বিএনপি
কুমিল্লা-৯ আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপির মশাল মিছিল
কুমিল্লা-৯ (সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজারে মশাল মিছিল করেছে বিএনপি।
বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে এই মশাল মিছিলের আয়োজন করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি।
মিছিলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন। এর মধ্যে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ছাড়াও বিএনপির স্থানীয় শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অদৃশ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
মশাল মিছিল শেষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী সমর্থিত নেতারা।
বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত কুমিল্লা-১০ আসনের নতুন সীমানা বিন্যাস সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ আসন পুনর্বহাল রেখে চূড়ান্ত সীমানা ঘোষণা করতে হবে বলে দাবি জানান তারা।
সেটি করা না হলে সাধারণ মানুষ এ সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।
১৩০ দিন আগে
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে ছয়দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আগামী ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবে দলটি। সমাবেশ ও আলোচনা সভাসহ ছয় দিন ব্যাপি কর্মসূচি পালন করবেন দলটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার(২০ আগস্ট) দলের ‘জাতীয় উদযাপন কমিটির’ সভা শেষে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ৩১ আগস্ট দিবসটি উদযাপনে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশে এক আলোচনা সভা আয়োজন করবে বিএনপি।
১ সেপ্টেম্বর সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে বিএনপির সকল কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সকাল ১১টায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ করবেন।
এছাড়াও, দলের জেলা ও শহর ইউনিটগুলো একই দিনে সারা দেশে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালি করবে।
২ সেপ্টেম্বর, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হবে।
৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির সকল উপজেলা ও পৌরসভা ইউনিট সমাবেশ ও আলোচনা সভা করবে।
৪ সেপ্টেম্বর, দলটি সারা দেশে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, বৃক্ষরোপণ এবং ক্রীড়া অনুষ্ঠান এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবিরের আয়োজনের মতো বেশ কয়েকটি গণ-কর্মসূচি পালন করবে।
৫ সেপ্টেম্বর দলটি তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে একটি গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করবে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছাড়াও, বিএনপির সহযোগী সংগঠন এবং সারা দেশে তাদের সকল ইউনিট তাদের নিজস্ব কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি উদযাপন করবে।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে, বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো পোস্টার এবং বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল বিএনপি গঠন করেন। দলটি বেশ কয়েকবার দেশ শাসনও করেছে।
১ সেপ্টেম্বর দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ১৮ আগস্ট বিএনপি ১৬ সদস্যের একটি ‘জাতীয় উদযাপন কমিটি’ গঠন করে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে কমিটির আহ্বায়ক এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
১৩০ দিন আগে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার ছয় ঘণ্টা পরই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেএম জাহিদ হোসেন জানান, রাত ১২টার দিকে গুলশানের বাসায় অসুস্থ বোধ করেন মির্জা ফখরুল। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ এখন মহাসচিবের অবস্থা স্টেবল। চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। সবাই দোয়া করবেন।’
তিনি আরও জানান, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: চোখের চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল
এর আগে, চোখের ফলোআপ চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যাংকক থেকে ঢাকা ফেরেন মির্জা ফখরুল। স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও তার সঙ্গে ছিলেন।
ঢাকায় নেমে প্রথমে গুলশানের বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব। এরপর দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান।
রাত ১১টা পর্যন্ত সেই বৈঠক চলে। এরপর বাসায় গিয়ে অসুস্থবোধ করেন ফখরুল। দ্রুতই বাসার কাছে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।
১৩১ দিন আগে
বিএনপি পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে: ফখরুল
বিএনপি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতি মেনে নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে, আমরা কখনই পিআর সিস্টেম মেনে নেব না, কারণ এ দেশের মানুষ এর সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। তারাও এটি জানে না বা বোঝে না।’
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিছু সময় ব্যবহারের পর বাতিল করা হয়েছে এবং পিআর সিস্টেম সম্পর্কে মানুষের কোনো ধারণা নেই। ‘তাই, এটি গ্রহণ করার প্রশ্নই আসে না।’
পড়ুন: উচ্চকক্ষের ১০০ সদস্য নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে, সিদ্ধান্ত এনসিসির
ফখরুল বলেন, পিআর পদ্ধতি ভোটারদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে বাধা দেয়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়। কারণ এটিই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার একমাত্র উপায়।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল প্রচলিত ব্যালট পদ্ধতিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় আছে।
ফখরুল বলেন, পিআর ব্যবস্থায় ভোটাররা জানেন না যে তারা কাকে ভোট দিচ্ছেন। ‘এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
ডাকসু নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা আশা করেন সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, চোখের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ১৩ আগস্ট ফখরুল তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যান।
গত ১৩ মে চোখের জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য ব্যাংককে গিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব।
১৩১ দিন আগে
রাজনৈতিক কারণে গঠিত ভোটকেন্দ্র বাতিলের আহ্বান বিএনপির
আওয়ামী লীগের শাসনের সময়ে রাজনৈতিক স্বার্থে গঠিত ভোটকেন্দ্রগুলো বাতিল করতে হবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রিজভী বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যে ভোটকেন্দ্রগুলো গঠিত হয়েছে, সেগুলো বাতিল করা আবশ্যক। নির্বাচন কমিশন জনগণসংখ্যার বাস্তব বণ্টন অনুযায়ী নতুন ভোটকেন্দ্র ঘোষণা করুক। এটিই আমাদের প্রত্যাশা ও দাবি।’
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার ‘ফ্যাসিবাদী শাসনকাল’ চলাকালীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক স্বার্থে বহু ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল।
রিজভী বলেন, ‘এ পর্যন্ত তিনটি বড় নির্বাচন হয়েছে – একটিতে ভোটারই ছিল না, আরেকটি রাতের বেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং শেষটি কাগজের ভোট হিসেবে সঞ্চালিত হয়েছিল। মানুষ এই নির্বাচনের অভিজ্ঞতা ভুলে যায়নি।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মানুষ কেবল তখনই এই নির্বাচনের স্মৃতি ভুলতে পারবে, যখন নির্বাচন কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করবে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি জনগণ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর দাবিতে কাজ করে, ভোটাররা প্রায় ১৬–১৭ বছর পর নিরাপদভাবে ভোটকেন্দ্রে যেতে আত্মবিশ্বাসী বোধ করবে।’
নির্বাচন কমিশনকে রিজভী অনুরোধ করেন এমন পরিবেশ তৈরি করতে, যেখানে ভোটাররা বিনা ভয় ও প্রভাব ছাড়াই ভোট দিতে পারবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের মনোনয়ন ফর্ম কেনার পথে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলকে বাধা দেওয়ার জন্য জনসমাবেশ বা মব সৃষ্টি করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূসের সরকার থাকাকালীন কেন প্রতিটি এলাকায় জনসমাবেশ হচ্ছে? গ্রামে-গঞ্জে কেন মব কালচার বিকাশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? আইনশৃঙ্খলা নেই, অনিয়ন্ত্রিত কিছু মানুষ নিজের হাতে আইন প্রয়োগ করছে।’
রিজভী আরও জানান, রংপুরের তারাগঞ্জে সাম্প্রতিক দুটি ঘটনা প্রমাণ করছে যে মব কালচার মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এমন পরিস্থিতি মেনে নেব না,’ তিনি বলেন।
রিজভী দাবি করেন, ব্যাংক থেকে টাকা লুট করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, ‘মহিউদ্দিন খান আলমগীর ফার্মার্স ব্যাংকের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুট করেছেন, এবং নাফিজ সারাফাত পদ্মা ব্যাংকের মাধ্যমে একই কাজ করেছেন। এই দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে।’
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, লুট হওয়া জনসম্পদ ফেরত আনতে শক্তিশালী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১৩১ দিন আগে
পুলিশ-প্রশাসনে আ. লীগের অনুগতদের রেখে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: রিজভী
পুলিশ ও প্রশাসনে আওয়ামী লীগের অনুগতদের রেখে এবং শেখ হাসিনার শাসনামলে নিয়োগ পাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকলে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘সবাই চায় রমজানের আগে ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক। কিন্তু আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই, আওয়ামী লীগের কর্মীদের প্রশাসন থেকে অপসারণ করতে হবে।’
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৬ হাজার ৩৯৯ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েজে। এই শিক্ষকদের বেশিরভাগই কোনো যোগ্যতাভিত্তিক প্রতিযোগিতা ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছিল বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির এই নেতা প্রশ্ন রেখে আরও বলেন, এর মধ্যে ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ আওয়ামী লীগের অনুগত। ‘এই শিক্ষকরা যদি পোলিং অফিসার বা প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করেন—তাহলে কি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে? না।’
তিনি বলেন, তাদের নিয়োগের একমাত্র মানদণ্ড হলো তারা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, নাকি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত।
রিজভী বলেন, ‘এইভাবে, প্রশাসন দলীয় অনুগতদের দিয়ে সাজানো হয়েছে। তাদের প্রশাসন থেকে অপসারণ করতে হবে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে হবে।’
পড়ুন: নির্বাচন বিঘ্নিত করার অসৎ প্রচেষ্টা দেশের জনগণ রুখে দেবে: সালাহউদ্দিন
তবে তিনি বলেন, তাদের দল বিএনপির অনুগতদের বিনিময়ে নিয়োগ দিতে চায় না। ‘আমরা চাই নিরপেক্ষ ব্যক্তিরা, যারা কোনোভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট নন, তারা পোলিং অফিসার এবং প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করুক।’
নীলফামারী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নতুন নেতাদের সঙ্গে রিজভী দলের প্রতিষ্ঠাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তিনি বলেন, গত ১৫ থেকে ১৬ বছর ধরে প্রশাসন এবং পুলিশ আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের দ্বারা প্রভাবিত। ‘প্রশাসনে তাদের রেখে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে নির্বাচন কমিশন এই বিষয়গুলোতে মনোযোগ দেবে এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করবে— যাতে ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোটকেন্দ্রে যেতে এবং তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারে।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সহযোগীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের সামরিক প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন যে, তাদের মধ্যে দুজনকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চিন্তা করুন, তারা এ ধরনের আরও কত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে... সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থার বিরোধিতা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের মানুষ এই ধরনের নির্বাচনী ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত নয়। ‘পিআর ব্যবস্থা বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত নয়। যারা পিআর ব্যবস্থায় নির্বাচন দাবি করে—তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে,’ বলেন তিনি।
১৩২ দিন আগে
নির্বাচন বিঘ্নিত করার অসৎ প্রচেষ্টা দেশের জনগণ রুখে দেবে: সালাহউদ্দিন
দেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের পথে কোনো অসৎ প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে বাংলাদেশের মানুষ একতাবদ্ধ ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে যুবদল।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিয়ে নির্বাচনের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষে কোনো শক্তি নয়, তারা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষেও নয়।’
তিনি বলেন, তারা হয়তো কোনো কারণে নিজের কথাগুলো ইনিয়ে-বিনিয়ে বলছেন, যাতে নির্বাচন বিলম্বিত করা যায় অথবা বানচাল করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য, ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য ঐক্যবদ্ধ। যারা এর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেবে, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ রুখে দাঁড়াবে।
সালাহউদ্দিন সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের প্রতি একজোট থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করব—যেভাবে আপনারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন, সেভাবেই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও রাজনৈতিক দলকে আমি অনুরোধ করছি, যেভাবে আমরা স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, আবারও সেভাবে ঐক্য তৈরি করুন। আসুন একত্রিত হয়ে আলোচনা করি এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করি, যাতে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের পথ সহজ হয়।’
সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার ও সব গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে অনেকবার আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে। তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করতে হবে।
পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষমাণ। আমরা সেই গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষমাণ, যে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের সন্তানরা শহীদ হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, অন্ধত্ব বরণ করেছেন। এই গণতন্ত্রের জন্য আমরা গত ১৫–১৬ বছর সংগ্রাম করেছি। এই গণতন্ত্রকে যদি আমরা বিনির্মাণ করতে চাই, একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
এর আগে গত ৯ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছিলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ লক্ষ্যে সারা দেশে নির্বাচন কমিশন জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সমতার ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা জরুরি। আমাদের জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে, সেই ঐক্য ধরে রাখতে হবে।
তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আজীবন গণতন্ত্রের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সংগ্রাম থেকে শুরু করে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে নয় বছরের আন্দোলন, সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে তিনি দেশের গণতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘খালেদা জিয়া শুধু একটি নাম নন, তিনি একটি ইতিহাস। খালেদা জিয়ার মতো নেত্রী থাকলে জাতির পথ হারানোর সুযোগ নেই। তিনি সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন এবং এখনো বাংলাদেশের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ তার ৮১তম জন্মদিন। আমরা প্রার্থনা করি মহান আল্লাহ তাকে দীর্ঘায়ু দান করুন, যেন তিনি দেশের জনগণের জন্য আলোর দিশারি হয়ে থাকেন। গণতন্ত্রের রক্ষক ও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে থাকেন।’
১৩৪ দিন আগে
নির্বাচন নিয়ে জনগণের শঙ্কা রয়ে গেছে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
আগামী জাতীয় নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জনগণের মনে ভোটের ব্যাপারে সংশয় থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শুনছি নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হবে, কিন্তু ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জনগণের মনে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা থাকবে।
তিনি বলেন, যত রক্ত ঝরুক, এখনো গণতন্ত্র হাতের নাগালের বাইরে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই নেতা সতর্ক করেছেন, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। এজন্য আমাদের সতর্ক, শান্ত ও ধৈর্যশীল হতে হবে।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কারও পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়া জাতির অভিভাবক হয়েছেন। তিনি শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন নন, লড়ে যাচ্ছেন গণতন্ত্রের জন্য।
তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া নিজে কখনো জন্মদিন পালন করতেন না, আমরাই করতাম। মানুষ যখন তাকে সমালোচনা করত, খালেদা কখনো জন্মদিন উদযাপনের পক্ষে ছিলেন না। তিনি সবসময় তার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গলের জন্য দোয়া কামনা করতেন।
পড়ুন: জন্মদিনে খালেদা জিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার ফুলেল শুভেচ্ছা
অনুষ্ঠানে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনপ্রিয়তার কারণে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের জনগণের বিশ্বাস অর্জনে কাজ করার আহ্বান জানান। যদি আমরা সত্যিই দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবাসি, যদি আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ভালোবাসি, এবং যদি আমরা তারেক রহমানকে ভালোবাসি, তবে আমাদের জনগণের মন জয়ের জন্য চেষ্টা করতে হবে।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বকশাল তুলে গণতন্ত্র ফিরিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া সামরিক স্বৈরশাসনের কবর থেকে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার করেছেন এবং তারেক রহমানের হাত ধরে দেশে আবারো গণতন্ত্রের সূচনা হবে।
খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন।
১৩৫ দিন আগে
খালেদা জিয়াকে কারাগারে নির্যাতন: জড়িতদের বিচারের দাবি মির্জা আব্বাসের
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারাগারে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন আব্বাস।
মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে চরম নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারের অত্যন্ত খারাপ ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রাখা হয়।
তিনি আরও জানান, খালেদাকে এমন একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল যেখানে ইঁদুর ও পোকামাকড় দৌড়াদৌড়ি করতো। সেখানে মানুষ তো দূরের কথা, প্রাণীদেরও বাঁচার জন্য সংগ্রাম করতে হবে।
তিনি বলেন, কয়েকজন ডেপুটি জেলার ও জেলার অন্যায়ভাবে তাকে ছাদের ওপরে একটি কক্ষে রেখেছিল। আজ আমি এই অনুষ্ঠান থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জেলজীবনে তার ওপরে যে অত্যাচার হয়েছে, যে নির্যাতন হয়েছে, কারা এর পেছনে দায়ী তাদের সবার বিচার হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
তিনি স্মরণ করেন, কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাদের ১৫ দিন পর দেখা করার সুযোগ ছিল। দেখেছি, তিনি কী রকম মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। বাইরে থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি, তবুও ব্যর্থ হয়েছি।তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। বুঝতে পেরেছি তাঁকে তখন বোধ হয় খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে দেওয়া হতো।
মির্জা আব্বাস খালেদার দীর্ঘ জীবন, সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক যাত্রা বিশ্বে নেতৃত্বের এক দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি গৃহিণী থেকে জনগণের পাশে দাঁড়ানো নেতা হয়ে ওঠেন, দল ও দেশকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নেতৃত্ব দেন।
পড়ুন: ঐক্য ধরে রেখে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার
খালেদার শক্তি ও নিষ্ঠার প্রশংসা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, আমরা যারা কয়েকজন তাদের সাথে কাজ করেছি তারা নানা চাপের মধ্যে দেশনেত্রীর দৃঢ় মনোবল দেখেছি। গণতন্ত্রের প্রশ্নের তার আপোষহীন নেতৃত্ব এবং নেতা-কর্মীদের প্রতি তার যে ভালোবাসা ও স্নেহ, তা তুলনাহীন।
২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় দন্ডিত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে অস্বাস্থ্যকর সেলে রাখা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুপারিশ করলেও বার বার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদন তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার নাকচ করে দেয়।
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে, ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বেগম খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। এ সময় তাকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’তে গৃহবন্দি রাখা হয়।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রাজধানীতে বিভিন্ন মসজিদে ও এতিমখানা-মাদ্রাসায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হচ্ছে।
ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও দলের চেয়ারপার্সনের আরোগ্য কামনায় খালেদার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনায় এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ সালের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ২০২৪ সালের গণআন্দোলনে শহীদদের শান্তির জন্য মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানও বক্তব্য রাখেন।
১৩৫ দিন আগে
চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলেন খন্দকার মোশাররফ
চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা ছাড়েন তিনি। তার সঙ্গে আছেন স্ত্রী বিলকিস আখতার হোসেন ও ছোট ছেলে ব্যারিস্টার খন্দকার মারুফ হোসেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের পরামর্শে মোশাররফ লন্ডনে চিকিৎসা নেবেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি দেশবাসীসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় তার সঙ্গে দেখা করেন মোশাররফ।
‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ আন্দোলনের সময়ে ২০২৩ সালের ১৭ জুন রাজধানীতে বিএনপির এক পদযাত্রায় অসুস্থ হয়ে পড়লে খন্দকার মোশাররফকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আট দিন চিকিৎসা নেন তিনি। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে ২৭ জুন তাকে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে। সেখানে দুই মাস ১০ দিন চিকিৎসার পর ৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকায় ফেরেন।
কিন্তু আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ৫ ডিসেম্বর তাকে ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকেরা পরবর্তীতে তাকে আবারও সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেন।
২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে খন্দকার মোশাররফের মস্তিস্কে টিউমারের সফল অস্ত্রোপচার হয়। চিকিৎসা শেষে তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন।
১৩৬ দিন আগে