বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার অভিযোগ করে বলেন, সরকার গণতন্ত্রকে ‘বিলুপ্ত’ করে দেশে ‘ভয়াবহ’ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, দেশে যেখানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই সেখানে গণতন্ত্র নেই । বাক স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। ৩৫ লাখের বেশি দেশপ্রেমিক মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।
সরকার বিরোধীদের দমন করতে গুম, হত্যা ও দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, তারা (সরকার) ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করায় দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পেছনে সরকারের যুক্তি ‘অগ্রহণযোগ্য’: ফখরুল
১৯৭৫ সালের ১৭ নভেম্বর ‘বেসামরিক-সামরিক অভ্যুত্থানের’ স্মরণে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার ‘পুনরুদ্ধার’ করতে জনগণের শক্তিশালী ঐক্য গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, এই দিনে আমরা এই দেশের জনগণকে ও সকল রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করতে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে (কারাগার থেকে) মুক্তি দিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শপথ নিয়েছি।
তিনি বলেন, আধিপত্য ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আবারও স্বাধীন শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ অবশ্যই নিজের পায়ে দাঁড়াবে। আমরা বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার সংগ্রাম চালিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: এখন সর্বত্র ‘চরম নৈরাজ্য’: মির্জা ফখরুল
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক ঘটনা সম্পর্কে ফখরুল বলেন, সেদিন জনগণ যে আশা-আকাঙ্খা নিয়ে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল তা বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়েছিল। ৭ নভেম্বর বেসামরিক-সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জিয়াউর রহমানের অধীনে গণতন্ত্র, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র, মুক্ত অর্থনীতি প্রবর্তন করেন এবং একটি সুন্দর সমাজ গঠনের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন।সবচেয়ে বড় কথা হল বাংলাদেশ আবার সমাজতন্ত্র, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় যখন সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছিল।আমরা এই দিনটিকে বারবার স্মরণ করি কারণ এটি আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করে দেশের সব অর্জন এবং জনগণের সব আশা-আকাঙ্খা ধ্বংস করেছে। তারা নিজেদের হাতে নির্মমভাবে রাষ্ট্রের সব স্তম্ভ ধ্বংস করেছে।
এর আগে ফখরুল ও দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।