হান্সি ফ্লিক
রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনার সামনে যে দলই আসছে একেবারে পিষে যাচ্ছে। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। ঘরের মাঠে বার্সাকে আতিথ্য দিয়ে গোলবন্যায় ভাসল রেড স্টার বেলগ্রেদ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।
কাতালান ক্লাবটির হয়ে এদিন জোড়া গোল করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। অন্য তিনটি গোল আসে ইনিগো মার্তিনেস, রাফিনিয়া ও ফেরমিন লোপেসের পা থেকে।
অন্যদিকে, দুই অর্ধে স্বাগতিকদের গোল দুটি করেন বেলগ্রেদের কঙ্গো ফরোয়ার্ড সিলাস ও অ্যাঙ্গোলান মিডিফিল্ডার ফেলিসিও মিলসন।
জোড়া গোলে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচে লেভানডোভস্কির গোলসংখ্যা হলো ৫টি। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সার জার্সিতে ১৬ ম্যাচে ১৯ গোল করলেন ৩৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: এস্পানিওলকে উড়িয়ে কাতালুনিয়া ডার্বিও বার্সেলোনার
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্যারিয়ারে লেভানডোভস্কির গোলসংখ্যা পৌঁছেছে ৯৯-তে। আর এক গোল পেলেই তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের একশ বা তার বেশি গোলদাতাদের তালিকায় নাম লেখাবেন তিনি। এখন পর্যন্ত ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি ছাড়া গোলের শতক পার করতে পারেননি কেউ।
এছাড়া একটি গোলের পাশাপাশি জোড়া অ্যাসিস্ট করেন রাফিনিয়া। এতে করে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচে ৫ গোল ও দুটি অ্যাসিস্টসহ মোট ৭ গোলে অবদান রাখলেন এই ব্রাজিলীয়। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ক্লাবের হয়ে ১৬ ম্যাচে ২০ গোলে (১২ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট) অবদান রাখলেন তিনি, জাতীয় দলের হিসাব ধরলে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ১৮ ম্যাচে ২২ গোলে অবদান (১৪ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট)।
২০২৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাফিনিয়ার মোট গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৮টি। ২০১৯ সালে লিওনেল মেসির পর প্রথম বার্সা খেলোয়াড় হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ৮টি বা তার বেশি গোলে অবদান রাখলেন রাফিনিয়া। অথচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম দশ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ছিল শূন্য।
এছাড়াও, বার্সেলোনার পক্ষে এদিন অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেছেন ফরাসি ফুলব্যাক জুল কুন্দে।
আরও পড়ুন: রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
আর মোনাকোর কাছে হেরে আসর শুরুর পর টানা তিন ম্যাচে চার বা তার বেশি গোল করে জিতল বার্সেলোনা। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমের পর এই প্রথম ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় টানা তিন ম্যাচে চার বা এর বেশি গোল করল কাতালান জায়ান্টরা।
লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে সবশেষ টানা সাত ম্যাচ জয়ের পথে প্রতিপক্ষের জালে মোট ২৯ বার বল পাঠাল ফ্লিকের শিষ্যরা।
অন্যদিকে, এই মৌসুমে সার্বিয়ার শীর্ষ লিগে এখনও পর্যন্ত একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত থাকা বেলগ্রেদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচের সবগুলোতেই পেল হারের স্বাদ। সবশেষ তিন ম্যাচে মোট ১৪ গোল হজম করল তারা।
চতুর্থ রাউন্ডের খেলা শেষে টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে উঠে গিয়েছে বার্সেলোনা। তাদের উপরে থাকা পাঁচ দলই চলতি আসরে এখনও অপরাজিত। সমান দশ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানের কারণে পঞ্চম, চতুর্থ, তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইন্টার মিলান, ব্রেস্ত, মোনাকো ও স্পোর্তিং। আর সবগুলো ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় লিভারপুল।
আরও পড়ুন: ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
দিনের অপর ম্যাচে নিজেদের মাঠে আর্সেনালের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ইন্টার মিলান। একই ব্যবধানে বেনফিকাকে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। এছাড়া চলতি মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলাও।
১ মাস আগে
হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে খেলা শুরুর পর থেকে প্রায় ৭৮ হাজার রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকের যে বিশাল গর্জনে বুক কেঁপে কেঁপে উঠছিল বার্সেলোনার তরুণ খেলোয়াড়দের, দ্বিতীয়ার্ধের কিছুক্ষণ পর থেকে সেই উল্লাস কোথায় যেন মিলিয়ে গেল, আর এক কোনায় থাকা মাত্র ৪০০ ব্লাউগ্রানা সমর্থকের চিৎকার ছাপিয়ে গেল গোটা গ্যালারির স্তব্ধতা। বার্সেলোনাকে আরও একবার হারিয়ে, কিংবা অন্তত হার এড়িয়ে বার্সারই টানা জয়ের রেকর্ড ভাঙার যে স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন ভিনিসিউস-এমবাপ্পে-বেলিংহ্যামরা, ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই সেই স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেল।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে লা লিগায় মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের মাঠেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা।
২০২২ সালের ২০ মার্চের পর ঘরের মাঠে এটিই রিয়ালের সবচেয়ে বড় হার। ওই ম্যাচটিও তারা হেরেছিল বার্সেলোনার কাছেই, একই ব্যবধানে।
এছাড়া সব মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ জেতার পর এদিন বার্সার কাছে হারল রিয়াল মাদ্রিদ। ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই সর্বশেষ রিয়ালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল শাভি এরনান্দেসের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
চলতি মৌসুমে ভালো শুরু না পেলেও নানাভাবে হার এড়িয়ে লা লিগায় টানা ৪২ ম্যাচ অপরাজিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সর্বশেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ঘরে দাঁড়িয়ে ৫-২ গোলে জিতে দারুণভাবে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতিও সারে কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে ক্লাসিকোতে বড় হারে সব প্রস্তুতি ধূলায় মিশে গেছে দলটির। অন্যদিকে, রিয়ালকে হারিয়ে নিজেদের রেকর্ড অক্ষত রেখেছে বার্সেলোনা।
এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে ভিনিসিউস-এমবাপ্পের মতো ক্ষিপ্র গতির খেলোয়াড়দের আটকানোর কৌশল বাতলে দিয়েছিলেন বার্সা বস ফ্লিক। সেই কৌশল অবলম্বন করেই রিয়ালের বিষদাঁত বের করতে দেননি এই জার্মান।
ম্যাচে শুধু এমবাপ্পেই ৮ বার বার্সার অফসাইডের ফাঁদে পড়েছেন। ফরাসি এই স্ট্রাইকারের নৈপুণ্যে ম্যাচের ৩০তম মিনিটে এগিয়েও গিয়েছিল রিয়াল, তবে অফসাইডে কাটা পড়ে তার গোলটি।
আরও পড়ুন: রিয়ালের অগ্নিঝরা ফুটবলে পুড়ে ছাই ডর্টমুন্ড
প্রথমার্ধে মাঠে তেমনভাবে প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই নিজেদের জাত চেনাতে শুরু করে রিয়ালের খেলোয়াড়রা। তবে বলের দখল, গতি নিয়ন্ত্রণ, রক্ষণ, কাউন্টার প্রেসিং ও ফিনিশিংয়ে তাদের চেয়ে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা; আর এর ফলও পেয়েছে তারা।
১ মাস আগে
উড়তে থাকা বার্সেলোনাকে মাটিতে নামাল ওসাসুনা
একের পর এক দুর্দান্ত জয়ে লা লিগায় উড়ে চলেছিল হান্সি ফ্লিকের বার্সেলানা। এবার সেই উড়তে থাকা দলটিকে মাটিতে নামাল ওসাসুনা।
লা লিগার অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচে ওসাসুনার এল সাদার স্টেডিয়ামে বার্সেলোনাকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
এর ফলে লিগে সাত ম্যাচ পর বার্সেলোনা প্রথম হারের মুখ দেখেছে। অন্যদিকে, চলতি মৌসুমে ঘরের মাঠে নিজেদের অপজেয় যাত্রা আরও একটু লম্বা করেছে ওসাসুনা (তিন জয়, এক ড্র)।
শুধু তা-ই নয়, লিগে এক যুগ পর নিজেদের মাঠে বার্সেলোনার বিপক্ষে জয় পেল ওসাসুনা। সর্বশেষ ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে কাতালানদের হারিয়েছিল দলটি।
চোটজর্জর দল নিয়ে ভুগতে থাকায় এদিন বেশকিছু পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন বার্সা বস ফ্লিক। তবে ওসাসুনার শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান ফুটবলারদের সামনে সেই পরীক্ষায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা ও সমর্থকদের উয়েফার শাস্তি
এদিন ওসাসুনার হয়ে জোড়া গোল করে ম্যাচসেরা হয়েছেন দলটির ফরোয়ার্ড আন্তে বুদিমির। এছাড়া দুই অর্ধে দুটি গোল করেন যথাক্রমে উইঙ্গার ব্রায়ান সারাগোসা এবং আবেল ব্রেতোনেস।
বার্সেলোনার গোলদুটি করেন পাউ ভিক্তর ও লামিন ইয়ামাল।
এদিন গত ম্যাচের একাদশের চার খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে নতুন একাদশ সাজান হান্সি ফ্লিক। রক্ষণভাগে লেফট ব্যাক আলেক্স বালদের পরিবর্তে ক্লাবটির ‘বি’ টিমের খেলোয়াড় জেরার্দ মার্তিন এবং সেন্টার ব্যাক ইনিগো মার্তিনেসের পরিবর্তে আরেক তরুণ সের্জি দমিঙ্গেসকে সুযোগ দেন তিনি। এছাড়া আক্রমণ ভাগের কার্যকর দুই উইঙ্গার রাফিনিয়া ও লামিন ইয়ামালকে বেঞ্চে বসিয়ে তাদের পরিবর্তে যথাক্রমে পাউ ভিক্তর ও ফেররান তোরেস দিয়ে ম্যাচ শুরু করান এই জার্মান কোচ।
মাঠে নামার পর থেকেই খেলায় দক্ষতার অভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে বার্সেলোনার। আর তা দেখে গোল পেতে শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে ওসাসুনা।
ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটে ডান পাশ দিয়ে দুর্দান্ত এক আক্রমণে উঠে বার্সেলোনার বক্সের সামান্য বাইরে থেকে কাছের পোস্টে বুলেট শট নেন উইং ব্যাক হেসুস আরেসো। তবে শটটি লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি।
এর তিন মিনিট পরই গোল পেয়ে যায় ওসাসুনা। বাঁ পাশ ধরে আক্রমণে উঠে কর্নার স্পটের কাছ থেকে গোলমুখে ক্রস বাড়ান উইঙ্গার ব্রায়ান সারাগোসা। তা থেকে হেডারে ঠিকানা খুঁজে নেন আন্তে বুদিমির।
২ মাস আগে
টের স্টেগেনের চোট: বিকল্প খুঁজলেও পেনিয়াতেই আস্থা ফ্লিকের
চোটের কারণে মৌসুমই প্রায় শেষ হয়ে গেছে বার্সেলোনার জার্মান গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনের। ফলে নতুন করে তার বিকল্প খুঁজতে হচ্ছে ইতোমধ্যে আর্থিক সংকটে জর্জরিত ক্লাবটিকে। তবে দ্বিতীয় গোলরক্ষক ইনিয়াকি পেনিয়ার ওপরই আস্থা রাখার কথা জানিয়েছেন বার্সা বস হান্সি ফ্লিক।
ভিয়ারিয়ালের মাঠে গত রোববার খেলতে গিয়ে শুরু থেকেই অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করতে থাকেন টের স্টেগেন। এরই মাঝে বিরতির কিছুক্ষণ আগে লাফিয়ে উঠে অসাধারণ একটি সেভ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাজেভাবে পড়ে যান ৩২ বছর বয়সী এই জার্মান।
এরপর মাঠেই টিম ফিজিওরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন, কিন্তু অবস্থা এতটাই গুরুতর হয়ে পড়ে যে, স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ম্যাচটি ৫-১ গোলে জেতার পর ইউরোপীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের বরাতে জানা যায়, লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে যেতে চলেছেন এই গোলরক্ষক। পরেরদিন এক বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন: বড় জয়ে অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত বার্সেলোনার
ক্লাবটির বিবৃতিতে বলা হয়, ডান পায়ের ‘প্যাটেলা টেন্ডন’ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টের স্টেগেনের। সোমবার তার পায়ে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। পুরোপুরি সেরে উঠতে অন্তত আট মাস সময় লাগতে পারে এই গোলরক্ষকের।
টের স্টেগেন চোটে পড়ার পর থেকেই তার বিকল্প খোঁজার কথা চাউর হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন গোলরক্ষক দলে ভেড়াতে আগামী জানুয়ারি মাসের শীতকালীন দলবদল শুরু হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারে বার্সেলোনা। তবে লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী, চুক্তির বাইরে আছেন (ফ্রি এজেন্ট), এমন গোলরক্ষক তারা এখনই দলে ভেড়াতে পারে।
২ মাস আগে
বড় জয়ে অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত বার্সেলোনার
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর লিগ ম্যাচে ফের জ্বলে উঠল বার্সেলোনা। হারের হতাশা ভুলে ভিয়ারিয়ালের মাঠ থেকে বড় জয় নিয়ে ফিরল হান্সি ফ্লিকের দল।
এস্তাদিও দে লা সিরামিকায় স্থানীয় সময় রবিবার রাতে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ৫-১ ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে রবের্ট লেভানডোভস্কি জোড়া গোল করে দলকে এগিয়ে নিলে বিরতির পরই ব্যবধান বাড়ান চলতি মৌসুমে প্রথমবার শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া বার্সেলোনা মিডফিল্ডার পাবলো তোরে। এরপর আরও দুই গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন পুরো ম্যাচজুড়ে আলো ছড়ানো রাফিনিয়া। অন্যদিকে, প্রথমার্থে ভিয়ারিয়ালের একমাত্র গোলটি করেন আয়োসে পেরেস।
অবশ্য হ্যাটট্রিক করতে পারতেন লেভানডোভস্কি, তবে পেনাল্টি মিস করায় সে গৌরব থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এই পোলিশ তারকা। দুই গোলে লা লিগায় ৬ ম্যাচে ৬ গোল ও দুটি অ্যাসিস্ট হলো তার। এছাড়া পাঁচ গোল করে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠেছেন রাফিনিয়া।
আরও পড়ুন: শুরুতেই লাল কার্ড, হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু বার্সেলোনার
এই দুজনের পাশাপাশি লামিন ইয়ামালের কথা উল্লেখ না করলেই নয়; চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচ খেলে প্রতি ম্যাচে অন্তত একটি গোলে অবদান রেখেছেন ১৭ বছরে পা দেওয়া এই স্প্যানিশ তরুণ। গোল-অ্যাসিস্ট মিলিয়ে (লেভানডোভস্কির সমান আটটি) সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেন তিনি। লিগে এখন পর্যন্ত তিন গোলের পাশাপাশি পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
স্কোরলাইন দেখে ম্যাচটি একপেশে মনে হলেও পুরো ম্যাচজুড়ে এক মুহূর্তের জন্যেও বার্সেলোনাকে ছেড়ে কথা বলেনি ভিয়ারিয়াল। বার্সা একবার আক্রমণে উঠলে পরমুহূর্তে আক্রমণে উঠেছে মার্সেলিনোর শিষ্যরা। তবে অফসাইড আর ভাগ্যের ফেরে বল পোস্টে লাগায় বেশ কয়েকটি গোলবঞ্চিত হয়েছে তারা।
ম্যাচজুড়ে বার্সেলোনার ১৬টি শটের বিপরীতে ১৪টি শট নেয় ভিয়ারিয়াল। তবে শট লক্ষ্যে রাখার ক্ষেত্রে ভিয়ারিয়ালকে পেছনে ফেলেছে বার্সেলোনা; তাদের ১০ শট লক্ষ্যে থাকলেও মাত্র চারটি শট গোলমুখে রাখতে পারে ভিয়ারিয়াল।
শুক্রবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বড় ভুলের পর ম্যাচ হারায় টের স্টেগেনকে অনেকে কাঠগড়ায় তুললেও এ ম্যাচের শুরু থেকেই চমক দেখাতে থাকেন এই গোলরক্ষক। তবে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে দলকে নিশ্চিত গোল খাওয়া থেকে বাঁচাতে গিয়ে চোট পান তিনি। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে সুস্থ না হওয়ায় পরে স্ট্রেচারে শুয়ে তাকে মাঠ ছাড়তে হয়।
২ মাস আগে
জিরোনায় বড় জয়ে মধুর প্রতিশোধ বার্সেলোনার
শুনতে অস্বাভাবিক মনে হলেও নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে গত তিন ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি বার্সেলোনা। এর মধ্যে সবশেষ দুটি ম্যাচেই তারা হেরেছে ৪-২ ব্যবধানে। তবে বড় ব্যবধানে জিতে সেই হারের ক্ষতে প্রলেপ দিল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
কাতালুনিয়ার এস্তাদি মন্তিলিভিতে রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকালে গত মৌসুমে অসাধারণ পারফর্ম করে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়া জিরোনার বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।
গত মৌসুমে এই স্টেডিয়ামেই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার গৌরব অর্জন করে কোচ মিচেলের শিষ্যরা। ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারির পর থেকে এই মাঠে জয়বঞ্চিত ছিল বার্সেলোনা। ওই ম্যাচে পেদ্রির একমাত্র গোলে তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল ‘ব্লাউগ্রানা’ খ্যাত দলটি।
তবে আজকে জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক লামিন ইয়ামাল। এছাড়া একটি করে গোল করেন গত দলবদলের মৌসুমে বার্সায় ফেরা মিডফিল্ডার দানি অলমো এবং চোটের কারণে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা পেদ্রি। এছাড়া জিরোনার একমাত্র গোলটি করেন ক্রিস্তিয়ান স্তুয়ানি।
এদিন দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা চ্যালেঞ্জ জানালেও ম্যাচজুড়ে আধিপত্য ধরে রাখে বার্সেলোনা। ম্যাচজুড়ে ১৭টি শট নেয় তারা যার আটটি লক্ষ্যে ছিল। অন্যদিকে, ৯টি শটের পাঁচটি লক্ষ্যে রেখেও একটির বেশি গোল পায়নি স্বাগতিকরা।
আরও পড়ুন: বার্সার দায়িত্ব নিয়ে শিরোপা জিততে বদ্ধপরিকর ফ্লিক
ম্যাচের শুরু থেকেই জিরোনাকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। এর ফল তারা পেয়ে যাচ্ছিল প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই।
ষষ্ঠ মিনিটে ক্ষিপ্র আক্রমণে উঠে প্রতিপক্ষের বক্সের মধ্যে একের পর এক পাসের পর জোরালো শট নেন একপ্রকার ফাঁকায় থাকা লামিন ইয়ামাল, কিন্তু ওই শটে জিরোনা গোলরক্ষক পাওলো গাস্সানিগাকে তেমন কোনো পরীক্ষাতেই ফেলতে পারেননি ১৭ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। ফলে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় বার্সা।
ম্যাচের ষোড়শ মিনিটে কর্নার থেকে আসা ক্রসে হেডারে লক্ষ্যভেদ করার চেষ্টা করেন লেভানডোভস্কি, তবে বল সরাসরি গোলরক্ষকের কাছে চলে যায়। পরের মিনিটে জিরোনার মিগেল গুতিয়েরেসের নিচু শট ঠেকান বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন।
ম্যাচের ২৩তম মিনিটে বাঁ পাশ ধরে এগিয়ে গিয়ে বক্সে ঢুকেই বুলেট গতিতে শট হানেন বার্সা উইং ব্যাক আলেহান্দ্রো (আলেক্স) বালদে, কিন্তু তার সেই শট ক্রসবারের বেশ বাইরে দিয়ে চলে যায়।
তবে ম্যাচের আধঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর বার্সেলোনাকে আর আটকে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা।
৩০তম মিনিটে গোলরক্ষকের ছোট পাস ধরে সামনে এগোচ্ছিলেন জিরোনা ডিফেন্ডার দাভিদ লোপেস। বক্সের বাইরে বের হতেই হঠাৎ ছুটে গিয়ে তার কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নেন লামিন। এরপর মাঝ বরাবর একটু এগিয়ে গিয়ে জোরালো শটে বল ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন তিনি।
৩ মাস আগে
রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিক, ৭-০ ব্যবধানে জিতল বার্সেলোনা
হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় নতুন দিনের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে বার্সেলোনা সমর্থকরা। আর্থিক সংকটের কারণে চাহিদামতো খেলোয়াড় কিনতে না পারা এবং চোটজর্জর দল নিয়েও লিগের প্রথম চার ম্যাচে জয় পেয়েছে ক্লাবটি। তবে চতুর্থ ম্যাচে বিরাট জয়ে ভক্তেদের প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তার দল।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ৭-০ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে কাতালুনিয়ার ক্লাবটি।
এই ম্যাচে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক করেছেন বার্সার ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। এছাড়া শুরুতেই পিচিচির দৌড়ে থাকা রবের্ট লেভানডোভস্কি, দানি অলমো, ফেররান তোরেস ও জুল কুন্দে পেয়েছেন একটি করে গোলের দেখা। তবে গোল না পেলেও এদিন দুটি অ্যাসিস্ট করে নিজের প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন লামিন ইয়ামাল।
আরও পড়ুন: বার্সার দায়িত্ব নিয়ে শিরোপা জিততে বদ্ধপরিকর ফ্লিক
এদিন ম্যাচের ২০তম মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ৩-০ ব্যবধান গড়ে বিরতিতে যায় বার্সেলোনা। বিরতির পর তারা প্রতিপক্ষের জালে আরও চারবার বল পাঠায়।
ম্যাচের দশম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বার্সেলোনা, কিন্তু অফসাইডের কারণে দানি অলমোর গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া রাফিনিয়ার বুলেট শট প্রতিহত করলেও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন ভায়াদোলিদ গোলরক্ষক কার্ল হাইন। বল তার কাছ থেকে সামনে চলে আসলে এগিয়ে গিয়ে তা জালে জড়িয়ে দেন অলমো, কিন্তু ভিএআর রিভিউতে রেফারির অফসাইডের সিন্ধান্ত বহাল থাকলে হতাশ হয় বার্সার সমর্থকরা।
চতুর্দশ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রবের্ট লেভানডোভস্কির শট ঠেকিয়ে দেন হাইন। ষোড়শ মিনিটে তার আরও একটি হেডার পোস্টের বাইরে বেরিয়ে যায়। তবে ২০তম মিনিটে রাফিনিয়ার চমৎকার এক গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
মাঝ মাঠ থেকে রাফিনিয়ার দৌড় দেখেই শূন্যে ভাসিয়ে লং পাস দেন পাউ কুবারসি। এরপর প্রতিপেক্ষের বক্সের বেশ বাইরে থেকে বুক দিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনাকুনি এগিয়ে গিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
৩ মাস আগে
ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতে বার্সার ‘ফ্লিক অধ্যায়’ শুরু
বার্সেলোনার কিংবদন্তি মিডফিল্ডার ও কোচ শাভি এরনান্দেসকে বরখাস্ত করার পর নতুন কোচ হান্সি ফ্লিকের তত্ত্বাবধায়নে কেমন খেলবে দলটি, তা দেখার অপেক্ষায় ছিল সবাই। তবে লা লিগায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও জয় পেয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে বার্সেলোনা।
শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে ভালেন্সিয়ার মেস্তায়া স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে কাতালুনিয়া জায়ান্টরা। জোড়া গোল করে বার্সাকে জয় এনে দেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
এর ফলে বার্সা কোচ হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে জয় দিয়ে শুভসূচনা হয়েছে ফ্লিকের।
ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে হুগো দুরোর গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর গোল পরিশোধ করতে অবশ্য বেশি সময় নেয়নি বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান লেভানডোভস্কি। এরপর বিরতির পর ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল করে দলকে এগিয়ে নেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার।
এরপর আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও সেগুলো গোলে পরিণত করতে পারেনি বার্সেলোনার ফুটবলাররা। ফলে ২-১ ব্যবধান ধরে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্লিকের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচেই সালাহর দুই রেকর্ড
এদিন চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন ইলকাই গুন্ডোগান, গাভি, রোনাল্দ আরাউহো, ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং ও আনসু ফাতির মতো দলটির প্রমাণিত ফুটবলাররা। এছাড়া চলতি দলবদলের মৌসুমে লাইপসিগ থেকে দলে টানা দানি অলমোকেও এখনও লা লিগায় নিবন্ধন করাতে পারেনি আর্থিক জটিলতায় ভোগা বার্সেলোনা।
ফলে কৌশলে পরিবর্তন এনে দল সাজাতে হয় ফ্লিকের। শুরুর একাদশে তিনি নামিয়ে দেন ১৭ বছর বয়সী তিন ফুটবলার- লামিন ইয়ামাল, পাউ কুবারসি ও মার্ক বের্নালকে।
তবে তরুণ হলেও কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তাদের সবাই। রক্ষণভাগে কুবারসি ছিলেন অসাধারণ। কন্ট্রোলিং মিডফিল্ডে এদিন বার্সায় অভিষিক্ত বের্নালও ছিলেন দারুণ। আর বরাবরের মতোই আক্রমণভাগে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ওপর ত্রাস ছড়ান লামিন।
আগামী শনিবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় আথলেতিক বিলবাউয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলতে নামবে ফ্লিকের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: হাভার্টস-সাকার গোলে জয় দিয়ে শুরু আর্সেনালের
৪ মাস আগে