বিজেপি
ভারত সফরে বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ
ভারতে তিন দিনের সরকারি সফরকালে প্রবীণ বিজেপি নেতা ও ভারত রত্ন লালকৃষ্ণ আদভানির বাসভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম বৈঠকের তিনটি ছবি প্রকাশ করলেও বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।
১৯৮০ সাল থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লালকৃষ্ণ আদভানি। প্রায় তিন দশক ধরে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন রয়েছে তার।
তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপপ্রধানমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার নয়া দিল্লি যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকেই প্রথম ‘সম্মানিত’ অতিথি হিসেবে স্বাগত জানায় ভারতীয় উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল।
এছাড়া ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, 'আমাদের অন্যতম মূল্যবান অংশীদারের এই সফর বাংলাদেশ-ভারত ঘনিষ্ঠ ও গভীর বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও জোরদার করবে।’
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরপর তিন মেয়াদে- ১৯৫২, ১৯৫৭ ও ১৯৬২ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হন জওহরলাল নেহরু। এবার ৭৩ বছর বয়সী মোদিও পরপর তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার রাত ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার দিল্লি যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
৪ মাস আগে
টানা তৃতীয়বার জয়ের দাবি মোদির, তবে সরকার গঠনে লাগবে জোট শরিকদের
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএর সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত নির্বাচনের তুলনায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার কাছে বেশ কিছু আসন হারানোর পরও টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পথে মোদি।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পেছনে গত মেয়াদে তার শাসনামলে ভারতের মিশ্র অর্থনৈতিক রেকর্ড ও রাজনৈতিক মেরুকরণের মতো বিষয়গুলো প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
মঙ্গলবার ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমর্থকদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘আজকের এই জয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের জয়। নির্বাচনে ভারতের ভোটাররা বিজেপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোটের প্রতি অগাধ আস্থার প্রকাশ ঘটিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভারতের নির্বাচনে ভোটদানের বিশ্ব রেকর্ড, বিস্ময়কর বললেন সিইসি
দেশটির নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফল অনুসারে, মোদির এনডিএ জোট ২৯৪ আসনে জয়লাভ করেছে, যেখানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। তবে গতবারের তুলনায় এই সংখ্যা নিতান্তই কম। অন্যদিকে, বিজেপির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩২ আসন।
শুধু বিজেপি নেতারা জিতেছেন ২৪০টি আসনে। এর ফলে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠা অর্জনে ব্যর্থ হলো দলটি। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও ৩০৩ সিট পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও চাইলে শুধু তারাই সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করে বিজিপি।
২৭২ আসন না পাওয়ায় এবার আর এককভাবে সরকার গঠনের দিকে যেতে পারছে না দলটি। জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে মোদির।
ফল ঘোষণার আগে মোদি জানিয়েছিলেন, তার দলের ৩৭০ আসনে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে এবং জোট শরিকরা আরও ৩০টি আসনে জিততে পারে। তবে ঘোষণার পর বিজেপির জন্য এটি বিপর্যয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ভারতীয় ভোটারদের আর সহজভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। চাকরি ও দেশের অর্থনীতি যে গুরুত্বপূর্ণ, ভোটাররা তার ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের ফল থেকে এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে, চাকরি নাগরিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি জনসভায় 'অনুপ্রবেশকারী' বলায় মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ মোদির বিরুদ্ধে
কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস-এর দক্ষিণ এশিয়া প্রোগ্রামের পরিচালক মিলান বৈষ্ণব বলেছেন, জোট শরিকদের সদিচ্ছার ওপর এখন ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হবে মোদিকে। যেকোনো নীতি নির্ধারণ, এমনকি সরকার গঠনের ক্ষেত্রেও তারা বড় সুবিধা চাইবে।
দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে প্রতাপ ভানু মেহতা নামের এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার বলেছেন, ভোটের ফলাফল মোদির কর্তৃত্বকে দমন করেছে। তিনি নিজেই নিজের জন্য এই অবস্থান তৈরি করেছেন। আজ থেকে তিনি শুধুই একজন রাজনীতিক, জনগণ তার ক্ষমতা খর্ব করেছে।
সাত ধাপে ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা দীর্ঘ এ ভোট কর্মযজ্ঞে ভারতের ৬৪ কোটির বেশি ভোটার তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করেন।
‘বিজেপির পতনের’ এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর কংগ্রেস দাবি করেছে, এটি মোদির নৈতিক ও রাজনৈতিক পতন। আর এটাই তাদের জয়।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি জনতার জয়, গণতন্ত্রের জয়।’
তৃতীয়বার সরকার গঠন করে ভারতের অর্থনীতিকে বর্তমানের পঞ্চম অবস্থান থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদন বাড়ানো, যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, রপ্তানি বৃদ্ধি ও কৃষকদের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী এ বিজেপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘বড় বড় সিদ্ধান্তের একটি নতুন অধ্যায় দেখবে দেশ। এটি মোদির গ্যারান্টি।’
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর পর প্রথম কোনো নেতা হিসেবে টানা তৃতীয়বার দেশ শাসন করতে চলেছেন মোদি। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে ৩০ বছর ধরে জোট সরকারে শাসিত হয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন: সিপিএ নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী শেখ হাসিনা-মোদি
৪ মাস আগে
বৃহত্তর স্বার্থে আ. লীগের সঙ্গে কাজ করবে বিজেপি: জে পি নাড্ডা
ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেছেন, বিজেপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বৃহত্তর স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করবে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির একটি ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আগামী দিনে দলীয় পর্যায়ে যোগাযোগ জোরদার করে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
সোমবার (৭ আগস্ট) নয়াদিল্লিতে তার বাসভবনে পাঁচ সদস্যের আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে জে পি নাড্ডা এসব কথা বলেন।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ মিশন জানায়, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং সংসদ সদস্য আরমা দত্ত ও অধ্যাপক মেরিনা জাহান বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে তারা এ অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জঙ্গিবাদ দমন এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
এসময় নাড্ডা বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের একটি ঐতিহাসিক ও মানসিক সম্পর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে: নির্বাচন প্রসঙ্গে এমইএ মুখপাত্র
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানসমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়াদে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘস্থায়ী বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমানা ও সমুদ্রসীমা বিরোধ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সংকট দুই প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদে সমাধান করা হয়েছে।
বিজেপি সভাপতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সক্রিয় উদ্যোগের কারণে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সংকট সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ অঞ্চলে দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। যা এখন অন্যান্য দেশের কাছে উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকটি ‘অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে’ অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, তারা বিজেপি সভাপতির সঙ্গে অনেক বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিজেপি খুব ভালো সম্পর্ক উপভোগ করছে এবং আমরা দুই দল সরকারি পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধান করছি।’
ভবিষ্যতেও এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে বিজেপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তড়ে এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান ড. আব্দুর রাজ্জাক তাদের নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে তারা দুই দলের পাশাপাশি দুই দেশের উন্নয়নের জন্য প্রতিনিধি পর্যায়ের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে দলীয় পর্যায়ে সম্পর্ক আরও জোরদার করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
পরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শঙ্করের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ৩ দিনের ভারত সফরে যাচ্ছে
১ বছর আগে
‘নবান্ন চলো’ থেকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু, লকেট, রাহুল আটক
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ‘দুর্নীতি’ বিরোধী মিছিল ‘নবান্ন চলো’ থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় শুভেন্দু ছাড়াও বিজেপির এমপি লকেট চ্যাটার্জি ও রাহুল সিনহাসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
মঙ্গলবার কলকাতার হেস্টিংস থেকে এই বিজেপি নেতাদের আটক করা হয় বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই-এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে লালবাজারে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
আটকের আগে শুভেন্দু গণমাধ্যমকে জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের সমর্থন হারিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে উত্তর কোরিয়ায় পরিণত করেছেন।
তিনি ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইকে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রতি তার জনগণের সমর্থন নেই এবং তাই তিনি বাংলায় উত্তর কোরিয়ার মতো স্বৈরাচার প্রয়োগ করছেন। সোমবার থেকে পুলিশ যা করছে তার মূল্য দিতে হবে। বিজেপি আসছে।’
বিজেপির নবান্ন চলো মিছিলের আগে কলকাতার হেস্টিংসে রাজ্য সরকারের নতুন সচিবালয়ের কাছে পুলিশ ভারী ব্যারিকেড দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়লা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তদন্ত
এ মিছিলে অংশ নিতে কলকাতায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের বহনকারী বেশ কয়েকটি বাস উত্তর ২৪ পরগনায় পুলিশ ফিরিয়ে দেয়ার অভিযোগ করে বিজেপি কর্মীরা।
এর আগে, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে অংশ নিতে কর্মীরা কলকাতায় যাওয়ার সময় রানিগঞ্জ রেলস্টেশনের বাইরে বিজেপি কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
রানিগঞ্জ থেকেও পুলিশ বিজেপির অনেক কর্মীকে আটক করে।
এছাড়াও, মিছিলে অংশ নেয়ার জন্য কলকাতায় আসতে বাধা দেয়ায় বোলপুর রেল স্টেশনের ভেতরে বিজেপি কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় আটক করা হয় বেশ কয়েকজন কর্মীকে।
বিজেপি নেতা অভিজিৎ দত্ত বলেন, ‘শতাধিক বিজেপি কর্মী ট্রেনে করে বিজেপির নবান্ন মিছিলে যোগ দিতে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল, পুলিশ রেলস্টেশনের পথে ব্যারিকেড দিয়েছে। দুর্গাপুর রেলস্টেশনের কাছে আমাদের ২০ জন কর্মীকে পুলিশ আটকে দিয়েছে। আমি অন্য পথ ব্যবহার করে এখানে পৌঁছেছি।’
এদিকে বিজেপির নবান্ন অভিযান বন্ধ করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিজেপির মিছিলকে সামনে রেখে হাওড়াতেও কড়া ব্যারিকেডিং করা হয়েছে।
কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। মিছিল ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ নবান্নের চারপাশের পাঁচ কিলোমিটার জায়গাকে ঘিরে রেখেছে।
সোমবার বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল জানান, ‘নবান্ন চলো’ অভিযানের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এটা শুধু বিজেপির প্রতিবাদ নয়, বাংলার সমস্ত মানুষের প্রতিবাদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তার সরকার কেন বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে তার জবাব দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২৪
গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
২ বছর আগে
ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
ভারতের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম উপজাতীয় হিসেবে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন ৬৪ বছর বয়সী দ্রৌপদী মুর্মু।
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সাবেক গভর্নর ও সাবেক স্কুলশিক্ষক দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেন। মুর্মুর প্রধান বিরোধী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা।
ভারতের নির্বাচন কমিশন জানায়, আগামী ২৫ জুলাই মুর্মু বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান রাম নাথ কোবিন্দের স্থলাভিষিক্ত হয়ে শপথ নেবেন।
এর আগে মঙ্গলবার ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির ভোটাধিকার প্রয়োগে যোগ্য চার হাজার ৫০০ জনের বেশি আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশেরও বেশি আইনপ্রণেতা ভোট দিয়েছেন।
ভারতে রাষ্ট্রপতি সরাসরি জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়। দেশটির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলোর বিধায়ক, লোকসভা ও রাজ্যসভার নির্বাচিত সাংসদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়। কিন্তু এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে সকল বিধায়ক ও নির্বাচিত সংসদদের ভোটের মূল্য ভিন্ন ভিন্ন হয়
বাংলাদেশের মতো ভারতীয় রাষ্ট্রপতি হলেন আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান যিনি নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেন না।
আরও পড়ুন: ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
কে এই মুর্মু?
দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালের ২৯ জুন স্বাধীন ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। মুর্মু ১৯৭৯ সালে তিনি স্নাতক শেষ করেন এবং স্কুল শিক্ষক হওয়ার আগে একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি পরবর্তীকালে পূর্ব ভারতীয় রাজ্য ওডিশার রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি প্রথমে স্থানীয় নাগরিক সংস্থার কাউন্সিলর এবং তারপর একজন বিধায়ক নির্বাচিত হন।
দুই মেয়াদের বিধায়ক ২০০০ সালে ওডিশা সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন এবং প্রায় ১৫ বছর পরে মুর্মু প্রতিবেশি পূর্ব রাজ্য ঝাড়খণ্ডের প্রথম নারী রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেন।
ব্যক্তিগত জীবনে মুর্মু তার স্বামী ও দুই ছেলেকে হারিয়েছেন। তার স্বামী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান এবং তার দুই ছেলের মধ্যে একজনকে ২০০৯ সালে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার একটি মেয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতীয় সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের সঙ্গে ভারতীয় সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
২ বছর আগে
ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন প্রথম আদিবাসী নারী রাজনীতিবিদ
ভারতের একজন আদিবাসী নারী রাজনীতিবিদ আগামী মাসে ইতিহাস রচনা করতে চলেছেন। দেশটির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সাবেক শিক্ষক দ্রৌপদী মুর্মুকে জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেছে৷
৬৪ বছর বয়সী সাবেক শিক্ষক মুর্মু পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশার বাসিন্দা। তিনি আগামী মাসে দেশটির রাষ্ট্রপতি হিসাবে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল সমূহের বিধায়ক, লোকসভা ও রাজ্যসভার নির্বাচিত সাংসদের প্রত্যক্ষ ভোট দ্বারা ভারতেররাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশের মতো ভারতীয় রাষ্ট্রপতি হলেন আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান যিনি নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেন না।
মুর্মু বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লিতে ভারতের সমস্ত আইন প্রণেতাদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সবার কাছ থেকে সহযোগিতা চাই। আমি ১৮ জুলাইয়ের আগে সকল ভোটারদের সাথে দেখা করব এবং তাদের সমর্থন চাইব।’
এর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার টুইটে বলেছেন, ‘শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু জি সমাজের সেবায় দরিদ্র ও প্রান্তিকদের ক্ষমতায়নের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
তিনি লিখেন, ‘তার সমৃদ্ধ প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি নিশ্চিত যে তিনি আমাদের জাতির একজন দুর্দান্ত রাষ্ট্রপতি হবেন।’
পড়ুন: ভারতে এতো ঝামেলা হচ্ছে কেন?
কে এই রাজনীতিবিদ?
১৯৫৮ সালের ২০ জুন দ্রৌপদী মুর্মু জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে স্নাতক শেষ করেন এবং স্কুল শিক্ষক হওয়ার আগে একজন সরকারি কর্মচারী হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
পরবর্তীতে তিনি ওড়িশার রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। প্রথমে স্থানীয় নাগরিক সংস্থার কাউন্সিলর এবং পরে রাজ্য বিধায়ক হন।
দুই মেয়াদের বিজেপি বিধায়ক ২০০০ সালে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী হন। এর প্রায় ১৫ বছর পর মুর্মু ২০১৫ সালের মে থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত পূর্ব ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে মুর্মু তার স্বামী এবং তাদের দুই ছেলেকে হারিয়েছেন। তার একটি মেয়ে রয়েছে।
নির্বাচিত হলে মুর্মু বর্তমান রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আগামী ২৪ জুলাই রাম নাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হবে।
পড়ুন: সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের জিরো-টলারেন্স নীতির প্রশংসা ভারতের
২ বছর আগে
মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: সারাদেশে বিক্ষোভ-মিছিল
ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির দুই নেতার নবী মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জুমার নামাজের পর ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে কয়েক হাজার মুসল্লি রাস্তায় নেমে আসে এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে কাকরাইলের নাইটিংগেল পর্যন্ত মিছিল করে।
এর মধ্যে একটি সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সমাবেশ ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতারা নবী মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটুক্তির প্রতিবাদে আগামী ১৬ জুন ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও ও স্মারকলিপি পেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন নেতারা।
কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম পীর চরমোনাই।
তিনি এ ঘটনায় বর্তমান সংসদের অধিবেশনে একটি নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ এবং ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদ জানানোর দাবি জানান।
ফয়জুল করীম বলেন, নয়াদিল্লি যদি বিজেপির অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয় তবে তাদের দল ১৬ জুন বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে একটি গণমিছিল করবে।
পড়ুন: মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: ভারতে মুসলমানদের ব্যাপক বিক্ষোভ
২ বছর আগে
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মানিক সাহা
ডেন্টাল সার্জন থেকে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা এবং ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি মানিক সাহা রবিবার রাজ্যের ১২তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
এর আগে শনিবার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা যায়, সাহা একাই শপথ নেবেন, নাকি তার সঙ্গে অন্য কোনো নতুন মন্ত্রী শপথ নেবেন; তা দলীয় সূত্র এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি।
৬৯ বছর বয়সী সাহা গত ৩১ মার্চ রাজ্যসভায় ত্রিপুরার একমাত্র আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং শনিবার বিজেপির আইনসভায় দলের নেতা হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যের সঙ্গে দেখা করে একটি চিঠি দিয়ে সরকার গঠনের দাবি করেন।
দুই কন্যার জনক সাহাকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিধানসভায় নির্বাচিত হতে হবে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ভবনে আগুন, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯
সাহা ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ এবং আগরতলার বি.আর. আম্বেদকর মেমোরিয়াল টিচিং হাসপাতালের অধ্যাপক। সেইসঙ্গে ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। তিনি ২০১৫ সালে বিজেপিতে যোগ দেন।
২০২১ সালে সাহা বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী দেবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ত্রিপুরা বিজেপি প্রদেশ কমিটির সভাপতি হন।
আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ৬০ সদস্যের ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পরে সাবেক রাজ্য বিজেপির সভাপতি দেব বলেন, দলের স্বার্থে এবং আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের কথা বিবেচনা করে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১৮ সালে বিজেপি-আইপিএফটি জোট ক্ষমতায় আসে এবং বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী হন।
আরও পড়ুন: গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলো ভারত
দিল্লিতে ভবনে আগুন লেগে ২৬ জন নিহত
২ বছর আগে
ভারতের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিশাল জয়
ক্ষমতা বিরোধী ও সমালোচকদের সমালোচনা ভুল প্রমাণ করে বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করলো। গত মাসে নির্বাচনে যাওয়া পাঁচটি ভারতীয় রাজ্যের মধ্যে চারটিতে ক্ষমতা ধরে রেখেছে ক্ষমতাসীন এই দলটি।
ভারতের বৃহত্তম ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তর প্রদেশে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে জয়লাভের পাশাপাশি উত্তরাখন্ড, গোয়া ও মণিপুর রাজ্যেও জয় নিশ্চিত করেছে মোদীর দল।
উত্তরপ্রদেশে সন্ন্যাসী থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপি টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে।
আরও পড়ুন: কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হলো ইউক্রেন-রাশিয়া বৈঠক
তবে উত্তর ভারতের পাঞ্জাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আম আদমি পার্টির (এএপি) জয় হয়েছে।
ভারতের নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত সর্বশেষ ফলাফল অনুসারে, ৪০৩ সদস্যের বিধানসভায় ২৫০ সদস্য অতিক্রম করেছে বিজেপি। অন্যদিকে তরুণ নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বে সমাজবাদী পার্টি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে সাতটি ধাপে ফেব্রুয়ারি ১০, ১৪, ২০, ২৩, ২৭ এবং ৩, ৭ মার্চ করোনা সুরক্ষা মেনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২৪ সালে ভারতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আব্রামোভিচসহ ৭ রুশ নাগরিকের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা
২ বছর আগে
উত্তর প্রদেশে এগিয়ে মোদির বিজেপি
ভারতের বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বড় ব্যবধানে এগিয়েছে রয়েছে। এই নির্বাচনকে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে সেমিফাইনাল হিসাবে মনে করা হচ্ছে।
প্রাথমিক হিসাবে দেখা গেছে, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বে রাজ্যের প্রধান বিরোধী সমাজবাদী পার্টির চেয়ে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি অনেক এগিয়ে।
বিধানসভায় ৪০৩ আসনের মধ্যে বিজেপি ২২০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
চূড়ান্ত ফলাফল আজই ঘোষণার কথা রয়েছে।
এর আগে করোনার বিধিনিষেধ মেনে উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে জয় প্রধানমন্ত্রী মোদির তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার জন্য একটি বড় উপলক্ষ হতে পারে। ২০২৪ সালে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর প্রদেশে ভোটগ্রহণ শুরু
২ বছর আগে