পৃথক
গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
গাজীপুরে পৃথক দুই সড়ক দুর্ঘটনায় নুরুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৯ জুন) পৃথক দুই সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহত নুরুল ইসলাম উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: বারিধারায় পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত: যেসব বিষয় জানা গেছে
নিহত তরিকুল গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার মশাখালি গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, নুরুল ইসলাম সকালে তার নিজ বাড়ি থেকে বাইসাইকেলে করে কারখানায় যাওয়ার পথে বরমী ইউনিয়নের বরমা চৌরাস্তায় পৌঁছালে পেছন থেকে অজ্ঞাতনামা একটি ডাম্প ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে নুরুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে শ্রীপুরে অটোরিকশার চাপায় তরিকুল ইসলাম নামে সাত বছর বয়সী এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়। মাওনা-শ্রীপুর অঞ্চলিক সড়কের সিআরসি কারখানা সংলগ্ন এলাকায় শিশুটিকে অটোরিকশা চাপা দেয়।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
৫ মাস আগে
মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শুব্রত মালো ও রায়াদ শেখ নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩১ মে) নড়াইল-মাগুরা সড়কে ও মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কে পৃথক ঘটনা দুইটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
শুব্রত জেলার মহম্মদপুর উপজেলার পানিঘাটা গ্রামের বাসিন্দা এবং রায়াদ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কামান্না গ্রামের আবুল শেখের ছেলে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, গঙ্গারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে মাছের ড্রাম বোঝাই নসিমন গাড়ির সংঘর্ষ হলে নসিমন চালক শুব্রত আহত হন। পরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে আলমখালি বাজারে সংযোগ সড়ক থেকে একটি ভ্যানরিকশা সড়কে উঠতে গেলে দ্রুতগামী ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক রায়াদের মৃত্যু হয়।
মাগুরা রামনগর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌতম চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, উভয় ঘটনায় মাগুরা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যানের চালক-হেলপার নিহত
দেশে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
৫ মাস আগে
গাইবান্ধায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
গাইবান্ধায় পৃথক দুইটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (৬ মার্চ) গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ি এলাকায় ঘটনা দুইটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- হামিদুল ইসলাম, বাড়ি দিনাজপুর জেলার সুন্দরগঞ্জে এবং অজ্ঞাতনামা এক ভ্যানচালক।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ জানান, গাইবান্ধায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের চৌমাথায় র্যাকারের ধাক্কায় অজ্ঞাতনামা এক ভ্যান চালক নিহত হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভ্যান চালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান জানান, পলাশবাড়িতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে ট্রাকের গ্লাস পরিষ্কার করার সময় পেছন থেকে লং ভেরিকেল এসে হেলপারকে চাপা দেয়। ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবহন শ্রমিক নিহত
৮ মাস আগে
বগুড়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
বগুড়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুই ভাইসহ এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া সদরের বুজরুকবাড়িয়া এলাকায় এবং বাইপাস সড়কে এই দুর্ঘটনা দুইটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- জেলার গাবতলী উপজেলার পারানীপাড়া এলাকার সুমনের ছেলে মাইনুর ও বৈঠাভাঙ্গা গ্রামের উজ্জ্বলের ছেলে সিফাত।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত
সম্পর্কে তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই। আর নিহত শাহানা আকতার সোনাতলা সরকারি নাজির আকতার কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার মাইনুর আর সিফাত মোটরসাইকেলে করে বাইপাস সড়কের বড়িয়া বটতলা মোড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে একটি ট্রাক দুধবাহী একটি লরিকে ওভারটেক করার সময় মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায় দুই ভাই। পরে তাদের পিষ্ট করে আরেকটি ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় দুই কিশোর।
বগুড়া সদর থানার নারুলী ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম জানান, নিহত দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক ও সহকারি পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কুকুর বাঁচাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
আর কলেজছাত্রী শাহানা বালু বোঝাই ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছেন।
সোনাতলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন জানান, শাহানাকে নিয়ে তার বড় ভাই মোটরসাইকেলে করে কলেজে যাচ্ছিলেন।
চকুড়ি সেতুর কাছে একটি বালু বোঝাই ট্রাকের চাপায় শাহানা আকতার ঘটনাস্থলেই মারা যান। এতে আহত হন তার ভাই।
স্থানীয়রা ট্রাকটি আটক করলেও চালক এবং সহকারী পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে দুর্ঘটনার কবলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বাস
৯ মাস আগে
বাগেরহাটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
বাগেরহাটের ফকিরহাটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে এবং সকালে খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বৈইলতলী এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।
বিটুমিনবোঝাই একটি ট্রাক গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চালক নিহত হন। এবং ট্রাকের সহকারী আহত হন। এসময় ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচরে যায়।
আরেকটি ধানমাইড়াই ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চালক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতেও ট্রলির সহকারী আহত হন।
নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা সদরের কাশিমপুর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে ট্রাকচালক সোয়ায়িব হোসেন (২২) এবং সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের ডিগ্রির চর এলাকার মান্নান ফকিরের ছেলে ট্রলিচালক মোন্নাফ ফকির (৩৫)।
আহত অবস্থায় নিহত ট্রাকচালকের সহকারী জাহাঙ্গীর সরদার (৩০) এবং ট্রলিচালকের সহকারী মাহাবুব হাসানকে (২২) ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ফকিরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজান মিয়া জানান, চট্টগ্রাম থেকে বিটুমিন নিয়ে একটি ট্রাক মোংলায় যাচ্ছিল। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ট্রাকটি বৈইতলী এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় ট্রাকটি রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলে ট্রাকচালক সোয়ায়িব নিহত হয় এবং তার সহকারী আহত হয়।
তিনি আরও জানান, অপর দুর্ঘটনাটি শুক্রবার ভোরে একই এলাকায় ঘটে। ধানমাড়াইয়ের একটি ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এসময় ঘটনাস্থলে ট্রলিচালক মোন্নাফ ফকির নিহত হয়।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম জানান, খুলনা-ঢাকা মহাসড়কে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। এঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪
৯ মাস আগে
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পৃথক সংঘর্ষে নিহত ২
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ঘটনা দুইটি উপজেলার মধ্য কাশিপুর ও চর-মেখলি এলাকায় ঘটে।
এর মধ্যে একজন শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মধ্যকাশিপুর বাজারে দোকানের ভাড়ার টাকা চাইতে গিয়ে এবং অন্যজন আবাদি জমির উপর দিয়ে ট্রলি যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মারা যান।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ. লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২
নিহত দুইজন হলেন- উপজেলার মধ্য কাশিপুর এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম এবং একই উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর-মেখলি এলাকার সাদ্দামের মা সমস্ত ভান।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মধ্য কাশিপুর এলাকার রফিক তার ভাড়া দেওয়া দোকানের ভাড়াটিয়া সুলতানের কাছে টাকা চাইতে গেলে কথা কাটাকাটি হয়।
এর এক পর্যায়ে সুলতানের লোকজন তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে গেলে রফিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
অপর দিকে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর-মেখলি এলাকার সাদ্দাম হোসেন নিজের জমিতে ভূট্টা চাষ করেন। একই এলাকার হাসান জমির উপর দিয়ে ট্রলি নিয়ে যান।
এতে সাদ্দাম বাধা দিলে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় সাদ্দামের মা সমস্ত ভান ঘটনাস্থলে এলে তাকেও কিল-ঘুষি মারতে থাকেন হাসান।
এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দ্রুত উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সমস্ত ভান মারা যান।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক-সহকারী নিহত
নড়াইলে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ৩ জন আহত
১১ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা ও শাহজাদপুর উপজেলায় শুক্র ও শনিবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- বেলকুচি উপজেলার প্রভাষক মাজহারুল ইসলামের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র আবু নাঈম (১৭) এবং পাবনার বনপাড়া গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে হাসান (২৪)।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
শনিবার সকালে জেলার সলঙ্গা উপজেলায় তাড়াশ- সলঙ্গা আঞ্চলিক সড়কের পুঠিপাড়া নামকস্থানে সিএনজি ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্র্ষ হয়। এতে নাঈম নামের এক যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত এবং চার জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে, হাসান দীর্ঘদিন ধরে শাহজাপুর উপজেলায় মামার বাড়িতে থাকত। শুক্রবার বিকালে উপজেলার পোতাজিয়া-রেশমবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের মোড় এলাকায় বন্যার পানি দেখতে গিয়ে ট্রাক-মোটর সাইকেল সংঘর্ষে তিনি নিহত হন।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুলাই মাসে ৫১১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৩
ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭: আশুলিয়া থেকে বাসচালক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
শেরপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ২
শেরপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের বয়রা পারণপুর এলাকায় এবং শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া ভাটিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহতরা হলেন-চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা ফেরিওয়ালা মো. হাসান মিয়া (৩৫) এবং শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া বাজারের সেলিম মিয়ার স্ত্রী তিন সন্তানের জননী কাকলী ইয়াসমিন (২২)।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দাখিল পরীক্ষার্থী নিহত
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে শেরপুর শহরের নতুন বাস টার্মিনালের মাজার রোডের ভাড়া বাড়ি থেকে ফেরি করার উদ্দেশ্যে বের হন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা মো. হাসান মিয়াসহ কয়েকজন। শেরপুর-ময়মনসিংহ সড়ক ধরে গ্রামের পথে যাওয়ার সময় সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের বয়ড়া পারণপুর এলাকায় জিনোম মেডিকেল হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি অজ্ঞাতনামা পিকআপ ভ্যান হাসান মিয়াকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় সাথী ফেরিওয়ালারা হাসানকে উদ্ধার করে পাশের জিনোম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু ঘটে।
সংবাদ পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাবার বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে পাঁচ বছরের কন্যা সন্তানসহ স্বামী সেলিম মিয়ার মোটর সাইকেলযোগে শ্রীবরদীর কুরুয়া বাজার এলাকায় বাড়ি ফিরছিলেন গৃহবধূ কাকলী ইয়াসমিন। এ সময় মোটরসাইকেলের চাকার সঙ্গে গায়ের ওড়নার প্যাঁচ লেগে তিনি রাস্তায় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন।
আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কাকলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতের পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ট্রাক চালকের
২ বছর আগে
রাণীনগরে পৃথক দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু
নওগাঁর রাণীনগরে পৃথক ঘটনায় শিশুসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামে বিদ্যুৎপৃষ্টে এক যুবকের এবং দুপুরে মালশন গ্রামে জমির ডোবার পানিতে পড়ে এক বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়। এর আগে শনিবার বিকালে পোয়াতাপাড়া গ্রামে পুকুরের পানিতে পড়ে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বিদ্যুৎপৃষ্টে নিহত যুবকের নাম রনি হোসেন (২৮)। তিনি উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামের খলিল রহমানের ছেলে। আর পানিতে পড়ে নিহত শিশুরা হলেন-মালশন গ্রামের মুক্তার হোসেনের এক বছর বয়সী মেয়ে আমেনা খাতুন এবং পোয়াতাপাড়া গ্রামের সবুজ প্রামাণিকের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে সুমি খাতুন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, রবিবার সকাল ৭টার দিকে যুবক রনি বাড়ির একটি কক্ষে বিদ্যুতের নষ্ট তার ঠিক করছিলেন। এ সময় বিদ্যুত তারের স্পর্শে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিন দুপুরে মালশন গ্রামের মুক্তার হোসেনের এক বছর বয়সী মেয়ে আমেনা খাতুনকে নিয়ে তার এক চাচাতো বোন বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় ওই বোন বাড়ির ভিতরে গেলে শিশু আমেনা হামাগুড়ি দিতে দিতে জমির ডোবার পানিতে পড়ে মারা যায়। পরে পরিবারের লোকজন ডোবার পানি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
এর আগে শনিবার বিকালে শিশু সুমি ও তার এক চাচাতো বোন বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে খেলাধূলা করছিলেন। এ সময় শিশু সুমি খেলনাপাতি ও হাত-পা ধুতে গিয়ে পা পিছলে পুকুরের পানিতে পড়ে মারা যায়।
পৃথক তিনটি দুর্ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ নিহত
২ বছর আগে