ফেনী শহরের নাজির রোডে দুবাই প্রবাসী স্বামী সোহেলকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী শিউলি আক্তারকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত এ আদেশ দেন। শনিবার সন্ধায় চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথ দীঘি এলাকা থেকে তাকে আটক করেছে র্যাব। পরকীয়ার জন্য মৌখিক তালাক দেয়ায় ক্ষোভে সোহেলকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিউলী স্বীকার করেছেন।
রবিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, তালাক দেয়ায় শিউলী ক্ষুব্ধ হয়ে বটি দিয়ে সোহেলকে কুপিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এর পর দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে কুমিল্লায় তার চাচার বাড়িতে আশ্রয় নেন।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার আব্দুল্লাহ আল জাবের ইমরান বলেন, শিউলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তার স্বামী সোহেলের বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক চলছিল। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোহেল তাকে মৌখিকভাবে তালাক দেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মাদ্রাসা ছাত্রী খুন
গত শুক্রবার সকালে শহরের নাজির রোড এলাকার চৌধুরী সুলতানা ভবনের ৬ষ্ঠ তলার বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর স্ত্রী শিউলি আক্তার দুই সন্তান নিয়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১০ বছর আগে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সোহেলের পারিবারিকভাবে একই উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের আবদুল মজিদের মেয়ে শিউলীর সাথে বিয়ে হয়। গত একমাস আগে দুবাই থেকে তিনমাসের ছুটিতে দেশে আসেন সোহেল।
উল্লেখ্য, সোহেল হত্যার ঘটনায় তার মা নিরালা বেগম ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ‘ছেলের’ হাতে বাবা খুন