আইনশৃঙ্খলা
প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ প্রতিহত করা হবে: বিবৃতিতে সরকার
দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেছে অন্তবর্তী সরকার।
এতে বলা হয়, ‘অন্তবর্তী সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে। সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করবে।’
সরকার নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রস্তুত। কোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
এরআগে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে অভিহিত করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, “হামলা-ভাঙচুরের এই ঘটনার অবশ্যই নিন্দা জানানো উচিত।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে হামলা-ভাঙচুরের বিষয়ে সংবাদমাধ্যম থেকে আসা প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় তারা এ বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে জয়সওয়াল বলেন, “দখলদারিত্ব ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠা শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবনটি ৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ধ্বংস করা হয়, যা দুঃখজনক।
‘বাঙালির পরিচয় গড়ে দেওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্য যারা দেন এবং এ নিয়ে যারা গর্ববোধ করেন, তাদের প্রত্যেকেই এই বাসভবনের গুরুত্ব বোঝেন।’
৩২৫ দিন আগে
ডিবি হেফাজতে মেহের আফরোজ শাওন
অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)।
রাজধানীর ধানমণ্ডির নিজ বাসা থেকে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) তালেবুর রহমান ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মেহের আফরোজ শাওনকে তার নিজ বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য করার কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সম্প্রতি শাওনের রাজনৈতিক অবস্থান ও কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিল ডিবি।
৩২৫ দিন আগে
ছিনতাই ঠেকাতে ট্রাফিক সার্জেন্টদের অস্ত্র দেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
রাজধানীতে ক্রমবর্ধমান ছিনতাইয়ের ঘটনা রোধে ট্রাফিক সার্জেন্টদের ছোট অস্ত্রে সজ্জিত করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. সাজ্জাদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি আয়োজিত 'ঢাকা মহানগরী এলাকায় বাস কাউন্টার ও ই-টিকেটিং ব্যবস্থা'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নগরীর চলমান যানজট নিরসন ও সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘শুধু চালক ও পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ম মেনে চলাই যথেষ্ট নয়। যাত্রী ও সাধারণ জনগণকেও আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে।’
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরোয়ার ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি এম এ বাতেন।
নতুন কাউন্টার ও ই-টিকেটিং পদ্ধতি সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যাত্রীদের নির্দিষ্ট স্টপেজে উঠা্ ও নামানো নিশ্চিত করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই এর লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: সেবার মাধ্যমে পুলিশকে জনগণের আস্থা ফেরাতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
তিনি এই উদ্যোগের সাফল্য নিশ্চিত করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় আড়াই কোটি মানুষের ঢাকা অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এসব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সবার জন্য জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করতে হবে। ঢাকাবাসী যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
থানাগুলোতে হয়রানিমুক্ত সেবা পাওয়ার গুরুত্বও তুলে ধরেন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশি সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। ‘মামলা বা সাধারণ অভিযোগ (জিডি) করতে গিয়ে যদি কেউ সমস্যার সম্মুখীন হন, কোনো পুলিশ সদস্য আপনাকে হয়রানি করে— তাহলে আমাদের জানান, আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
তিনি পরিবহন খাতের নেতাদের চালকদের নিয়োগপত্র এবং নিয়মিত মাসিক বেতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: অপ্রয়োজনীয় হর্ন না বাজানোর আহ্বান ডিএমপির
৩২৫ দিন আগে
প্রাথমিকের সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মেধার ভিত্তিতে নতুন করে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে, ৩০ চাকরিপ্রার্থীর করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। ফলে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। বৃহস্পতিবার সেই রুলের ওপর রায় দেওয়া হলো।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফয়েজ উদ্দিন আহমদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ও আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৪ জুন ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৩১ অক্টোবরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করে উপজেলাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন করে তালিকা প্রণয়ন করা হয়।
১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ আদেশ সংবলিত নির্দেশনা জারি করে। এ-সংক্রান্ত আদেশ অনুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান চরমোনাই পীরের
ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩০ প্রার্থী গত নভেম্বরে রিটটি করেন।
রিটে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ২৩ জুলাই কোটাপদ্ধতি সংশোধনের পর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরের জারি করা পরিপত্রসহ আগের এ-সংক্রান্ত সব পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন বা আদেশ রহিত করা হলো।
ফলে আগের কোনো আদেশ বহাল থাকছে না। অথচ ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করা হয়েছে। এ অনুসারে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ, ৪ শতাংশ অন্যান্য কোটা ছিল। এ রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল দিয়ে নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।
রুলে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে ১১ নভেম্বরের নির্দেশনা-সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ মাসের জন্য স্থগিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম: হাইকোর্ট
পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষে করা আবেদনের (লিভ টু আপিল) শুনানি নিয়ে গত ৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া আদেশ আপাতত বহাল রাখেন। একইসঙ্গে এ-সংক্রান্ত রুল ২৫ জানুয়ারির মধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। সে অনৃযায়ী বৃহস্পতিবার এই রুলের চূড়ান্ত শুনানি করে রায় দেন হাইকোর্ট।
৩২৬ দিন আগে
আরও তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক মন্ত্রী ইমরানকে
সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদকে সিলেটের আরও তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আলী হায়দার ফারুক বলেন, গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী একটি হত্যা মামলার ৭ নম্বর আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এছাড়া গোয়াইনঘাটের আরও দুটি মামলায় আজ আদালতে সাবেক এই মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি ট্রিপল হত্যা মামলা ছিল।
আরও পড়ুন: বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা
আদালত সূত্র জানায়, সিলেট মহানগরের কিনব্রিজ এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করা হয়। এতে পঙ্কজ নামের এক ছাত্র নিহত হন। ৫ আগস্টের পর এ ঘটনায় করা মামলায় ৭ নম্বর আসামি করা হয় সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে। আজ (বুধবার) সকালে তাকে আদালতে তুলে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। পাশাপাশি আদালতে তার পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন, তবে বিচারক সেটি নামঞ্জুর করেন।
সিলেট-৪ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য হয়েছেন ইমরান আহমদ। ২০১৮ সালে তিনি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরের বছর তাকে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গঠিত সরকারেও প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী হয়েছিলেন ইমরান আহমদ।
৩২৬ দিন আগে
তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আশিক মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর মহসীন এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পৃথক ৮ মামলায় আনিসুল হকসহ গ্রেপ্তার ৯
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, ‘আশিক হত্যা মামলায় আনিসুল হককে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে ওঠানো হয়েছিল। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গত ২৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আশিক মিয়া। এ ঘটনায় তার মা কুলসুম বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও আনিসুল হকসহ ১১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
৩২৬ দিন আগে
৩ শিক্ষার্থী আটক: উত্তরা থানার এসআইকে প্রত্যাহার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন শিক্ষার্থীকে আটকের পর রাজধানীর উত্তরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা থানার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আহমদ আলী এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘তিন শিক্ষার্থীকে আটকের ঘটনায় পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম এভিনিউতে একটি মিটিংয়ের আয়োজন করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। মিটিং চলাকালীন এসআই আবু সাঈদের নেতৃত্বাধীন পুলিশের একটি দল তিন ছাত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটককৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ইন্ডিপেন্ডেন্টে ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি) ছাত্র আসিফুল হক রবিন, উত্তরা টাউন ডিগ্রি কলেজের আকাশ এবং গাজীপুরের বিআইএসটির ছাত্র বাপ্পি। পরে তাদের মুক্তির দাবিতে থানার থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে কিছু শিক্ষার্থী।
পরবর্তীতে তারা মহাসড়ক অবরোধ করেন বলে জানা গেছে। এরপর উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনারসহ পুলিশের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। থানায় উপস্থিত হয়ে আলোচনা শেষে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আটক শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ ৪৭ আসামি খালাস
৩২৭ দিন আগে
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ ৪৭ আসামি খালাস
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির ৯ আসামিসহ সাজাপ্রাপ্ত ৪৭ আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাকি আসামিদের মধ্যে ২৫ জন যাবজ্জীবন এবং ১৩ জন ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। সাজাপ্রাপ্ত সবাই বিএনপির নেতাকর্মী।
বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ৫ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছিল।
রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিচারিক আদালতের ওই রায় ছিল প্রতিহিংসাপরায়ন সিদ্ধান্ত। শেখ হাসিনাকে খুশি করতেই ২০১৯ সালে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ওই রায় দিয়েছিলেন। রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই ছিলেন বিএনপির নেতাকর্মী। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে সবাইকে খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চিন্ময়কে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
জানা যায়, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
পরে মামলাটি ডেথরেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা। এই ডেথরেফারেন্স ও আপিলের ও আপিলের ওপর গত ৩০ জানুয়ারি শুনানি শেষ হয়। হাইকোর্ট সেদিন রায়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: তিন বিভাগীয় কমিশনারসহ ৮ জনকে হাইকোর্টে তলব
৩২৭ দিন আগে
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ধানমন্ডির আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গেল বছরের ৮ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক শিবলী। এর পাঁচদিন আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান।
২০২০ সালে প্রথম বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার মেয়াদ আরও চার বছর বাড়ানো হয়।
গত সপ্তাহে পাঁচজনের পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার, তাদের মধ্যে শিবলীও রয়েছেন। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে ঢাবির এই শিক্ষকসহ বিএসইসির বর্তমান ও সাবেক আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক।
৩২৭ দিন আগে
বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা
বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কুড়িগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ও (৩) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় এ মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জাকির হোসেন।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম দুদকের উপসহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, সাবেক মন্ত্রীকে ২ নম্বর আসামি এবং ছেলেকে ১ নম্বর আসামি করা হয়।
তিনি বলেন, ছেলের বিরুদ্ধে ২ কোটি ১১ লাখ ২৪ হাজার ৪০০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১০টি ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি ২৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৪ টাকা জমা এবং ১১ কোটি ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৪১১ টাকা সন্দেহজনক উত্তোলনসহ সর্বমোট ২২ কোটি ৪৩ লাখ ২ হাজার ৯২৫ টাকার সঠিক বৈধ উৎস ও ব্যাখ্যা না থাকায় সন্দেহজনক লেনদেন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। একই সঙ্গে সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্জিত অবৈধ অর্থকে বৈধ করার উদ্দেশ্যে ছেলের নামে সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়। ঘটনাস্থল লালমনিরহাট জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা উল্লেখ করা হয়। আর ঘটনার সময়কাল নির্ধারণ করা হয় ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল। মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন নিজে তদন্ত করবে।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
তিনি বলেন, সাবেক মন্ত্রীকে গত বৃহস্পতিবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলিতে মানিক নামে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেন রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী। মন্ত্রীর নামে রংপুর ও ঢাকায় তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে। সে মামলায় তিনি জেলহাজতে আছেন।
নুরুজ্জামান আহমেদ রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট নগরীর রাজা রামমোহন ক্লাবের সামনে গুলিতে নিহত পথচারী মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলার আসামি। ওই ঘটনায় নুরুজ্জামান আহমেদসহ ১২৮ জনের নামে গত ৩১ আগস্ট রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন মুন্নার বাবা কাউনিয়া উপজেলার বরুয়াহাট এলাকার আব্দুল মজিদ।
এ ছাড়াও তার নামে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় ১১ সেপ্টেম্বর ও ২৪ আগস্ট করা দুটি হত্যা মামলা রয়েছে। তিনটি হত্যা মামলায় তিনি এতদিন আত্মগোপন করে ছিলেন।
নুরুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসনে তিনবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একবার প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও একই দপ্তরের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
৩২৭ দিন আগে