নগর পরিবহন
নগর পরিবহনে ১০০ ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, এ বছরের মধ্যেই ঢাকা নগর পরিবহনের বহরে ১০০টি নতুন ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে।
তিনি বলেন, যদিও ছোটখাটো কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তারপরও ঢাকা নগর পরিবহন বীরদর্পে এগিয়ে চলছে। আমরা সুনির্দিষ্টভাবে এসব ছোটখাটো প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করছি এবং সেগুলো সংশোধন করছি।
আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, এ বছরের মধ্যেই ঢাকা নগর পরিবহনে বিআরটিসি'র মাধ্যমে আমরা ১০০টি ইলেকট্রিক বাস সংযুক্ত করব। এর মাধ্যমে আমরা ঢাকাকে পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
বায়ু দূষণের যে তকমা আমরা শুনি, সেখান থেকেও আমরা বেড়িয়ে যেতে পারব, বায়ু দূষণ থেকে মুক্ত হতে পারব।
আরও পড়ুন: উন্মুক্ত বর্জ্যের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে: মেয়র তাপস
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৭তম সভা শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
এ সময় পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা ২১ নম্বর যাত্রাপথে ট্রান্স সিলভা পরিবহনের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২১ নাম্বার যাত্রাপথে ট্রান্স সিলভা ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং, এই পুরো যাত্রাপথটি এখন বিআরটিসি দ্বারা পরিচালিত হবে।
বিআরটিসি সেটা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ জন্য ট্রান্স সিলভার সকল অনুমতি আমরা বাতিল করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা নগর পরিবহনে তাদের যে সকল বাস ছিল, যেগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল সেগুলো আমরা জব্দ করব।
সুতরাং ২১ নম্বর যাত্রাপথ এবং ২৬ নম্বর যাত্রাপথ বিআরটিসি দ্বারা পরিচালিত হবে।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল আরবান ক্লাস্টারের ছয়টি এবং সাব আরবানের তিনটি মিলে ৯টি ক্লাসটার করা হবে।
প্রথমে গ্রীন ক্লাস্টার নিয়ে আমরা কাজ করছি।
যেখানে ২১ থেকে ২৮ নম্বর মোট আটটি রুট নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করেছিলাম। তার পরিকল্পনা হিসেবে আমরা ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ এবং আজকে ২৭ ও ২৮ এই মোট আটটি রুট অন্তর্ভুক্ত হলো।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে ফিরে না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেতো না: মেয়র তাপস
এছাড়া আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, ২৭ ও ২৮ নম্বর রুট চালুর লক্ষ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
আজকের সভার একটি সার্থকতা বলতে চাই-আমরা টোটাল গ্রীন ক্লাস্টার যেটা আছে, এটি একটি কোম্পানির আওতায় নিয়ে আসতে বেশ অগ্রসর হতে পারছি।
ফিটনেসবিহীন বাস বন্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উত্তর সিটির মেয়র আরও বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা দিন দিন কমছে। আমরা এ সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছি।
এসব বাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর বিষয়ে আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২১, ২২ ও ২৬ নম্বর রুটে যথাক্রমে ২১ মে থেকে ১ জুন, ১১ জুন থেকে ১৫ জুন ও ১৬ জুলাই থেকে ২০ জুলাই ডিএনসিসি, ডিএসসিসি, ডিএমপি ও বিআরটিএ যৌথভাবে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করবে।
পুরাতন রুটপারমিটবিহীন, ফিটনেসবিহীন কোন বাস চলতে দেয়া হবে না। নগর পরিবহনে কোন পুরতন বাস অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না। শুধুমাত্র নতুন বাস দিয়েই নগর পরিবহন পরিচালিত হবে।
২১ নম্বর যাত্রাপথ:
ঘাটারচর, মোহাম্মদপুর, জিগাতলা, প্রেসক্লাব, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী ও কাঁচপুর।
২৭ নম্বর যাত্রাপথ:
ঘাটারচর, শিয়া, শ্যামলী, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, মহাখালী, গুলশান-১, রামপুরা ব্রিজ, বনশ্রী, স্টাফ কোয়ার্টার।
২৮ নম্বর যাত্রাপথ:
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, জিগাতলা, সায়েন্স ল্যাব, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কাকরাইল, মৌচাক, খিলগাঁও তালতলা ও স্টাফ কোয়ার্টার।
আরও পড়ুন: 'স্মার্ট ঢাকা' বাস্তাবায়নে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
নগর পরিবহনের ২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথ চালু করা হবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, এমআরটি'র সঙ্গে সমন্বয় করেই ঢাকা নগর পরিবহনের নতুন দুই যাত্রাপথ চালু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন দুই যাত্রাপথ গুলো হলো- যাত্রাপথ-২৪ ও যাত্রাপথ-২৫।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৬তম সভা শেষে সাংবাদিকদেরকে সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ‘এরই মাঝেই এমআরটি চালু হয়েছে। তাই এমআরটি'র সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা নতুন দু’টি যাত্রাপথ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই প্রেক্ষিতে নতুন দু’টি যাত্রাপথের ব্যাপারে আজকের সভায় আমরা বিশদ আলোচনা, পর্যালোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ঢাকা শহরকে সময়সূচির মধ্যে আনতেই হবে: মেয়র তাপস
মেয়র বলেন, ‘কিছু ব্যত্যয় আমরা লক্ষ্য করেছি। বিশেষ করে টিকিট না কেটে বাসে ওঠার একটা প্রবণতা আমরা লক্ষ্য করছি। সেটা কোনভাবেই ঢাকা নগর পরিবহনে করা যাবে না। সবাইকে টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিট কেটে বাসে উঠতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ২২ নম্বর যাত্রাপথ যারা পরিচালনা করছে, তাদেরকে আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দেবো। তারা যেন গাড়ি চালকের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আমাদের যে নিয়ম, যাত্রী ছাউনি অথবা বাস-বে থেকে টিকিট কিনেই যেন যাত্রীরা বাসে উঠেন।
সে অনুযায়ী নগর পরিবহন যাত্রীদেরকে সেবা দেবে। সেটা আজকের এই সভা থেকে আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি।
নগর পরিবহনে যাত্রী সেবার মান অক্ষুণ্ণ রাখা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আলাপ করেছি। বিআরটিসি আমাদের নিশ্চিত করেছে যে, ঢাকা নগর পরিবহনের জন্য যে নির্দিষ্ট বাস, সেটা শুধু ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রাপথেই চলবে। এই বাসগুলো অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না। আর ট্রান্সসিলভাকে আমরা কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেবো। সেজন্য তাদেরকে ১৫ দিন সময় দিবো। তারা যদি নির্ধারিত নীতিমালা-নিয়ম অনুযায়ী এই সেবা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বা ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের সঙ্গে আমরা চুক্তি বাতিল করব। বিআরটিসি যদি রাজি হয় তাহলে বিকল্প হিসেবে বিআরটিসি দ্বারাই পরিচালিত হবে। অথবা নতুন উদ্যোক্তা নিয়ে আমরা এই সেবাটা পরিচালনা করব।’
২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথসমূহের গতিপথ:
২৪ নম্বর যাত্রাপথ:
ঘাটারচর-বসিলা-মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড-শিশুমেলা-আগারগাঁও-মিরপুর ১০ দিয়ে কালসি ফ্লাইওভার হয়ে এয়ারপোর্ট-জসিমউদ্দীন আব্দুল্লাহপুর।
২৫ নম্বর যাত্রাপথ:
ঘাটারচর-বসিলা মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড-আসাদগেট-মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে খামারবাড়ি হয়ে বিজয় সরণি দিয়ে বের হয়ে জাহাঙ্গীর গেইট-শাহিন স্কুল-মহাখালি (নিচ দিয়ে, ফ্লাইওভার হয়ে নয়)-কাকলি-বনানী উড়ালসেতু হয়ে রিজেন্সি-এয়ারপোর্ট - জসিমউদ্দীন-আব্দুল্লাহপুর।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, বিআরটিএ'র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক, দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে ফিরে না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেতো না: মেয়র তাপস
'স্মার্ট ঢাকা' বাস্তাবায়নে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
রাজধানীতে নতুন ২ রুটে নগর পরিবহনের বাস চালু
যানজট নিরসনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের আওতায় ২২ ও ২৬ নম্বর যাত্রাপথে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’- বাস সেবা উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে মোহাম্মদপুরে এই বাস সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
এই কার্যক্রমের আওতায় ২২ নম্বর রুট (ঘাটার চর থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার) ও ২৬ নম্বর রুট (ঘাটার চর থেকে কদমতলী) পর্যন্ত ৫০টি বাস চলাচল করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন,‘পরিবহনের ও রাস্তার শৃঙ্খলা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। সিটি করপোরেশনের বাস রুট রেশনালাইজেশনের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমাদের স্বার্থে এই উদ্যোগকে সফল করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা পরীক্ষামূলকভাবে (২১ নম্বর যাত্রাপথে) শুরু করেছিলাম। আমাদের কাছে সবচেয়ে প্রতিকূলতা ছিল যে, কি ধরনের বাস আমরা দিবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সে সময় ১৯’সালের যে বাসগুলো ছিল, সেই বাসগুলো দিয়ে শুরু করেছিলাম। কিন্তু এবার ঢাকাবাসির প্রত্যাশা পূরণকল্পে আমরা একদম নতুন নির্মিত ৫০টি বাস দিয়ে ২২ নম্বর যাত্রাপথ শুরু করছি। এখান থেকে পিছনে যাওয়ার আর সুযোগ নেই। এখন থেকে নতুন বাসই ঢাকা শহরে নামবে। কোনও পুরাতন বাস নামার আর সুযোগ থাকবে না। এখন থেকে ২০২২, ভবিষ্যতে ২০২৩; যখনই আমরা একেকটি যাত্রাপথ শুরু করব, আমরা নতুন বাস দিয়েই সেই যাত্রাপথ শুরু করব।’
নগর পরিবহনে সেবার মান ধীরে ধীরে আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন উল্লেখ করে ডিএসসিসি ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমাদেরকে এই তিনটি যাত্রাপথ শুরু করতে অনেক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমরা আশাবাদী, আমাদের পরীক্ষামূলক ২১ নম্বর যাত্রাপথ থেকে যে অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে, সেটার মাধ্যমে আমরা এবার দুটো যাত্রাপথ শুরু করলাম। আগামী নভেম্বরে ২৩ নম্বর যাত্রাপথ আমরা শুরু করতে পারবো। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আমরা ঢাকা শহরের সকল যাত্রাপথে এই নতুন বাস দিয়ে ঢাকা নগর পরিবহনকে একটি সুশৃঙ্খল গণপরিবহন পরিণত করব।’
নগর পরিবহনের মাধ্যমে যাত্রীসেবার উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করা হবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘আজকে আমরা আরও দুটি যাত্রাপথ শুরু করছি। একটি যাত্রাপথ ২৬ নম্বর যাত্রাপথ। এই যাত্রাপথের সকল বাস সেবা বিআরটিসি দিচ্ছে। আরেকটি যাত্রাপথ ২২ নম্বর যাত্রাপথ। এই যাত্রাপথে সম্পূর্ণভাবে বেসরকারিভাবে একটি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। আপনারা দেখবেন, যে বাসগুলো এখন নামানো হচ্ছে সেই বাসগুলোর আসন অনেক মানসম্পন্ন। সুতরাং যাত্রীসেবার যে উৎকর্ষতা, সেই উৎকর্ষতা নগর পরিবহনের মাধ্যমে ঢাকাবাসী পাবে।’
পরীক্ষামূলক যাত্রাপথে সেবা গ্রহণ করায় ঢাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘যে কোন শহরেরই গণপরিবহন ব্যবস্থা যতটা সুশৃঙ্খল হবে, যতটা কার্যকর হবে, যতটা বাস্তবসম্মত হবে; ততটাই সেই শহরটা বাসযোগ্য হবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, গত বছর ২৬ শে ডিসেম্বর আমরা ঢাকা নগর পরিবহনের প্রথম পরীক্ষামূলক যাত্রাপথ শুরু করতে পেরেছি। ঢাকাবাসী এ ঢাকা নগর পরিবহনকে অত্যন্ত প্রশংসা করেছেন ও সমাদৃত করেছেন এবং তারা সেই নগর পরিবহনের সেবা গ্রহণ করেছেন। আমি ঢাকাবাসীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘রুটপারমিট বিহীন কোনো গাড়ি চলতে দেয়া হবে না। এক রাস্তার গাড়ি আরেক রাস্তায় চলতে পারবে না।’
নিয়মিত সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে তদারকি করতে হবে উল্লেখ করে উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণ যাত্রীদের কথা চিন্তা করে আমাদের কঠোর হতে হবে। এই নগরীকে বাসযোগ্য নগরী করে সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিতে হবে।’
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এই বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজে যারা আসবেন তারা লাভবান হবেন। এই রুটগুলোতে অন্য বাস চলতে দেয়া যাবে না, এজন্য বিআরটিএ এবং ডিএমপির সহযোগিতা প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বেলুন উড়িয়ে নতুন বাস সেবা চালুর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
পরে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটির মেয়র নগর পরিবহনের নতুন বাসে চড়ে শুক্রাবাদ যাত্রী ছাউনি যান এবং সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন যাত্রী ছাউনির উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকার দুই সিটির রুট র্যাশনালাইজেশন প্রকল্পের আওতায় গত ডিসেম্বরে ঢাকা নগর পরিবহন পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল।
২ বছর আগে
১৩ অক্টোবর থেকে নতুন ২ রুটে নগর পরিবহনের বাস চালু
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস মঙ্গলবার বলেছেন, ১৩ অক্টোবর থেকে নতুন দুটি রুটে নগর পরিবহনের বাস চলাচল করবে।
ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে অনুষ্ঠিত বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৪তম সভাসভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএসসিসি মেয়র এ তথ্য জানান।
দুটি নতুন রুটের নম্বর হবে ২২ এবং ২৬।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ঢাকা শহরকে সময়সূচির মধ্যে আনতেই হবে: মেয়র তাপস
২২নং রুট চলবে ঘাটারচর-ওয়াশপুর-বসিলা-মোহাম্মদপুর টাউনহল-কাওরান বাজার-শাহবাগ-কাকরাইল-ফকিরাপুল-মতিঝিল-টিকাটুলী-সায়েদাবাদ- যাত্রাবাড়ী- কোনাপাড়া-ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার।
২৬নং রুট চলবে ঘাটারচর-ওয়াশপুর-বসিলা-মোহাম্মদপুর-জাপান গার্ডেন সিটি-শ্যামলী-কলেজ গেট-আসাদ গেট-কলাবাগান-সায়েন্স ল্যাব-নিউ মার্কেট- আজিমপুর- পলাশী-চাঁনখার পুল-ফ্লাইওভার হয়ে-পোস্তগোলা কদমতলী পর্যন্ত।
২ বছর আগে
আড়াই বছর পর খুলনায় নগর পরিবহন চালু
দীর্ঘ অপেক্ষার পর চাকা ঘুরল খুলনায় নগর পরিবহনের (টাউন সার্ভিস)। প্রায় আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল ৮টায় ফুলতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে রূপসা ঘাট পর্যন্ত খুলনায় নগর পরিবহন চালু করা হয়েছে।
খুলনা মোটর বাস মালিক সমিতির উদ্যোগে নগর পরিবহন চালু হওয়ায় রূপসা-ফুলতলা রুটের যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। বাস চালু হওয়ায় আয়ের পথ খুলে গেল চালকসহ পরিবহন শ্রমিকদের।
জানা গেছে, বর্তমানে খুলনার ফুলতলা থেকে রূপসা ঘাট পর্যন্ত মাহেন্দ্র ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া জনপ্রতি ৬০-৭০ টাকা, যা নগর পরিবহনে ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা। এসব ভোগান্তি ও ভাড়া বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত যাত্রীরা। দীর্ঘ আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর নগর পরিবহন চালু হওয়ায় খুশি যাত্রীরা।
এ রুটের যাতায়াতকারী এক যাত্রী বলেন, স্বল্প সময় আর স্বল্প খরচেই আমরা যাতায়াত করতে পারব।
তিনি বলেন, রূপসা থেকে ফুলতলা পর্যন্ত সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে ৩০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এই রুটে নগর পরিবহন চলাচলের জন্য ফুলতলা থেকে দৌলতপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ টাকা এবং সাধারণ যাত্রীদের জন্য ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন নগর-পরিবহন বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ, শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষেরা। ইজিবাইক, মাহেন্দ্র ও সিএনজি অটোরিকশায় যথেচ্ছা ভাড়া আদায়, বেপরোয়া চলাচলে দুর্ঘটনা, চালকদের অসদাচরণ, যানজটসহ নানা রকমের দুর্ভোগ সহ্য করে আসছিল নগরবাসী।
আরও পড়ুন: আরও ৩ রুটে 'ঢাকা নগর পরিবহন' চালু হবে
অবশেষে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালু
২ বছর আগে