নারীদের অভিবাসনের সামাজিক খরচ অনেক বেশি,কারণ তারা জীবিকা নির্বাহের জন্য বিদেশে গেলে তাদের পরিবার ও সন্তানদের রেখে যায় বলে মন্তব্য করেছেন একটি পরামর্শ অনুষ্ঠানে বক্তারা।
বৃহস্পতিবার রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (আরএমএমআরইউ) এর আয়োজিত ‘মাইগ্রেশন থ্রো জেন্ডার লেন্স: রোল অফ মিডিয়া’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।
তারা বলেন, নারী অভিবাসী শ্রমিকদের শিশুরা নিরাপত্তাহীনতা এবং একাকীত্ব সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ও অভিবাসন ইস্যুতে সক্রিয় সহায়তা চায় ঢাকা
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিতে নারী অভিবাসী শ্রমিকদের অবদান সম্পর্কে মানুষকে সংবেদনশীল করা গুরুত্বপূর্ণ।
নারী অভিবাসী শ্রমিকদের যে চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করতে হয় সে ব্যাপারে তাদের পরিবারের যথাযথ সহায়তা সহ একটি সুপারিশ করেছেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আরএমএমআরইউ -এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. তাসনিম সিদ্দিকী ও আইবিপি এর সিনিয়র ম্যানেজার এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলে প্রকাশের লিঙ্গ ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি উপদেষ্টা শিরিন লিরা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বাতিলে ফের বাইডেনের স্বাক্ষর
বক্তারা জলবায়ু অভিবাসন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই।
এসময় সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্থানচ্যুতি সম্পর্কিত লিঙ্গ বিশ্লেষণ’ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এসময় তিনি বাস্তব অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে জলবায়ু-সংক্রান্ত কর্মসূচি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ুর কারণে বিশ্বে ২ কোটি মানুষ অভিবাসী হওয়ার আশঙ্কা