মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগের বিচারপতিদের উপস্থিতিতে গত ৬ আগস্ট এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে হাইকোর্ট বিভাগের নিয়মিত কার্যক্রম পাঁচ মাসের স্থগিতাদেশের পর ১২ আগস্ট পুনরায় শুরু হয়।
১১ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম নিয়মিত বেঞ্চে এবং ভার্চুয়াল বেঞ্চগুলোতে পরিচালনার জন্য ৫৩টি বেঞ্চ গঠন করেন।
এর মধ্যে ১৮টি বেঞ্চ নিয়মিত বিচার বিভাগীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং ৩৫টি বেঞ্চ ভার্চুয়ালি পরিচালনা করছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে দেশের সব আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট।
হাইকোর্ট গত ১০ মে জরুরি মামলার ভার্চুয়াল শুনানির জন্য তিনটি বেঞ্চ গঠন করে এবং অধীনস্থ আদালতগুলোকে জরুরি জামিন সম্পর্কিত মামলাগুলো শুনানির জন্য নির্দেশনা দেয়।
আদালতকে ভিডিও কনফারেন্স এবং অন্যান্য ডিজিটাল সুবিধার মাধ্যমে বিচারের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়ার জন্য সেদিন একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ওই অধ্যাদেশ জারি করেন।
এর পর আদালতগুলো ভিডিও কনফারেন্স এবং অন্যান্য ডিজিটাল সুবিধার মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।