গাফিলতি
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোতে গাফিলতির তদন্ত করা হবে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
এছাড়াও এ সংকট তৈরির পেছনে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১ জুন) দুপুরে সিলেটে সরকারি আলিয়া মাদরাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো সম্পন্ন করতে কাজ চলছে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, পাঁচ লাখেরও বেশি কর্মী পাঠানোর জন্য মালয়েশিয়া সরকার কোটা দিয়েছিল। সেই কোটা পূরণে কাজ করেছিল বাংলাদেশ। রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার সঙ্গে কথা বলে কাদের ভিসা হয়েছে আর কাদের ভিসা হয়নি সেই তথ্য চাওয়া হয়েছিল। বায়রা সেই তালিকা দিতে না পারায় ফ্লাইটের সমস্যা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে কর্মী পাঠানোর জন্য ২২টি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে মালয়েশিয়া সরকারকে সময় বাড়ানোর জন্যও চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো সেই চিঠির উত্তর আসেনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সমস্যা সমাধানে দূতাবাস ও মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। যারা হয়রানি করছে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকতা পেশায় সাফল্য এবং আলোকিত মানুষের দ্বারা দেশ গড়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার কমিটমেন্ট। এ জন্য শিক্ষকদেরও কমিটমেন্ট থাকতে হবে।
মাদরাসা শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো দিক দিয়ে পিছিয়ে না থাকে, সে লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বিভিন্ন ধরনের নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ৩ দেশ সফরে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
দেশে-বিদেশে কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে কাজ করছে সরকার: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
৫ মাস আগে
রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর গাফিলতির কারণেই বার বার আগুনের ঘটনা
রাজধানী ঢাকায় কয়েক দশক ধরেই ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড গটে চলেছে। পর্যবেক্ষণ ও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে বার বার প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ক্রমাগত অবহেলা ও যথাযথ তদারকির অভাবের ফল এসব ঘটনা।
রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নির্দেশনা পুরোপুরি না মেনে। এসব ভবনে অগ্নিসংকেতের ব্যবস্থা নেই। নেই পর্যাপ্ত পানি ও অগ্নিনির্বাপণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: তালাক দেওয়ায় সাবেক স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে নিজেও পুড়ে মরল যুবক
আগুনের ঘটনায় গাফিলতির জন্য রাজউকসহ সংশ্লিস্ট সংস্থা, ভবন মালিকসহ যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত নজির সৃষ্টি করতে পারলে আগুনের ঘটনা কমবে। বিচারহীনতা সংস্কৃতির কারণে একটার পর একটা ঘটনা ঘটছে বলে নগর পরিকল্পনাবিদদরা মনে করেন।
প্রায় প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের পর তদন্ত কমিটি হয়। কিন্তু এসব তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেন বললেই চলে।
নানা অব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন এবং রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমোদনের বাইরে ভবন ব্যবহার নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব কারণে নিমতলী, চূড়িহাট্টা, এফআর টাওয়ার, আরমানিটোলা, নিউমার্কেট, মগবাজার বিস্ফোরণ, গুলিস্তান ট্রাজেডিসহ একের পর এক হৃদয় বিদারক ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে ঢাকার বাসিন্দাদের। সর্বশেষ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে রাজধানীর বেইলি রোড ট্রাজেডি। নতুন করে মারা গেছেন ৪৬ জন। এসব প্রতিটি ট্রাজেডির পরেই সংশ্লিষ্ট সবারই মুখেই ঝুঁকিমুক্ত শহর গড়ার প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছুটেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সময়ের সঙ্গে আড়ালে চলে গেছে প্রতিটি ঘটনা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়েছে ৩টি ঝুটের গোডাউন
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ইউএনবিকে বলেন, ‘আগুনের ঘটনায় ইমারত অনুমোদন ও তদারকির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্হা, ভবন মালিকসহ যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পারলে আগুনের ঘটনা কমবে, না হলে অতীতের মতো ছাড় দিলে একটার পর একটা ঘটনা ঘটবে।’
এসব অগ্নিকাণ্ডের দায় রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা, ভবন মালিকের পাশাপাশি জেনে শুনে ভাড়া নেওয়া দোকান মালিকদের নিতে হবে বলে জানান তিনি।
ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের মিশ্র ব্যবহার রাজধানীকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। পৃথিবীর কোথাও ঢাকার মতো মিশ্র ব্যবহারের উদাহরণ নেই। রাজউক বাইরের দেশের উদাহরণ দিচ্ছে, কিন্তু বাইরে হয়তো আবাসিক জোনে ছোট্ট একটা কফি শপ বা ছোট্ট কোনো দোকান আছে। কিন্তু ঢাকায় রাজউক যেভাবে আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিকে রূপান্তরের বৈধতা দিচ্ছে, এতে রাজধানীকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঢাকার অধিকাংশ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নির্দেশনা পুরোপুরি না মেনে। নেই পর্যাপ্ত পানি ও অগ্নিনির্বাপণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।’
আরও পড়ুন: নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
৮ মাস আগে
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে কোনো সংস্থার গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে তদন্ত কমিটি যদি কোনো সরকারি সংস্থার গাফিলতি খুঁজে পায় তাহলে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পেছনে কোনো সংস্থার গাফিলতি থাকলে তা তদন্ত কমিটির মূল্যায়নে উঠে আসবে। কমিটির মূল্যায়ন সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ বাজার সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ বাজার অপসারণ করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়, দায়িত্ব রাজউক ও সিটি করপোরেশনের। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বাজারকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে নোটিশ জারি করেছে, সেগুলোর মধ্যে এটি ছিল একটি।
মন্ত্রী বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ বাজারে ব্যবসা পরিচালনাকারী ব্যবসায়ীদের তাদের ব্যবসা অন্য জায়গায় স্থানান্তরের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিক শামসকে ছেড়ে দেওয়া হয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সিআইডি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
রূপগঞ্জে আগুনে কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, কারাখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে মালিক কিংবা পরিদর্শন ব্যবস্থায় কারও গাফিলতি থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা করবো। এই কারখানায় কোনো শিশু শ্রম ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে শ্রম আইন অনুযায়ী মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শুক্রবার (৯ জুলাই) প্রতিমন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সার্বিক বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া আগেই শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শককে (সেইফটি) প্রধান করে সেইফটির বিষয়টি দেখার জন্য আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুন: গেটে তালা থাকায় এতো প্রাণহানি
প্রতিমন্ত্রী এ সময় অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর প্রত্যেকের পরিবারকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্টেডশন তহবিল থেকে ২ লাখ এবং চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিকদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রূপগঞ্জ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিকদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।
এ সময় শ্রম সচিব কে এম আব্দুস সালাম, কলকারখান ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচাক গৌতম কুমারসহ শ্রম মন্ত্রণালয় এবং দুটি অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ৫২ লাশ উদ্ধার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শুক্রবার দুপুরে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান জানান, ভবনটির পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় উদ্ধার কাজ চলছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ গ্রুপের এই কারখানায় আগুন লাগে। রাতে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয় এবং একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ৫২ লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে দোষীদের শাস্তি দাবি বিরোধীদলীয় নেতার
৩ বছর আগে
ভারতের বিশাখাপত্তমে ক্রেন ভেঙে ১১ জনের মৃত্যু
ভারতের বিশাখাপত্তমের হিন্দুস্থান শিপইয়ার্ডে বিশালাকার ক্রেণ মেরামতের সময় শনিবার ক্রেনটি চাপা পড়ে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
৪ বছর আগে
পল্লী বিদ্যুতের ‘গাফিলতিতে’ দুটি হাত হারাল সাব্বির
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১৩ বছরের এক কিশোর দুটি হাত হারিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
৪ বছর আগে