ক্রিকেট
প্রোটিয়া বোলিং তাণ্ডবে লন্ডভন্ড শ্রীলঙ্কা
পিচ বিশ্লেষকদের দাবি ছিল স্লো উইকেট। তবে গতির বাজিতে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের মাত করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। তাদের বোলিং আক্রমণের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন হাসারাঙ্গা অ্যান্ড কোং।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। তবে প্রোটিয়া বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ৭৭ রানেই অলআউট হয়ে গেছে তারা। ফলে ৭৮ রানের লক্ষ্য পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনে শ্রীলঙ্কার কোনো ব্যাটারই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
ইনিংসের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের দানবীয় গতি সামলে রান বের করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল তাদের। এরই মধ্যে চতুর্থ ওভারে বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া অটনিয়েল বার্টম্যানের হাতে বল তুলে দেন মার্করাম। ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই সাফ্যলের দেখা পান তিনি।
বার্টম্যানের প্রথম ডেলিভারিতে সজোরে ব্যাট চালিয়ে বল সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন নিশাঙ্কা। তবে উপরের কানায় লেগে তা ডিপ থার্ড ম্যান অঞ্চলে চলে যায়। সেখান থেকে বলটি তালুবন্দি করেন ক্লাসেন। নিশাঙ্কা ৮ বল মোকাবিলা করে ৩ রান করে ফিরলে ১৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
এরপর শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা উইকেটে কিছুক্ষণ থিতু হলেও অষ্টম ওভারের শেষ বলে নিজের প্রথম ওভারে সাফল্যের দেখা পান নর্টকিয়াও। প্যাডের দিকে আসা ডেলিভারিটি ঘুরিয়ে স্কয়ার অঞ্চল দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় রিজা হেনড্রিকসের হাতে ধরা পড়েন কামিন্দু মেন্ডিস।
আরও পড়ুন: যেসব ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ
পরের ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে হাসারাঙ্গা ও সামারাবিক্রমাকে যথাক্রমে স্ট্যাম্পড ও বোল্ড করে শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার প্যাভিলিয়নে পাঠান কেশব মহারাজ। মাঝখানে এক ওভার গেলে দশম ওভারের শেষ বলে কুশল মেন্ডিসের উইকেট নেন ট্রিস্টান স্টাবস। দুই বল পরে আসালঙ্কাকে ফেরান নর্টকিয়া।
মাত্র ৪৫ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চোখে সর্ষের ফুল দেখা শুরু করেন লঙ্কান ব্যাটাররা। তবে আক্রমণের ধার কমাননি মার্করাম।
এরপর দলীয় ৬৮ রানে দাসুন শানাকা ও ৭০ রানে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস সাজঘরে ফিরলে ইনিংসের সমাপ্তি টানা ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। পরে দুই ওভারে এক রান নেওয়ার পর আউট হন থিকশানাও। শেষ ওভারের প্রথম বলে নুয়ান তুশারা রান আউট হলে ৭৭ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
দলের হয়ে কুশল মেন্ডিসের ১৯ রানের ইনিংসটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। তিনি ছাড়া আর দুজন কেবল নিজেদের রান দুই অঙ্কে নিতে পেরেছেন।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন নর্টকিয়া। কেশব মহারাজ ও কাগিসো রাবাদা নিয়েছেন দুই করে উইকেট।
একইসঙ্গে অভিষিক্ত বার্টম্যানের কথা না বললেই নয়। প্রোটিয়াদের হয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্রথম বলেই উইকেট নেয়া এই বোলার চার ওভারে একটি মেইডেনসহ মাত্র ৯ রান খরচ করেছেন।
আরও পড়ুন: টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কার
৫৭৩ দিন আগে
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কার
অনেক জল্পনার অবসান ঘটিয়ে চলতি মাসের শুরুতে পর্দা উঠেছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (৩ জুন) টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কা দল:
পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালঙ্কা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা (অধিনায়ক), মাহিশ থিকশানা, মাথিশা পাথিরানা, নুয়ান থুশারা।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল:
কুইন্টন ডি কক, রিজা হেন্ড্রিকস, এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ডেভিড মিলার, হাইনরিখ ক্লাসেন, ট্রিস্টান স্টাবস, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্টকিয়া, অটনাইল বার্টম্যান।
আরও পড়ুন: যেসব ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ
৫৭৩ দিন আগে
যেসব ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ
১ জুন থেকে শুরু হয়েছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। সর্বমোট ৫৫টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের এই টুর্নামেন্ট চলবে আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত। যৌথভাবে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নির্ধারিত ৯টি ভেন্যুর মধ্যে ৩টি ইউএসএর- টেক্সাস, নিউইয়র্ক, এবং ফ্লোরিডায়। আর ৬টি ক্যারিবিয়ান ভেন্যু- অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা, বার্বাডোস, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপভোগের পাশাপাশি শহরগুলোর দর্শনীয় স্থানগুলোও আকৃষ্ট করছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। চলুন, আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪ আয়োজনকারী স্টেডিয়ামগুলোর অবস্থান ও এর আশেপাশের পর্যটন স্থানগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
যে স্টেডিয়ামগুলোতে বসছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপের আসর
গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়াম, টেক্সাস
২০০৮ সালে চালু হওয়া এই স্টেডিয়ামটি ২০১৯ সাল পর্যন্ত বেসবল খেলার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এর মাঝে ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সকার ইউনাইটেড সকার লিগ-২ এখানে তাদের ম্যাচগুলো মঞ্চস্থ করে। এরপর সংস্কারের পর ২০২৩ সালে মাঠটিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ। টেক্সাসের ডালাস কাউন্টির গ্র্যান্ড প্রেইরি শহরের লোন স্টার পার্কওয়েতে অবস্থিত মাঠটির বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার।
হলিউডের ওয়েস্টার্ন ছবির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাওয়া ডালাস কাউবয়ের দেখা মিলবে ডাউনটাউন থেকে ১৩ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বের টেক্সাস হর্স পার্কে। অদ্ভূত এক ঐতিহাসিক দিগন্তের দেখা পাওয়া যাবে ডিলি প্লাজার ষষ্ঠ তলা জাদুঘর, জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরি ও মিউজিয়ামে। এছাড়া রিইউনিয়ন টাওয়ার জিও-ডেকের ১৭০-মিটার-উচ্চতার ওয়াচ টাওয়ার থেকে সমগ্র ডালাসের দৃশ্য সত্যিই শ্বাসরুদ্ধকর!
পেরোট মিউজিয়াম অব ন্যাচার অ্যান্ড সায়েন্সের অসাধারণ রত্ন সংগ্রহ এবং ডাইনোসর একচেটিয়াভাবে আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, নিউ ইয়র্ক
৩৪ হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সদ্যনির্মিত এই ক্রিকেট গ্রাউন্ড মূলত সর্বাঙ্গীনভাবে একটি মডুলার স্টেডিয়াম। ৩ জুন শ্রীলঙ্কা বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট লড়াইয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে এই ভেন্যুর প্রথম ম্যাচ। মডুলার অবকাঠামোর এই অতিকায় মাঠটির অবস্থান নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের ইস্ট মেডোতে আইজেনহাওয়ার পার্কের মাঠে।
এর আশেপাশে ভ্রমণের জন্য প্রথমেই যাত্রা শুরু করতে হবে লং বিচ থেকে। এই সৈকতে পাওয়া যাবে সার্ফিংসহ বিভিন্ন রোমাঞ্চকর কার্যকলাপের সুযোগ। ক্যাপট্রি স্টেট পার্কে নৌকা ভাড়া ফায়ার আইল্যান্ড ভ্রমণের সময় মাছ ধরা যায়। তবে রোমাঞ্চের ষোল আনা পূর্ণ হবে পায়ে হেঁটে ৩০০ বছরের পুরনো বন সানকেন পেরুনোর সময়।
সামার হোয়াইট হাউস, ওয়াশিংটন স্পাই ট্রেইল এবং গোল্ড কোস্ট ম্যানশনগুলোকে অনুসরণ করার সময় পশ্চিমের পুরো অতীতটা রীতিমতো লাফ দিয়ে চোখের সামনে এসে দাঁড়াবে। বলাবাহুল্য যে, স্ট্যাচু অব লিবার্টি এবং এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং দেখে না এলে এই ভ্রমণটা পুরো বৃথাই যাবে।
সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড পার্ক এবং ব্রোওয়ার্ড কাউন্টি স্টেডিয়াম, ফ্লোরিডা
এই লডারহিল ভেন্যু হলো সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত ইউএস ক্রিকেট ভেন্যু, যা উন্মুক্ত করা হয়েছিল ২০০৭ সালের ৯ নভেম্বর। এটি ফ্লোরিডার লডারহিলের একটি বৃহৎ কাউন্টি পার্ক এবং ইউএসএর প্রধান দুটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মধ্যে একটি। স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার।
গ্রেটার ফোর্ট লডারডেলের ৩৭ কিলোমিটার সোনালি তীরবর্তী অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করা যায় ৮টি উপকূলবর্তী শহরে। এখানকার আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ঘাসের নদী’ নামে খ্যাত জলাবদ্ধ তৃণভূমিতে কুমির দেখা, বাটারফ্লাই ওয়ার্ল্ডের বিশ্বের বৃহত্তম প্রজাপতি বাগান এবং হামিংবার্ড।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারেন যারা
দক্ষিণে গেলে চোখে পড়বে প্রাণবন্ত মিয়ামি শহরের আদিম সমুদ্র সৈকত। এ পথে হাজির হবে আফ্রো-অ্যামেরিকান ইতিহাস সমৃদ্ধ ওভারটাউন, সাউথ ডেডের মিকোসুকি নেটিভ-আমেরিকান সংস্কৃতি এবং লিটল হাভানার কিউবান সম্প্রদায়।
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম, অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডা
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ নাম স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের নামানুসারে নামকরণ হয়েছে এই স্টেডিয়ামটির। এর গোড়াপত্তন হয়েছিল ২০০৭ সালে তৎকালীন ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপকে উদ্দেশ্য করে। সেন্ট জর্জের নর্থ সাউন্ডে অবস্থিত স্টেডিয়ামটিতে ১০ হাজার লোকের জায়গা দিতে পারে।
এর আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে পর্যটকদের প্রথম আকর্ষণ হচ্ছে সেন্ট জর্জ প্যারিস চার্চ। এই অ্যাংলিকান চার্চটি স্থাপিত হয়েছিল ১৭৮৪ সালে। এরপরেই দেখা যেতে পারে ২০ হাজারেরও বেশি প্রজাতির অর্কিডসমৃদ্ধ অর্কিড ওয়ার্ল্ড। প্রশান্তিদায়ক বাগানগুলো প্রদর্শন করতে প্রায় এক ঘণ্টা লেগে যায়। পুরনো আমলে ঘরবাড়ি দেখার জন্য সেরা জায়গা হচ্ছে ফ্রান্সিয়া প্ল্যান্টেশন হাউস। এটি প্রাচীনতম মানচিত্র সংগ্রহের জন্য বিখ্যাত।
কেন্সিংটন ওভাল, বার্বাডোস
১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কেন্সিংটন ওভালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ১৮৯৫ সালে। বার্বাডোসের ব্রিজটাউনের পশ্চিম অংশে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে ২৮ হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এই ধারণক্ষমতা ওভালকে ক্যারিবীয় অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ভেন্যুতে পরিণত করেছে।
এই দ্বীপাঞ্চলটির পশ্চিম দিকে রয়েছে কার্লাইল বে, যেটি সূর্যাস্ত দেখার জন্য জনপ্রিয় স্থান। তুষার-শুভ্র বালি ও ঢেউ খেলানো তালগাছের এই সৈকত ইউনেস্কো মনোনীত মেরিন পার্কের অংশ।
বার্বাডোসের এই অঞ্চলটাতে পাওয়া যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা সব খাবারগুলো। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশতেই রয়েছে মাছের আধিক্য। বিশেষ করে বাজান এবং গ্রিলড মাহি মাহি এখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবার।
বার্বাডোস মিউজিয়াম ও হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি ভ্রমণের সময় দেখা মিলবে ৫ লক্ষেরও বেশি পুরনো স্থাপত্যের নিদর্শন।
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ আসরের সমাপনী খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে।
প্রোভিডেন্স স্টেডিয়াম, গায়ানা
২০০৭ সালে বোর্ডা বা জর্জটাউন ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডটি পুনর্স্থাপন করে বানানো হয় প্রোভিডেন্স স্টেডিয়াম। এটি নির্মিত হয়েছিল তৎকালীন ক্রিকেট বিশ্বকাপের সুপার এইট ম্যাচ আয়োজনের জন্য। গায়ানার ডেমিরারা-মাহাইকা অঞ্চলের প্রোভিডেন্সে অবস্থিত এই ভেন্যুতে ২০ হাজার আসনের ব্যবস্থা রয়েছে।
গায়ানার অত্যাশ্চর্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে সেন্ট জর্জ ক্যাথেড্রাল, যেটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু কাঠের বিল্ডিংগুলোর একটি। এর গথিক-শৈলী, সূক্ষ্ম নকশার কাঁচের জানালা, অদ্ভুত বেদী এবং কাঠের খিলানযুক্ত সিলিং দর্শনার্থীদের বিস্ময়ের খোরাক জোগায়।
জর্জটাউন বোটানিক্যাল গার্ডেনে স্বাগত জানাবে বিচিত্র ধরনের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উদ্ভিদ। শাপলা পুকুর, পাম এবং অর্কিড দেখতে দেখতে হেঁটে যাওয়ার সময় চমকে দিতে পারে নাম না জানা পাখিরা।
গায়ানার স্থানীয় সঙ্গীতের সুধা নিতে যেতে হবে রয় গেডেস স্টিল প্যান মিউজিয়ামে। এখানকার স্টিলের প্যানের সংগ্রহে মিশে রয়েছে গায়ানার বিবর্তনের ইতিহাস।
ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, সেন্ট লুসিয়া
এই মাঠটির সঙ্গে মিশে রয়েছে ২০১২ এবং ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরপর ২ বার আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস। প্রথমে ২০০২ সালে উদ্বোধনের সময় পার্শ্ববর্তী পাহাড়গুলোর নামানুসারে এর নাম রাখা হয়েছিল বিউসজোর ক্রিকেট গ্রাউন্ড। কিন্তু পরবর্তীতে সেই দুটি বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার ড্যারেন স্যামির সম্মানে ২০১৬ সালে মাঠটির নাম পরিবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝড়ে ক্ষতবিক্ষত টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের স্টেডিয়াম
সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটের কাছে অবস্থিত এই মাঠটির ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার। স্টেডিয়ামটি রডনি বে-এর পর্যটন রিসোর্টের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। বিলাসবহুল ইয়ট এবং পালতোলা জাহাজে সব সময়ই ব্যস্ত থাকে রডনি বে মেরিনা। এখানে রয়েছে স্থানীয় রন্ধনশিল্পের দর্শনধারী বাহারি সব রেস্তোরাঁ।
পিজিয়ন আইল্যান্ড ন্যাশনাল পার্কে ঢোকার পর থেকে সামনে পড়বে ফোর্ট রডনিসহ ঐতিহাসিক সব সামরিক ধ্বংসাবশেষ। এর সঙ্গে উপকূলের নজরকাড়া দৃশ্যে চোখ রেখে নৈসর্গিক ট্রেইল ধরে চলে যাওয়া যাবে সিগন্যাল পিক পর্যন্ত।
ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমি, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
২০১৭ সালে চালু হওয়া এই স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রায়ান লারার নামে। লারা ২০০৮ সালের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকালের শীর্ষস্থানীয় রান সংগ্রহকারী ছিলেন। দক্ষিণ ত্রিনিদাদের সান ফার্নান্দোর উপকণ্ঠের তারৌবাতে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে আসন রয়েছে মোট ১৫ হাজার।
ত্রিনিদাদের নান্দনিক সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে ওয়েস্টার্ন মেইন রোড ধরে গেলে। এখানে রাস্তার পাশের খাবারের দোকানসহ রয়েছে রঙিন বাজার। স্থানীয় খাবারের পাশাপাশি এই দোকানগুলো স্যুভেনির কেনার জন্যও বেশ উপযুক্ত।
কুইন্স পার্ক সাভানার চারপাশ জুড়ে গাছ-গাছালি এবং নানা ঐতিহাসিক নিদর্শনের বেষ্টনী। এছাড়াও রয়েছে ঔপনিবেশিক যুগের প্রাসাদ এবং রাজকীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন।
আর্নোস ভ্যালে স্টেডিয়াম, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স
১৯৮১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ডের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয় স্টেডিয়ামটি। সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনের কাছেই অবস্থিত আর্নোস ভ্যালের ধারণক্ষমতা ১৮ হাজার।
এখানকার কাছাকাছি পর্যটন স্থানের মধ্যে রয়েছে কিংসটাউন বোটানিক্যাল গার্ডেন। বেশ পুরনো আমলের হলেও এখানে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় গাছপালা এবং ফুলগুলো সুবিন্যস্ত করে সাজানো। এগুলোর মাঝে শোভা পায় বিখ্যাত ব্রেডফ্রুট গাছ।
১৮ শতকের একটি সুসংরক্ষিত ঐতিহাসিক দুর্গ কিংসটাউনের ফোর্ট শার্লট। অদূরে উপকূলরেখার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য হাতছানি দিয়ে ডাকে। অন্যদিকে প্রাচীর এবং কামানগুলো মনে করিয়ে দেয় দ্বীপের ঔপনিবেশিক অতীতের কথা। সেই আবহ হৃদয়ে ধারণ করেই প্রবেশ করা যেতে পারে সামরিক যাদুঘরে।
শেষাংশ
২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজনকারী এই স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে সর্বাধিক প্রাচীন কেন্সিংটন ওভাল। আশির দশকে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের তীর্থস্থান হিসেবে স্থানীয় সংস্কৃতিকে বহন করে চলেছে আর্নোস ভ্যালে। সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামির ধূলোতে লেগে রয়েছে বিংশ শতকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক অর্জনের পরশ। ২০০৭ সাল স্মরণীয় হয়ে আছে একই সঙ্গে সাথে প্রোভিডেন্স, স্যার ভিভ রিচার্ডস, এবং সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড পার্কের উদ্বোধনের বর্ষ হিসেবে। আর পরের বছরেই চালু হওয়া গ্র্যান্ড প্রেইরি সবচেয়ে দর্শনীয় জায়গাগুলোর সান্নিধ্যে রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর আমেরিকান দেশটির ল্যান্ডমার্কে পরিণত হয়েছে ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমি। অতঃপর আদ্যোপান্ত মডুলার স্টেডিয়াম হিসেবে সর্বপ্রথম ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করল নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
৫৭৪ দিন আগে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারেন যারা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দোরগোড়ায়। শিরোপার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে লড়াই চলবে ২০টি দেশের। ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারলেও নিজেদের যোগ্যতার ছাপ রাখতে বদ্ধপরিকর টাইগাররা। বাংলাদেশ দলে এমন কয়েকজন তারকা খেলোয়াড় আছেন যারা যে কোনো মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে নিজেদের পক্ষে নিতে পারেন।
এদিকে মূল আসরের ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিতে যাওয়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও দলের জন্য বিশ্বকাপের আগে এই হার এক প্রকার সতর্কবার্তাই বলা যায়।
যদিও তরুণ প্রতিভা এবং অভিজ্ঞ সঙ্গীদের নিয়ে গড়া শান্তর এই দল, যে খেলোয়াড়রা এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করেছে।
ব্যাটিংয়ে চোখ রাখলে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হতে পারেন তানজিদ হাসান তামিম, যিনি ইনিংসের শক্ত ও গতিময় শুরু দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শনিবার শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ
৭টি টি-টোয়েন্টিতে ১২০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ৩টি হাফ সেঞ্চুরি তার। এই অল্প সময় হয়তো তার সম্ভাবনাকে পুরোপুরি মূল্যায়ন করার জন্য যথেষ্ট নয়, কিন্তু বিশ্বমঞ্চে মূল্যবান সম্পদ হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছেন তানজিদ। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
টপ অর্ডারে তানজিদের পর লিটন দাসও হয়ে উঠতে পারেন বিধ্বংসী শক্তি। বিগত কিছু খেলায় ফর্মের অবনতি দেখা গেলেও এই ডানহাতি ব্যাটার আত্মবিশ্বাসী যে একটি ভালো ইনিংস তাকে তার ছন্দে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ হোম সিরিজেও ফর্মে ফিরতে লড়াই করেছেন লিটন। ছন্দে ফিরতে লড়াইয়ের পরও মনে রাখতে হবে, ৮২টি টি-টোয়েন্টিতে ১২৫ ওভার স্ট্রাইক রেটে ১৮০০-র বেশি রান করেছেন লিটন। শুরুটা ভালো করতে পারলে নিজের দিনটিতে যেকোনো বোলিং রক্ষণভাগ গুঁড়িয়ে দিতে পারেন তিনি।
ব্যাটিং অর্ডারে আরেক সম্ভাবনাময় তারকা তৌহিদ হৃদয়। ডানহাতি এই ব্যাটার এরই মধ্যে তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে কিছু দুর্দান্ত খেলেছেন এবং সুযোগ পেলেই এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে সাকিব-মাহমুদউল্লাহকে ‘উপহার’ দেওয়ার আশা শান্তর
টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের পরবর্তী ভরসা হয়ে উঠতে পারেন তৌহিদ। তিনি ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলে আগামীতে অনেকবারই সুদিনের দেখা মিলতে পারে বাংলাদেশ দলের। ২২টি টি-টোয়েন্টিতে ১৩০-এর বেশি স্ট্রাইক রেট তৌহিদের, নামের পাশে রয়েছে দুটি হাফসেঞ্চুরি।
লোয়ার অর্ডারে ব্যাট ও বল দুই হাতেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন রিশাদ হোসেন। জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা অল্প কয়েকজন লেগ স্পিনারের মধ্যে তিনি একজন এবং তার ভালো খেলার প্রমাণ অনেকবারই দিয়েছেন তিনি। তার সবচেয়ে বড় সম্পদ ক্লিন শট মারার ক্ষমতা।
১৭ ম্যাচে ৭ ইনিংসে ১৩৫-এর বেশি স্ট্রাইক রেটের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলার হিসেবে ১৫ উইকেটও নিয়েছেন রিশাদ। লেট অর্ডারে প্রতিপক্ষ বোলারদের দুঃস্বপ্ন হতে পারেন তিনি। আবার বল হাতে যেকোনো সময় উইকেটে ধস নামাতে পারেন। কিছু খরুচে হলেও অনন্য প্রতিভা বলা যায় তাকে।
এবারের বিশ্বকাপে মুস্তাফিজুর রহমানের ওপরও চোখ থাকবে সবার। কেন না সম্প্রতি চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ফিজ প্রমাণ করে দিয়েছেন যে এখনো ফুরিয়ে যাননি তিনি, এখনো দেওয়ার আছে অনেক কিছু। আইপিএলে প্রথমবারের মতো নিয়েছেন চার উইকেট।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং ফিগারের নতুন রেকর্ড গড়েন। এই সফল পারফরম্যান্স বিশ্বকাপে তাকে অনুপ্রাণিত করবে।
বিশ্বকাপের ময়দানে পা রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দুজনই সতর্ক অবস্থানে থেকে নিজেদের নিয়ে আশা জানিয়েছিলেন। তবে এই তারকারা যদি তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশের জন্য এবারের বিশ্বকাপ দারুণ একটি টুর্নামেন্ট হতে পারে।
আরও পড়ুন: সীমিত প্রত্যাশা নিয়ে দেশ ছেড়েছে টাইগাররা
৫৭৫ দিন আগে
শনিবার শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ
আইসিসি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
শনিবার (১ জুন) নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
নবনির্মিত নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই প্রস্তুতি ম্যাচ হতে যাচ্ছে। এই মাঠে এর আগে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ গড়ায়নি। সপ্তাহখানেক আগেও নির্মাণাধীন ছিল এই ভেন্যু।
বিশ্বকাপের ম্যাচের জন্য ‘ড্রপ-ইন পিচ’ ব্যবহার করছে নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এ ধরনের পিচগুলো অন্য জায়গায় তৈরি করে মাঠে এনে স্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: টাইগাররা প্রস্তুত: টি২০ বিশ্বকাপের পিচ পৌঁছেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে
বাংলাদেশের মাঠগুলোতে ড্রপ-ইন পিচের ব্যবহার নেই বললেই চলে, তবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে প্রায়ই ড্রপ-ইন পিচে খেলা হয়। এই পিচগুলো রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধা বেশি, সহজে সরিয়ে নেওয়া যায় এবং অন্য কোনো মাঠে ব্যবহার করা যায়।
পুরোপুরি নতুন এক মাঠ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
নিউইয়র্কের স্টেডিয়াম নিয়ে আইসিসির এক ভিডিওতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য। আমি মনে করি এটা আকর্ষণীয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি, আমরা সবাই ইন্টারনেটে দেখেছি যে কিছুই ছিল না (তিন মাস আগে)। এখন এটি একটি উপযুক্ত স্টেডিয়ামের মতো দেখাচ্ছে এবং দুর্দান্ত লাগছে। এটা খুব ভালো লাগছে এবং আমার কাছে আকর্ষণীয় লাগছে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেন্যুটির নির্মাণকাজ দেখে শান্ত বেশ মুগ্ধ হয়েছিলেন।
একই ভেন্যু সম্পর্কে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘খুব সুন্দর লাগছে। বেশ খোলামেলা মাঠ। আমরা এখানে এসে প্রথম ম্যাচ খেলব। স্টেডিয়ামটির পরিবেশ উপভোগ করার জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না।’
আরও পড়ুন: সীমিত প্রত্যাশা নিয়ে দেশ ছেড়েছে টাইগাররা
মূল পর্বে নামার আগে এই ম্যাচে নিজেদের পারফরম্যান্স আরও ভালো করার দিকে নজর দেবে বাংলাদেশ। দলের মূল লক্ষ্য থাকবে ধুঁকতে থাকা টপ অর্ডারকে গুছিয়ে নেওয়া।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ।
আগামী ৭ জুন ডালাসে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে টাইগাররা। আর আগামী ১০ জুন নিউইয়র্কে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: ঝড়ে ক্ষতবিক্ষত টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের স্টেডিয়াম
৫৭৫ দিন আগে
ঝড়ে ক্ষতবিক্ষত টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের স্টেডিয়াম
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর মাত্র ৩ দিন। এরইমধ্যে প্রবল ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঞ্চল। ঝড়ের কবলে পড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামও।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে প্রবল ঝড়ে স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনসহ বেশ কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৈরি আবহাওয়া ও মাঠটি অনুপযুক্ত হয়ে পড়ায় বাতিল করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচটিও।
আরও পড়ুন: টাইগারদের অনুশীলন শিবিরে যোগ দিলেন মুশফিক-মিরাজ ও সাইফউদ্দিন
ওই অঞ্চলজুড়ে বর্তমানে বজ্রসহ শক্তিশালী ঝড়, টর্নেডো, এমনকি আকস্মিক বন্যার সতর্কতা দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। ফলে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ আয়োজন নিয়ে খানিকটা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
আইসিসির একজন মুখপাত্র বলেছেন, ভেন্যুটির সীমানা (ফেন্স) ও গ্যালারির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে উদ্বোধনী ম্যাচ আয়োজন নিয়ে আশঙ্কা নেই।
সপ্তাহজুড়ে ঝড়-বৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ২৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে স্থাপনা ভেঙে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। ঝড়ে এলোমেলো হয়ে গেছে দেশটির বহু অঞ্চল।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট বলেছেন, রাজ্যটির এক-তৃতীয়াংশের বেশি এলাকা বিপর্যস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত হলেন শহীদ আফ্রিদি
মঙ্গলবার সকালে প্রবল ঝড়ের পর রাতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সেইসঙ্গে ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হয়।
২ জুন থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের পর্দা উন্মোচন করবে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামী ৮ জুন। এরপর ১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস ও ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা।
৫৭৯ দিন আগে
টাইগারদের অনুশীলন শিবিরে যোগ দিলেন মুশফিক-মিরাজ ও সাইফউদ্দিন
টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা না পাওয়া মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে টাইগারদের অনুশীলন শিবিরে যুক্ত করা হয়েছে।
আশ্চর্যজনকভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন মিরাজ ও সাইফউদ্দিন। আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মিরপুরে ২৬ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া এই ক্যাম্পে ২১ জন খেলোয়াড়ের দক্ষতা ও কৌশলগত প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
মুশফিকুর রহিম, মিরাজ ও সাইফউদ্দিনের পাশাপাশি দলে আছেন তাইজুল ইসলাম, এনামুল হক বিজয়, নাঈম হাসান, মুমিনুল হক ও নুরুল হাসান সোহানের মতো ক্রিকেটাররা।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ
জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের নির্বাচিত স্কোয়াডটি অভিজ্ঞ এবং উদীয়মান খেলোয়াড়দের সমন্বয় করছে। আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় খেলোয়াড়দের কৌশল ও মানসিক প্রস্তুতিকে ঝালাই করাই এই ক্যাম্পের লক্ষ্য।
পর্যায়ক্রমে সিলেট ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ টাইগার্স হলো একটি বিশেষায়িত ইউনিট, যেটি এমন খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত যারা জাতীয় দলকে ঘিরেই প্রস্তুত থাকে। এই স্কোয়াড গঠনের লক্ষ্য তাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং আসন্ন যেকোনো চ্যালেঞ্জের জন্য তাদের প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ টাইগারস দল: সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, পারভেজ হোসেন ইমন,এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মমিনুল হক, শাহাদাত হোসেন দিপু, নুরুল হাসান সোহান, মহিদুল ইসলাম অঙ্কন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাইজুল ইসলাম, নাইম হাসান, হাসান মুরাদ, নাসুম আহমেদ, খালেদ আহমাদ, মুশফিক হাসান, নাহিদ রানা ও রহমান রেজাউর রাজা।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত হলেন শহীদ আফ্রিদি
৫৮২ দিন আগে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত হলেন শহীদ আফ্রিদি
আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-২০২৪ এর সর্বশেষ দূত হলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। এই মর্যাদাপূর্ণ পদে যুবরাজ সিং, ক্রিস গেইল ও উসাইন বোল্টের সঙ্গে যোগ দিলেন তিনিও।
বিধ্বংসী ব্যাটিং এবং মাঠে বিদ্যুৎ গতির উপস্থিতির জন্য পরিচিত সাবেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার প্রচারমূলক কার্যক্রমে অংশ নেবেন এবং টুর্নামেন্ট পরিচালনায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে আভ্যন্তরীণ পরামর্শ দেবেন।
৬টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া আফ্রিদি ২০০৯ সালে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জয় করে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন। আগের চেয়ে অনেক বেশি দলের অংশগ্রহণ ও ম্যাচ নিয়ে বর্ধিত ফরম্যাট তুলে ধরে আসন্ন টুর্নামেন্ট নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতল যুক্তরাষ্ট্র
আফ্রিদি বলেন, 'আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এমন একটি ইভেন্ট যা আমার হৃদয়ের খুব কাছের। উদ্বোধনী ম্যাচে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়া থেকে শুরু করে ২০০৯ সালে ট্রফি উঁচিয়ে ধরা পর্যন্ত, আমার ক্যারিয়ারের কিছু প্রিয় অর্জন এই ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে এসেছে।’
বিশেষ করে আগামী ৯ জুন নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য বহুল প্রত্যাশিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি।
আগামী ১ থেকে ২৯ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টেক্সাসে কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়, ফাইনাল ম্যাচটি হবে বার্বাডোসে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ
৫৮৩ দিন আগে
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত সিরিজ হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার হিউস্টনে ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ রানে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম ম্যাচের পরাজয়কে আপসেট হিসেবে বিবেচনা করা হলেও দ্বিতীয় পরাজয় যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বমুখী সম্ভাবনাকেই প্রমাণ করেছে। এতে, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের মূল কাঠামো নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র। কে জানে, তৃতীয় ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ করতে পারবে কি না!
আরও পড়ুন: সীমিত প্রত্যাশা নিয়ে দেশ ছেড়েছে টাইগাররা
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৪৪ রান গড়ে যুক্তরাষ্ট্র।অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল সর্বোচ্চ ৪২ ও স্টিভেন টেইলর ৩১ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন ২টি করে উইকেট নেন।
প্রথম ওভারেই শূন্য রানে হারানো সৌম্য সরকারকে প্রথম ম্যাচে তার হতাশাজনক পারফরম্যান্সের প্রতিফলন হিসেবে শুরু থেকেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ।
বাজে ফর্মের সঙ্গে লড়াই করা নাজমুল হোসেন শান্তর ৩৬ রান এবং তৌহিদ হৃদয় (২৫) ও সাকিব আল হাসানের (৩০) অবদান সত্ত্বেও বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় রান রেট ধরে রাখতে পারেনি।
মাত্র ১৪ রান শেষ ৫ উইকেট হারায় দলটি।
আলী খান ডেথ ওভারে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ১৯.৩ ওভারে ১৩৮ রানে অলআউট করে দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতল যুক্তরাষ্ট্র
৫৮৪ দিন আগে
বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতল যুক্তরাষ্ট্র
মঙ্গলবার প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যা যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, কারণ আইসিসির পূর্ণ সদস্যের বিপক্ষে এটি তাদের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়। এই ম্যাচের আগে যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ২৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও কখনও পূর্ণ সদস্যের বিপক্ষে খেলেনি।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২২ বলে ৩১ রান এবং তাওহীদ হৃদয় ৪৭ বলে ৫৮ রান করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের মধ্যে স্টিভেন টেইলর ৩ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
চতুর্থ ওভারে ২৭ রান করে অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলকে রান আউটে হারায় যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: সীমিত প্রত্যাশা নিয়ে দেশ ছেড়েছে টাইগাররা
অ্যান্ড্রিস গাউসের ২৩ ও স্টিভেন টেলরের ২৮ রানে ভালো একটি পার্টনারশিপ গড়ে উঠলেও তারা পরপর আউট হলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ম্যাচটি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।
হরমিত সিংয়ের মাত্র ১৩ বলে ৩ ছক্কা নিয়ে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস নাটকীয়ভাবে মোড় ঘোড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে। কোরি অ্যান্ডারসন অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস খেলে ৩ বল বাকি থাকতেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
হরমিত সিং ম্যাচ সেরার পুরস্কার গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান ২টি, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।
আগামী মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই পরাজয় বাংলাদেশকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলবে। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৮ জুন ডালাসে, ১০ জুন নিউইয়র্কে দ্বিতীয় ম্যাচ।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে সাকিব-মাহমুদউল্লাহকে ‘উপহার’ দেওয়ার আশা শান্তর
৫৮৬ দিন আগে