৪৮ ঘণ্টা
আ.লীগকে নিষিদ্ধে জুলাই আহতদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সংগঠন ওয়ারিয়র্স অব জুলাই।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে এই আল্টিমেটাম দেন তারা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হলে ‘রাজধানী ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানায় সংগঠনটি।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে ঘোষণা অথবা সিদ্ধান্ত চান বলে জানান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আহতরা। এই সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিশ্রুতি না এলে ৪৮ ঘণ্টা পর সারা দেশ থেকে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে বাইপাস সড়ক নির্মাণ বন্ধে চার দিনের আল্টিমেটাম
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত শহিদ মিনারে তাদের সেই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া আওয়ামী লীগকে কেউ পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে তাদের পরিস্থিতিও একই হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
জুলাই আন্দোলনে আহত সুজন নামে এক যুবক বলেন, ‘হাসিনার এই গণহত্যাকারী দল গত ১৭ বছরে অনেক মা-বোনকে কাঁদিয়েছে। আওয়ামী লীগকে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে আবার চব্বিশের জুলাইয়ের মতো আন্দোলন হবে।’
‘আমরা মৃত্যুকে ভয় পাইনা। যতদিন জীবিত আছি, আওয়ামী লীগকে এই বাংলাদেশে ফিরতে দেব না।’
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে নতুন করে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়াতেও নিষেধ করেন জুলাই বিপ্লবে আহতরা।
৪২ দিন আগে
কোটা বাতিলের দাবিতে শাবি শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পোষ্য কোটাসহ অন্যান্য অযৌক্তিক কোটা বাতিলের আলটিমেটাম দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১০ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এই সময়ের মধ্যে কোটা বাতিল না হলে রেজিস্ট্রার ভবনে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, ২৪’র জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখা আমাদের জন্য লজ্জাজনক ও অগ্রহণযোগ্য। আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, কোটা সংস্কারের নামে বৈষম্যের ধারাবাহিকতা আর চলতে দেওয়া হবে না। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব কোটা বাতিল করতে হবে।
এর আগে একইদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, আলোচনা সাপেক্ষে শুধুমাত্র নিম্নলিখিত কোটাগুলো যৌক্তিক বলে বিবেচিত হতে পারে। তা হলো- মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের কোটা, হরিজন, দলিত, চা-শ্রমিক ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কোটা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ৯ মার্চ
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শাবিপ্রবিতে কোটায় সর্বমোট আসন বহাল রখেছে ১০৫টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এ ইউনিটে (বিজ্ঞান শাখা) মোট আসন ৯৮৫টি ও ‘বি’ ইউনিটে (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা) মোট ৫৮১ টি আসন রয়েছে। এসব আসন ছাড়াও অতিরিক্ত ১০৫ টি কোটা আসন রয়েছে। এরমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ২৮ জন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/ জাতিসত্ত্বা/ হরিজন-দলিত কোটা ২৮ জন, প্রতিবন্ধী কোটা ১৪ জন, পৌষ্য কোটা ২০ জন, চা শ্রমিক কোটা ৫ জন, বিকেএসপি (খেলোয়াড়) কোটা ১০ জন।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসেন ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম মামুন।
৫৪ দিন আগে
চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে চলমান ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতারা।
পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন তারা।
এর আগে চুয়েটে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে শনিবার পরিবহন মালিক শ্রমিকরা চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডাক দেয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট চলছে, চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
এদিকে রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়।
পরে প্রশাসনের অনুরোধে রবিবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা আলোচনা শেষে চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আহ্বায়ক মঞ্জুর আলম চৌধুরী ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের অনুরোধে জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে ৪৮ ঘণ্টার চলমান ধর্মঘট আমরা প্রত্যাহার করেছি। জেলা প্রশাসক আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছেন, সেজন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, পরে এরকম কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আমরা পুনরায় ধর্মঘট দেব। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনটি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। এসব বাসের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাউজান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের প্রতিনিধি, বিআরটিসির সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৩১ জন আক্রান্ত
দেশে আরও ১৫ জনের করোনা শনাক্ত
৩৭০ দিন আগে
রবিবার থেকে চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বৃহত্তর গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা এই ধর্মঘট চলবে।
সংগঠনের সদস্য সচিব মো. মুছা বলেন, শনিবার গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের জরুরি সভায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
তিনি গণমাধ্যমকে আরও বলেন, চুয়েটে দুই ছাত্রের মৃত্যুর পর বিষয়টি নিয়ে সমাধান হওয়ার পরও আমাদের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সম্পদ ও পরিবহন শ্রমিকদের নিরাপত্তা চাই। গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। যা রবিবার সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হন। এর জের ধরে ওইদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন।
গত ২৪ এপ্রিল বাসের চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেন।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আগামী ৯ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিকালে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাবিজ-কবজ ও যাদু-টোনার অভিযোগে কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যা
সিলেটে সড়কে হঠাৎ রিকশাচালকের মৃত্যু
৩৭১ দিন আগে
মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলা: মুক্তিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্য গোপন করে উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এর আগে দেওয়া জামিন আদেশ প্রত্যাহার করে এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে হাইকোর্ট তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনতাকিমকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রমের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন— ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সোরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সোরোয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণ না করেন তাহলে তাকে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ অর্থাৎ গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাজা বহালের রায় প্রকাশ, আমান দম্পতিকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি। কারাগারে আছেন কয়েক বছর ধরে। গত আগস্ট মাসে এ মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশনা দিয়েছিল দেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল আপিল বিভাগ।
কিন্তু এই নির্দেশনা গোপন রেখে হাইকোর্টে চাওয়া হয় ওই আসামির জামিন। গত ২০ নভেম্বর মুক্তিকে জামিন দেন বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এ জামিন আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পর গত বুধবার মুক্তি পান তিনি। এদিকে এ আসামির মুক্তিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে সরকারের শীর্ষ মহলে।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘মামলাটি টাঙ্গাইল জেলার হলেও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় ঢাকার জেলার নাম উল্লেখ করা রয়েছে। শুধু জেলার নাম ভুলই নয়, আসামির নামও ভুল লেখা হয়েছে। ছিল না কোনো টেন্ডার নম্বর।’
তিনি আরও বলেন, ‘জামিন চাইতে পারেন যেকোনো আসামি। কারণ এটা আসামির অধিকার। জামিন পেতেও পারেন। তবে এভাবে ভুল তথ্য দিয়ে জামিন হাসিল করাটা কতটা ন্যায়সঙ্গত। এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ।’
তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। সে অনুযায়ী বিষয়টির উপর সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য ধার্য রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে গত ২০ নভেম্বর মুক্তিকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ রবিবার প্রত্যাহার করে নেন। পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।’
প্রসঙ্গত, সহিদুর রহমান মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই। ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়।
এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এই মামলায় তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
পরে পুলিশ এই চারজনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। বর্তমানে এই মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ
নিপুণ রায়কে ৮ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
৫২৪ দিন আগে
রবিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা বিএনপির
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিলের প্রতিবাদে দুই দিনের বিরতি দিয়ে রবিবার সকাল থেকে আবারও সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই ঘোষণা দেন।
গত ৩১ অক্টোবরের পর থেকে এটি হবে বিরোধী দলগুলোর সপ্তম দফার অবরোধ কর্মসূচি।
তিনি বলেন, রবিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই অবরোধ চলবে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ-নাশকতার পেছনে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা: রিজভী
রিজভী বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই অবরোধ।
তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুগপৎ আন্দোলন করে আসা অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে।
বিরোধী দলের চলমান ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুক্রবার সকাল ৬টায় শেষ হওয়ার ১৪ ঘণ্টা আগে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশের জনগণ ও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান রিজভী।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর
অবরোধ কর্মসূচির আগে রবিবার (১৯ নভেম্বর) থেকে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালন করে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলো ইতোমধ্যে ৬ দফায় অবরোধ পালন করছে।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল পালন করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এতে সারাদেশে বেশ কিছু যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষ ও ৩ জন নিহত হয়।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। ভয়াবহ সংঘর্ষটি দ্রুতই নয়াপল্টনে ছড়িয়ে পড়ার ফলে সমাবেশটি মাঝপথে ভণ্ডুল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কারচুপি করতে সরকার এজেন্সিগুলো ব্যবহার করে কিংস পার্টি গঠন করছে: রিজভী
৫২৮ দিন আগে
বুধবার থেকে আবারও বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে আবারও বুধবার থেকে সকাল থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন। এছাড়া গত ৩১ অক্টোবর থেকে বিরোধী দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচির এটি ষষ্ঠ ধাপ।
আরও পড়ুন: বিএনপি ও অন্যান্যদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে
রিজভী বলেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত অবরোধ চলবে।
তিনি বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তির জন্য এই অবরোধ।
রিজভী আরও বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল, যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে একযোগে আন্দোলন করে আসছে, তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
এর আগে দল ও সমমনা দলগুলো রবিবার (১৯ নভেম্বর) থেকে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা করে এবং মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তা শেষ হবে।
হরতাল কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশের জনগণ ও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান রিজভী।
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলো পাঁচ দফায় অবরোধ পালন করে।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল পালন করেন তারা। এছাড়া যানবাহনে আগুন দেওয়া ও সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর আধা ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই নয়াপল্টনে সহিংস সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে সমাবেশ মাঝপথে ভেস্তে যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার একতরফা নির্বাচনের কৌশল: রিজভী
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হরতাল উপলক্ষে বিএনপি ও জোটের সমাবেশ
৫৩০ দিন আগে
৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: ১৪টি অগ্নিসংযোগ
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে রবিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অগ্নিসংযোগের ১৪টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: অগ্নিসংযোগে দগ্ধ রিকশাচালক হাসপাতালে ভর্তি
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম জানান, এর মধ্যে- ঢাকা বিভাগে আটটি।
তিনি আরও জানান, ঢাকা বিভাগ (নারায়ণগঞ্জ, সাভার, ফরিদপুর) তিনটি। বরিশাল বিভাগে একটি, রাজশাহী বিভাগে একটি এবং রংপুর বিভাগে একটি করে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
তিনি বলেন, এ সময় মোট ১১টি বাস, দুটি হিউম্যান হলার ও একটি ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেড এলাকায় আরেকটি বাসে অগ্নিসংযোগ
মধ্যরাতে সিদ্ধিরগঞ্জে বাস ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
৫৩৭ দিন আগে
পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা: সিলেটে ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট শুরু
সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে সোমবার ভোর থেকে সিলেট জেলায় ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, জেলার সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে দুই দিনের এই ধর্মঘট ডেকেছে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে রবিবার বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে সে বৈঠকে বিষয়টির কোনো সমাধান হয়নি।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছেন’ বলা হলেও শ্রমিক নেতারা বলছেন- ‘ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।’
আরও পড়ুন: পাথর উত্তোলন: সিলেটে সোমবার থেকে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শাব্বীর আহমদ ফয়েজ বলেন, আমাদের কর্মসূচী শান্তিপূর্ণভাবে চলছে।
সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং এবং লোভাছড়া পাথর কোয়ারিগুলো থেকে বছরের পর বছর ধরে সারা দেশের পাথর সরবরাহ করা হয়ে আসছিল। প্রায় ১৫ লাখ ব্যবসায়ী-শ্রমিক ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক এ পাথর বৈধ এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে সিলেটের পরিবহন খাত বিশেষ করে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকরা পড়েছেন চরম সংকটে। ব্যবসায় পড়েছে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব।
তিনি বলেন, অধিকাংশ ট্রাক মালিক ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে তাদের গাড়ি কিনেছিলেন। গত পাঁচ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে ট্রাক মালিকদের পণ্য পরিবহনে ভাটা পড়েছে। এই অবস্থায় শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ফলে বাধ্য হয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: সিলেটে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
সড়কে চাঁদাবাজি: সিলেটে ৭২ ঘণ্টার পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট শুরু
৯১৬ দিন আগে