জলবায়ু অভিযোজনে সফলতা পেতে বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রম পরিচালনা করা বিশ্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তাই জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমের জন্য বিশ্বব্যাপী সংহতি জরুরি।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
সোমবার ন্যাপ এক্সপো ২০২৪ -এর হাই-লেভেল ট্রান্সফরমেশনাল ডায়ালগ: এ ট্রান্সফর্মড ন্যাপ ফর দ্যা ফিউচার শীর্ষক অধিবেশনে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোজন শুধুমাত্র স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ নয় বরং এটি আমাদের সবার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তাই এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সংহতি প্রয়োজন।’
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশের মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ মাত্র শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ হলেও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ শিকারের অন্যতম দেশ বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচির খরচ বেড়ে যাবে। সুতরাং সবকিছুকে জলবায়ু পরিবর্তনের লেন্সে দেখতে হবে। আর্থিক রিটার্নের ক্ষেত্রে অভিযোজনকে ন্যায্যতা দেওয়া কঠিন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতের প্রয়োজন মোকাবিলায় আমরা কীভাবে সক্ষমতা তৈরি করব? অর্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সক্ষমতাও গুরুত্বপূর্ণ।’
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী চিন্তা করলেও স্থানীয়ভাবে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো ২০২৪’ শীর্ষক চার দিনব্যাপী জাতিসংঘের জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: অভিযোজনে সাফল্য বিশ্বকে জানাতে শুরু হচ্ছে ন্যাপ এক্সপো: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিসিডিপি গঠন করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী