শেরপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের বয়রা পারণপুর এলাকায় এবং শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া ভাটিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহতরা হলেন-চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা ফেরিওয়ালা মো. হাসান মিয়া (৩৫) এবং শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া বাজারের সেলিম মিয়ার স্ত্রী তিন সন্তানের জননী কাকলী ইয়াসমিন (২২)।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দাখিল পরীক্ষার্থী নিহত
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে শেরপুর শহরের নতুন বাস টার্মিনালের মাজার রোডের ভাড়া বাড়ি থেকে ফেরি করার উদ্দেশ্যে বের হন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা মো. হাসান মিয়াসহ কয়েকজন। শেরপুর-ময়মনসিংহ সড়ক ধরে গ্রামের পথে যাওয়ার সময় সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের বয়ড়া পারণপুর এলাকায় জিনোম মেডিকেল হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি অজ্ঞাতনামা পিকআপ ভ্যান হাসান মিয়াকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় সাথী ফেরিওয়ালারা হাসানকে উদ্ধার করে পাশের জিনোম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু ঘটে।
সংবাদ পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাবার বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে পাঁচ বছরের কন্যা সন্তানসহ স্বামী সেলিম মিয়ার মোটর সাইকেলযোগে শ্রীবরদীর কুরুয়া বাজার এলাকায় বাড়ি ফিরছিলেন গৃহবধূ কাকলী ইয়াসমিন। এ সময় মোটরসাইকেলের চাকার সঙ্গে গায়ের ওড়নার প্যাঁচ লেগে তিনি রাস্তায় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন।
আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কাকলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতের পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭