নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিলের প্রতিবাদে দুই দিনের বিরতি দিয়ে রবিবার সকাল থেকে আবারও সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই ঘোষণা দেন।
গত ৩১ অক্টোবরের পর থেকে এটি হবে বিরোধী দলগুলোর সপ্তম দফার অবরোধ কর্মসূচি।
তিনি বলেন, রবিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই অবরোধ চলবে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ-নাশকতার পেছনে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা: রিজভী
রিজভী বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই অবরোধ।
তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুগপৎ আন্দোলন করে আসা অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে।
বিরোধী দলের চলমান ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুক্রবার সকাল ৬টায় শেষ হওয়ার ১৪ ঘণ্টা আগে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশের জনগণ ও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান রিজভী।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর
অবরোধ কর্মসূচির আগে রবিবার (১৯ নভেম্বর) থেকে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালন করে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলো ইতোমধ্যে ৬ দফায় অবরোধ পালন করছে।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল পালন করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এতে সারাদেশে বেশ কিছু যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষ ও ৩ জন নিহত হয়।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। ভয়াবহ সংঘর্ষটি দ্রুতই নয়াপল্টনে ছড়িয়ে পড়ার ফলে সমাবেশটি মাঝপথে ভণ্ডুল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কারচুপি করতে সরকার এজেন্সিগুলো ব্যবহার করে কিংস পার্টি গঠন করছে: রিজভী