নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে আবারও বুধবার থেকে সকাল থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন। এছাড়া গত ৩১ অক্টোবর থেকে বিরোধী দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচির এটি ষষ্ঠ ধাপ।
আরও পড়ুন: বিএনপি ও অন্যান্যদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে
রিজভী বলেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত অবরোধ চলবে।
তিনি বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তির জন্য এই অবরোধ।
রিজভী আরও বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল, যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে একযোগে আন্দোলন করে আসছে, তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
এর আগে দল ও সমমনা দলগুলো রবিবার (১৯ নভেম্বর) থেকে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা করে এবং মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তা শেষ হবে।
হরতাল কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশের জনগণ ও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান রিজভী।
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলো পাঁচ দফায় অবরোধ পালন করে।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল পালন করেন তারা। এছাড়া যানবাহনে আগুন দেওয়া ও সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর আধা ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই নয়াপল্টনে সহিংস সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে সমাবেশ মাঝপথে ভেস্তে যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার একতরফা নির্বাচনের কৌশল: রিজভী