লন্ডনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম অধিবেশনের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার এক ভার্চুয়্যাল অনুষ্ঠানে কথা বলেন জাতিসংঘ প্রধান।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় বৈশ্বিক সংহতির আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
তিনি বলেন, ‘সাধারণ পরিষদের কার্যক্রম বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনধারণের মান উন্নয়ন এবং মানবাধিকার ও লিঙ্গ সমতার প্রসারে সাহায্য করেছে।’
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের সম্মিলিত সাফল্যের জন্য গর্ব করতে পারে উল্লেখ করে মহাসচিব বলেন, মহামারিসহ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো মোকাবিলায় বৃহত্তর পদক্ষেপ দরকার।
আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন: জি২০ নেতাদের জাতিসংঘ মহাসচিব
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারিতে মৃত্যের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখে পৌঁছে গেছে।
মর্মান্তিক মানবিক ঘটনা
জাতিসংঘ মহাসচিব প্রায়শই বলছেন যে কেমন করে কোভিড-১৯ সংকট একটি দেশের নিজেদের মধ্যে এবং বিভিন্ন দেশের মাঝে অসমতা, ভঙ্গুরতা আর নারী ও মেয়ে শিশুদের প্রতি হুমকিগুলো উন্মুক্ত করে দিয়েছে। সেই সাথে এ সংকট বৈশ্বিক সহযোগিতা ও সংহতির গুরুতর ফারাকগুলো আরও সামনে নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: তথ্য ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগের আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি এটি আমরা দেখেছি টিকার জাতীয়করণ নিয়ে। কিছু ধনী দেশ বিশ্বের গরিবদের কথা বিবেচনা না করেই নিজেদের লোকজনের জন্য টিকা কিনতে প্রতিযোগিতা করছে।’
অন্যদিকে, জলবায়ুর জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈশ্বিক সাড়াদান একেবারে অপর্যাপ্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জলবায়ু রক্ষা প্রথম অগ্রাধিকার
জাতিসংঘ প্রধান মহামারিকে ‘মর্মান্তিক মানবিক ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করলেও জোর দিয়ে বলেছেন যে এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক প্যারিস চুক্তির আলোকে অধিকতর টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব কায়েমের সুযোগ হতে পারে।
আরও পড়ুন: গান্ধীর মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হোন: জাতিসংঘ মহাসচিব
তিনি বলেন, ‘চলতি শতকের মাঝামাঝি নাগাদ কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের জন্য একটি বৈশ্বিক জোট গঠন করা হলো এ বছর জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় লক্ষ্যবস্তু। ২০১০ সালের স্তরের তুলনায় বৈশ্বিক নিঃসরণ ২০৩০ নাগাদ ৪৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে আমাদের দরকার অর্থবহ কাটছাঁট।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকে মন্দা থেকে রক্ষার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
অ্যান্তোনিও গুতেরেস জানান, গত বছর বিশ্বব্যাপী পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে যে বিশ্বের মানুষের কাছে প্রথম অগ্রাধিকার হলো জলবায়ুর পরিবর্তন রোধে পদক্ষেপ নেয়া। জাতিসংঘের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে পরিচালিত এ জরিপে ১৫ লাখের অধিক মানুষ জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরেন।