ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সাগর মোহনার দুর্গম ঢাল চর ও চর কুকরি মুকরি ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এতে করে জোয়ারের অন্তত ৫ ফুট পানিতে প্রায় ২০ হাজার লোক পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। অসংখ্য কাঁচাঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হচ্ছে। এতে করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাধ হুমকির মুখে পড়েছে।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'
ঢাল চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, তার ইউনিয়নের কোনো আশ্রয়কেন্দ্র নেই। সেখানে জোয়ারে পানিতে প্রায় ১২ হাজার লোক পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। নদী উত্তাল হওয়ায় সেখান থেকে মূল ভূখণ্ডে মানুষকে সরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কিছু লোক পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার এলাকার বহু কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, চরে অতি জোয়ারের পানিতে মানুষের দুর্ভোগ চরমে।
পর্যটন এলাকা কুকরি মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম বলেন, তার এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে চর পাতিলাসহ বিভিন্ন এলাক প্রায় সাত হাজার লোক পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। অনেক আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে। উঁচু স্থানে গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে কাচা ঘর বাড়ি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মনপুরার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসের হাটে নিম্ন অঞ্চল, কলাতলি, চর সামসুদ্দিন ও কাজির চর, চর নিজাম চার থেতদকে পাঁচ ফুট পানিতে প্লাবিত।
এদিকে ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। পাশাপাশি উত্তাল হয়ে উঠে মেঘনা নদী।
নদী ও সাগর তীরবর্তী এলাকায় থাকা মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য স্বেচ্ছাসেবক কোস্টগার্ড সতর্ক বার্তা প্রচার করেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: খুলনার উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি-জলোচ্ছ্বাস