বুধবার রাতে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন:দ্বিতীয় মেয়াদে শাবির ২২৪৩ শিক্ষার্থী পেল ইন্টারনেট সেবা
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে করোনাকালীন সময়ে ৪০০ টাকা টিউশন ফি এবং ৫৩০ টাকা পরিবহন ফি মওকুফের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী সিন্ডিকেট সভা, একাডেমিক কাউন্সিলের সভা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দপ্তরের সাথে আলোচনা করে পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা তাদের ক্রেডিট ফি ছাড়াই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। পরবর্তী শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামতো টাকা পরিশোধ করে সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে পারবে। অন্যদিকে আবাসিক শিক্ষার্থীদের এখন হলে ভর্তি হবার প্রয়োজন নেই এবং হলের ছাড়পত্র ছাড়াই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে তারা।
আরও পড়ুন: শাবি শিক্ষার্থীদের ১৫ জিবি করে ইন্টারনেট দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
উপাচার্য আরও বলেন, আমরা ইচ্ছে করলেই ইউজিসির অনুমতি ছাড়া আবাসিক হল খুলতে পারবো না। কিন্তু ছাত্রীদের নিরাপত্তা ও থাকার ব্যাপারে বিভাগীয় প্রধান এবং বিভাগের শিক্ষকদেরকে ছাত্রীদের আবাসিক সমস্যা সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার কথা বিবেচনা করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে আইসোলেশন সেন্টারের ব্যবস্থা করেছি।
এর আগে সরকারি নির্দেশনা মেনে হল খুলে দেয়াসহ ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: শাবি শিক্ষার্থীরা তৈরি করল ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’
২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- পরীক্ষার্থীদের জন্য ক্রেডিট ফি ও সেমিস্টার ফি মওকুফ করা, অন্যথায় ফি ব্যতিত পরীক্ষা গ্রহণ করে পরবর্তীতে বকেয়া ফি সমূহ প্রদানের সুযোগ দেয়া, মেয়েদের আবাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেয়া, গরীব ও অস্বচ্ছল মেধাবি পরীক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা, পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা মোতাবেক যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল খুলে দেয়া।
আরও পড়ুন: সহপাঠীকে হয়রানি: অনশনে শাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা
প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স শেষ বর্ষ ও মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। পরবর্তীতে রিভিউ ক্লাস নিশ্চিত করা ও যাবতীয় ফি ৭০ শতাংশ মওকুফসহ ৫ দফা দাবি জানিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।