মিসর, বাংলাদেশ, মালাউই, নেদারল্যান্ড, সেন্ট লুসিয়া ও জাতিসংঘের সাথে যুক্তরাজ্যের অংশীদারিত্বে গড়ে ওঠা এ নতুন জোট অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতা বিষয়ে জাতিসংঘের আহ্বানের মাধ্যমে পাওয়া আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গীকারকে ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের মাঠ-পর্যায়ের সহায়তায় পরিণত করতে কাজ করে যাবে।
এ জোট বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ ও অন্যদের অভিজ্ঞতা জানবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জ্ঞান এবং স্থানীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে সেরা চর্চাগুলো বিনিময়ে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর ফোরাম হিসেবে কাজ করবে বলে ব্রিটিশ সরকারের বিদেশ, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বৈশ্বিক সহযোগিতা চান জাতিসংঘ প্রধান
বিশ্বে প্রথমবারের মতো শুধুমাত্র অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতা নিয়ে নেদারল্যান্ড আয়োজিত জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলনে সোমবার দেয়া ভার্চুয়াল বক্তব্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এ ‘অ্যাডাপ্টেশন অ্যাকশন কোয়ালিশন’ চালুর ঘোষণা দেন।
অস্ট্রেলিয়ায় দাবানল থেকে শুরু করে সম্প্রতি মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড়সহ বিশ্বব্যাপী অনেক দেশ ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কোপে পড়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া না হলে আরও অনেক দেশ গুরুতর বিনাশ, চরম আবহাওয়া, বিপর্যয়কর সমাজ ও জীবিকার মুখোমুখি হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন: বিশ্বকে বাঁচাতে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান শেখ হাসিনার
সহায়তা পেলে দেশ ও সম্প্রদায়গুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহজেই পদক্ষেপ নিতে পারবে। ঝড়ের পূর্বাভাস ব্যবস্থা এবং বন্যার পানি নিষ্কাশন ও খরা সহনশীল শস্যে বিনিয়োগের মতো পদক্ষেপ হবে ব্যয়-সাশ্রয়ী। এগুলো শুধু অর্থই নয়, সেই সাথে বাঁচাবে জীবন ও জীবিকা।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মানুষের জীবন এবং অর্থনীতি ইতোমধ্যে হুমকির মুখে পড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে আমাদের অবশ্যই খাপ খাইয়ে নিতে হবে এবং এখনই আমাদের তা করতে হবে।’
জলবায়ু পরিবর্তন: দক্ষিণ এশিয়ায় অভিযোজন সক্ষমতা বাড়ানো হবে
“আমরা কেবল ভালো শব্দই নয়, সত্যিকারের পরিবর্তন নিশ্চিত করার জন্য কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনের আগে এজেন্ডা নির্ধারণে আমি আজ একটি নতুন ‘অ্যাডাপ্টেশন অ্যাকশন কোয়ালিশন’ জোট চালু করছি,” বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
কপ-২৬ এর মনোনীত প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা বলেন, তারা জানেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ইতোমধ্যেই যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারাই এখন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের পেছনে তাদের দায় খুব সামান্যই।
জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে ‘ডেল্টা তহবিল’ গঠন করবে সরকার
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সকল দেশকে উচ্চাভিলাষী অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন কপ-২৬। এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সম্মেলনটি তা স্থগিত করা হয়।
জলবায়ু পরিবর্তন, দ্বন্দ্ব বিশ্বকে সবচেয়ে বেশি দূর্বল করবে: আইসিআরসি