স্থানীয়-ব্যবসা-বাণিজ্য
ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার্সের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ মার্কেটিং ফেস্ট ৩.০ অনুষ্ঠিত
ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার্স বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফুড অ্যান্ড বেভারেজ মার্কেটিং ফেস্ট ৩.০।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে নেসলে প্রেজেন্টস ফুড অ্যান্ড বেভারেজ মার্কেটিং ফেস্ট ৩.০ পাওয়ার্ড বাই বেকম্যান'স অ্যান্ড পুষ্টি, ইন এ্যাসোসিয়েশন উইথ মোজো শীর্ষক এই আয়োজনটি।
এই আয়োজনে খাদ্য এবং পানীয় ব্যবসায় বর্তমান অবস্থায় টিকে থাকা এবং আগামীর সম্ভাবনা নিয়ে ৯টি গুরুত্বপূর্ণ ইনসাইট, কি-নোট এবং প্যানেল আলোচনা করেছেন দেশের খাদ্য ও পানীয় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং
ডিরেক্টর, প্রধান নির্বাহী, চিফ মার্কেটিং অফিসার, সেলস ডিরেক্টর, সাপ্লাই চেইন হেড, মার্কেট রিসার্চার এবং কমিউনিকেশন ক্ষেত্রের পেশাজীবীরা।
২৫০ জনেরও অধিক মার্কেটিং এবং সেলস পেশাজীবী এই আয়োজনে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
অনুষ্ঠানের কি-নোট স্পিকার ছিলেন এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি আশরাফ বিন তাজ। বৈশ্বিক এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে খাদ্যপণ্য উৎপাদন, সরবরাহ, এবং ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যয়ের সমন্বয় করা, বিক্রয় ও ব্যাবসা বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
এছাড়া এসিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আনিস উদ দৌলার সঙ্গে ‘কনভার্সেশন অব এ বিজনেস মায়েস্ত্রো অ্যান্ড এ মার্কেটিং মায়েস্ত্রো’ সেশনটি মডারেট করেন তিনি।
পরে টেকসই এবং সহনীয় মার্কেট অপারেশন নিয়ে প্যানেল আলোচনায় যোগ দেন টি.কে. গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ডিরেক্টর অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মো. মোফাচ্ছেল হক, আকিজ বেকার্স লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম তুষার, গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপেশ নাগ, সিটি গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট পিএলসির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার শাখাওয়াত হোসেন। প্যানেলটি মডারেট করেন মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের হেড অব স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস ইউনিট গালীব বিন মোহাম্মদ।
এরপর প্রতিযোগিতাপূর্ণ মার্কেটে ক্রেতা ধরে রাখার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কথা বলেন মার্কেটিং জগতের প্রাজ্ঞ ব্যক্তিরা। মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) কাজী মহিউদ্দিন এর মডারেশনে এই প্যানেলে অংশগ্রহণ করেন ডট বার্থরে ম্যানেজিং ডিরেক্টর
সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, মাইন্ডশেয়ার বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার তাসনুভা আহমেদ টিন, এনগেজ ৩৬০ এর সিইও সৈয়দা উম্মে সালমা ঝুমুর এবং প্রথম আলোর চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার এ বি এম জাবেদ সুলতান।
খাদ্য ও পানীয় মার্কেটের চ্যালেঞ্জ বিষয়ক প্যানেলে কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেডের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং জেনারেল ম্যানেজার এস. এম. এম. ইব্রাহীম মাহমুদের মডারেশনে কথা বলেন ইমরানুল কবির ক্যাটাগরি হেড, মার্কেটিং বসুন্ধরা গ্রুপ, ইফতেখারুল ইসলাম দস্তগীর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বাংলাদেশ পিএলসি এবং ফারাজ হোসেন রুম্মান ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্ট ম্যানেজার (লিড) নাভানা গ্রুপ।
এরপর একটি ইনসাইট সেশন পরিচালনা করেন নেসলে বাংলাদেশ পিএলসির সেলস ডিরেক্টর সৈয়দ ইকবাল মাহমুদ হোসেন।
কাঁচামালের সোর্সিং থেকে শুরু করে ভোক্তাদের কাছে পণ্য পৌঁছানো পর্যন্ত কমিউনিকেশন চ্যানেল, কোয়ালিটি মেইনটেন এবং ক্রেতা সন্তুষ্টি ধরে রাখার বিষয়ে কথা বলেন নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি কোম্পানি সেক্রেটারি অ্যান্ড হেড অব লিগাল অ্যান্ড ট্যাক্সেশন দেবব্রত রায় চৌধুরী, একমি কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের চিফ বিজনেস অফিসার আশফাকুর রহমান, পারটেক্স স্টার গ্রুপের হেড অব বিজনেস সাইদুল আজহার সারওয়ার, পারফেটি ভ্যান ম্যালে-এরত এসোসিয়েট হেড অব কর্মাশিয়াল (এইচআর) রিফাকত রাশেদ। এই প্যানেলটি মডারেট করেছেন এসিআই লিমিটেডের বিজনেস ডিরেক্টর কামরুল হাসান।
এছাড়াও তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করা কনটেন্ট ক্রিয়েটর ‘রাফসান দ্যা ছোটভাই’ খ্যাত ইফতেখার রাফসান আলোচনা করেন কন্টেন্ট ক্রিয়েশন থেকে নিজম্ব ড্রিংকস ব্র্যান্ড তৈরির পেছনের গল্প।
সমাপনী সেশনে মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন টুল আর টেকনিক ব্যবহার করে কিভাবে খাদ্য ব্যবসা সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে সে বিষযে আলোচনা করেন বক্তারা। এই সেশনের মডারেটর ছিলেন সুরাইয়া সিদ্দীকা, ডিরেক্টর মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস, গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেড। সেশনে প্যানেলে আলোচক হিসেবে ছিলেন মো. মাইদুল ইসলাম চিফ মার্কেটিং অফিসার আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, শরফুদ্দিন ভূঁইয়া শ্যামল হেড অব মার্কেটিং, ট্রান্সকম বেভারেজ লিমিটেড এবং শহীদ বিন সরোয়ার, হেড অব মার্কেটিং, ড্যান ফুড বাংলাদেশ, সামিদ বিন সালাম ম্যানেজিং ডিরেক্টর, কিভা হান গ্রুপ্পো এবং আবু ওবায়েদ ইমন, কান্ট্রি মার্কেটিং লিড, ডমিনো’জ পিজ্জা বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: করপোরেট সেবার জন্য ফুডপ্যান্ডা’র সঙ্গে ব্র্যাক আইটি’র চুক্তি
ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
সুশাসনের অভাব ও দুর্বল আর্থিক অবস্থার অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।
সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার নতুন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে তিনি মেঘনা ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১৫.৮২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে: সূত্র
নতুন বোর্ডে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেন, খলিলুর রহমান, পারভীন হক সিকদার, শফিকুর রহমান ও মোয়াজ্জেম হোসেন।
আগের বোর্ডের তিনজন পরিচালক নতুন বোর্ডে জায়গা পেয়েছেন।
মেজবাউল আরও জানান, আগের বোর্ডে মোট পরিচালকের সংখ্যা ছিল আটজন।
আরও পড়ুন: সেরা করদাতা সম্মাননা-ট্যাক্স কার্ড পেলেন সালমান এফ রহমান
সেরা করদাতা সম্মাননা-ট্যাক্স কার্ড পেলেন সালমান এফ রহমান
সেরা করদাতা সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ও তার ভাই এ এস এফ রহমান।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর আয়োজিত করদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে তাদের প্রতিনিধি সম্মাননা গ্রহণ করেন।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব ডক্টর খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
বৃহৎ করদাতা ইউনিট এলটিইউ ট্যাক্সে নিবন্ধিত সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা-১ আসন (নবাবগঞ্জ - দোহারের) সংসদ সদস্য। আর এ এস এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
তারা দুজনই ২০২২-২৩ করবর্ষে ঢাকা সিটি করপোরেশন শ্রেণিতে সর্বোচ্চ করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন।
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প বেক্সিমকো গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন সালমান এফ রহমান ও এ এস এফ রহমান।
তৈরি পোশাক, ওষুধ, জ্বালানি, সিরামিক, প্রযুক্তি, গণমাধ্যম, ব্যাংকসহ নানা খাতে বিনিয়োগ আছে বেক্সিমকোর। দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে পণ্য রপ্তানি করছে প্রতিষ্ঠানটি। ৬০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান করেছে বেক্সিমকো।
এবার সর্বোচ্চ কর দেয়ায় সারা দেশের ১৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিয়েছে এনবিআর। আয়কর প্রদানে নাগরিকদের উৎসাহিত করতে এ সম্মাননা দিচ্ছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: সৌদি বিনিয়োগ দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদাহরণ: সালমান এফ রহমান
ডিসেম্বরে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈদেশিক ঋণের টাকায় ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আইএমএফ’র কাছ থেকে ৬৯ কোটি ডলার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৪০ কোটি ডলার, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৯ কোটি ডলার এবং অন্যান্য উৎস থেকে অতিরিক্ত ১৩ কোটি ডলার পাওয়ায় ডিসেম্বরে আইএমএফের ফর্মুলা অনুযায়ী রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘প্রতিটি বাংলাদেশি ভয়ভীতিমুক্তভাবে ভোট দিতে পারে তা দেখতে চায় জাতিসংঘ’
চলতি বছরের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার।
এ বিষয়ে আইএমএফের সাবেক জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, স্বল্পমেয়াদে এই ঋণের অর্থ বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে কিছুটা স্বস্তি দেবে।
তবে দীর্ঘমেয়াদে রেমিট্যান্স ও পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে টেকসই নীতির দিকে সরকারকে মনোনিবেশ করতে হবে।
তিনি নমনীয় বিনিময় হারের উপরও জোর দিয়েছিলেন যা অর্থ পাচার এবং বাণিজ্য-ভিত্তিক মূলধন সড়িয়ে নেওয়া রোধে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: ৬৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে শর্তারোপ আইএমএফের
৬৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে শর্তারোপ আইএমএফের
বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৯০ মিলিয়ন ডলার ছাড়ের অনুমোদনের সময় বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
আইএমএফ স্বল্পমেয়াদে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সতর্ক মুদ্রানীতির পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি নীতিমালার সমর্থন হিসেবে মুদ্রা বিনিময় হারে আরও নমনীয় রাজস্ব নীতি গ্রহণের কথা বলেছে বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি।
আইএমএফ বাহ্যিক ধাক্কার বিরুদ্ধে সহনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
আইএমএফ মুদ্রানীতি কাঠামো আরও আধুনিকীকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।
বৈঠকে আইএমএফ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, মুদ্রানীতি আধুনিক হলে মুদ্রাস্ফীতি কমবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির প্রভাব শক্তিশালী হবে।
আইএমএফ বলেছে, ‘একক বিনিময় হার গ্রহণের মুদ্রার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে ধীরে ধীরে আরও নমনীয়তার উপর জোর দিয়েছে আইএমএফ। তারা মনে করে অর্থনীতিতে বাহ্যিক ঝুঁকি মোকাবিলা করা প্রয়োজন।’
তবে ৬৯০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় ৪৬৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার ইসিএফ/ইএফএফ ব্যবস্থার অধীনে এবং ২২১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার আরএসএফ ব্যবস্থার অধীনে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন আইএমএফ বোর্ডের
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদিত ইসিএফ/ইএফএফ এবং আরএসএফ ব্যবস্থার পরিমাণ বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৪৭৬ মিলিয়ন ডলারের প্রথম কিস্তি ছাড় করা হয়েছিল।
আইএমএফ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসিএফ/ইএফএফ ব্যবস্থা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে এবং শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশগতভাবে টেকসই প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপনের সময় দুর্বলদের সুরক্ষার জন্য অনৈক্যজনিত সমন্বয় রোধে সহায়তা করেছে।’
সমসাময়িক আরএসএফ ব্যবস্থা ইসিএফ/ইএফএফ এর অধীনে উপলব্ধ সংস্থানগুলোকে পরিপূরক করেছে। আইএমএফ বলেছে, এই তহবিল অতিরিক্ত অর্থায়নকে অনুপ্রাণিত করতে এবং দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে সহনশীলতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তরুণরা দৃঢ়ভাবে কাজ করছে: রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই
টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বনেতা: বিজিএমইএ পরিচালক
বাংলাদেশ টেকসই ফ্যাশনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এখানে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত ২০৬টি সবুজ কারখানা রয়েছে। ৭৬টি প্ল্যাটিনাম-রেটেড এবং ১১৬টি গোল্ড-রেটেড সুবিধার কারখানা রয়েছে, এর মাধ্যমে পরিবেশগত বিষয়ে দেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
গত ছয় মাসে ১৬টি প্ল্যাটিনাম এবং ৮টি গোল্ড সার্টিফিকেশনসহ ২৪টি নতুন কারখানা সংযোজনের মাধ্যমে এই প্রবৃদ্ধি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিজিএমইএ'র পরিচালক ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এ সম্প্রসারণের বিষয়টি তুলে ধরেন।
বিজিএমএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমাদের মুকুটে আরও ২টি প্লাটিনাম রেটেড লিড সনদপ্রাপ্ত কারখানা যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশকে ২০৬টি লিড সনদপ্রাপ্ত কারখানা আবাসস্থলে পরিণত করেছে। এবারে সাফল্যটি আমাদের জন্য আরও বিশাল। গাজীপুরের এস. এম. সোর্সিং পোশাক কারখানাটি ১০৬ স্কোর করেছে; এই স্কোর ইউএসজিবিসি অনুযায়ী বিশ্বের সর্বোচ্চ স্কোর। এর অর্থ হলো- গ্রিন টেক্সটাইলস লিমিটেডের (ইউনিট-৪) রেকর্ডও (স্কোর-১০৪) ছাড়িয়ে গেছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি বিশাল স্বীকৃতি। লিড প্রত্যয়িত দ্বিতীয় কারখানাটি হলো গাজীপুরের নাইস কটন লিমিটেড। এটি ৮১ পয়েন্ট অর্জন করেছে।
বিশ্ববাজারকে পরিবেশবান্ধব পোশাক উৎপাদনের দিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির কোনো বৈধ ভিত্তি নেই: বিজিএমইএ সভাপতি
রুবেল স্থায়িত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতির গুরুত্বকে উল্লেখ করে আরও বলেন, শুধু প্রশংসার জন্য নয়, শিল্পের স্থায়ী সাফল্য ও কার্যকারিতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই অর্জনের একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হলো, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি এলইইডি সবুজ কারখানার মধ্যে ৫৪টি এখন বাংলাদেশে। এর মধ্যে শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং শীর্ষ ২০টির মধ্যে ১৮টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি একটি মাইলফলক যা সম্ভবত আরও বিনিয়োগ এবং অংশীদারিত্ব আকর্ষণ করবে। এটি টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
রুবেল আরও বলেন, বাংলাদেশে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানার উত্থান পরিবেশগত স্থিতিশীলতার প্রতি পোশাক শিল্পের অবিচল নিষ্ঠা।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে: বিজিএমইএ সভাপতি
ফরিদপুরের বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম
সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলা ফরিদপুরে নতুন ফসল আসার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।ফরিদপুর শহর ও আশপাশের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ইউএনবির প্রতিবেদক জানান, নতুন পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, যা পুরনো ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, নতুন পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং পুরাতন পেঁয়াজের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। কয়েকদিন আগে নতুন পেঁয়াজ ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও পুরনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন: নতুন পেঁয়াজ অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে: কৃষি মন্ত্রণালয়
সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব ও সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে প্রাথমিকভাবে পেঁয়াজ কাটা বিলম্বিত হয়। তবে পানি কমে যাওয়ায় কৃষকরা আংশিক ফসল তুলতে শুরু করেছেন।
প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, ফরিদপুরে প্রাথমিকভাবে তিনটি জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। শীতকালীন মুড়িকাটা এবং গ্রীষ্মকালীন হালি ও ডানা।
তিনি আরও জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে এক লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিবি প্রধানের
ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা ছাড়াল
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ এশিয়ায় খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় মশলা রপ্তানির ওপর ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর শনিবার ঢাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ২০০-২২০ টাকা বা তার বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, যা বৃহস্পতিবার ছিল ১৩০ টাকা।
এটি ভোক্তাদের উচ্চ ব্যয়ের জীবনযাত্রার মধ্যে আরেকটি কষ্টকর পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
৩১ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহ আগে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে ভারত।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা নতুন কিছু না হলেও বাংলাদেশের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা হঠাৎ দাম বাড়ার জন্য ভারতের নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোকে দায়ী করছেন।
তারা বলেন, নিষেধাজ্ঞাটি ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে এবং এটি কেবল বাড়ানো হয়েছে এবং এটি বর্তমান পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগে। কিন্তু হঠাৎ করে দাম বাড়ানোর পেছনে বাজারের একদল নিয়ন্ত্রণকারী বা সিন্ডিকেট কাজ করেছে।
খুচরা বিক্রেতারা আজ কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ২০৪ টাকায়, যা বৃহস্পতিবার ছিল ১৩০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরের মোকামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১০৫ থেকে ১২৫ টাকা এবং আজ তা বেড়ে হয়েছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৯০-১১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ পাইকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মাজেদ বলেন, ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেশের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। গত কয়েক দিন ধরে আকস্মিক বৃষ্টিও দামে প্রভাব ফেলেছে।
শুধু ঢাকায় নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পাবনায় আজ সকালে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
পাইকাররা জানান, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে জেলার পাইকারি বাজারে হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আড়তে ঝুলছে ‘পেঁয়াজ নাই’ লেখা বোর্ড
ঋণসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বারের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসিবি) আয়োজনে 'সেটেলমেন্ট অব ডকুমেন্টারি ক্রেডিট ডিসপিউটস থ্রু এডিআর: রিভিউ অব আইসিসি আরবিট্রেশন অ্যান্ড ডকডেক্স কেস’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
এতে বলা হয়, কর্মশালায় বিআইবিএমের চারজনসহ ২৫টি ব্যাংকের ৯৬ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন আইসিসি বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয়।
এছাড়া কর্মশালায় বক্তব্য দেন আইসিসিবির মহাসচিব আতাউর রহমান এবং কর্মশালার প্রশিক্ষক কে এম লুৎফর রহমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১৫.৮২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে: সূত্র
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১৫.৮২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে: সূত্র
আইএমএফের গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশের ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ এখন নেমে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
মঙ্গলবার(২৮ নভেম্বর) ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
দুই বছর আগে কোভিড-১৯ মহামারির সময় আমদানি রপ্তানির চাহিদা কমে যাওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল।কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং আমদানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার পর থেকে কমতে শুরু করে ডলারের মজুদ।আরও পড়ুন: আইএমএফ ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রা রপ্তানি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএমএফের নির্দেশিকা (ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল) বা বিপিএম৬ এর আলোকে ২৩ নভেম্বর দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী নিট রিজার্ভ মোট রিজার্ভের পরিমাণের চেয়ে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার কম হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, রিজার্ভ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা প্রতিদিন ব্যয় ও জমা হয়।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে
বৈদেশিক মুদ্রা কমে যাওয়ার খবরে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এটি দেশের একটি চলমান প্রক্রিয়া।
জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা বিপিএম৬ -এর প্রস্তাবিত একটি নির্দেশিকা বা সূত্র অনুযায়ী বৈদেশিক রিজার্ভ গণনা শুরু করে বাংলাদেশ।
নতুন হিসাব অনুযায়ী, সে সময় দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি: বিশ্লেষকরা