সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও কিছুতেই এ বালু উত্তোলন থামছে না। এতে অসময়ে ভাঙনের কবলে পড়েছে যমুনা পাড়ের ১০ গ্রামের বাসিন্দারা। যমুনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে অসংখ্য বাড়িঘর ও ফসলি জমি।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই উপজেলার খুকনী ইউনিয়নের আড়কান্দি, জালালপুর ইউনিয়নের পাকুরতলা, ঘাটাবাড়ি, কৈজুরী ইউনিয়নের পাঁচিল, জগতলা ও গালা ইউনিয়নের বিনোটিয়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কতিপয় প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন করছে বালু দস্যুরা।
উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা ও ড্রেজার পুড়ে দিলেও কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন।
আরও পড়ুন: পরিদর্শনে এসে নদী ভাঙন রোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা প্রতিমন্ত্রীর
এ বালুর নাম ‘কাঁচা সোনা’ দিয়েছে স্থানীয় বালু দস্যুরা। কোনোভাবেই তাদের রোধ করা যাচ্ছে না। যমুনার বুক জুড়ে চলছে বালু দস্যুদের স্বর্গ রাজ্য। প্রভাবশালী বালু দস্যুদের হুমকির ভয়ে প্রতিবাদ করতেও সাহস পাচ্ছেন না অনেকেই।
স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, সামান্য খরচে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে তা অনেক বেশি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এমন লাভের কারণে বালু দস্যুরা বিশেষ কৌশলে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে।
অপরিকল্পিতভাবে এ বালু উত্তোলনে ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাঁচিল পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কৈজুরি থেকে ভেড়াকোলা পর্যন্ত নতুন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধও এখন হুমকির মুখে।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙন রোধে সরকার পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা উপজেলা প্রশাসন বরাবর একাধিক অভিযোগ করলেও কাজ হচ্ছে না বলে জানান।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযানের পর কয়েকদিন বন্ধ থাকলেও আবারও বালু উত্তোলন শুরু করা হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মাদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেয়া হবে না।’
এ বালু উত্তোলন রোধে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি ।