আরেফ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে: বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী
পর্যটন কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে: পর্যটনমন্ত্রী
২৯৪ দিন আগে
এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশ কোনদিকে যায় তা গুরুত্বপূর্ণ: ফরাসি রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই বলেছেন, বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। বিশ্বের এ অংশের স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশ কোন দিকে যায় তা গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ফ্রান্স আগ্রহী।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসে ফান্সের জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন,“অনেক বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক মনে করেন সম্পূর্ণরূপে বাণিজ্যিক কারণে ফ্রান্সের এ সম্পর্ক উন্নয়নের আগ্রহ। তারা তথাকথিত 'এয়ারবাস চুক্তি' ও অন্যান্য বাণিজ্যিক বিষয় উল্লেখ করতে চান। অবশ্যই, তারা ভুল - এবং আমাদের প্রতিযোগীদের মাধ্যমে তারা পক্ষপাতদুষ্ট (হাসি)।”
রাষ্ট্রদূত বলেন, গত কয়েক মাস তাকে অনেকবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে কেন ফ্রান্স বাংলাদেশের মতো একটি দেশের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায়; যেখানে এই অঞ্চলে ফ্রান্সের এরই মধ্যে শক্তিশালী কৌশলগত অংশীদার রয়েছে।
আরও পড়ুন: কসমস অ্যাতেলিয়ার ৭১ পরিদর্শন করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অনুষ্ঠানে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক মেলবন্ধন ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কৌশলগত ক্ষমতা অর্জনে সমর্থনের আগ্রহ আছে আমাদের। গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে প্রেসিডেন্ট মাখোঁর লেখা চিঠিতেও তা স্মরণ করিয়ে দেন।’
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কিন্তু এটা সত্য যে, আমাদের বর্তমান পৃথিবী অবাঞ্ছিত উন্নয়নের নাট্যমঞ্চে পরিণত হয়েছে। এক সময় এটি খুব হতাশাজনক হতে পারে। সংঘাতপূর্ণ এলাকার সংখ্যাবৃদ্ধি, জনপ্রিয়তা ও উদারনীতিবাদের উত্থান, এসবই গুজবের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলে।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তরুণরা দৃঢ়ভাবে কাজ করছে: রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই
২৯৭ দিন আগে
দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। দীর্ঘদিনের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন খাতে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে কোরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
রবিবার (৭ জুলাই) মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে রেলপথমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘সৈয়দপুরে আমাদের একটি রেলওয়ে কারখানা রয়েছে এবং রাজবাড়ীতে আরেকটি আধুনিক রেলওয়ে কারখানা নির্মাণ করা হবে। রেলওয়েতে আমরা নতুন কোচ, ইঞ্জিন সংগ্রহ করছি। নতুন নতুন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে, ব্রিজ নির্মাণ ও সংস্কার করা হচ্ছে। সিগনালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে দক্ষিণ কোরিয়া এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা পুরো বাংলাদেশকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছি। রেলখাতের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি।’
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, ‘কোরিয়া বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী। আশা করি, রেলখাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়বে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বিএনপির আমলে বন্ধ হওয়া রেললাইন আজ সচল হয়েছে: রেলপথমন্ত্রী
ট্রেন বন্ধ রেখে বাস মালিকদের সুবিধা দেওয়া বিকৃত মানসিকতার পরিচয়: রেলপথমন্ত্রী
৩০১ দিন আগে
পরিবেশ সংরক্ষণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ সংরক্ষণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, তাই পরিবেশ দূষণ রোধ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করার পর পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বৃক্ষরোপণের জায়গা নির্ধারণে স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও সড়ক মহাসড়ক নির্মাণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সহযোগিতায় দূষণকারী পরিবহন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। এজন্য জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার সঙ্গে স্বাস্থ্য বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করব সে বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে তার অফিস কক্ষে আলোচনা করা হয়েছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন রকমের পরিবেশ দূষণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যাত্রা, বাউল গান, কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দূষণ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বৈঠকগুলোতে পরিবেশমন্ত্রী পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয়মূলক পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা একসঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশের পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে চাই। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ে ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারিত থাকবে যার সঙ্গে সমন্বয় করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো থেকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সংশ্লিষ্ট অন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও বৈঠক করা হবে।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
দেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৩১৯ দিন আগে
পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে তরুণদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে তরুণেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ।
তিনি আরও বলেন, টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তরুণদের ভূমিকার ওপর জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র: পরিবেশমন্ত্রী
শুক্রবার (১৭ মে) বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৪ উদযাপনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবেশ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ‘প্রকৃতি ও পরিবেশ’ প্রতিপাদ্যের ওপর শিশু-কিশোর চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়।
এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের শিল্পের মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, শিল্পকর্মগুলো প্রকৃতির গুরুত্ব এবং আমাদের পরিবেশ রক্ষার জরুরি প্রয়োজন তুলে ধরেছে।
চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় চারটি গ্রুপে- ক গ্রুপে অনূর্ধ্ব ৮ বছর; খ গ্রুপে ৮ থেকে অনূর্ধ্ব ১২ বছর; গ গ্রুপে ১২ থেকে অনূর্ধ্ব ১৬ বছর এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন গ্রুপে অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করে।
চারটি গ্রুপের প্রতি গ্রুপে তিনজন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
আগামী ২১ মে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নোটিশ বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বিজয়ী প্রতিযোগীদের নাম প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও বিজয়ীদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হবে।
প্রতিযোগিতায় শিশু-কিশোরদের আঁকা ছবিগুলোর মূল্যায়নে ছিলেন- পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. ছিদ্দিকুর রহমান, বরেণ্য চিত্রশিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক আলভী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম এবং শিল্পকলা একাডেমির উপপরিচালক খন্দকার রেজাউল হাশেম।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন পরিচালক রাজিনারা বেগমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
উন্নত বিশ্বকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর দিকে মনোযোগ দিতে পরিবেশমন্ত্রীর আহ্বান
৩৫২ দিন আগে
সমৃদ্ধ শেয়ারবাজার গড়তে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: ডিএসই চেয়ারম্যান
সমৃদ্ধ শেয়ারবাজার গড়তে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের অন্যতম স্টেকহোল্ডার হলো মার্চেন্ট ব্যাংক৷ শেয়ারবাজারের টেকসই উন্নয়নে ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো, সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মধ্যে সমন্বয় এবং বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়ানো মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর অন্যতম প্রধান কাজ৷
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজার পরিস্থিতি অনুকূলে নয়। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে বোঝা যায়, বাজারে অর্থের জোগান কম ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজার উন্নয়নে সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার নির্দেশ দিয়েছেন যা এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যা এরইমধ্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ ও সাহস জোগাচ্ছে৷ মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ব্যাপক ভূমিকা পালনের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর সুদূর প্রসারী দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন সম্ভব৷’
আরও পড়ুন: ডিএসইর নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের যোগদান
মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুনের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের কমিটির সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন৷
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খায়রুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা৷
ডিএসই চেয়ারম্যান আরও বলেন, উন্নত দেশের পুঁজিবাজার সে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অন্যান্য দেশে দেখা যায় সে দেশের মানি মার্কেট যতটা সাপোর্ট দেয় পুঁজিবাজারও ততটুকুও সাপোর্ট দেয়। আমরা সব সময় বলে আসছি যে পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ না করলে পুঁজিবাজার সাসটেইনেবল হবে না। এখানে দুই তিন বছরের জন্য আসলেই বাজার ভালো হবে না। আপনারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু আমাদের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এখানে এসে পরের দিনই লাভ তুলতে চান। আর এ কারণেই বড় পতন হয়। সে যায়গাতে আপনাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা চাই আপনারা এ যায়গায় কাজ করবেন।
ড. হাসান বাবু আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজকে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত করার কথা বলেছে। প্রধানমন্ত্রীর কিন্তু সব যায়গাতে নজর রয়েছে। কোম্পানির আইপিও তালিকাভুক্ত করার আইনে কিছু সমস্যা আছে যেগুলো সংস্কার করতে হবে। তবে সংস্কার করতে গিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয় আপনার এমন কিছু করবেন না। আমি সব সময় বলে আসছি, সামনেও বলব যে তালিকাভুক্ত ও তালিকা বহির্ভূত কোম্পানির মধ্যে করের উল্লেখযোগ্য ব্যবধান না করা গেলে ভালো কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত করা যাবে না। আর শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠান নয় বাংলাদেশে যেসব গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে সেগুলোও তালিকাভুক্তিতে কাজ করতে হবে।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি তথা ভালো কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করার পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান কাজ হচ্ছে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা। যা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করে। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট ইস্যু নিয়ে কথা বলতে হবে। নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তিনি সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। বাজার উন্নয়নে যদি ডিএসই, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ডিবিএ একসাথে কাজ করে তাহলে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এছাড়া অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাজার উন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে দ্বৈত কর, গুণগত মানসম্পন্ন আইপিও আনা, আইপিও প্রাইসিং সিস্টেম, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, মার্জার একুইজেশন, পলিসিগত প্রতিবন্ধকতা, ঘন ঘন আইন-কানুন পরিবর্তন না করা, কাট-অফ মূল্যের অধিক মূল্যে বিডকারীদের প্রোরাটার ভিত্তিতে সিকিউরিটিজ প্রদান, আইপিওর কোটা ও লক-ইন পিরিডের কিছু সংশোধনী আনা, সিকিউরিটিজ ভ্যালুয়েশনের ক্ষেত্রে মার্কেট অ্যাপ্রোচ ও ইনকাম অ্যাপ্রোচ মেথড অনুসরণ করা, বিডিংয়ের সম্মতি পাওয়ার পরই রোড-শোর আয়োজন করা, মার্জিন ঋণের আইনে কিছু পরিবর্তন আনা, গবেষণায় জোর দেয়া ইত্যাদি বিষয় অন্যতম।
আরও পড়ুন: ক্রান্তিকাল পেরিয়ে সম্ভাবনার পথে শেয়ারবাজার: ডিএসইর চেয়ারম্যান
শেয়ারবাজারে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনের জন্য নতুন ডাটা সেন্টার চালু ডিএসইর
৩৫৫ দিন আগে