সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিটেনসহ কয়েকটি মিত্র দেশের সহায়তার কারণে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গড়ে উঠেছিল। যদিও যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান করেছিল। কিন্তু ভারত, ব্রিটেন, রাশিয়াসহ কয়েকটি মিত্র দেশের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছে।
শনিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের যৌথ আয়োজনে ‘দ্য ইউকে ১৯৭১: পিপল’স সলিডারিটি উইথ বাংলাদেশ’স লিবারেশন’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা অভিযান শুরু করলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির প্রতিরোধ রূপ নেয় স্বাধীনতা আন্দোলনে। ব্রিটেনে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে নেমে পড়েন অনেক মানুষ। সংগঠিত হয় অনেক ধরনের উদ্যোগ। বার্মিংহামে গঠিত হয় ‘বাংলাদেশ অ্যাকশন কমিটি’। ব্রিটেন-প্রবাসী বাঙালিদের সাথে যোগ দেন আরও অনেক ব্রিটিশ নাগরিক। রাজনৈতিক নেতৃত্ব বাড়িয়ে দেয় সহযোগিতার হাত।’
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের শিক্ষা-সংস্কৃতির উন্নয়ন ও পৃষ্ঠপোষকতায় দীর্ঘদিনের অংশীদার। এ বছর ব্রিটেন-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ৭০ বছর উদযাপিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ কাউন্সিল ‘লাইব্রেরি আনলিমিটেড’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রন্থাগারের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নেও কাজ করছে।
এ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভি স্প্রিং সিবিই। প্রদর্শনী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের।
উল্লেখ্য, মাসব্যাপী প্রদর্শনীটি ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকে প্রাধান্য পেয়েছে সাইবার নিরাপত্তা
বঙ্গবন্ধু ও নেলসন ম্যান্ডেলা মহান দূরদর্শী নেতা: দ.আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী