ভারতের একজন আদিবাসী নারী রাজনীতিবিদ আগামী মাসে ইতিহাস রচনা করতে চলেছেন। দেশটির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সাবেক শিক্ষক দ্রৌপদী মুর্মুকে জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেছে৷
৬৪ বছর বয়সী সাবেক শিক্ষক মুর্মু পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশার বাসিন্দা। তিনি আগামী মাসে দেশটির রাষ্ট্রপতি হিসাবে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল সমূহের বিধায়ক, লোকসভা ও রাজ্যসভার নির্বাচিত সাংসদের প্রত্যক্ষ ভোট দ্বারা ভারতেররাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশের মতো ভারতীয় রাষ্ট্রপতি হলেন আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান যিনি নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেন না।
মুর্মু বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লিতে ভারতের সমস্ত আইন প্রণেতাদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সবার কাছ থেকে সহযোগিতা চাই। আমি ১৮ জুলাইয়ের আগে সকল ভোটারদের সাথে দেখা করব এবং তাদের সমর্থন চাইব।’
এর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার টুইটে বলেছেন, ‘শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু জি সমাজের সেবায় দরিদ্র ও প্রান্তিকদের ক্ষমতায়নের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
তিনি লিখেন, ‘তার সমৃদ্ধ প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি নিশ্চিত যে তিনি আমাদের জাতির একজন দুর্দান্ত রাষ্ট্রপতি হবেন।’
পড়ুন: ভারতে এতো ঝামেলা হচ্ছে কেন?
কে এই রাজনীতিবিদ?
১৯৫৮ সালের ২০ জুন দ্রৌপদী মুর্মু জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে স্নাতক শেষ করেন এবং স্কুল শিক্ষক হওয়ার আগে একজন সরকারি কর্মচারী হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
পরবর্তীতে তিনি ওড়িশার রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। প্রথমে স্থানীয় নাগরিক সংস্থার কাউন্সিলর এবং পরে রাজ্য বিধায়ক হন।
দুই মেয়াদের বিজেপি বিধায়ক ২০০০ সালে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী হন। এর প্রায় ১৫ বছর পর মুর্মু ২০১৫ সালের মে থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত পূর্ব ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে মুর্মু তার স্বামী এবং তাদের দুই ছেলেকে হারিয়েছেন। তার একটি মেয়ে রয়েছে।
নির্বাচিত হলে মুর্মু বর্তমান রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আগামী ২৪ জুলাই রাম নাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হবে।
পড়ুন: সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের জিরো-টলারেন্স নীতির প্রশংসা ভারতের