সংবাদপত্র
সংবাদপত্র শিল্পকে জনগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি
সংবাদপত্র শিল্পকে জনগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআইর প্রেস ও মিডিয়া বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি।
এছাড়া সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইনসহ গণমাধ্যমের উপর আরোপিত করের বোঝা সহনীয় করার দাবি জানিয়েছে এই কমিটি।
মঙ্গলবার (মে ২১) সকালে এফবিসিসিআই আইকনে এক সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে দেশের গণমাধ্যম।
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রেস ও মিডিয়াকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এজন্য সংবাদপত্র শিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।
পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে গণমাধ্যম মালিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের চ্যালেঞ্জ সমূহ চিহ্নিতকরণ ও সমাধানে এই শিল্পের সব অংশীজনকে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে সম্পৃক্ত করে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির তাগিদ দেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
সংবাদ মাধ্যমের মালিক, সংবাদকর্মী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনার উপর গুরুত্ব দেন তিনি।
স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এম. শোয়েব চৌধুরী বলেন, অন্যান্য শিল্পের মতো সংবাদ মাধ্যমকেও ব্যবসা করে টিকে থাকতে হয়। কাজেই অন্যান্য খাতের ন্যায় সংবাদ মাধ্যমকেও কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, কাগজ, কালি, ছাপার যন্ত্রাংশের উপর আরোপিত কর কমিয়ে আনা দরকার। টেলিভিশনের ব্যান্ডউইথের উপরও বিদ্যমান কর কমানো প্রয়োজন।
সম্পূরক বাজেটে প্রেস ও মিডিয়ার জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখাসহ এই শিল্পকে জনগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হোন্ডার বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিনিয়োগ ঘোষণা, লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাজার
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. রাকিবুল আলম (দিপু) বলেন, সংবাদ মাধ্যমের সংকট দূর করতে কমিটির উদ্যোগে একটি কৌশলপত্র তৈরি করে তথ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারক এবং অংশীজনদের নিয়ে শিগগিরই সেমিনার আয়োজন করা হবে।
এজন্য কমিটির সদস্যদের সুনির্দিষ্ট মতামত লিখিত আকারে জমা দিতে হবে।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে- সংবাদ মাধ্যমের জন্য কর সহনীয় করা, সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন-বোনাস ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত, এ খাতে ব্যবহৃত উপকরণ ও যন্ত্রাংশ প্রাপ্তি সহজীকরণ, ক্রোড়পত্র ও বিজ্ঞাপন প্রাপ্তিতে পত্রিকা সমূহের সমঅধিকার নিশ্চিতকরণ, সরকারের কাছে বিজ্ঞাপন বাবদ প্রাপ্ত বিল দ্রুত পরিশোধ করাসহ বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা।
এছাড়া, বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের সম্পৃক্ততা বাড়াতে এফবিসিসিআইর উদ্যোগে প্রতি ৩ মাস পর পর সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের মালিক, সম্পাদকসহ, ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত সৌজন্য সভা আয়োজনের আহ্বান জানান তারা।
পাশাপাশি, সংবাদ মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে উৎসাহ ও ইয়েলো জার্নালিজমকে (হলুদ সাংবাদিকতা) নিরুৎসাহিত করা ও সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ও মুক্ত আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক এম. শোয়েব চৌধুরী।
ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক মো. রাকিবুল আলম (দিপু)।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশিদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের বোর্ড অব গভর্নরসের (পিডিবিএফ) সদস্য বোরহান উদ্দিন আহমেদ, দ্য ব্লেজার বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী রাজিব ইউ. এ. চপল, এফবিসিসিআইর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান জাফর ইকবাল এনডিসি, কমিটির কো-চেয়ারম্যান আক্কাস মাহমুদ, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু, তাওহিদা সুলতানা ও এজাজ মোহাম্মদ।
আরও পড়ুন: ৩ দিন পর সুন্দরবনে আগুন নেভানোর ঘোষণা
৬ মাস আগে
সংবাদপত্র টিকিয়ে রাখতে নিউজপ্রিন্টে কর কমাতে এনবিআরের প্রতি নোয়াবের আহ্বান
নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) বলছে, ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে নিউজপ্রিন্ট ও অন্যান্য মুদ্রণ সামগ্রীর বিপুল ব্যয়ে সংবাদপত্র টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে।
সংবাদপত্র শিল্পের জন্য শুল্ক ও কর নীতির সংস্কার প্রয়োজন বলে রাজস্ব বোর্ডের প্রতি আহ্বান জানান নোয়াব নেতারা।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলনকক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বৃদ্ধিতে বন্দর ব্যবস্থাপনা সহজ করার তাগিদ
আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা, বিশেষ করে মার্কিন ডলারের ক্রমবর্ধমান বিনিময় হারের কারণে এ শিল্প হুমকির মুখে। এক টন নিউজপ্রিন্টের দাম কয়েক বছর আগে ৬০০ মার্কিন ডলারেরও কম ছিল, এখন তা ৭০০ ডলারেরও বেশি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এর অন্যতম প্রধান কারণ মার্কিন ডলারের বিরূপ বিনিময় হার। সংবাদপত্রের আমদানি শুল্ক পাঁচ শতাংশ থাকলেও ১৫ শতাংশ ভ্যাট, অগ্রিম আয়কর, পরিবহন বিমা ইত্যাদি নিয়ে ল্যান্ডেড কস্ট আসে প্রায় ৩০ শতাংশ।’
সংবাদপত্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স, ভ্যাট ও কাস্টমস কমানোর আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র শিল্পের উন্নয়নে সরকার গত কয়েক বছরে আমাদের কোনো পরামর্শ গ্রহণ করেনি। এ বছরের বাজেটে আমাদের প্রস্তাবগুলো যেন বিবেচনায় নেওয়া হয়।’
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ‘কর প্রদান একটি সর্বজনীন বৈশ্বিক অনুশীলন। আপনি অন্যান্য দেশের দিকে তাকান- দেখতে পাবেন কীভাবে সংবাদপত্রের ব্র্যান্ডিং হয়, কীভাবে এখান থেকে রাজস্ব নেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত
তিনি বলেন, ‘আমি যতদূর জানি ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকায় সংবাদপত্রের কাছ থেকে ভিন্নভাবে ট্যাক্স নেওয়া হয়। তাদের ট্যাক্স আরও কম।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম নোয়াবের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, কোনো সুবিধা পেলে আরেক গোষ্ঠী তার অপব্যবহার করতে প্রস্তুত রয়েছে। নিউজপ্রিন্টের জন্য কাগজের দাম বা আমদানি শুল্ক কমানো হলে সব কাগজ নিউজপ্রিন্টের আওতায় চলে আসবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। নিউজপ্রিন্টের জন্য কত কাগজ আসছে তা বের করা সম্ভব হচ্ছে না। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করতে চাই।’
রাজস্ব বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর-জিডিপি ও করের হার বাড়াতে গণমাধ্যম সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘শরিফার গল্প’ থেকে দুই লাইন বাদ দেওয়ার দাবি জাতীয় পার্টির চুন্নুর
৯ মাস আগে
বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ সালে অর্থনীতির সব খাতে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে: প্রতিবেদন
পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডেইলি জং এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ সালে অর্থনীতির সব খাতে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে। বুধবার ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট পেশ করেছে এবং জিডিপির হার ৭.৫ শতাংশ। যেখানে পাকিস্তানের জিডিপির হার মাত্র ৩.৫ শতাংশ এবং মুদ্রাস্ফীতি ২১ শতাংশ।
দৈনিক জং হল একটি উর্দু সংবাদপত্র যার সদর দপ্তর পাকিস্তানের করাচিতে।
দৈনিক জং এর ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নতুন অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের কাছে প্রায় ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিজার্ভ রয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের কাছে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম এবং তাও বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে।
স্বাধীনতার পর ৫২ বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে পাকিস্তানের রপ্তানি এখনও ৩১.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে রয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং পাকিস্তানের ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পরিসংখ্যান অনুসারে, পাকিস্তান মাত্র ২১.৫বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত রপ্তানি ও পরিষেবা দিতে সক্ষম, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম।
আরও পড়ুন: 'পাকিস্তান' শব্দ যুক্ত থাকা আইনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
অন্যদিকে, পাকিস্তানি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল জিও নিউজ সম্প্রতি জানিয়েছে যে পাকিস্তান তার সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে ভুগছে, যা দেশটির জনগণকে বিপাকে ফেলেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দুর্বল আর্থিক সংকট দেশকে গ্রাস করেছে।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় কম বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহের কারণে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধসহ অনিশ্চিত বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক পরিবেশ থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
মন্ত্রণালয় তার মাসিক আউটলুক বুলেটিনে জানিয়েছে, মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৩৪-৩৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে অনুমান করেছে।
আরও পড়ুন: ৭১-এ গণহত্যা বিষয়ক চিত্রপ্রদর্শনী প্রসঙ্গে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত মন্তব্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোচরে
পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
১ বছর আগে
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিশেষজ্ঞদের
সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা আরও বলেন, ডিজিটাল ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএসএ বাতিল করে নাগরিক সমাজের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সরকার একটি নতুন আইন করতে পারে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ৫ দিন সংবাদপত্র প্রকাশিত হবে না
রবিবার নিউজ নেটওয়ার্ক রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকায় এনজিও ফোরামের ট্রেনিং হলে ইন্টারনিউজ ও এনগেজমিডিয়ার সহযোগিতায় ‘সাইবারস্পেস, সাইবার আইন ও ডিজিটাল অধিকার বিষয়ে অ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইন’- শীর্ষক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে গবেষক, মানবাধিকার কর্মী ও আইন বিশেষজ্ঞ রেজাউর রহমান লেনিন বলেন, ডিএসএ একটি দমনমূলক আইন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করার অস্ত্রে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই আইনের অনেক ধারা সংবিধান ও জাতিসংঘ স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এই আইনটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও বাধা।’
লেনিন উল্লেখ করেছেন যে ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত ডিএসএ-এর অধীনে মোট এক হাজার ১২৯টি মামলা করা হয়েছে।
এর মধ্যে ৩০১টি মামলা রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে এবং ২৮০টি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এবং ১৫৭টি শিক্ষক ও ছাত্রদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, মামলার আসামিদের অধিকাংশই বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। ‘ডিএসএ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বেশিরভাগ লোক প্রাথমিক পর্যায়ে জামিন পাননি। কিছু লোককে এমনকি ডিএসএ মামলায় জামিন পেতে এক বছর জেলে থাকতে হয়েছে।’
ডিএসএর অপব্যবহার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেলেও সরকার এ আইন সংশোধনে আন্তরিক নয় বলে জানান তিনি।
তাছাড়া, শুধু আইন সংশোধন করলেই তা উত্থাপিত সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে পারবে না।
লেনিন জানান, ‘সরকার শুধু আইন সংশোধনের আশ্বাস দিচ্ছে, কিন্তু এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। আসলে আইনের সংশোধনই যথেষ্ট নয়। এই আইন অবিলম্বে বাতিল করা উচিত।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক ও সিইও শহীদুজ্জামান এবং এর প্রোগ্রাম অফিসার রেজাউল করিম। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ১২ জন সিনিয়র সাংবাদিক কর্মশালায় যোগ দেন এবং মিডিয়া শিল্পে ডিএসএর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে তাদের মতামত বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইসিটি আইন করা হয়নি: আইনমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর নাম সংবাদপত্রে ছাপাতে বাধা দিয়েছিল জিয়া সরকার: খালিদ
১ বছর আগে
আইন অনুযায়ী অনলাইন নিউজ পোর্টাল টক শো ও বুলেটিন প্রচার করতে পারে না: তথ্যমন্ত্রী
আইন অনুযায়ী সংবাদপত্রের অনলাইন ভার্সন ও নিউজ পোর্টাল টক শো ও সংবাদ বুলেটিন প্রচার করতে পারে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী নীতিমালার গেজেটটি তুলে ধরে বলেন, ‘সম্প্রতি এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (এটকো) নেতৃবৃন্দ আমাদের নজরে এনেছেন যে কিছু পত্রিকার অনলাইন ভার্সন ও নিউজপোর্টাল অনলাইনে ‘টক শো’ এমন কি কেউ কেউ নিউজ বুলেটিনও প্রচার করছে; যার কোনো অনুমতি নেই। অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের দুই, চার ও ছয় উপধারার বিধান অনুসারে তারা এ ধরণের কিছু প্রচার করতে পারে না।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক ফজলে এলাহীর প্রতি যাতে অন্যায় না হয়, দেখবেন তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ডিজিটাল যুগে সংবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভিডিও ক্লিপ দিলে আমি মনে করি সেটিতে নিয়মনীতির ব্যত্যয় হয় না। কিন্তু একেবারে টক শো কিংবা নিউজ বুলেটিন প্রচার করা নীতিমালা অনুমোদন করে না।
তিনি বলেন, আমরা কোনো তদন্ত ছাড়াই পত্রপত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলোর নিবন্ধন দিয়েছিলাম এই শর্তে যে পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশ পায় সেটিই অনলাইনে প্রকাশ পাবে, সেটি ভিন্ন হওয়ার কথা নয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটকো এ বিষয়ে তাদের উত্থাপিত মৌখিক আপত্তি লিখিত আকারে দিলে আইনের ধারা-উপধারা উল্লেখ করে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের জানাবে।
আরও পড়ুন: অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা তুলে আনে মানুষের না বলা কাহিনী: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় ৫৩৮ শ্রমিকের প্রাণহানি: এসআরএস
গত এক বছরে সারাদেশে ৩৯৯টি কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় ৫৩৮ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। আগের ২০২০ সালে অনুরূপ ৩৭৩টি কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় মোট ৪৩২ জন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে বেসরকারি সংস্থা সেইফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস) কর্তৃক পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার সংস্থাটির প্রোগ্রাম অফিসার সিথী ঘোষ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ে, করোনা মহামারির দ্বিতীয় বছরে গত এপ্রিল থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সাধারণ ছুটিসহ বিধি-নিষেধের কারণে অনেক শ্রমিক কাজ করতে পারেনি, তারপরও কর্মদুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের সবচেয়ে বড় কর্মদুর্ঘটনা ছিল রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, যেখানে ৫২ শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যায়। এছাড়া সোয়ারীঘাটে রোমানা রাবার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজন ও বগুড়ার সান্তাহারে প্লাস্টিক কারখানায় আগুনে পুড়ে পাঁচজন শ্রমিক প্রাণ হারায়।
আরও পড়ুন: সেজান জুস অগ্নিকাণ্ড: বুধবার থেকে মরদেহ হস্তান্তর শুরু
মোট ২৬টি দৈনিক সংবাদপত্র (১৫টি জাতীয় এবং ১১টি স্থানীয়) পর্যবেক্ষণ করে বছর শেষে জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। যেসকল শ্রমিক কর্মক্ষেত্রের বাহিরে অথবা কর্মক্ষেত্র থেকে আসা-যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় অথবা অন্য কোন কারণে মারা গিয়েছেন তাদের এই জরিপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নিহত হয়েছে পরিবহন খাতে। এই খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা মোট ১৫০ জন। এর পরেই রয়েছে নির্মাণ খাত, এই খাতে নিহত হয়েছে ১৩৮ জন। এছাড়া কল-কারখানা ও অন্যান্য উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানে ১১২ জন, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে (যেমন- ওয়ার্কশপ, গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) ৮৬ জন এবং কৃষি খাতে ৫২ জন শ্রমিক মারা গেছেন।
মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫৬ জন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৮২ জন, আগুনে পুড়ে ৭২ জন, ছাদ, মাঁচা বা ওপর থেকে পড়ে মারা গেছে ৫৮ জন, বজ্রপাতে ৪৯ জন, শক্ত বা ভারী কোন বস্তুর দ্বারা আঘাত বা তার নিচে চাপা পড়ে ৩২ জন, রাসায়নিক দ্রব্য বা সেপটিক ট্যাঙ্ক বা পানির ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে ৩০ জন, পাহার বা মাটি, ব্রিজ, ভবন বা ছাদ, দেয়াল ধসে ২৭ জন, বয়লার বিস্ফোরণে ২৩ জন। এছাড়া পানিতে ডুবে ৯ জন শ্রমিক নিহত হয়।
এসআরএস- এর নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, করোনার দ্বিতীয় বছরটিও শ্রমজীবীদের জন্য সুখের ছিল না। জীবন ও জীবিকা রক্ষায় তারা কাজ করতে বাধ্য। করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেও তাদের কাজ করতে হয়েছে। যদিও করোনার কারণে দীর্ঘ সময় অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক, বিশেষ করে পরিবহন, নির্মাণ শ্রমিকদের কোন কাজ কর্ম ছিল না। সবক্ষেত্রে একধরনের অচল অবস্থা বিরাজ করেছে, তবুও কর্মদুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেনি।
আরও পড়ুন: চকবাজারের আগুনে দগ্ধ আরেকজনের মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭১
তিনি আরও বলেন, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়ে মালিকদের অবহেলা ও সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো যথাযথ পরিদর্শনের ঘাটতি কর্মদুর্ঘটনা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। টেকসই উন্নয়নের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব এবং এজন্য শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমজীবীর জীবনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে তাদের সুরক্ষার জন্য শ্রমের সাথে সংশ্লিষ্ঠ সকলকে আরও সচেতন হতে হবে এবং এক্ষেত্রে যেকোন ব্যয়কে বিনিয়োগ মনে করতে হবে।
জরিপের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যবস্থা, আইন প্রয়োগে বাধা, বেপোরোয়া যান চলাচল ইত্যাদি হল পরিবহন দুর্ঘটনার মূল কারণ। কোনোরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়েই বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগ দেয়া যেমন-ভেজা হাতে মটর চালু করা, মাথার ওপরে বয়ে যাওয়া বিদ্যুতের লাইনের নিচে কাজ করা, ভবনের পাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারের পাশ দিয়ে লোহার রড ওঠানোকে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।
সাম্প্রতিকালে অগ্নিদুর্ঘটনায় নিহতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলেছে, কারখানায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা না থাকা, কারখানায় ভবনে জরুরি বর্হিগমন পথ না থাকা, কারখানা নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতি না নেয়া, সেইফটি বিষয়ে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ না দেয়া ইত্যাদি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সকলের যৌথ প্রচেষ্টাই পারে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা থেকে শ্রমিকের জীবন বাঁচাতে। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদান, সেইফটি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রধান দায়িত্ব মালিকের। মালিক কর্তৃক শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে কি না তা পরিদর্শন করার দায়িত্ব সরকারী প্রতিষ্ঠানের। সরকার ও মালিক উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই কর্মদুর্ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: সেজান জুস কারখানায় আগুন, ৪৫ লাশ শনাক্ত
২ বছর আগে
গণতন্ত্রের অভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার অভিযোগ করে বলেন, সরকার গণতন্ত্রকে ‘বিলুপ্ত’ করে দেশে ‘ভয়াবহ’ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, দেশে যেখানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই সেখানে গণতন্ত্র নেই । বাক স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। ৩৫ লাখের বেশি দেশপ্রেমিক মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।
সরকার বিরোধীদের দমন করতে গুম, হত্যা ও দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, তারা (সরকার) ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করায় দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পেছনে সরকারের যুক্তি ‘অগ্রহণযোগ্য’: ফখরুল
১৯৭৫ সালের ১৭ নভেম্বর ‘বেসামরিক-সামরিক অভ্যুত্থানের’ স্মরণে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার ‘পুনরুদ্ধার’ করতে জনগণের শক্তিশালী ঐক্য গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, এই দিনে আমরা এই দেশের জনগণকে ও সকল রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করতে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে (কারাগার থেকে) মুক্তি দিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শপথ নিয়েছি।
তিনি বলেন, আধিপত্য ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আবারও স্বাধীন শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ অবশ্যই নিজের পায়ে দাঁড়াবে। আমরা বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার সংগ্রাম চালিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: এখন সর্বত্র ‘চরম নৈরাজ্য’: মির্জা ফখরুল
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক ঘটনা সম্পর্কে ফখরুল বলেন, সেদিন জনগণ যে আশা-আকাঙ্খা নিয়ে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল তা বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়েছিল। ৭ নভেম্বর বেসামরিক-সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জিয়াউর রহমানের অধীনে গণতন্ত্র, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র, মুক্ত অর্থনীতি প্রবর্তন করেন এবং একটি সুন্দর সমাজ গঠনের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন।সবচেয়ে বড় কথা হল বাংলাদেশ আবার সমাজতন্ত্র, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় যখন সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছিল।আমরা এই দিনটিকে বারবার স্মরণ করি কারণ এটি আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করে দেশের সব অর্জন এবং জনগণের সব আশা-আকাঙ্খা ধ্বংস করেছে। তারা নিজেদের হাতে নির্মমভাবে রাষ্ট্রের সব স্তম্ভ ধ্বংস করেছে।
এর আগে ফখরুল ও দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবি: মির্জা ফখরুল
৩ বছর আগে
গণমাধ্যমের জন্য ‘নৈতিক আচরণবিধি’ প্রণয়নে হাইকোর্টের রুল
সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা ও সাংবাদিকদের উচ্চ মানসম্পন্ন পেশাদারিত্ব নিশ্চিতে একটি ‘নৈতিক আচরণবিধি’ প্রণয়ন নিয়ে হাই কোর্ট রুল জারি করেছেন।
প্রেস কাউন্সিল আইন ১৯৭৪ এর ১১(২)(খ) অনুযায়ী গণমাধ্যমের জন্য কার্যকর ও উপযুক্ত একটি নৈতিক আচরণবিধি প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তাকে কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে এই রুলে।
এর পাশাপাশি পত্রিকা ও অন্যান্য সংবাদ সংস্থা, সাংবাদিকদের উচ্চ মানসম্পন্ন পেশাদারিত্বের জন্য একটি নৈতিক আচরণবিধি প্রণয়ন করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে ।
সোমবার এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
এছাড়াও রুলে অনুমোদনহীন ও অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রচার-প্রকাশ বন্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে এবং নিবন্ধনের জন্য বিবেচনাধীন অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে নিবন্ধন দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, ন্যাশনাল ব্রডকাস্ট পলিসি-২০১৪ অনুযায়ী একটি ‘ব্রডকাস্টিং কমিশন’ গঠনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: কিছু সংস্থা বিবৃতি বিক্রি করে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে সাত দিনের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নীলু ও জারিন রহমান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে গত ৫ মে যেকোনো সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের জন্য ‘নৈতিক নীতিমালা’ প্রণয়ন করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের দুই জন নারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জারিন রহমান ও অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী নীলু। নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি রাজধানীতে ২১ বছরের এক নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে মামলা করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোর মধ্যে বিশেষ করে অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে অগ্রহণযোগ্য সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। অথচ এসব সংবাদ পরিবেশনা বন্ধে বিটিআরসি কিংবা প্রেস কাউন্সিল কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই আইপি টিভির অনুমোদন দেয়া শুরু: তথ্যমন্ত্রী
নোটিশে বলা হয়, এমতাবস্থায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে দেশে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালগুলো চালু থাকার পরও বিটিআরসি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই এসব পোর্টালগুলোর রেজিস্ট্রেশনও জরুরি। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন ওই দুই আইনজীবী।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করা যাবে না: হাইকোর্ট
৩ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর নাম সংবাদপত্রে ছাপাতে বাধা দিয়েছিল জিয়া সরকার: খালিদ
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী শুক্রবার বলেছেন, ১৯৭৫ এর পর বঙ্গবন্ধুর নাম সংবাদপত্রে ছাপাতে বাধা দিয়েছিল জিয়া সরকার।
৪ বছর আগে
ঈদের ছুটিতে ৫ দিন সংবাদপত্র প্রকাশিত হবে না
মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল-ফিতরের ছুটিতে আগামী ২৫ থেকে ২৯ মে সংবাদপত্র প্রকাশিত হবে না।
৪ বছর আগে