ইনকিলাব মঞ্চ
হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের শাহবাগ মোড় অবরোধ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মীরা। দেশের জনগণকে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে আহ্বান জানান তারা।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর শাহবাগ মোড় অবরোধ করায় ওই এলাকায় সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল ৪টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছিল।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবেরের নেতৃত্বে আজ জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের করেন অনুসারীরা। তারপর সেখান থেকে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
বিক্ষোভ চলাকালে প্রতিবাদকারীরা ‘হাদি হত্যার বিচার চাই’, ‘আমরা সবাই হাদি হব, যুগে যুগে লড়ে যাব’ ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা, ঢাকা’ এবং ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি, আজাদি’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
প্রতিবাদ কর্মসূচি ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স এলাকার ছাতা মসজিদ ও চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
শরিফ ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর পুরান পল্টনের কালভার্ট রোডে রিকশায় যাওয়ার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়, সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি মারা যান। গত রবিবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে তার জানাজা হয়। এরপর তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ-সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলের পাশে দাফন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান সালাহউদ্দিনের
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রকারীরা যেন নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করতে না পারে—সে বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পেছানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। হাদি হত্যাকাণ্ড সেই গভীর ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ হতে পারে। এর সঙ্গে স্বৈরাচারের দোসর এবং গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সংশ্লিষ্টতা থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক যাত্রা যখন নতুন করে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য, হত্যাকাণ্ড ও ভয়ভীতি ছড়ানোর ঘটনা ঘটছে। এর উদ্দেশ্য একটাই—নির্বাচনি পরিবেশ নষ্ট করা এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নৈরাজ্য সৃষ্টি করে কিংবা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। জনগণ এসব ষড়যন্ত্র প্রত্যাখ্যান করবে। গণতন্ত্রবিরোধী সব অপচেষ্টা অতীতেও ব্যর্থ হয়েছে, এবারও ব্যর্থ হবে।’
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিন রাজধানীতে লক্ষাধিক মানুষের ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে। সেই সমাবেশ থেকেই দেশের বিরুদ্ধে চলমান সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর ও স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই দলের প্রধান লক্ষ্য। যারা হত্যাকাণ্ড ও অস্থিতিশীলতার মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়, তারা জনগণের কাছে চিহ্নিত হয়ে পড়বে।’
হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। কোনো ধরনের ধামাচাপা বা রাজনৈতিক প্রভাব মেনে নেওয়া হবে না।’
এর আগে, দুপুর আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে হাদির দাফন সম্পন্ন হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার সারা দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। তার রুহের মাগফেরাত কামনায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে গতকাল (শুক্রবার) দেশের মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তার আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
৬ দিন আগে
জাতীয় কবির পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত ওসমান হাদি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের কাছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবির কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হন এই তরুণ নেতা।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা সম্পন্ন হয়। বড়ভাই আবুবকর সিদ্দিক হাদির জানাজা পড়ান। এরপর লাশবাহী ফ্রিজিং ভ্যানে করে তার মরদেহ ঢাবি ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়। এ সময় ফ্রিজিং ভ্যানের সঙ্গে ঢাবি অভিমুখে রওনা হয় হাজারো মানুষের কাফেলা।
তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রবেশপথ বন্ধ রাখা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়।
৬ দিন আগে
প্রিয় হাদি, তুমি হারিয়ে যাবে না, তুমি থাকবে বাংলাদেশের হৃদয়ে: প্রধান উপদেষ্টা
যতদিন বাংলাদেশ আছে, ততদিন শরিফ ওসমান হাদি সকল বাংলাদেশির ‘বুকের মধ্যে থাকবে থাকবেন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) তিনি এ মন্তব্য করেন।
আজ (শনিবার) দুপুর আড়াইটার দিকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে বড়ভাই আবু বকর সিদ্দিক হাদির জানাজা পড়ান।
জানাজার বক্তব্য দিতে গিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘লাখ লাখ লোক আজকে এখানে হাজির হয়েছে। পথে ঢেউয়ের মতো লোক আসছে। সারা বাংলাদেশজুড়ে কোটি কোটি মানুষ আজকে এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। তারা তাকিয়ে আছে হাদির কথা শোনার জন্য আজকে। বিদেশে যারা আছে, বাংলাদেশি এই মুহূর্তে তারাও হাদির কথা জানতে চায়।
‘প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসি নাই এখানে। তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছো এবং চিরদিন, বাংলাদেশ যতদিন আছে, তুমি সকল বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে। এটা কেউ সরাতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে তোমাকে বিদায় দিতে আসিনি। আমরা তোমার কাছে ওয়াদা করতে এসেছি। তুমি যা বলে গেছ, সেটা যেন আমরা পূরণ করতে পারি। সেই ওয়াদা করার জন্য আমরা একত্র হয়েছি।
‘সেই ওয়াদা শুধু আমরা নয়, পুরুষানুক্রমে বাংলাদেশের সব মানুষ পূরণ করবে। সেই ওয়াদা করার জন্যই আমরা তোমার কাছে আজকে এসেছি। সবাই মিলে, যে যেখানেই আছি, আমরা তোমার যে মানব প্রেম, তোমার যে ভঙ্গি মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা, তোমার যে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, সবাই প্রশংসা করছে, সেটা আমরা মনে প্রাণে গ্রহণ করছি। যেটা যেন আমাদের মনে সবসময় জাগ্রত থাকে, আমরা সেটা অনুসরণ করতে পারি।’
৬ দিন আগে
লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দুপুর আড়াইটার দিকে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানরাও। এ ছাড়া বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন দলের নেতারাও জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শুরু হওয়ার আগে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা এ এফ এম খালিদ হোসেন। এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করে জানাজা পড়ান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
এর আগে, হাদির জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে লোকজন জড়ো হতে শুরু করে। ছোটবড় মিছিল নিয়ে শত শত মানুষ সংসদ ভবন এলাকায় ছুটে আসেন।
এ সময় তারা ‘হাদি মরল কেন’, ‘ইউনূস সরকার বিচার চাই’, ‘আমার ভাই, আমার ভাই-হাদি ভাই, হাদি ভাই’, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘হাদি ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই’, ‘বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
৬ দিন আগে
হাদির জানাজায় অংশ নিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জনস্রোত
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন জড়ো হতে শুরু করেছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। ছোটবড় মিছিল নিয়ে শত শত মানুষ সংসদ ভবন এলাকায় আসছেন।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ‘হাদি মরল কেন’, ‘ইউনূস সরকার বিচার চাই’, ‘আমার ভাই, আমার ভাই-হাদি ভাই, হাদি ভাই’, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘হাদি ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই’, ‘বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দিতে সেখানে জড়ো হচ্ছে জনতা।
কুমিল্লা থেকে হাদির জানাজায় অংশ নিতে এসেছেন মশিউর রহমান নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ চাই যেখানে কোনো অন্যায় বরদাশত করা হবে না। হাদির জানাজায় অংশ নেওয়া আমার জীবনের বেদনাদায়ক ঘটনাগুলোর একটি। তিনি মারা গেলেও বিপ্লবী কণ্ঠস্বরের মধ্য দিয়ে বিপ্লবী তরুণদের হৃদয়ে যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন।
দুপুরে ২টায় ওসমান হাদির জানাজা পড়াবেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। এরপর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তার দাফন হবে।
হাদির জানাজা ঘিরে জাতীয় সংসদ ভবনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। পুলিশ, বিজিবি, র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এবং আশেপাশে এলাকাজুড়ে। সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এক হাজার বডি-ওর্ন ক্যামেরাসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছে ডিএমপি।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদ ভবন ও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বডি-ওর্ন ক্যামেরা ও রায়োট কন্ট্রোল গিয়ারসহ ২০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ছাড়া জানাজায় যারা অংশগ্রহণ করবেন, তাদের কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারি বস্তু বহন না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। পাশাপাশি জানাজা চলাকালে সংসদ ভবন এলাকায় ও আশপাশে ড্রোন ওড়ানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চ এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছে, পরিবারের দাবির ভিত্তিতে তাদের সংগঠনের আহ্বায়ককে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
হাদির মৃত্যুর ঘটনায় আজ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে রিকশায় করে যাওয়ার সময় ওসমান হাদির উপর আক্রমণ হয়। ওই সময় মোটরসাইকেলে করে এসে দুজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলে।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল; সেখানেই বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
৬ দিন আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুতে পালিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় শোক
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার সারা দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার ((২০ ডিসেম্বর)) বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দেন। ওই দিন রাতেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ওসমান হাদির রুহের মাগফেরাতের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) মসজিদগুলোতে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তার আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওসমান হাদি। গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ দেশে আনা হয়।
আজ দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
৬ দিন আগে
সহিংসতায় জড়িতদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনার আহ্বান অ্যামনেস্টির
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ আহ্বান জানায় সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক অফিস।
পোস্টে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, হাদি হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়টিতে সহিংসতায় প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানট-এর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং নিউ এজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির হয়রানির শিকার হয়েছেন।
এছাড়া, ওই একই দিন ময়মনসিংহে ভিন্ন এক ঘটনায় সনাতন সম্প্রদায়ের পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করে একদল ব্যক্তি। পরে তার মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে তাতে আগুন জ্বালিয়ে উল্লাস করতে দেখা যায় তাদের। ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব কর্মকাণ্ডে মানুষ আহত হয়েছেন, সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে এমন সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ন্যায্য বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের আশ্রয় না নিয়ে আইনসম্মত ও ন্যায়সঙ্গত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
৬ দিন আগে
হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তি।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ তুলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে জাতীয় ছাত্রশক্তির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। পরে তারা শাহবাগ মোড়ে গিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।
অবরোধের ফলে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জাতীয় ছাত্রশক্তির সভাপতি আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘আমরা আজকে শান্তিপূর্ণ ও গণতন্ত্রিক আন্দোলন কর্মসূচি পালন করব। আমাদের আন্দোলন জনদুর্ভোগ তৈরি করার জন্য নয়। আমাদের কর্মসূচি জনমত ও ন্যায়ের কর্মসূচি। আমরা আশা করি, অন্তর্বতী সরকার এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন যাতে জনদূর্ভোগ কম হয়।’
দুপুর দেড়টার দিকে ১টা ৩০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলছিল।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে করে আসা দুই আততায়ীর একজন চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কিন্তু সেখানে অবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন না হওয়ায় আজ (সোমবার) দুপুরে হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে
হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
উন্নত চিকিৎসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম রাগিব সামাদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বেলা ১১টা ২২ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় এসে পৌঁছায়। এরপর দুপুর ১টা ১০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হাদিকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। অ্যাম্বুলেন্সটি বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে দেড়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়।
ওসমান হাদির সঙ্গে তার ভাই ওমর বিন হাদি এবং ওসমান হাদির বন্ধু আমিনুল হাসান ফয়সাল সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানায়, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট অ্যান্ড ইমার্জেন্সি বিভাগে হাদির চিকিৎসার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে সরকার টানা দুদিন ধরে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
এর আগে রোববার এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শ এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়–বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর এবং হাদির ভাই ওমর বিন হাদির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১১ দিন আগে