তালাক
তালাক দেওয়ায় সাবেক স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে নিজেও পুড়ে মরল যুবক
নরসিংদী রায়পুরায় তালাক দেওয়ার কারণে প্রাক্তন স্ত্রী লতা আক্তারের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে দুজনেই দগ্ধ হন। সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক স্বামী খলিলুর রহমান হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় লতা আক্তারকে গুরুতর অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রায়পুরা উপজেলার মরজাল ব্রাহ্মণের টেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
লতা আক্তার নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল এলাকার মফিজুর রহমানের মেয়ে। তিনি একজন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ঘুমন্ত মা-মেয়ের উপর এসিড নিক্ষেপ, আটক ১
লতার সাবেক স্বামী খলিলুর রহমান গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বেলাশী গ্রামের আতর আলী বেপারীর ছেলে। তিনি একজন গাড়িচালক বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, দুই বছর আগে নিজের পছন্দে খলিলুর রহমানকে বিয়ে করেন লতা। বিয়ের বেশ কিছুদিন পর লতা জানতে পারেন খলিলুর রহমান একজন গাড়িচালক। বিষয়টি লতা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি। মিথ্যা পরিচয়ে প্রতারণা করে বিয়ে করার অভিযোগে দুই মাস আগে তার স্বামীকে তালাক দেন তিনি।
এ ঘটনায় স্বামী খলিলুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার দুপুরের দিকে লতার বাড়িতে আসেন। পরে লতার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। এসময় দুইজনেই গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হন। পরে এলাকাবাসী লতাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে স্থানীয়রা খলিলুরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের ডা. এএনএম মিজানুর রহমান জানান, লতা আক্তার নামে একজনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলেও তার শরীরের অধিকাংশই পুড়ে গেছে। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাল কাগজপত্র তৈরি চক্রের ২৩ সদস্য গ্রেপ্তার
লতার খালু ফরহাদ হোসেন শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলামের বরাত দিয়ে জানান, লতার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তাকে জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাফায়েত হোসেন পলাশ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আজ দুপুরে খলিলুরের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাসচাপায় ভিক্ষুক নিহত
৮ মাস আগে
গাইবান্ধায় ঈদের জামা দেয়ার কথা বলে ২ মেয়েকে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ঈদুল ফিতরের পোশাক কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। রবিবার হরিপুর গ্রামের তিস্তা নদী থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলো হাসি (১২) ও খুশি (১৩)।
নিহতদের মা আদুরী বেগম শিশুদের বাবা ও তার প্রাক্তন স্বামী কানি চরিতাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে আটক
আদুরী বেগম জানান, বৈবাহিক কলহের জেরে হামিদুল তাকে তালাক দেয়ার পর থেকে কুড়িগ্রামের বজরা গ্রামে তার বাবার বাড়িতে দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। দুই দিন আগে হামিদুল বজরায় এসে হাসি ও খুশিকে ঈদের পোশাক কেনার কথা বলে নিয়ে যায়। কিন্তু তারপর থেকে তারা আর ফেরেনি।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখারুল মোকাদ্দেম জানান, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। লাশ উদ্ধারের পর থেকে বাবা পলাতক থাকায় এটি হত্যা মামলা হতে পারে।’
আরও পড়ুন: যশোরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
বিচারকের হস্তক্ষেপে ফের ১৭ বছরের পুরনো সংসারে ফিরলেন তারা
পঞ্চগড়ে দাম্পত্য কলহের জেরে ধরে রাগের বশবতি হয়ে স্বামী শাহানুর ইসলাম (৪২) প্রায় ছয় মাস আগে স্ত্রী আকতারা বানুকে (৩৬) তালাক দেন। এতে ভেঙে যায় ওই দম্পতির ১৭ বছরের সংসার।
এদিকে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী গত ৩০ মার্চ আদালতে যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করলে অবশেষে বিচারকের হস্তক্ষেপে পুনরায় বিয়ের মাধ্যমে আবারও সংসার শুরু করলেন তারা।
রবিবার পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মতিউর রহমানের হস্তক্ষেপে বিচ্ছেদ থেকে মুক্তি পান ওই দম্পতি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বৃদ্ধ দম্পতিকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
বিচারকের খাস কামরায় মৌলভী ডেকে দুই আইনজীবী ও পরিবারের লোকজনের সামনে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক ১ হাজার টাকা নগদ দেন মোহরানায় তাদের পুনরায় বিয়ে পড়ানো হয়।
জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের বারপাটিয়া গ্রামে বসবাস করে আসছেন এই দম্পতি।
আদালত, আইনজীবী ও দম্পতি জানায়, দাম্পত্য কলহের জেরে ১৭ বছরের সংসার জীবনে গত ছয় মাস আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। দুই মেয়েকে নিয়ে আকতারা বানু বাবার বাসায় ফিরে যান। ছেলে সন্তান রয়ে যায় বাবার সঙ্গে। এ ঘটনার পর আকতারা বানু স্বামীর বিরুদ্ধে গত ৩০ মার্চ আদালতে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন। রবিবার আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন শাহানুর। তার ইচ্ছে ছিল আদালতেই দেনমোহরের ১ লাখ ১ হাজার টাকা পরিশোধ করবেন। কিন্তু আদালতের এজলাসে জামিন নিতে উপস্থিত হলে নাটকীয়তার মোড় নেয়। তিন সন্তানকে দেখে ওই দম্পত্তি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। জামিন আবেদনের শুনানির সময় বিচারকও তিন সন্তানের মুখ চেয়ে এই দম্পতিকে কলহ ভুলে আবার সংসারে ফেরার অনুরোধ করেন। বিচারকের কথায় কিছুক্ষণ চিন্তা ভাবনা করে ওই দম্পতি আবারও সংসারে ফিরতে সম্মতি জানান। পরে বিচারকের খাস কামরায় আদালত মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল খালেক তাদের বিয়ে দেন। পরে আপোষনামা দাখিলের পর আদালতের আইনী প্রক্রিয়া শেষে তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান শাহানুর ও আকতারা বানু দম্পতি।
আকতারা বানু বলেন, ‘আমি আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। এখন আমরা আবারও এক সাথে থাকবো। আমি বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে নদীতে গোসল করতে নেমে নব দম্পতির মৃত্যু
শাহানুর রহমান বলেন, ‘আমরা সুখে ছিলাম কিন্তু পারিবারিক কাজ কর্ম নিয়ে একটু ঝগড়া বিবাদ হলেই আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে চলে যেতো। তাই রাগে আমি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করায় আমি আরও রেগে যাই। আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক আমাকে তিন সন্তানের দিকে চেয়ে আপোষের কথা বলেন। তখন ভেবে চিন্তে আমি আপোষ করার সিদ্ধান্ত নেই।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাজিজুর রহমান বলেন, খুব সামান্য বিষয়ে তালাক দিয়েছিলেন শাহানুর। এই বিচারে একটি সংসার রক্ষা পেয়েছে। আমরা বাদী বিবাদী আইনজীবীরাও এতে খুশি।
২ বছর আগে
সাভারে সাবেক স্বামীকে হাত পা বেঁধে নির্যাতন, হাসপাতালে ভর্তি
সাভারে পাওনা টাকা চাওয়ায় সাবেক স্বামীকে হাত পা বেঁধে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়ার শোভাপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে।
আহত আমির হোসেন (২৯) বরগুনা জেলার কাঞ্চন জমাদ্দারের ছেলে। আহতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার পানপাড়া এলাকায় স্ত্রী রাহিমা খাতুনকে নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন আমির হোসেন। গত ১২ দিন আগে পারিবারিক কলজের জের ধরে স্বামীকে তালাক নোটিশ পাঠান স্ত্রী রাহিমা খাতুন। স্বামীকে তালাক নামা দিয়ে স্ত্রী রাহিমা খাতুন শোভাপুর এলাকায় বাবা মায়ের সাথে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। কিন্তু তালাক দেয়ার আগে স্বামী আমির হোসেনের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ধার নেন স্ত্রী রাহিমা খাতুন।
আরও পড়ুন: সাভারে বাসচালককে গলাকেটে হত্যা, ভ্যানচালক আটক
গতরাতে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী আমির হোসেন স্ত্রীর কাছে গিয়ে পাওনা ৭০ হাজার টাকা ফেরত চান। এসময় পাওনা টাকা না দিয়ে স্ত্রী রাহিমা খাতুন ছয় থেকে সাত জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে স্বামীকে একটি রুমে নিয়ে আটকিয়ে হাত পা বেঁধে ছুরি ও খুর দিয়ে নির্যাতন করেন। এক পর্যায়ে আমির হোসেনকে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
সকালে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপারেশন আল আমিন বলেন, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সাভারে আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য আটক
২ বছর আগে
নাটোরে মেয়ের হাতে বাবা খুন
নাটোরের সিংড়ায় মেয়ের লাঠির আঘাতে শামছুল ইসলাম (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে মেয়ে কহিনুর (২২)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আগপাড়া শেরকোল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
সিংড়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কিশোর কুমার জানিয়েছেন, দু'বছর সংসার করার পর গত এক সপ্তাহ আগে কহিনুরকে তালাক দেয় তার স্বামী। এর পর সে সিংড়া উপজেলার আগপাড়া শেরকোল গ্রামে তার বাবা শামছুলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আজ দুপুরে এ নিয়ে কহিনুরের সাথে তার বাবার বাদানুবাদের এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বাশেঁর লাঠি দিয়ে বাবার মাথায় আঘাতে করে পালিয়ে যায় কহিনুর। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাবা শামছুলের।
কহিনুরকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নেশার টাকা না পেয়ে মাকে পিটিয়ে হত্যা, ছেলের মৃত্যুদণ্ড
জৈন্তাপুরে ভাবিকে কুপিয়ে খুন, স্ত্রীসহ দেবর আটক
৩ বছর আগে
পরকীয়ার জন্য মৌখিক তালাক দেয়ায় প্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা
ফেনী শহরের নাজির রোডে দুবাই প্রবাসী স্বামী সোহেলকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী শিউলি আক্তারকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত এ আদেশ দেন। শনিবার সন্ধায় চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথ দীঘি এলাকা থেকে তাকে আটক করেছে র্যাব। পরকীয়ার জন্য মৌখিক তালাক দেয়ায় ক্ষোভে সোহেলকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিউলী স্বীকার করেছেন।
রবিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, তালাক দেয়ায় শিউলী ক্ষুব্ধ হয়ে বটি দিয়ে সোহেলকে কুপিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এর পর দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে কুমিল্লায় তার চাচার বাড়িতে আশ্রয় নেন।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার আব্দুল্লাহ আল জাবের ইমরান বলেন, শিউলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তার স্বামী সোহেলের বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক চলছিল। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোহেল তাকে মৌখিকভাবে তালাক দেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মাদ্রাসা ছাত্রী খুন
গত শুক্রবার সকালে শহরের নাজির রোড এলাকার চৌধুরী সুলতানা ভবনের ৬ষ্ঠ তলার বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর স্ত্রী শিউলি আক্তার দুই সন্তান নিয়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১০ বছর আগে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সোহেলের পারিবারিকভাবে একই উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের আবদুল মজিদের মেয়ে শিউলীর সাথে বিয়ে হয়। গত একমাস আগে দুবাই থেকে তিনমাসের ছুটিতে দেশে আসেন সোহেল।
উল্লেখ্য, সোহেল হত্যার ঘটনায় তার মা নিরালা বেগম ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ‘ছেলের’ হাতে বাবা খুন
৩ বছর আগে
পঞ্চগড়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে এক দম্পতি
রাগের বশবর্তী হয়ে তালাক দেয়ার পর হিল্লা বিয়ে না দিয়ে আবার বিয়ে করায় সমাজচ্যুত হয়ে এক ঘরে হয়ে থাকা আয়নাল হক ও জমিরন বেগম দম্পতি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিত জীবনে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আয়নাল হকের বাড়িতে এই দম্পতি একসাথে বসবাস শুরু করেছে। তাদের বাড়িতে পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনরা আসতে শুরু করেছেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকালে ছলিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানীয় সমাজের সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ওই দম্পত্তির ওপর সকল প্রকার বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
ভুক্তভোগী আয়নাল হক জানান, কয়েক মাস আগে নিজেদের মধ্যে রাগারাগি হয়ে দুইজনই মৌখিকভাবে তিন তালাক দেন। পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তারা এক মাওলানার মাধ্যমে আবার বিয়ে করেন।
কিন্তু স্থানীয় মুফতি হাফেজদের কথায় এলাকার প্রভাবশালীরা তার স্ত্রীকে হিল্লে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। হিল্লার জন্য পাত্রও ঠিক করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ওসি প্রদীপ দম্পতির সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে নিতে নির্দেশ
হিল্লে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় গত দুই থেকে তিন মাস ধরে তাদেরকে একঘরে করে রাখা হয়। সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া এই দম্পতিকে। এমনকি নিজের সন্তানদেরকেও বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি।
আয়নাল বলেন, আমাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। ঈদে এক টুকরো কোরবানির মাংসও মিলেনি। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী আমির চাঁন আমার বাড়ির চলাচলের রাস্তাও কেটে দিয়েছে। সামাজের ভয়ে কেউ আয়নালকে কাজেও নেয়নি। দুইতিন মাস তাদের বেকার হয়ে খেয়ে না খেয়ে বাড়িতেই কাটাতে হয়েছে।
বিষয়টি মিমাংসার জন্য সামাজপতিদের দ্বারে দ্বারে সহানুভূতি চেয়ে অনুরোধ করলেও কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বিষয়টি সমাধান করতে ব্যর্থ হন।
তিনি জানান, অবশেষে চেয়ারম্যানের পরামর্শে জরিমন বেগম- হাফেজ মোস্তফা কামাল, ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী, নাসিরউদ্দিন, আমির চাঁন, জুলহাস, সহিদ আলী, রাসেল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম, মুফতি আনোয়ার হোসাইন, সুরমান আলীর নামে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সুন্দরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র রায় বলেন, আমি মুসলিম ধর্ম সম্পর্কে তেমন জানি না। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি সমাধান করে দিতে বলেছিলাম। কেউ আমার কথা শোনেনি। পরিবারটি আমার কাছে গেলে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেই।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল হোসেন জানান, ওই এলাকায় কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও ধর্মান্ধ কিছু মানুষ রয়েছে। তারা একটি হিল্লে বিয়েকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। এ ঘটনায় ইন্ধনদাতা ও ফতোয়াদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেউ যদি অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চায় তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: আউয়াল দম্পতির ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ নিয়ে হাইকোর্টের রুল
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজপতিদের নিয়ে ছলিমনগর স্কুলে বৈঠকে বসেছিলাম। কোরআন হাদিসের আলোকে তালাক কিভাবে হয় বা হয় না এ বিষয়টি উপস্থিত সকলকে বুঝাতে পেরেছি। বৈঠকে উপস্থিত সকলেই তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। এরপর আমরা ওই দম্পত্তিকে সমাজে ফিরিয়ে দিয়েছি
৩ বছর আগে
তালাকনামায় আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে পাঠানো তালাক নোটিশ দেওয়ার সময় স্ত্রী সম্পর্কে অবমাননাকর কথাবার্তা লেখা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তালাক নোটিশের নির্ধারিত ফরম কেন তৈরি করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
সম্প্রতি এক নারীর করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: বিয়ে-তালাক ডিজিটালাইজেশন করতে হাইকোর্টের রুল
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়, নিবন্ধন অধিদপ্তরসহ তিন জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারীর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত কোনো ফরম নেই। কাজীরা একটি ফরম তৈরি করে তালাক দেওয়া কাজ চালাচ্ছেন। যেই ফরমে নারী সম্পর্কে অবমাননাকর কথাবার্তা লেখা হচ্ছে, যা আপত্তিকর। সে কারণেই বাদী এ রিটটি দায়ের করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন রাজধানীর বড় মগবাজার এলাকার প্রবাসী রাখী কে জামান। তিনি বর্তমানে কানাডার উইন্ডসর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে তিন তালাক এখন অপরাধ
আবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে রাকিব মুক্তাদির জোয়ারদারের সাথে বিয়ে হয় রাখী কে জামানের। পরে ২০১৭ সালের অক্টোবরে রাখীকে তালাক নোটিশ পাঠান রাকিব মুক্তাদির জোয়ারদার।
ওই নোটিশের একাংশে বলা হয়, ‘স্ত্রী, স্বামীর অবাধ্য– যাহা শরিয়তের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তাহার উক্ত চাল-চলন পরিবর্তন করার জন্য আমি নিজেই বহুবার চেষ্টা করিয়াছি। কিন্তু অদ্যবধি তাহার কোনও পরিবর্তন সাধিত হয় নাই। ’
এ ধরনের শব্দ নারীর প্রতি অবমাননাকর, অমানবিক, অযৌক্তিক ও অবৈধ উল্লেখ করে গত ২ জুন হাইকোর্টে রিট করেন রাখী।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে তালাকের পর শ্যালিকাকে জোরপূবর্ক ‘ধর্ষণ’
পরে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, নোটিশে এ ধরনের শব্দের ব্যবহার একজন নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর। পরবর্তীতে বিয়ে করার ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো নানা ধরনের জটিলতার মুখে পড়তে হয়।
রিটে বলা হয়, মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ এবং মুসলিম বিয়ে এবং তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪ অনুযায়ী এ ধরনের শব্দের ব্যবহার স্পষ্টভাবে নারীর মানবাধিকার ও তার মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে। একই সঙ্গে সংবিধানের ২৭, ২৮ এবং ৩২ অনুচ্ছেদেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
৩ বছর আগে
বিয়ে-তালাক ডিজিটালাইজেশন করতে হাইকোর্টের রুল
পারিবারিক জীবনের বৃহত্তর সুরক্ষায় বিয়ে ও তালাকের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশনের জন্য কেন্দ্রীয় একটি ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
বিবাহ ও তালাকের ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজ রেজিস্ট্রেশনে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে ক্রিকেটার নাসিরের স্ত্রী তামিমা সুলতানার আগের স্বামী রাকিব হাসানসহ তিন ব্যক্তি ও একটি সংগঠন গত ৪ মার্চ রিটটি করেন। অন্য রিটকারীরা হলেন ঢাকার উত্তর কমলাপুরের বাসিন্দা সোহাগ হোসেন, নোয়াখালীর কাশিপুরের বাসিন্দা কামরুল হাসান ও এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন।
এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্ট রুল জারি করেন। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব; ধর্ম সচিব ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে হবে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আরও পড়ুন: দুদক গত ৫ মাসে কতজনকে অব্যাহতি দিল তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট
এর আগে বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশন করার জন্য গত ২২ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ দেয়ার পরও পদক্ষেপ না নেয়ায় এ রিট আবেদন করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে বিবাহ ও বিচ্ছেদের ঘটনা রেজিস্ট্রেশন করা হয়, তা ডিজিটালাইজেশন না করার কারণে অসংখ্য প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। আগের বিয়ে গোপন রেখে ডিভোর্স না দিয়েই নতুন করে বিয়ে করার ঘটনাও ঘটছে। ফলে সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়েও জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিবাহ সংক্রান্ত অপরাধ বেড়ে অসংখ্য মামলার জন্ম নিচ্ছে। এ কারণে বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতিতে হওয়া প্রয়োজন। ছবিসহ বিয়ে ও ডিভোর্স ডিজিটালাইজেশন করলে সংশ্লিষ্ট নারী বা পুরুষের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে সার্চ করলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। এতে প্রতারণার হাত থেকে অসংখ্য মানুষ রক্ষা পাবে।
আরও পড়ুন: সিসিকে ১০ মাসে তালাকের আবেদন বেড়েছে ৮ গুণ
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরার একটি রেস্তোরায় নাসির ও তামিমার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তামিমা সুলতানা তার সাবেক স্বামী রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে বিয়ে করেছেন-এই অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে।
৩ বছর আগে
ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে করা মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
৩ বছর আগে