পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডেইলি জং এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ সালে অর্থনীতির সব খাতে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে। বুধবার ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট পেশ করেছে এবং জিডিপির হার ৭.৫ শতাংশ। যেখানে পাকিস্তানের জিডিপির হার মাত্র ৩.৫ শতাংশ এবং মুদ্রাস্ফীতি ২১ শতাংশ।
দৈনিক জং হল একটি উর্দু সংবাদপত্র যার সদর দপ্তর পাকিস্তানের করাচিতে।
দৈনিক জং এর ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নতুন অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের কাছে প্রায় ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিজার্ভ রয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের কাছে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম এবং তাও বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে।
স্বাধীনতার পর ৫২ বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে পাকিস্তানের রপ্তানি এখনও ৩১.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে রয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং পাকিস্তানের ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পরিসংখ্যান অনুসারে, পাকিস্তান মাত্র ২১.৫বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত রপ্তানি ও পরিষেবা দিতে সক্ষম, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম।
আরও পড়ুন: 'পাকিস্তান' শব্দ যুক্ত থাকা আইনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
অন্যদিকে, পাকিস্তানি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল জিও নিউজ সম্প্রতি জানিয়েছে যে পাকিস্তান তার সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে ভুগছে, যা দেশটির জনগণকে বিপাকে ফেলেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দুর্বল আর্থিক সংকট দেশকে গ্রাস করেছে।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় কম বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহের কারণে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধসহ অনিশ্চিত বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক পরিবেশ থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
মন্ত্রণালয় তার মাসিক আউটলুক বুলেটিনে জানিয়েছে, মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৩৪-৩৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে অনুমান করেছে।