সিলেট
সিলেটে ছেলের মরদেহ নিয়ে মহাসড়কে মায়ের বিচার দাবি
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় ছেলের হত্যাকারীর বিচার ও মামলা গ্রহণের দাবিতে নিহত রবিউল ইসলাম নাঈমের মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন তার মা পারুল বেগম (৫৫)।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রবিউলের হত্যার বিচার চান তার মা, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী।
এ সময় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। ওসমানীনগর থানার সামনের দুই দিকে মহাসড়কে শত শত যাত্রীবাহী যানবাহন আটকে পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন দূরপাল্লার শত শত যাত্রী। পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে সন্ধ্যা ৭টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
নিহত রবিউল ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়া ও পারুল বেগমের দ্বিতীয় ছেলে। উপজেলার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটের বগুড়া রেস্টুরেন্টে নাইট শিফটে কাজ করতেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৬ জুলাই রেস্তোরাঁ থেকে নিখোঁজ হন রবিউল। এরপর রবিবার (৩ আগস্ট) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল এলাকার রেলস্টেশনের পার্শ্ববর্তী একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত রেস্তোরাঁর মালিক বুলবুলকে ওসমানীনগর থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া।
আরও পড়ুন: ওমানফেরত প্রবাসীকে আনতে গিয়েই লাশ হলেন ৪ নারী ও ৩ শিশু
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৬ জুলাই স্বজনরা সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর ৩ আগস্ট কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল রেলস্টেশনের পাশের একটি ডোবা থেকে অজ্ঞাতনামা এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ। খবর পেয়ে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি নিখোঁজ রবিউলের বলে শনাক্ত করেন তার স্বজনরা।
রবিউলের পরিবারের অভিযোগ, রেস্তোরাঁর মালিক বুলবুল রবিউলকে হত্যা করে কুলাউড়ায় মরদেহ ফেলে দিয়েছেন।
নিহত রবিউলের বড় ভাই কাইয়ুম বলেন, ‘আমার ভাইকে বুলবুল খুন করেছে। আমরা বুলবুলের ফাঁসি চাই।’
ওসি মো. মোনায়েম মিয়া বলেন, বুলবুলকে আসামি করে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুল বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
১৪৫ দিন আগে
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বন্ধ সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্র, ভোগান্তি
কারিগরি ত্রুটির কারণে তিন সপ্তাহ ধরে সিলেটের কুমারগাঁওয়ে ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে সিলেট নগরীসহ পুরো বিভাগে প্রতিদিনই একাধিকবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে।
কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে অবস্থিত ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ আচার্য বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সচল করতে প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। ‘আমরা আশা করছি, এই সপ্তাহের মধ্যেই এটি আবার চালু করা সম্ভব হবে।’
গ্রিড উপকেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে একটি কারিগরি ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ দল বিভিন্ন পরীক্ষা ও পরিদর্শনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিদ্যুৎ আচার্য বলেন, ‘ঢাকা থেকে আসা দলটি এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করছে। সব পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে সিস্টেম সঠিক প্রমাণিত হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এই সপ্তাহের মধ্যেই চালু করা যাবে বলে আমরা আশা করছি।’
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে পরিত্যক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব চুরির পর ভেঙে নিচ্ছে দেয়ালও
বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, এখান থেকে সিলেট বিভাগের চারটি জেলা—সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় বর্তমানে সিলেট পুরোপুরি জাতীয় গ্রিডের ওপর নির্ভরশীল।
কিন্তু জাতীয় লোড ডিসপ্যাচ সেন্টার (এনএলডিসি) থেকে সিলেটে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে, ফলে লোডশেডিং আরও বেড়েছে। এতে ওই চার জেলায় মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
এ ছাড়া, অপর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে সিলেট সিটি করপোরেশনের পানি সরবরাহ ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অনেক এলাকায় প্রতিদিনই পানি সংকট দেখা দিচ্ছে।
স্থানীয় বিদ্যুৎ বিতরণ অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি সচল না হওয়া পর্যন্ত লোডশেডিং চলতে পারে। এমনকি পরিস্থিতি আরও খারাপও হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
১৪৭ দিন আগে
সুনামগঞ্জে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বাসভাড়া নিয়ে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন গণপরিবহন শ্রমিকরা।
সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকেই এই ধর্মঘট চলছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল (রবিবার) সকালে সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে সিলেটগামী একটি বাসে সুবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা শান্তিগঞ্জের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে বাসভাড়া নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে এই তর্ক হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীরা বাস ভাঙচুর করেছেন । তাছাড়া শিক্ষার্থীরা ওই বাসের হেলপার ও চালককে মারধর করেছেন বলেও দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ৮ দাবি, না মানলে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি
এর প্রতিবাদে রবিবার বিকালে তারা প্রায় ২ ঘণ্টা সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক অবরোধ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে উভয়দিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিকাল ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নেন তারা।
তবে, এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন জানান, শুধু সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে এ কর্মবিরতি চলছে, পুরো বিভাগে নয়।
১৪৭ দিন আগে
সিলেটের ধলাই নদীর স্রোতে যুবক নিখোঁজ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদীতে উজান থেকে ভেসে আসা লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে তীব্র স্রোতে আফতাব উদ্দিন (৩১) নামের এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন।
রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ আফতাব উপজেলার কালিবাড়ি গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে।
স্বজনরা জানান, আফতাব সকাল ৭টার দিকে ধলাই নদীতে লাকড়ি কুড়ানোর জন্য বাড়ি থেকে বের হন। কিছুক্ষণ পর স্থানীয়দের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন, নদীর স্রোতের টানে ভেসে গেছেন আফতাব।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে পদ্মা নদী থেকে দুই বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চালায়। তবে আফতাবকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে অন্ধকার নেমে আসায় অনুসন্ধান কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, ধলাই নদীর স্রোতে এক যুবক ভেসে যাওয়ার খবর পেয়েছি। সোমবার সকাল থেকে ডুবুরি দল আবারও তাকে উদ্ধারের জন্য অনুসন্ধান শুরু করবে বলেও জানান তিনি।
১৪৭ দিন আগে
সিলেটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, আহত ১
সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মো. জিসান আহমদ (২৩) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বেলা দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তারা সাদাপাথরে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনার শিকার হন।
নিহত জিসান আহমদ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তার বন্ধু মো. হাসান (২৪)।
জানা যায়, সিলেটের বিশ্বনাথ থেকে মোটরসাইকেলে করে ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর এলাকায় ঘুরতে যাচ্ছিলেন জিসান ও হাসান। শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার পথে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা এলাকায় সড়কের ডিভাইডারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে ঘটনাস্থলেই জিসান মারা যান এবং হাসান আহত হন। এসময় তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পড়ুন: দুর্ঘটনার সংবাদ করতে গিয়ে আহত বাবাকে উদ্ধার সাংবাদিকের, হাসপাতালের পথেই মৃত্যু
সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘মোটরসাইকেলে করে জিসান ও হাসান সাদাপাথর এলাকায় ঘুরতে যাচ্ছিলেন। পথে বড়শালা এলাকায় তাদের মোটরসাইকেলটি সড়কের ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে ঘটনাস্থলেই জিসান নিহত হন এবং অপরজন আহত হন।
১৫০ দিন আগে
সিলেট সীমান্তে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাচালান পণ্য জব্দ
সিলেটের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) পরিচালিত এক সমন্বিত অভিযানে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
বিজিবি জানায়, জেলার সীমান্তবর্তী সংগ্রাম, প্রতাপপুর, পান্থুমাই, বিছনাকান্দি, তামাবিল ও দমদমিয়া বিওপি'র আওতাধীন এলাকায় একযোগে অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: বিজিবি দেখে মোটরসাইকেল ফেলে পালাল চোরাকারবারি, প্রায় ৩২ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ
জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে— সানগ্লাস, গরু, অ্যালোভেরা জেল, শাড়ি, বাসমতি চাল, সুপারি, জিরা, সাবান, আদা, কিসমিস, বডি স্প্রে, শ্যাম্পু, হেয়ার অয়েল, ফেসওয়াশ, লবণ, আইবল ক্যান্ডি, নিভিয়া সফ্ট ক্রিম, চা-পাতা ও নাইসিল পাউডার। এসব পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ২০ লাখ ৩৩ হাজার ১৫০ টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।
সিলেট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক জানান, সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে তারা।
তিনি আরও জানান, জব্দ করা পণ্যের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
১৫১ দিন আগে
সিলেটে স্কুলছাত্র হত্যা: সাইফুলসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
সিলেটের বিশ্বনাথে চৈতন্নগর গ্রামে স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া (১৮) হত্যা মামলায় আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আরও ১৭ জন আসামিকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মোট ৩২ জন আসামির মধ্যে একজন এখনো পলাতক।
বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহীন এ রায় ঘোষণা করেন। সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলায় মোট ৩২ জন আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় মোট ২৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলম, নজরুল, সদরুল, সিরাজ, জামাল, শাহিন, আব্দুল জলিল ও আনোয়ার।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— ইলিয়াছ, আব্দুন নুর, জয়নাল, আশিক, আছকির, ফরিদ ও আকবর।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১ মে বিশ্বনাথ উপজেলার চৈতন্নগর গ্রামের নজির উদ্দিনের খেতের জমি থেকে জোর করে রাস্তায় মাটি তুলতে চান যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলম। এসময় তাকে বাধা দেন নজির উদ্দিন, চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও ভাতিজা ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া। এতে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সাইফুল আলমের বন্দুকের গুলিতে ওইদিন সুমেল মিয়া নিহত হন। এ সময় সুমেলের বাবা ও চাচাসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বিয়ের প্রলোভনে গণধর্ষণ, দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঘটনার পর সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২০২১ সালের ৩ মে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তৎকালীন বিশ্বনাথ থানার ওসি তদন্ত কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩২ জনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। মামলার প্রায় চার বছর পর আজ (বুধবার) এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
এর আগে, গত ১৩ জুলাই মামলাটি যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছিল। ওইদিন আদালত ৩০ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার ৩২ জন আসামির মধ্যে এজাহারনামীয় আসামি মামুনুর রশীদ পলাতক এবং প্রধান আসামি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাইফুল আলম আটকের পর থেকে প্রায় পৌনে ৪ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন।
১৫২ দিন আগে
জাফলংয়ে নিখোঁজের তিন দিন পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া মুকিত আহমদ (১৮) নামে এক পর্যটকের লাশ তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ জুলাই) সকালে জাফলংয়ের বল্লাঘাট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মুকিত আহমদ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার রায়নগর এলাকার শামসুদ্দিন মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তারা সিলেট নগরীর মাছিমপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে জাফলংয়ের বল্লাঘাট এলাকায় একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে এবং নিখোঁজ পর্যটক মুকিত আহমদের লাশ হিসেবে শনাক্ত করে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা বলেন, ‘গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) বন্ধুদের সঙ্গে জাফলংয়ে বেড়াতে আসে মুকিতসহ ২৮ জনের একটি দল। দুপুরের দিকে তারা সবাই নদীর পাড়ে ফুটবল খেলতে নামে। খেলা শেষে তারা তিনজন নদীর পানিতে নামলে স্রোতের টানে তলিয়ে যায়। বাকি দু'জন তীরে উঠলেও স্রোতের টানে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় মুকিত।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার মো. তোফায়েল আহমদ জানান, আজ সকালে মুকিতের লাশ পানিতে ভেসে উঠলে তা উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) জাফলংয়ের পিয়াইন নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় পানিতে নামলে স্রোতের টানে তলিয়ে গিয়ে মুকিত নিখোঁজ হন। ঘটনার তিনদিন পর জাফলংয়ের বল্লাঘাট এলাকায় তার লাশ ভেসে উঠে।
১৫৫ দিন আগে
সিলেটে নিখোঁজের একদিন পর নদীতে মিলল শিশুর লাশ
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর আরিয়ান আহমদ (৬) নামের এক শিশুর লাশ সুরমা নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের মাহতাবপুরসংলগ্ন সুরমা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।আরিয়ান উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের মির্জারগাঁও গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
এর আগে, শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে গ্রামের পূর্বের বালুর মাঠ থেকে সে নিখোঁজ হয়।
লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন নদীতে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। সে সাঁতার জানত না। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।’
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সাঁতার না জানায় নদীর পানিতে ডুবে শিশুটি মারা গেছে।
১৫৫ দিন আগে
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ আলী গ্রেপ্তার
সিলেট মহানগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. সুরুজ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে নগরীর রিকাবীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শেখ সুরুজ আলী ছয়টি মামলার পলাতক আসামি। এর মধ্যে রয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলা এবং অন্যান্য মামলা আরও কয়েকটি অপরাধ-সংশ্লিষ্ট মামলা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি গা ঢাকা দিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলাসহ অন্যান্য মামলাসহ সর্বমোট ছয়টি মামলার আসামি শেখ মো. সুরুজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হবে।’
১৫৮ দিন আগে