কাজী হাবিবুল আউয়াল
শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না: সিইসি
শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘আগের রাতে ভোটসহ যেসব কথাবার্তা হয়েছে আমরা ৯৯ নয়, শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি সেটি কোনো অবস্থাতেই হবে না। এজন্য অনেক কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ভোটের দিন সকালে যাবে।’
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রার্থী এবং পরবর্তী সময়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ব্যালট পেপার সকালে না গিয়ে ১০ দিন আগে অথবা ১০ মাস আগেও যদিও যায়, তাহলেও প্রার্থীরা তাদের পোলিং এজেন্ট দিয়ে সকালে ভোটকেন্দ্রে স্বচ্ছ বাক্সগুলো খালি কি না সেটি দেখে তারপর বাক্স বন্ধ করবেন। সেক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রে অবৈধ কোনো ব্যালট বাক্স ঢোকার সুযোগ নেই। তারপরও আমরা বিশ্বাস এবং আস্থা অর্জনের জন্য বলেছি ব্যালট পেপার সকালে পাঠাব।’ তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টরা অবশ্যই দাঁড়িয়ে থেকে দেখে নেবেন ব্যালট বাক্সগুলো খালি আছে কি না। তারা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ গণনা ও ফল ঘোষণা পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। সবকিছু সঠিকভাবে হয়েছে কি না জানবেন। যদি গণনা যথাযথভাবে শেষ হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়ে গেল।’
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির তিনি আরও বলেন, ‘আর মাঝখানে যদি কোনো পেশীশক্তির উদ্ভব ঘটে, তাহলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বলা হয়েছে তিনি ভোট বন্ধ করে দেবেন। তিনি যদি বন্ধ না করেন রিটার্নিং অফিসার অবহিত হলে তিনি বন্ধ করে দেবেন। তিনিও যদি বন্ধ না করেন, আমরা ঢাকা থেকে অবহিত হলে বন্ধ করে দেবো।’
সিইসি বলেন, ‘কথাগুলো বললাম কারণ আমাদের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে একটা অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছে, সেটি যাতে দূর হয়। আমরা নির্বাহী প্রশাসন ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি। এখানে ওসি, ইউএনও, ডিসি ও এসপিদের বক্তব্য শুনেছি। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ভালো।’
ভোট নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কতগুলো বক্তব্য আমি আরও ৬টি স্টেশনে ঘুরে শুনেছি। একটি কথা কয়েকজনে বলেছেন ভোট দিয়ে কী লাভ, ভোট তো এক জায়গায় চলে যাবে। আবার কেউ কেউ নাকি মুখে মুখেও বলেছেন, আপনারা যে যেখানে ভোট দেন, ভোট জায়গামতো চলে আসবে। আমরা বিষয়টি শুনেছি। এর মধ্যে আমরা জেনে গেছি, এটি হয়তো ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার অথবা ভ্রান্ত ধারণা। ভোট যেখানেই দেন সেখান থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, সেটি আমরা শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আয়োজনে সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ।
আরও পড়ুন: ৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
একটি ভোটও জাল হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হবে: ইসি আহসান হাবিব
১১ মাস আগে
খুলনা সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া সবার সমান সুযোগ থাকবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে; পক্ষপাতমূলক নির্বাচন হবে না।
তিনি বলেন, আমরা ইভিএমে ভোট করছি। ইভিএমের ফল পরিবর্তনের ন্যূনতম সুযোগ নেই। কোনো ভোটারকে বাধা দেওয়া যাবে না। কোনোভাবে ভোটারদের অধিকার খর্ব করা যাবে না। এছাড়া, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মডেল নির্বাচন চাই: সিইসি
মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে খুলনা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচনের সুস্থ ধারা এখনো শতভাগ ঠিক হয় নাই। আমরা নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য দিন ও রাত কাজ করে যাচ্ছি।
সিইসি গাজীপুর নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, খুলনায়ও আমরা একটা সুন্দর নির্বাচন উপহার দিব।
তিনি সকলকে নির্বাচনের আচরণ বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেউ নির্বাচনের আচরণ বিধি ভঙ্গ করলে প্রশাসন তাকে কঠোরভাবে দমন করবে।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) ও নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
এছাড়া সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
সভায় নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ১৩৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৩৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর বেশিরভাগই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্নে প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সিইসি’র
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বরিশালে সুষ্ঠু নির্বাচন চান সিইসি
১ বছর আগে
সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে আগের চেয়ে অনেক বেশি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শর্ত পূরণ হলে নিবন্ধন পেতে পারে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার
সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলেছে।
ভোটারদের কম উপস্থিতি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট দিতে কেউ বাধা দিলে আমরা দেখতাম। ভোটার কম আসাতে সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই কমিশনের।
কারণ ভোট দেয়াটা ভোটারদের অধিকার। এছাড়া সংশিষ্ট কর্মকর্তারাও যে যার দায়িত্ব পালন করেছে।
ভোটার কম আসার কারণ হিসাবে অবশ্য শৈত্যপ্রবাহ এবং প্রচন্ড শীতকে দায়ী করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে সিসিটিভি ক্যামেরা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
জেলা প্রশাসন, পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে কাজী আউয়াল বলেন, আজ অব্দি তারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে প্রতিটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করে আসছে। তাদের কাজে আমরা সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ থেকে যে কাজ করা যায় তারা সে উদহারণ তৈরি করেছে। আজকের নির্বাচনে তাই করেছে। এছাড়া ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো সংস্থা তাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সে বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করেনি।
তদন্তে দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ মেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের পাঁচ উপপরিদর্শক (এসআই), ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাসহ ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইন অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কন্ট্রোল রুম থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
আসনটিতে মোট ১৭টি ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৫টি। ভোটকক্ষ রয়েছে ৯৫২টি। মোট এক হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
গাইবান্ধার এ আসনে মোট ৩২টি চরাঞ্চল রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব ভোটকেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে আর কেন্দ্র প্রতি দুটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
জানুয়ারিতে প্রস্তাব পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব না: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
১ বছর আগে
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কোনো চাপ নেই: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বা বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো চাপ নেই।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাষ্ট্রদূতরা যে বক্তব্য দিচ্ছেন সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমার কোনো মন্তব্য নেই। তারা যে মন্তব্য দিচ্ছেন সেটি রাষ্ট্রদূত ও সরকারের বিষয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: সিদ্ধান্তের বিষয়ে অপেক্ষা করতে বললেন সিইসি
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মির্জাগঞ্জ উপজেলার জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে নির্বাচনে কোনো দলকে বাধ্য করা হচ্ছে না। আমরা নির্বাচনে সব দলকে অংশগ্রহণ করতে আহ্বান করছি। বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে নির্বাচন আরও অংশগ্রহণমূলক হবে।
এছাড়া আমরা আশাবাদী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সব বিরোধী দল অংশগ্রহণ করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবির, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিনুল আহসান, ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া গণতান্ত্রিক চর্চা গড়ে উঠবে না: সিইসি
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন: সিইসি
২ বছর আগে
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সফল ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনে দরকার সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছা ও সার্বিক সহায়তা।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছা ও সহায়তা যদি না থাকে তাহলে নির্বাচনটাকে একটা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সফল করা হয়তো সম্ভব হবে না। এছাড়া দলগুলো নিজেরা যদি ভারসাম্য তৈরি না করে তাহলে পুলিশ, মিলিটারি দিয়ে সব সময় নির্বাচন সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্যভাবে, আস্থাভাজনভাবে উঠিয়ে আনা সম্ভব হবে না।’
নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি মোটাদাগে কিছু মতৈক্য না থাকে, নির্বাচন কমিশন একটা সুন্দর নির্বাচন তুলে দিতে পারবে না। অবশ্যই দলগুলোর সহায়তা লাগবে, একটা সমঝোতা লাগবে এবং সুন্দর নির্বাচন আয়োজনে একটা অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে এবং পদ্ধতিটা স্বচ্ছ হবে তাহলেই নির্বাচনটা গ্রহণযোগ্য হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: সিদ্ধান্তের বিষয়ে অপেক্ষা করতে বললেন সিইসি
আইন সংস্কারের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সাড়া না দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এখনও সাড়া আসেনি। কিন্তু আসবে না সেটা বলছি না। আমরা একটু অপেক্ষা করি। পাঠিয়েছি, আমার বিশ্বাস সরকার সেটা পরীক্ষা-নিরিক্ষা করবে। করে যেটা যৌক্তিক, আমার মনে হয় না সরকার সেটা অগ্রাহ্য করবে। আমরা আরও কিছু দিন দেখি। তারপর সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ফের ডায়গলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেই। ডায়লগ যত করা যায় ভালো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিদ্যমান ব্যবস্থায় সরকার, আওয়ামী লীগ নয়। সরকারের একটা ভিন্ন সত্তা আছে। তার যে মিনিস্ট্রিগুলো আছে, ডিপার্টমেন্টগুলো আছে, যাদের আমাদেরকে সহায়তা করতে হবে, তাদের দিক থেকে যদি আন্তরিক সদিচ্ছা ও সহায়তা না থাকে তাহলে নির্বাচনটাকে একটা কাঙিক্ষত মাত্রায় সফল করা হয়তো সম্ভব হবে না। তাদের সহযোগিতা যদি থাকে নির্বাচনটা আরও সুন্দর ও সফল হবে। যার ফলে রাজনৈতিক নেতারা বলেছেন ডায়লগ খুব প্রয়োজন। আমরা যেটা দেখছি দলগুলোর মধ্যে ডায়লগ হচ্ছে না। এটা হওয়া খুব প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে আমরা সহায়তা প্রত্যাশা করি।
সিইসি বলেন, আমাদের এই বক্তব্যগুলো যদি গণমাধ্যমের মাধ্যমে ওনাদের কাছে যায়, ওনাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আছে ওনারাও একটু চিন্তা করবেন। রাজপথে শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে সুন্দর নির্বাচন হবে এটা বিশ্বাস করি না। এখন সব দলই বলতে চাচ্ছে, রাজপথে দেখা হবে, রাজপথে শক্তি পরীক্ষা হবে।
দলগুলোর উদ্দেশ্যে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আপনাদের নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচনের মাঠে নীতি, বিধি অনুসারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। আমি যেটার ওপর জোর দেবো সেটা হচ্ছে নির্বাচনে কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনের স্থগিত নির্বাচন নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: সিইসি
নির্বাচন কমিশন কোনো চাপে নেই: সিইসি
২ বছর আগে
দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা পরিবর্তনের আহ্বান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ব্যালটিং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে।
রবিবার ইসি ভবনে জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে সংলাপের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান ব্যবস্থায়, আমি যতই দক্ষতা দেখাই না কেন, সবার কাছে সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা খুবই কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, এটা হতাশারও, কারণ সবাই আন্তরিকভাবে নির্বাচন কমিশনারদের যথাযথ দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা করছে না।
সিইসি পথ খুঁজে বের করতে এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কর্মশালা আয়োজনেরও পরামর্শ দেন।
১৪ সদস্যের জাপা প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
ভোটের শতাংশের (আনুপাতিক নির্বাচন) ভিত্তিতে সংসদের আসন বণ্টনের প্রস্তাব করেন তিনি। দলটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতা করেছে।
সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে রাজনীতি উধাও হয়ে যাবে: সিইসি
আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হতে পারে: সিইসি
২ বছর আগে
নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রসঙ্গে সিইসির বক্তব্য আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী: টিআইবি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের ‘তলোয়ারের বিপরীতে রাইফেল বা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ানো’ বক্তব্যে বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান প্রধানের সহিংসতাকে উসকে দেয়ার শামিল এমন আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী বক্তব্যকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।
রবিবার টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে দেখা যায়, রবিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর দিনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সঙ্গে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘সব দল সহযোগিতা না করলে আমরা সেখানে ব্যর্থ হয়ে যাব। আপনাদের সমন্বিত প্রয়াস থাকবে, কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায়, আপনাকে রাইফেল বা আরেকটি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে হবে। আপনি যদি দৌড় দেন, তাহলে আমি কী করব?’
আরও পড়ুন: বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে আনার সুযোগ বাতিলের আহ্বান টিআইবির
গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন সংবাদে গভীর বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি দায়িত্বশীল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রের নির্বাচনসমূহ স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং সবার জন্য সমান ক্ষেত্র নিশ্চিত করার দায়িত্ব তার ওপর ন্যস্ত। কিন্তু নির্বাচনে সবার সহযোগিতা চাইতে গিয়ে সম্ভাব্য সহিংসতা প্রসঙ্গে তিনি যে তলোয়ারের বিপরীতে তলোয়ার বা রাইফেল ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছেন- প্রকান্তরে তা সহিংসতাকেই উসকে দেয়। এ ধরনের সহিংসতা সহায়ক বক্তব্য যে কোনো নাগরিকের জন্য যেখানে অপরাধ প্রবণতার দৃষ্টান্ত, সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে থেকে জনাব আউয়ালের এমন বক্তব্য আত্মঘাতী, অপরিণামদর্শী এবং অগ্রহণযোগ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেননা সিইসির এমন বক্তব্য নির্বাচন কেন্দ্রিক পেশী শক্তির ব্যবহার, বুথ দখল কিংবা ভোটারদের ভোট দিতে না দিয়ে জোরপূর্বক বাক্স ভরার যে অরাজকতা বিগত কয়েকটি নির্বাচনকে নামমাত্র আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত করেছে, তাকেই উৎসাহিত করার নামান্তর। টিআইবি আশা করে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার এহেন বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেবেন এবং তলোয়ারের বিপরীতে রাইফেল বা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ানোর পরামর্শটি প্রত্যাহার করে নেবেন।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনও নির্বাচন কমিশনের অঙ্গীকার হওয়া উচিত। কিন্তু নির্বাচনকালীন সহিংসতাকে রোধের নামে পাল্টা সহিংস আচরণের এই পরামর্শ সহিংসতা ঠেকাতে যথোপযুক্ত কৌশল প্রণয়নে কমিশনের ব্যর্থতাকে স্পষ্ট করে দেয়। একই সঙ্গে তা নির্বাচনের বিভিন্ন অংশীজন বা রাজনৈতিক দলগুলোকে বা তাদের ছত্রছায়ায় স্বার্থান্বেষী মহলকে সহিংসতা বেছে নিতেই উৎসাহিত করবে।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা আশা করি কমিশন এ ধরনের সহিংসতা সহায়ক প্রস্তাবের পথ পরিহার করে নির্বাচনকালীন সম্ভাব্য সহিংসতা রোধে কার্যকর কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে উদ্যোগী হবে। পাশাপাশি কোনো প্রকার সহিংসতা, বিশেষত নির্বাচনকালীন সহিংসতাকে উসকে দেয় এমন কোনো বক্তব্য দেয়া থেকে কমিশন নিজেকে বিরত রাখবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিতে আইনি সংস্কারের সুপারিশ টিআইবির
জাপানের রাষ্ট্রদূতের অভিযোগের ব্যাখা দিল টিআইবি
২ বছর আগে
নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিতে আইনি সংস্কারের সুপারিশ টিআইবির
নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষ ও স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত ভূমিকা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় আইনের সংস্কারের জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে সুপারিশমালা তুলে ধরে টিআইবি।
টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়েরসহ ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে এই সুযোগ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানায়।
বৈঠকে টিআইবির গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন কমিশনের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরে আলোচনা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচন সবার জন্য অংশগ্রহণমূলক করা, নির্বাচনে সবার জন্য সমান ক্ষেত্র নিশ্চিত করা, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং আইনি সীমাবদ্ধতা থেকে উত্তরণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতের জন্য মনিটরিং বডি প্রয়োজন: টিআইবি
বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনে সবার জন্য সমান ক্ষেত্র নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারের চরিত্র, আচরণ, আকার এবং গঠন কি হবে তা নিয়ে দেশবাসীর প্রত্যাশা এবং উদ্বেগ রয়েছে। তাই নির্বাচনকালীন সরকারের আচরণ কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্বাচন কমিশন তার সুচিন্তিত পরামর্শ দিতে পারে। একইভাবে প্রয়োজনীয় আইনের সংস্কার করার প্রস্তাবও দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। ক্ষমতাসীন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ না করেই নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ গ্রহণ করলে অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে তাদের প্রতিযোগিতার সমান ক্ষেত্র নিশ্চিতে আইন সংস্কারের প্রস্তাব রাখতে পারে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া আমাদের সুপারিশ হলো-নির্বাচনকালে তথ্য প্রকাশ যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়। গণমাধ্যমসহ দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকগণ যাতে অবাধ ও বাধাহীন পরিবেশে কার্যক্রম চালাতে পারে। নির্বাচনের সময় ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ না রাখার নিশ্চয়তা দিতে হবে। ইভিএম যেন কারিগরিভাবে নির্ভুল হয় এবং সকল অংশীজনের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তা নিশ্চিত করেই নির্বাচন কমিশন এটিকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করবে- আমাদের এই প্রত্যাশার কথাও নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে।’
ড. জামান আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এটি করার জন্য তাদের নিজস্ব বিশ্লেষণে তারা যদি মনে করেন কোনো আইন সংস্কারের প্রয়োজন, তাহলে তা প্রস্তাব করতে পারেন। কোনো আইন কিন্তু পাথরে খোদাই করে লেখা না, সংবিধানও পাথরে খোদাই করে লেখা নয়। সংবিধান এবং আইন এখন পর্যন্ত যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে, তা পরিবর্তনের মাধ্যমেই হয়েছে। কাজেই এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে যদি নির্বাচন কমিশন মনে করে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক করার স্বার্থে কোনো ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বা আইন সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে তারা সেই প্রস্তাব করবেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবেন কি-না তা পরে বিবেচনার বিষয়।’
আরও পড়ুন: বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে আনার সুযোগ বাতিলের আহ্বান টিআইবির
৩ বিদ্যুৎ প্রকল্পে জমি ক্রয়ে ৩৯০ কোটি টাকার দুর্নীতি: টিআইবি
২ বছর আগে
পেশি শক্তি ব্যবহার করে ভোটে জেতার সুযোগ নেই: সিইসি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে পেশি শক্তি ব্যবহার করে ভোটে জেতার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘যদি কোন প্রার্থী পেশি শক্তি ব্যবহার করে বিজয়ী হওয়ার চেষ্টা করেন, সেটা হবে চরম ভুল। আমরা প্রয়োজনে নির্বাচন বন্ধ করে দেব। আমাদের পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য থাকবেন। আমরা আনন্দমুখর নির্বাচন করতে প্রস্তুত আছি। আমরা যুদ্ধ চাই না। প্রতিযোগিতা চাই।’
রবিবার (২৯ মে) জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, যদি কেউ নির্বাচনে কূট-কৌশলের আশ্রয় নিয়ে বিজয়ী হন এবং তা যদি নির্বাচনের পরে তদন্ত করে বের করা যায়, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণসহ ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের করা হবে।
আরও পড়ুন: অচিরেই বিএনপিসহ সব দলের সঙ্গে সংলাপ হবে: সিইসি
এছাড়াও কোন কারণে যদি কোন কেন্দ্রে ইভিএম নষ্ট হয়, কেউ নষ্ট করে ফেলে সেক্ষেত্রে কোন ভোটার যদি বিকাল ৪টার আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হন তাদের জন্য রাত ১টায় হলেও ভোট গ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠুভাবে গ্রহণ করার সব প্রস্তুতি আছে আমাদের, সেক্ষেত্রে কেউ যদি সুন্দর পরিবেশকে নষ্ট করার পাঁয়তারা করেন, সেক্ষেত্রে ওইসব ব্যক্তিরা নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন।
তাই কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও মেয়র প্রার্থীদের অনুরোধ করবো তারা যেন সৌহার্দ্য বজায় রেখে নির্বাচন শেষ করেন।
এসময় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন, নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম কমিশনার ফারুক আহম্মদ খান, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং অফিসার মো. শাহেদুন্নাবী চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার সক্ষমতা নেই: সিইসি
ইভিএম এখনও বুঝে উঠিনি: সিইসি
২ বছর আগে